Blog

Flutter কি? কিভাবে Flutter দিয়ে মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে ইনকাম করবেন?

Flutter App development blog bangla


বর্তমান যুগে প্রযুক্তির বিকাশ যেমন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, তেমনি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টও হয়ে উঠেছে একটি দারুণ ক্যারিয়ার অপশন। প্রতিদিন অসংখ্য নতুন অ্যাপ মার্কেটে আসছে, কোনটি ব্যবসার জন্য, কোনটি শিক্ষার জন্য, আবার কোনটি বিনোদনের জন্য। এই বিশাল বাজারে আপনি যদি নিজের অবস্থান তৈরি করতে চান, তাহলে একটি শক্তিশালী স্কিল আপনার থাকতেই হবে। ঠিক তেমনি একটি স্কিল হল মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। আর এই ক্ষেত্রে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রেমওয়ার্কগুলোর একটি হলো Flutter।  এই আর্টিকেলে আমরা জানবো Flutter আসলে কী, কেন আপনি এটা শিখবেন এবং কিভাবে এটা দিয়ে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

ফ্লাটার (Flutter) কী?

Flutter হলো Google দ্বারা ডেভেলপ করা একটি ওপেন সোর্স UI সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক। এটি দিয়ে একই কোডবেস ব্যবহার করে Android, iOS, Web, Desktop—সব ধরনের অ্যাপ তৈরি করা যায়। Flutter-এর মূল প্রোগ্রামিং ভাষা হলো Dart, যা সহজে শেখা যায় এবং দ্রুত রান করে। Flutter-এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর “write once, run anywhere” নীতি। অর্থাৎ, আপনি একবার কোড লিখলে সেটি Android, iOS এমনকি ওয়েব বা ডেস্কটপেও চালাতে পারবেন।

তাই ডেভেলপারদের আলাদা আলাদা কোডবেস তৈরি করতে হয় না। Flutter এর মধ্যে রয়েছে একটি শক্তিশালী উইজেট সিস্টেম (Widgets), হট রিলোড সুবিধা (Hot Reload) সুন্দর এবং রেসপন্সিভ ইউজার ইন্টারফেস তৈরি করার সহজ উপায়।

Flutter এর ইতিহাস

Flutter-এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে, যখন Google এটিকে প্রথমবারের মতো আভ্যন্তরীণভাবে তৈরি করে। এরপর ২০১৭ সালে Flutter-এর প্রথম Beta Version প্রকাশিত হয়। কিন্তু Flutter মূলত আলোচনায় আসে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর-এ, যখন Google আনুষ্ঠানিকভাবে Flutter 1.0 প্রকাশ করে। তখন থেকেই Flutter ডেভেলপারদের মাঝে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্কে পরিণত হয়।

Flutter কেন এত জনপ্রিয়?

Flutter বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ ফ্রেমওয়ার্কগুলোর একটি। ২০২৫ সাল পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ ডেটা অনুযায়ী, ১০ লাখেরও বেশি অ্যাপ অর্থাৎ ১ মিলিয়ন অ্যাপ বিশ্বব্যাপী Flutter দিয়ে তৈরি হয়েছে। এবং ৫ লক্ষেরও বেশি অ্যাপ সরাসরি Google Play Store-এ Flutter দিয়ে তৈরি। প্রতি মাসে গড়ে ২০,০০০+ নতুন অ্যাপ Flutter দিয়ে ডেভেলপ করা হচ্ছে। GitHub এ ১৬০,০০০+ এর বেশি স্টার, Flutter এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ওপেন সোর্স ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে একটি।

এছাড়াও প্রতি মাসে গড়ে ১ মিলিয়নের বেশি ডেভেলাপার Flutter ব্যবহার করে করেন। কারন ৩০% এর বেশি সময় সাশ্রয় হয় Flutter ব্যবহার করে অ্যাপ তৈরি করলে নেটিভের তুলনায়। Flutter জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারনগুলা হলো-

