Blog

Amazon Affiliate Marketing কি? কিভাবে শুরু করবেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং?

amazon affiliate marketing bangla course

বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার যে কয়টি মাধ্যেম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ মাধ্যেম হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে খুব বেশি দক্ষ্য হতে হবে এমন তা নায়। তবে আপনি যদি সঠিক নিশ এবং মার্কেটিং কৌশল বুঝতে পারেন তাহলে এখানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে খুব বেশি ইনভেস্ট করতে হয় না। জিরো ইনভেস্টম্যান্টে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি বা নাম শুনেছি। এই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। শুধু মাত্র একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে ঘরে বসে ইনকাম করা সম্ভব। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন সেই বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং কি ভাবে কাজ করে। সহজ কথায় যদি বলি, ধরুন আপনার কোন প্রোডাক্ট আছে এবং আমি আপনার সেই প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন করে প্রোডাক্টটি বিক্রি করলাম। এখন আপনি আমাকে এরজন্য একটা কমিশন বা লাভের অংশ দিবেন। আর অনলাইনে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করিয়ে দেয়ার জন্য মার্কেটাররা যে মার্কেটিং করে এবং কমিশন পায় সেটাকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

মানে অনলাইনে অন্যের পণ্য বিক্রি করে টাকা আয়! আর অনলাইনে এই কাজটি করা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং থেকে অনেক বেশি সহজ। কারণ আপনার রেফার করা প্রোডাক্ট যত বেশি মানুষ কিনবে আপনি তত বেশি অ্যাফিলিয়েট কমিশন পাবেন। আর তাইত এখন অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যাপারটা এখন এত বেশি জনপ্রিয়। লোকালি এবং গ্লোবালি অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।

আর আপনি জেনে খুশি হবেন যে আমাদের এই MSB Academy প্লাটফর্মের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে। যেখানে জয়েন করার মাধ্যমে আপনি আমাদের প্লাটফর্মের কোর্সগুলোর মার্কেটিং বা আপনার পরিচিত কাওকে রেফার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই ইউটিউব, ফেসবুকে কোর্সগুলোর মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে।

এমএসবি একাডেমী একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তাই কোনোভাবে প্রতারণার স্বীকার হতে হবেনা এবং কোনো টাকাও এম এসবি একাডেমীতে ইনভেস্টও করতে হবেনা। এছাড়া ৩০ দিনের কুকিজ পলিসি এবং ২০% অ্যাফিলিয়েট কমিশনের সুযোগতো থাকছেই। এই ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে এই ব্লগটি পড়তে পারেন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

আমরা সবাই জানি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন (Amazon.com)। সাইটটিতে প্রতি মিনিটে গড়ে ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রি হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর এদিক থেকে পিছিয়ে নেই অ্যামাজনও। তারা তাদের সাইটে থাকা প্রডাক্টের বিক্রি বাড়ানোর বিপণন কৌশলের অংশ হিসেবে ‘অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম' নামে বিশেষ একটি সুবিধা আছে এই সাইটে। বিশ্বের যে কেউ এ প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে অ্যামাজন পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারেন এবং সে বিক্রি অনুযায়ী অ্যামাজন থেকে একটা নিদিষ্ট কমিশন দেয়া হয়। আসলে সকল অ্যাফিলিয়েট প্রগাম মূলত একই ভাবে কাজ করে। শুধু মাত্র কমিশন রেট একটু কম বেশি হতে পারে।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন?

অ্যামাজন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট। এক নামে সবাই তাদের চিনে। তাই আপনি যখন অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিবেন তখন নতুন করে সেটা সম্পর্কে মানুষকে আর পরিচয় করাতে হবে না। আর অ্যামাজন একটি বিশ্বস্ত ব্রান্ড। তাদের প্রোডাক্ট কোয়ালিটি সম্পর্কে কোন নেগেটিভ কিছু নেই এবং প্রোডাক্ট কিনে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অ্যামাজনে প্রায় সব ধরনের প্রোডাক্ট পাওয়া যায় এবং তাদের কাস্টমার সাপোর্ট সিস্টেম খুবই ভাল এবং প্রোডাক্ট ডেলিভারি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে দেয়া হয়। তাই এখানে আপনি অনেকটা নিশ্চিন্তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

কিভাবে শুরু করবেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে হলে আপনাকে প্রথম কিছু সহজ ধাপে কাজ করতে হবে। যেমন-

