বর্তমানে ছোট বড় প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের একটি করে ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত জীবনেও ওয়েবসাইটের প্রয়োজন আছে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন Activities এবং সেবা সমূহ তুলে ধরা হয়। আর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট সাধারণত পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট হয়ে থাকে যা, একজন ব্যক্তির পরিচয় এবং তার ব্যক্তিগত সেবা সমূহ তুলে ধরে। এই ওয়েবসাইট কিন্তু প্রোগ্রামিং করে তৈরি করতে হয়। যারা প্রোগ্রামিং জানেন তারাই প্রোগ্রামিং করে ওয়েবসাইট তৈরি করেন। কিন্তু যারা প্রোগ্রামিং জানেনা তারা কিভাবে প্রোগ্রামিং না করেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবে?
প্রোগ্রামিং জানা এবং না জানা উভয় পক্ষের মানুষদের জন্যই WordPress (ওয়ার্ডপ্রেস)। WordPress এমন একটি Tool যা ব্যবহার করে একেবারেই কম সময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনি যে কোন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে শুরু করে নিজের পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এই ব্লগে আমি আলোচনা করবো WordPress কি? WordPress দিয়ে কম সময়ে কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এবং WordPress এর রিসোর্স Theme এবং Plugin কাস্টমাইজেশন ও WordPress শিখে আয় করার বিভিন্ন উপায় ইত্যাদি।
CMS কি?
CMS এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Content Management System । শব্দটি দেখেই বুঝা যাচ্ছে কন্টেন্টকে ম্যানেজ করার একটি মাধ্যম। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে প্রচুর পরিমাণ কন্টেন্ট এর প্রয়োজন হয়। ওয়েবসাইটের কোন্ পেজে কি কি কন্টেন্ট থাকবে, উক্ত কন্টেন্টগুলো কিভাবে সাজানো থাকবে, কোন্ কন্টেন্ট এর Access কারা পাবে ইত্যাদি ম্যানেজ করার জন্যই Content Management System। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বর্তমান মার্কেটপ্লেসে CMS এর ব্যাপক চাহিদা। এখানে জনপ্রিয় কিছু CMS হল-
- WordPress
- Joomla
- Drupal
- Wix
- Magento
- TYPO3
- PrestaShop
- DotCMS ইত্যাদি
এই CMS গুলোর অনেকগুলো Common সুবিধা আছে। কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানা থাকা লাগে না Ready to Run অর্থাৎ ইনস্টল করার সাথে সাথেই ওয়েবসাইট দেখা যায়। Admin Panel বা Dashboard তৈরি করতে হয় না। নিজ থেকেই Interface তৈরি করা থাকে যেন Admin নিজেই প্রতিটি কন্টেন্ট প্রয়োজন মত সাজিয়ে নিতে পারে। ফ্রি CMS অর্থাৎ কোন পেমেন্টও করতে হবে না এগুলো ব্যবহার করার জন্য। আর এইসব Feature এর জন্যই বর্তমানে CMS এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress) কি?