১) Cross-Platform Development (একই কোডে Android ও iOS অ্যাপ)

Flutter-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি একবার কোড লিখেই Android ও iOS — দুইটি প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ রান করতে পারবেন। অন্য ফ্রেমওয়ার্কে একই অ্যাপের জন্য আলাদা আলাদা কোড লিখতে হয়, ফলে সময় ও খরচ বেড়ে যায়। Flutter এই সমস্যার সহজ সমাধান এনে দিয়েছে। একজন ডেভেলপার হিসেবে আপনি কম সময়ে, কম রিসোর্সে, বেশি আউটপুট দিতে পারবেন।

২) Hot Reload ফিচার বা দ্রুত ডেভেলপমেন্ট

Flutter-এর Hot Reload ফিচার আপনাকে কোডে ছোটখাটো পরিবর্তন করেই সঙ্গে সঙ্গে সেটি অ্যাপে দেখতে দেয় রিস্টার্ট বা পুনরায় কম্পাইল ছাড়াই। এটি ডেভেলপারদের জন্য এক বিশাল টাইমসেভার। ডিজাইন, ফাংশন বা UI টেস্ট করতে বারবার অ্যাপ রান করতে হয় না যার ফলে ডেভেলপমেন্ট হয় অনেক দ্রুত ও কার্যকর।

৩) Rich UI এবং Customizable Widget Library

Flutter এর built-in widget system দিয়ে আপনি খুব সহজে প্রফেশনাল, কাস্টমাইজড, এবং মোবাইল রেসপনসিভ UI তৈরি করতে পারবেন। যেকোনো ডিজাইন (Material Design বা iOS-style Cupertino Design) Flutter-এ রেডিমেড ফর্মে পাওয়া যায়। এটি UI design-এর সময় অনেক কাস্টম কোডিং এর ঝামেলা কমিয়ে দেয়, ফলে নতুনরাও প্রফেশনাল ডিজাইন বানাতে পারবে সহজেই।

৪) Native Performance এর সমান গতি

Flutter অ্যাপ সরাসরি Native ARM কোডে কম্পাইল হয়, তাই এটি অন্যান্য hybrid অ্যাপের মতো স্লো নয়। এটি Native Android বা iOS অ্যাপের মতোই দ্রুত পারফর্ম করে। Flutter অ্যাপে অ্যানিমেশন, স্ক্রলিং, নেভিগেশন সবকিছু হয় স্ন্যাপি এবং স্মুথ।

৫) Firebase Integration সহজ ও শক্তিশালী

Flutter Firebase এর সঙ্গে খুব ভালোভাবে ইন্টিগ্রেট হয়। Firebase দিয়ে Authentication, Database, Cloud Storage, Push Notification, Analytics ইত্যাদি সহজেই ব্যবহার করা যায়। ডেভেলপাররা সহজেই Full Stack Mobile App বানাতে পারেন, Backend নিয়ে আলাদা চিন্তা করতে হয় না।

৬) Community ও Documentation শক্তিশালী

Flutter-এর ডকুমেন্টেশন অত্যন্ত সহজবোধ্য এবং গুগলের মতো বড় কোম্পানির সমর্থন থাকায় এটি নিয়মিত আপডেট হয়। Flutter এর GitHub, StackOverflow, Reddit, এবং Flutter Community-তে অসংখ্য প্রশ্ন-উত্তর এবং টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। নতুন বা মাঝারি স্তরের ডেভেলপারদের জন্য এটি শেখার পথে অনেক সহায়তা করে।

Flutter দিয়ে তৈরি কিছু জনপ্রিয় অ্যাপ

আপনি যদি নিচের ছবিটা ভাল ভাবে দেখেন তাহলে দেখতে পারবেন এখন পর্যন্ত Flutter দিয়ে শুধু ছোট স্টার্টআপ না, বড় বড় কোম্পানির অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য স্টার্টআপ, এজেন্সি এবং প্রাইভেট কোম্পানি Flutter ব্যবহার করছে দ্রুত মোবাইল অ্যাপ বাজারে আনতে।

Flutter-এর ভবিষ্যৎ কেমন?