  • আপনাকে অ্যামাজন সাইটে গিয়ে সেখানে অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
  •  অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে সেখান থেকে আপনাকে একটি ইউনিক অ্যাসোসিয়েট আইডি প্রদান করা হবে।
  •  অ্যাকাউন্ট Approved কমপ্লিট হয়ে গেলে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট পোর্টাল থেকে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইটে সেটা মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের কিছু শর্ত

প্রতিটা ব্রান্ড বা প্রতিষ্ঠানের কিছু শর্ত বা নিয়ম থাকে। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের কিছু নিয়ম রয়েছে যা এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনার মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আপনার অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাউন্ট ব্যান হওয়া যাবার একটা রিস্ক থেকে যাবে।

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সময় প্রোডাক্ট নিয়ে কোন ধরনের মিথ্যা কথা বলা যাবে না। মিথ্যা কিছু লেখা যাবে না।
  • প্রোডাক্ট এর প্রাইস অনেক সময় কম বেশি হয়ে থাকে পরিবর্তন হয়ে থাকে, তাই প্রোডাক্ট এর মূল্য ফিক্সড ভাবে না বলা ভাল হবে।
  • যখন কোন অফার বা ছাড় চলবে তখন প্রোডাক্ট এর অফার প্রাইস উল্লেখ্য করতে হবে।
  • ইমেইল বা অনলাইন বুক বা ই বুকে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করা যাবে না।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট কমিশন রেট কত?

অ্যামাজনে প্রতিটা ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট এর জন্য আলাদা আলাদা কমিশন রেট রয়েছে। কোন প্রোডাক্ট এর কমিশন রেট বেশি আবার কোন প্রোডাক্ট এর কমিশন রেট কম। আপনার অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে ভিজিট করে যখন কোন কাস্টমার প্রডাক্ট কিনবে তখন সেই প্রোডাক্টের পার্সেন্টেজ কমিশন আপনি পাবেন। ধরুন, সেই প্রোডাক্টের দাম যদি হয় 100 ডলার আর কমিশন পার্সেন্টেজ হার যদি 10% তাহলে আপনি পাবেন ($100 x 10% = 10$) 10 ডলার। ঠিক তেমনি ভাবে প্রোডাক্টের দাম যদি 500 ডলার হয় আপনি পাবেন (500 x 10% = $50) 50 ডলার। তবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রোডাক্টের কমিশন কমবেশি হতে পারে। অর্থাৎ কাস্টমার যত বেশী পণ্য কিনবে আপনার কমিশন তাত বাড়বে তার সাথে বাড়বে আপনার ইনকাম।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কত ভাবে করা যায়?

সকল ধরনের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম একই ভাবে কাজ করে। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও মূলত তাই। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মূলত ২ ভাবে করা যায়-

  • ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
  • ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকে হবে এবং নিয়মিত সেখানে নিশ রিলেটেড ব্লগ / আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনি অ্যামাজন এর যে প্রোডাক্টটি নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেই প্রোডাক্ট নিয়ে রিসোর্সফুল আর্টিকেল লিখতে হবে। ভাল মন্দ, সুবিধা, অসুবিধা সব কিছু সেখানে তুলে ধরতে হবে। অথবা সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড কোন আর্টিকেল লিখে শেষে আপনার অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিতে হবে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে। এই ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে টার্গেটেড ভিজিটর সংখ্যা যত বেশি হবে, ইনকামের সম্ভবনাও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

তবে ওয়েবসাইট মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করতে গেলে বেশ কিছু ঝামেলা এবং শুরু করতে কিছু টাকা আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন-হোষ্টিং কিনতে হবে এবং ওয়েবসাইটকে খুব সুন্দর ভাবে সাঁজাতে হবে। আর্টিকেল লিখতে হবে আর আপনি যদি আর্টিকেল লিখতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আর্টিকেল রাইটার হায়ার করতে হবে। অর্থাৎ বুঝতে পারছেন সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট আপনাকে মেনটেইন করে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে। এখানে টাকা এবং সময় দুইটায় বেশী দিতে হবে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে ৬-৯ মাস ভালোভাবে কাজ করলে অ্যামাজন থেকে ভালো অ্যাফিলিয়েট কমিশন আরনিং করা সম্ভব।

ইউটিউব এর মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার আরও একটি সহজ মাধ্যমে হল ইউটিউব। কারন ইউটিউব হল ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় বৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন। গুগলের পরেই ইউটিউবের স্থান। ইউটিউব দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে প্রয়োজন হবে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল। সেখানে অ্যামাজন এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে।