WordPress হচ্ছে জনপ্রিয় একটি CMS। বিশ্বের প্রায় ৪৪% ওয়েবসাইট WordPress দিয়ে তৈরি। এই CMS এর মাধ্যমে সকল ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। এমনকি ব্যাংকিং, ইকমার্স সহ নানা জটিল সফ্টওয়্যারও তৈরি করা সম্ভব। যদিও WordPress কে তৈরি করা হয়েছিল মূলত Blog সাইট তৈরি করার জন্য। কিন্তু বর্তমানে ক্লায়েন্ট এর চাহিদামত প্রোগ্রামিং করে সকল ধরণের ওয়েবসাইট বানানো হয়। যদিও কেউ WordPress দিয়ে সফ্টওয়্যার তৈরি করে না। কারণ সফ্টওয়্যার তৈরি করার জন্য পাইথন, জাভা, রিয়েক্ট, নোড, সি শার্প ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গয়েজ এবং Framework ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোন কন্টেন্ট ম্যানেজ করার জন্য WordPress এর চাইতে Better Solution এই মূহুর্তে নেই। একটা ছোট উদাহরণ দিয়ে বুঝাই ধরুন, আপনি একটা Blog লিখলেন। সেখানে ছবি, ভিডিও সহ নানা ধরণের রিসোর্স রয়েছে। পরবর্তীতে কোন কারণে আপনি উক্ত Blog ডিলিট করে দিলেন। তাহলে কি Blog-এ থাকা সকল ছবি ভিডিও ডিলিট হয়ে যাবে? উওর ডিলিট হবে না। শুধুমাত্র উক্ত ব্লগটিই ডিলিট হবে। কারণ ডিলিট করে দেওয়া ব্লগে ব্যবহৃত ছবি, ভিডিও অন্যান্য ব্লগেও ব্যবহার করা হতে পারে।
যদি ব্লগের সাথে সাথে ছবিটিও ডিলিট হয়ে যেত তাহলে বাকি ব্লগেও ছবিগুলো দেখতে পাওয়া যাবে না। তখন ভিজিটরদের কাছে ওয়েবসাইটটি নেগেটিভ রিভিউ পেত। তবে আপনি যদি ব্লগে থাকা ছবিটিও ডিলিট করে দিতে চান তাহলে আপনাকে Media-তে চলে যেতে হবে। সেখান থেকে ছবিটিকে খুঁজে বের করে ডিলিট করতে হবে। তবেই ছবিটি ডিলিট হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন সব কিছু মিলিয়ে WordPress অন্যান্য CMS এর চাইতে আপনাকে কতটা Better Experience দিচ্ছে।
WordPress কিভাবে কাজ করে?
WordPress মূলত PHP প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এর সাথে JavaScript, Redux ইত্যাদিও রয়েছে। PHP মূলত Backend অর্থাৎ Server Side এর জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এর কমিউনিটি অনেক বড়। সুতরাং সাপোর্টও খুব সহজেই পাওয়া যায়। তাহলে এখন আপনাকেও কি এই PHP ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে? একদমই না। আপনি কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ না শিখেও এই WordPress দিয়ে আপনি নিজেই একা একাই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন এবং ইচ্ছামত Customization করতে পারবেন।
এর জন্য কোন Developer এর প্রয়োজন নেই। WordPress ইনস্টল করার সাথে সাথেই আপনি ড্যাশবোর্ড এবং ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। অর্থাৎ Ready to Run যা আগেই বলেছিলাম। এক সেকেন্ডও আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে না। ইনস্টল করেই আপনি সাথে সাথে কন্টেন্ট সাজানো নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। আপনার কাজই হচ্ছে কোন কন্টেন্টকে বা রিসোর্সকে ওয়েবসাইটে আপলোড করা, পেজের বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজন মত কন্টেন্ট সাজিয়ে নেওয়া ও প্রয়োজন মত আপডেট করা এবং প্রয়োজন শেষে ডিলিট করে দেওয়া।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে WordPress দিয়ে আপনি যদি প্রোগ্রামিং না জেনেই একটা ওয়েবসাইট একা একা তৈরি করে ফেলতে পারেন তাহলে, WordPress ওয়েবসাইটের জন্য প্রোগামিং করে কারা? উত্তরটা একদমই সহজ। আপনি অবশ্যই কোন একটা Theme এবং কিছু Plugins নিয়ে কাজ করছেন। এই Theme এবং Plugins আসছে কোথা থেকে? নিশ্চয়ই কেউ না কেউ প্রোগ্রামিং করে তৈরি করেছে। তারপর তিনি মার্কেটপ্লেসে পাবলিশ করলে আপনি ডাউনলোড করে শুধুমাত্র Customization করছেন।