Flutter প্রতিদিনই আরও বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। Google নিয়মিত এতে নতুন ফিচার যোগ করছে। এছাড়াও Flutter 3+ ভার্সনে এখন। সব মিলিয়ে Flutter ভবিষ্যতে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রধান টুল হিসেবে জায়গা ধরে রাখবে বলেই আশা করা যায়। Flutter শুধুমাত্র একটি ফ্রেমওয়ার্ক নয়, এটি একটি আধুনিক ডেভেলপমেন্ট ইকোসিস্টেম যার মাধ্যমে আপনি একবার শিখে Android, iOS, Web এমনকি Desktop পর্যন্ত অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন। দ্রুত ডেভেলপমেন্ট, পারফরম্যান্স, সুন্দর UI, এবং গুগলের সমর্থন সব মিলিয়ে Flutter এখনকার সময়ের সবচেয়ে পাওয়ারফুল স্কিলগুলোর একটি।

Flutter কেন শিখবেন?

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে এত প্রোগ্রামিং বা কোডিং থাকতে কেন ফ্লাটার  শিখবেন? এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কেন আপনি ফ্লাটার শিখবেন-

১) একটি স্কিল দিয়ে মাল্টিপ্ল্যাটফর্ম অ্যাপ তৈরি করা যায়

Flutter দিয়ে আপনি একই কোডবেস ব্যবহার করে Android, iOS, Web এবং Desktop—সব ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে পারেন। এটি Cross-platform ফ্রেমওয়ার্ক হওয়ায়, ডেভেলপারদের আলাদা করে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য আলাদা কোড লিখতে হয় না। এর ফলে সময়, খরচ এবং পরিশ্রম সবকিছুই বাঁচে। তাই যারা কম সময়ে বেশি রেজাল্ট চান, তাদের জন্য Flutter একটি পারফেক্ট স্কিল।

২) চাহিদা দ্রুত বাড়ছে এবং মার্কেট বিশাল

Flutter বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ফ্রেমওয়ার্কগুলোর একটি। হাজার হাজার কোম্পানি Flutter ডেভেলপার খুঁজছে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমন Fiverr, Upwork, Freelancer এ Flutter প্রজেক্টের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। শুধু বিদেশে নয়, বাংলাদেশেও স্টার্টআপ ও সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোতে Flutter ডেভেলপারের চাহিদা বাড়ছে।

৩) Flutter শেখা তুলনামূলক সহজ ও প্র্যাকটিকাল

Flutter-এর ভাষা Dart শেখা সহজ এবং Flutter-এর নিজস্ব Widget-based UI system থাকায় UI বানানো অনেক সহজ। আপনি যদি প্রোগ্রামিং এ একদম নতুন হন, তাহলেও Flutter শেখা আপনার জন্য কঠিন হবে না। হাতে-কলমে প্রজেক্ট বানাতে বানাতে শেখা যায়।

৪) Flutter দিয়ে নিজের অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম করা যায়

Flutter শেখার পর আপনি চাইলে নিজেই অ্যাপ তৈরি করে Google Play Store-এ প্রকাশ করতে পারেন। অ্যাপে বিজ্ঞাপন (AdMob), ইন-অ্যাপ পারচেজ কিংবা সাবস্ক্রিপশন মডেল যুক্ত করে আপনি প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন। অনেক সফল ডেভেলপার এখন শুধুমাত্র নিজেদের অ্যাপ দিয়েই মাসে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে।

৫) ফ্রিল্যান্সিং ও রিমোট চাকরির সুযোগ বেশি

Flutter শেখার মাধ্যমে আপনি আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি অনেক দেশি-বিদেশি সফটওয়্যার কোম্পানি রিমোট Flutter ডেভেলপার হায়ার করে থাকে। আপনি ঘরে বসেই মাসে $500–$3000 পর্যন্ত আয় করতে পারবেন দক্ষতা অনুযায়ী।