আর এভাবে Customization এর মাধ্যমে একা একা তৈরি করে নিচ্ছেন WordPress দিয়ে একটি ওয়েবসাইট। সুতরাং বুঝা গেল, আপনিও যদি Theme, Plugin তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে তখন প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। আর সেসব প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ফ্রেমওয়ার্ক শিখতে হবে যা WordPress সাপোর্ট করে। আশা করি এই বিষয়ে ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
এখন আপনি যদি চান ওয়ার্ডপ্রেস থিম অ্যান্ড প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখে ইনকাম করবেন তাহলে আপনার জন্য সু খবর হচ্ছে, আমাদের Msb Academy তে Make Money by Selling WordPress Theme & Plugins Worldwide নামে একটি কোর্স রয়েছে যেখানে প্রোগ্রামিং এর বেসিক থেকে এডভান্স, PHP, PHP OOP, AI টুলস এর ব্যবহার এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট স্টেপ-বাই-স্টেপ শিখানো হবে। কোর্স কমপ্লিট করে যেকেও নিজের তৈরি Theme, Plugin গ্লোবালি বিক্রি করে প্রতি মাসে ৫০০ – ৫০০০ হাজার ডলার প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবে। এমনকি Fiverr, Upwork মার্কেটপ্লেসে হাই বাজেটের কাজ এবং রিমোট জবও করতে পারবে।
wordpress.com Vs wordpress.org
WordPress নিয়ে কাজ করতে গেলেই আপনি প্রথমে দুটো জিনিস পাবেন। একটি হচ্ছে wordpress.com এবং অপরটি হচ্ছে wordpress.org। .com এবং .org দুটি ভিন্ন ডোমেইন হলেও দুটোই WordPress এর মূল Automattic Inc প্রতিষ্ঠানের। দুটোই WordPress কিন্তু Feature ভিন্ন। এখানে আমি প্রধান কিছু পার্থক্য তুলে ধরছি।
WordPress.com
- ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ সাইট তৈরির হোষ্টিং
- বিনামূল্যে হোষ্টিং প্রোভাইড করে
- বিনামূল্যে সাবডোমেইন প্রোভাইড করে
- শুধুমাত্র পেইড প্যাকেজে কিছু Plugin ব্যবহার করতে দেয়
- প্রয়োজন মত Customization করা যায় না
- ব্লগ সাইটে বিজ্ঞাপন রয়েছে
- নির্দিষ্ট কিছু Security দেয়
WordPress.org
- ওয়ার্ডপ্রেস এর মূল সফ্টওয়্যার দিয়ে থাকে
- হোষ্টিং প্রোভাইড করে না
- ডোমেইন প্রেভাইড করে না
- পেইড এবং ফ্রীতে Themes, Plugins পাওয়া যায়
- প্রয়োজন মত Customization করা যায়
- কোন বিজ্ঞাপন নেই
- প্রয়োজন অনুসারে Security ইমপ্লিমেন্ট করা যায়
আপনি কোন কাজের WordPress ব্যবহার করবেন সেই কাজ অনুযায়ী এখান থেকে WordPress এর ধরণ বাছাই করে নিবেন।
WordPress Installation
WordPress আপনি হোষ্টিং Purchase করে অথবা নিজের কম্পিউটারে দুই জায়গাতেই Install করতে পারবেন। আবার প্রতিটি জায়গাতেই বিভিন্ন উপায়ে Install করতে পারবেন। যেমন আপনি যদি নিজের কম্পিউটারে অর্থাৎ Local Server এ WordPress Install করতে চান, তাহলে Local XAMPP ইত্যাদি Software এর সাহায্য নিয়ে করতে পারবেন। এইক্ষেত্রে হোষ্টিং Purchase করতে হবে না। আপনার পিসিতে থাকা HDD/SSD নিজেই হোষ্টিং হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু এই সাইট এর কোনো ডোমেইন থাকবে না। অর্থাৎ সাইটের কোন URL থাকবে না যেটি দিয়ে আপনার কম্পিউটার বাদ দিয়ে অন্য যেকোন পিসি/ট্যাব/মোবাইল থেকে এক্সেস করা যাবে।
আর যদি আপনি হোষ্টিং Purchase করে WordPress Install করেন তাহলে, আপনার সাইটের জন্য একটা ডোমেইনও Purchase করতে হবে। আর এই URL টি যেকোন পিসি/ট্যাব/মোবাইল দিয়ে এক্সেস করা যাবে। আশা করি Paid Hosting এবং Local Server এ Hosting এর মধ্যে পার্থক্যটি বুঝেছেন।
WordPress Install করার ধাপ সমূহ
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক Paid Hosting এর মধ্যে cPanel-এ কিভাবে WordPress Install করতে হয় সেই প্রসেসটি-
১) প্রথমে cPanel-এ লগিন করুন
২) তারপর Softaculous Appls Installer থেকে WordPress-এ Click করুন
৩) Install Now বাটনে ক্লিক করুন
৪) এবারে আপনার সাইটের নাম, শ্লোগান, Admin হিসেবে Login করার জন্য Username, Password এবং Email Address সহ অন্যান্য তথ্য পূরণ করে Install বাটনে Click করুন।
উপরের ধাপগুলো অনুযায়ী সবকিছু সঠিকভাবে তথ্য দিয়ে থাকলে অল্প কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যেই আপনার WordPress Install হয়ে যাবে। এরপর আপনি দুটি URL দেখতে পাবেন। একটি হচ্ছে আপনার সাইটের Home URL এবং অপরটি হচ্ছে Admin এর হিসেবে সাইটের Dashboard-এ প্রবেশ করার জন্য।
ধরে নিচ্ছি আপনার সাইটের ডোমেইন something.com। তাহলে আপনার সাইটের Dashboard-এ লগিন করার জন্য URL হবে something.com/wp-admin। এই URL টি WordPress এর সফ্টওয়্যার থেকে Default দেওয়া থাকে। তবে আপনি চাইলে কোন প্লাগিনের মাধ্যমে এই URL টি পরবর্তীতে পরিবর্তন করতে পারবেন।
Theme এবং Plugin কিভাবে Install করবেন?
WordPress Install হয়ে যাওয়ার পর কাজ কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আমাদেরকে প্রথমে একটি Theme এবং Theme এর পাশাপাশি বিভিন্ন Feature Implement করার জন্য কিছু Plugins Install করতে হবে। Appearance থেকে Themes অপশনে Click করলে প্রচুর Free Themes দেখাবে। আপনার যেটা পছন্দ হয়, আপনি সেটাই বিনামূল্যে Install করে নিতে পারেন। আর আপনার যদি Purchase করা Theme থাকে তাহলে সেটি Upload করতে পারেন।
একইভাবে Plugins অপশন এর Add New Plugin পেজে গেলে প্রয়োজন মত বিভিন্ন Plugins ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
Blog পোস্ট কিভাবে করবেন?
থিম এবং প্লাগিন এর কাজ তো শেষ হল। এবার ফাইনালি ব্লগ পোস্ট লিখার পালা। Posts অপশন থেকে Add New Post-এ Click করলে ব্লগ পোস্ট লিখার জন্য নিচের মত পেজ দেখতে পারবেন। কোথায় কি লিখবেন তা খুব সুন্দর করে WordPress নিজেই দেখিয়ে দিয়েছে। শুরুতেই Add Title-এ ব্লগের শিরোনাম লিখবেন। এরপর নিচে বিস্তারিত পুরো ব্লগটি লিখবেন। ব্লগটির বিভিন্ন স্থানে ছবি, ভিডিও, ইমোজি ইত্যাদি Elements যুক্ত করতে পারবেন। সবকিছু লিখা হয়ে গেলে Publish বাটনে ক্লিক করে Publish করে দিবেন।
নমুনা হিসেবে একটি ব্লগ পোস্ট নিচে দেখানো হল-
Theme Settings
আমি আমার সাইটে OceanWP Theme ইন্সটল করেছি। আপনিও কোন একটি থিম ইন্সটল করেছেন। প্রতিটি থিম Customization করার জন্য বিভিন্ন অপশন দিয়ে দেওয়া থাকে। নিচের স্ক্রিনশটে তাকালে মার্ক করা অপশনগুলো দেখতে পারবেন। এখান থেকে প্রয়োজন মত Demo Data Import থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেটিংস পেয়ে থাকবেন। আপনার সাইটকে আপনি যেভাবে সাজাতে চান সেভাবেই সেটিংসগুলো করে নিবেন।
এরপর কাজ করতে হবে Page Builder নিয়ে। তবে তার জন্য Page Create করে নিতে হবে।
নতুন Page তৈরি করা এবং Customization