৬) গুগলের সাপোর্ট ও প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিশ্চিত

Flutter গুগলের নিজস্ব প্রজেক্ট, এবং তারা নিয়মিত এতে আপডেট ও নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করছে। Google Ads, Google Pay সহ অনেক বড় অ্যাপ এখন Flutter দিয়ে বানানো হচ্ছে। এর মানে, এই টেকনোলজি একদিনে হারিয়ে যাবে না বরং আরও বেশি জনপ্রিয় হবে।

৭) দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে চাকরি পাওয়ার সুযোগ বেশি

অনেক দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানি এখন Flutter ডেভেলপার খুঁজছে কারণ এতে অল্প খরচে সব প্ল্যাটফর্মের অ্যাপ বানানো যায়। আপনি চাইলে দেশের বাইরে থেকে রিমোট জব বা অনসাইট জবের জন্য Flutter Developer হিসেবে আবেদন করতে পারেন। Flutter এখন গ্লোবাল স্কিল হিসেবে স্বীকৃত। তবে তার জন্য আপনাকে প্রফেশনাল ভাবে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৮) নিজের আইডিয়া বাস্তবায়নের স্বাধীনতা

Flutter শেখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো,আপনার যদি কোনো অ্যাপ আইডিয়া থাকে তবে আপনি নিজেই সেটি বানাতে পারেন। অন্যের ওপর নির্ভর না করে আপনি নিজেই অ্যাপ তৈরি করে বিশ্বব্যাপী ইউজারদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এতে আপনি হয়ে উঠবেন একজন Tech Entrepreneur। অর্থাৎ আপনার নিজের আইডিয়া আপনি নিজে অ্যাপ তৈরি করে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

Flutter দিয়ে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখে মাসে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

প্রশ্নটি খুবই বাস্তব এবং গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই Flutter শেখার আগেই জানতে চান আচ্ছা, শেখার পরে কি সত্যিই ইনকাম করা সম্ভব? আর করলে কতটুকু? উত্তর হলো: হ্যাঁ, Flutter শেখার মাধ্যমে আপনি মাসে ৳৫০,০০০ থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করতে পারেন, আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন এবং সময় দেওয়ার উপর নির্ভর করে। Flutter শিখে আপনি শুধুমাত্র চাকরি বা প্রজেক্ট নয়, বরং বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারেন। নিচে Flutter শিখে ইনকাম এর কিছু উপায় তুলে ধরা হলো-

১) ফ্রিল্যান্সিং করে (Upwork, Fiverr, Freelancer)

Flutter ডেভেলপারদের জন্য Fiverr, Upwork এ প্রচুর প্রজেক্ট পাওয়া যায়। অনেক ক্লায়েন্ট মোবাইল অ্যাপ বানাতে চায়, কিন্তু আলাদা Android ও iOS ডেভেলপার হায়ার করতে চায় না। তাই Cross-platform developer হিসেবে Flutter ডেভেলপারদের চাহিদা অনেক। ফ্লাটার শিখে আপনি যদি প্রোফাইল ভালোভাবে তৈরি করতে পারেন, রেটিং বাড়াতে পারেন তাহলে মাসে কয়েকটি প্রজেক্ট থেকেই ভালো ইনকাম সম্ভব।

২) রিমোট জব বা ফুলটাইম জব (Local & Global)

Flutter ডেভেলপারদের জন্য রিমোট চাকরি পাওয়া এখন অনেক সহজ হয়েছে। আপনি GitHub বা LinkedIn-এ ভালো প্রোফাইল বানিয়ে বিদেশি কোম্পানিতে রিমোটলি কাজ করতে পারেন। অনেক স্টার্টআপ এবং সফটওয়্যার কোম্পানি Flutter ডেভেলপার খুঁজে থাকে যারা দ্রুত Android এবং iOS অ্যাপ তৈরি করতে পারে। আপনি চাইলে এই সকল সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