Pages থেকে Add New Page-এ Click করলে আপনারা নতুন একটি পেজ তৈরি করার ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। পেজের Title লিখে Publish বাটনে ক্লিক করলে পেজটি দেখা যাবে। এভাবে যে কয়েকটি পেজ প্রয়োজন হবে সে কয়েকটি পেজ তৈরি করে নিবেন। এরপর Theme এর সাথে দেওয়া Page Builder দিয়ে প্রতিটি পেজ Customization করে নিবেন। Page Builder যেকোন একটা থাকবে। যেমন Elementor, WPBakery, Avada, Divi ইত্যাদি যা সম্পূর্ণ থিম এর উপর নির্ভর করে।
পেইজ যেহেতু ডিজাইন করবেন তাই খুবই সাবধানতার সাথে ডিজাইন করবেন। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট লক্ষ্য রাখতে হবে-
- পেজের ডিজাইন যেন User Friendly হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- পেজের Speed যেন Slow না হয়।
- পেজের প্রতিটি Element এর কালার যেন বিদঘুটে/কটকটে না হয় যা ইউজারদের দেখতে বাজে লাগে।
- পেজ অবশ্যই Responsive হতে হবে। নতুবা মোবাইল, ট্যাব এসব ডিভাইসে Template ভেঙ্গে যাবে।
- লম্বা লম্বা পেজ তৈরি করবেন না। এতে লম্বা Scroll করে ইউজাররা বিরক্ত হয়।
- SEO নিয়ম কানুন মেনে পেজে কন্টেন্ট রাখতে হবে। নতুবা র্যাঙ্কিং-এ পিছিয়ে যাবেন।
WordPress শিখে কিভাবে আয় করবেন?
বর্তমান যুগে আপনি একটা স্কিল সময় ও পরিশ্রম দিয়ে শিখবেন কিন্তু আয়ের রাস্তা নেই এমন হয় না। কারণ আমাদের প্রতিটা কাজের পিছনে একটা উদ্দেশ্য থাকে সেটা হতে পারে ইনকাম বা অন্য কিছু। WordPress থেকে নানা উপায়ে আয় করা সম্ভব যদি আপনি সঠিকভাবে স্কিল অর্জন করতে পারেন। কি কি উপায় WordPress থেকে আয় করতে পারবেন চলুন এবার জেনে নেয়া যাক-
Theme & Plugin Development করে আয়
আপনি যদি প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন বিশেষ করে php, javascript, redux তাহলে আপনি নিজের মত করে ওয়ার্ডপ্রেস এর জন্য থিম এবং প্লাগিন তৈরি করতে পারবেন। যা আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস থিম এর খুবই জনপ্রিয় একটি মার্কেট হল Themeforest এবং প্লাগিন এর জন্য জনপ্রিয় মার্কেট হল Codecanyon। আর দুটোই কিন্তু Envato Elements এর।
Theme Customization করে আয়
আপনি যদি থিম ডেভেলপমেন্ট নাও করতে পারেন কোন সমস্যা নেই। আপনার জন্য আছে থিম কাষ্টমাইজেশন। এই কাজের চাহিদা ব্যাপক। fiverr, upwork, people per hour সহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন চাকরি ও Freelancing ওয়েবসাইটে WordPress Theme Customization লিখে সার্চ করলে হাজার হাজার কাজ দেখতে পারবেন। সেই সাথে ফুল টাইম এবং পার্ট টাইম জব করেও ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগিং করে আয়
লেখা লেখি করা এক ধরনের শিল্প। আর আপনি যদি এই শিল্পের শিল্পী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট দিয়ে ব্লগ লিখার সুযোগ। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সহজে যে কোন ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। আপনি যদি নিজে তৈরি করতে না পারেন অল্প কিছু টাকা খরচ করে যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করেন তাহলে সেই ওয়েবসাইট থেকে আপনি একটা সময় ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগ সাইটে Affiliate Marketing, Content Writing, Advertisement দেখানো সহ নানা কাজ করে আয় করা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন ব্লগ লিখার দক্ষতা আপনার বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। এবং ওয়েবসাইটে SEO ফ্রেন্ডলি করতে হবে। আর আপনার লেখা গুলা শিক্ষণীয় হতে হবে অন্যথায় ভিজিটর কম আশার সম্ভাবনা থাকবে।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
বর্তমান সময়ে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শব্দটির সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত। ফ্রিল্যান্সিং মানে হল আপনার স্কিল বা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে আয় করা। আপনি যদি fiverr, upwork, people per hour এর মত বিশ্বের বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ভিজিট করেন তাহলে দেখতে পারবেন সেখানে এক একজন এক এক বিষয়ে সার্ভিস দিচ্ছে। কেউ গ্রাফিক্স ডিজাইন, কেউ ওয়েব ডিজাইন, কেউ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কেউ কন্টেন্ট রাইটিং, কেউ সাইবার সিকিউরিটি, কেউ অ্যানিমেশন, কেউ ডিজিটাল মার্কেটিং-এ ইত্যাদি। এই যে বিষয় গুলা এই গুলা কিন্তু এক একটা স্কিল। যে যেই বিষয়ে দক্ষ্য সে সেই বিষয়ে সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করছে।
এখন আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন ভাল ভাবে শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রচুর চাহিদা এবং সব বেশি সবাই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। তাই আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে পারেন তাহলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন সম্পর্কিত যেকোন সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন কিভাবে শিখব?
আপনি গুগল, ইউটিউব সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন লিখে দিলে অনেক ব্লগ আর্টিকেল এবং ভিডিও টিউটেরিয়াল পাবেন। আপনি চাইলে শেখান থেকে বেসিক ধারণা নিতে পারেন। তবে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে ইনকাম করতে চান এবং প্রফেশনাল ভাবে শিখতে চান তাহলে আপনাকে প্রফেশনাল মানের কোন কোর্স করতে হবে। আর আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে MSB Academy-তে আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে WordPress Theme & Plugin Customization Masterclass নামে একটি প্রফেশনাল কোর্স পাবলিশ করা হয়েছে।
আপনি যদি প্রোগ্রামিং না শিখেই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যেকোন ধরণের প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট শিখে সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজগুলো করতে চান, তাহলে এই কোর্সটি আপনার জন্য হবে পারফেক্ট একটি কোর্স। বোনাস হিসাবে কোর্সে পাবেন ১৫০০ ডলার মূল্যের প্রিমিয়াম থিম এবং প্লাগিনের লাইফটাইম লাইসেন্স। কোর্সে কয়েকটি Real Life Project করে দেখানোর পাশাপাশি কিভাবে জব এবং ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন সেই বিষয়ে লাইন গাইন দেয়া হয়েছে। আর একবার কোর্সে জয়েন হলেই পাবেন লাইফ টাইম কোর্স এক্সেস, লাইফটাইম আপডেট এবং লাইফটাইম সাপোর্ট। কোর্সের মধ্যে আমি নিজে আপনার সকল সমস্যার সমাধান করে দিব।
আশা এই এই ব্লগটি সম্পূর্ণ করে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে একটি ধারনা পেয়েছেন। শুধু মাত্র ধারনা নিলে ত আর হবে। ইনকাম করতে হলে প্রফেশনাল ভাবে শিখতে হবে। এবং লেগে থাকতে হবে। তাই যদি ইচ্ছা থাকে ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন শিখে ইনকাম করার তাহলে সময় নষ্ট না করে এখনই শিখা শুরু করে দিন।
Comments