৩) নিজের অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম

আপনি যদি নিজের অ্যাপ আইডিয়া বাস্তবায়ন করেন, তাহলে সেটি Google Play Store-এ পাবলিশ করে ইনকাম করতে পারবেন। AdMob, In-app Purchase বা Subscription মডেলের মাধ্যমে। অনেক সফল ডেভেলপার একটি অ্যাপ থেকে ১০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত মাসে ইনকাম করছেন।

৪) ক্লায়েন্ট প্রজেক্ট বা এজেন্সি চালানো

Flutter শিখে আপনি চাইলে ক্লায়েন্টদের জন্য অ্যাপ বানিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এটি হতে পারে স্থানীয় ব্যবসা, স্টার্টআপ বা ব্যক্তিগত উদ্যোক্তা। একটি অ্যাপের জন্য ক্লায়েন্টরা সহজেই ৳৩০,০০০ – ৳১,০০,০০০ পর্যন্ত বাজেট করে থাকে। আপনি চাইলে ছোট একটি টিম গড়ে এজেন্সি খুলেও কাজ করতে পারেন।

৫) Flutter শিখিয়ে ইনকাম

আপনি যদি এই বিষয়ে দক্ষ হয়ে যান এবং শেখাতে পারেন, তাহলে Flutter শেখানোর মাধ্যমেও ইনকাম করা যায়। কোর্স বানিয়ে YouTube, Udemy, অথবা নিজের প্ল্যাটফর্মে Flutter শেখানোর কোর্স পাবলিশ করে অন্যকে শিখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে শিখবেন Flutter Mobile App Development ?

Flutter শেখার জন্য ইউটিউব বা বিভিন্ন ফ্রি রিসোর্স থাকলেও, একজন নতুন শেখা শুরু করা মানুষের জন্য সবচেয়ে কার্যকর হয় একটি গাইডেড এবং প্র্যাকটিকাল কোর্স। তাই আপনাদের জন্য গুড নিউজ হচ্ছে MSB Academy আপনাদের সকলে কথা বিবেচনা করে নিয়ে এসেছে কমপ্লিট একটি Flutter App Development Masterclass (Build Android & iOS Apps) কোর্স। যেখানে একদম বেসিক থেকে সব কিছু হাতে কলমে Flutter এর সবকিছু শিখানো হয়েছে।

এছাড়াও FlutterFlow শিখে কিভাবে আপনি কোডিং ছাড়া মোবাইল অ্যাপ তৈরি করবেন সেই বিষয়ে কমপ্লিট গাইডলাইন রয়েছে। কোর্সে একবার জয়েন করলে পাবেন লাইফ টাইমের জন্য কোর্স এক্সেস, কোর্স আপডেট, এবং কোর্স মেন্টর সাপোর্ট।

Best flutter app development ios android course

পরিশেষে একটি কথা, বর্তমান সময়ের সবচেয়ে প্রমিসিং স্কিলগুলোর মধ্যে Flutter App Development একটি। যারা মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে চান, ক্যারিয়ার হিসেবে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টকে বেছে নিতে চান, তাদের জন্য Flutter হতে পারে সবচেয়ে সহজ সময় উপযোগী মাধ্যেম। আপনি একজন স্টুডেন্ট হন বা চাকরিপ্রত্যাশী Flutter আপনাকে এনে দিতে পারে আর্থিক স্বাধীনতা ও একটি গ্লোবাল ক্যারিয়ার। তাই সময় নষ্ট না করে আজই শুরু করুন Flutter শেখা কারণ, আগামী দিনের সবচেয়ে বড় অ্যাপগুলো হয়তো আপনার হাত ধরেই তৈরি হবে।

Leave a Reply