কাস্টমাররা যখন ভিডিও দেখে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে অ্যামাজনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে প্রোডাক্ট কিনবে তখন সে প্রোডাক্টের দাম অনুসারে একটা কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন। ইউটিউব দিয়ে আমাজন আফিলিয়েট করতে কোন পুঁজি দরকার হয় না। কারণ এখানে কোন ইনভেস্টমেন্ট লাগে না। ঠিকমত দুই থেকে তিন মাস কাজ করলে ইউটিউবে আমাজন আফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে হাজার ডলার+ ইনকাম করা পসিবল।

আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে Amazon Affiliate Marketing With YouTube নিয়ে আমাদের এমএসবি একাডেমীতে রয়েছে একটি কমপ্লিট কোর্স। কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে কীভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়, সেই ব্যাপারে সব সিক্রেট টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স পাবেন এই Amazon Affiliate Marketing With YouTube কোর্সে। খুব ভালো ইংলিশ না পারলেও হবে! আর কাজ করতে যা যা লাগবে সব কিছুই দিয়ে দেয়া হবে কোর্সের সাথে। নিচের এই ভিডিওটি দেখলে ইউটিউবের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ইনকাম বেশি হওয়ার জন্য মার্কেটিং কি কি উপায়ে করা যায়?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে সেল বাড়ানোর জন্য মার্কেটিং করতে হবে। কারণ আপনি যত বেশি প্রচার করবেন আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে আর আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কে যত মানুষ ক্লিক করে অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট কিনবে আপনি তত বেশি কমিশন পাবেন। এই মার্কেটিং মূলত দুই ভাবে করা যায়।

  • ফ্রি মার্কেটিং
  • পেইড মার্কেটিং

ফ্রি মার্কেটিং

ফ্রি মার্কেটিং বলতে মূলত সেই ধরনের মার্কেটিং কে বুঝানো হয় যেখানে কোন ধরনের টাকা খরচ করতে হয় না। সম্পূর্ণ ফ্রি ভাবে মার্কেটিং করে সেল বাড়ানো যায়। সবার কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। ফ্রি মার্কেটিং এ অনেক সুবিধা যেমন রয়েছে আবার তেমন অসুবিধা রয়েছে। তবে ফ্রি মার্কেটিং অনেক সময়সাপেক্ষ্য। ফলাফল পেতে একটু সময় লাগে। এই ফ্রি মার্কেটিং আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। যথা

  • ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে
  • ইউটিউবের মাধ্যমে

ফেসবুক বা সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে

আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে পুপলার হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি ফ্যান ফলোয়ার অনেক বেশি থাকে তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। আজকাল সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে। এবং বর্তমান সময়ে ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য বিশাল একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি সকল ক্যাটাগরির কাস্টমার পাবেন। আপনার যদি একটি সুন্দর ফেসবুক পেইজ থাকে এবং সেখানে যদি অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে তাহলে

আপনি সেখানে অ্যামাজন এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সুন্দর কন্টেন্ট তৈরি করে পোস্ট করলে সেটা মানুষ দেখবে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই সেটা কিনে নিবে যদি আপনি সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে তাদের ভালভাবে ধারনা দিতে পারেন। এই ভাবে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কন্টেন্ট তৈরি করে সেখানে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে পোস্ট করতে পারবেন এবং মার্কেটিং করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে আমাদের একটি কোর্স রয়েছে চাইলে এই কোর্সটি করতে পারেন। একটি প্রফেশনাল ফেসবুক পেইজ ওপেন করা থেকে শুরু করে ফেসবুক মার্কেটিং এর A TO Z আপনি এই ফেসবুক মার্কেটিং কোর্সের মধ্যে শিখতে পারবেন। রয়েছে লাইফ টাইম কোর্স এক্সেস, লাইফটাইম সাপোর্ট এবং সময়ের সাথে সাথে কোর্স আপডেট।

YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে

মানুষ কিন্তু এখন কোন কিছু পড়ার থেকে সেই বিষয়ে ভিডিও দেখতে খুব পছন্দ কর। আপনার যদি ভাল মানের ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং সেখানে যদি কোন ভিডিও আপলোড করলে লাখ লাখ ভিউ হয় মানুষ যদি সেটা দেখে তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রোডাক্ট নিয়ে সুন্দর একটি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।

আর ভিডিওতে অবশ্যই প্রোডাক্ট সম্পর্কে অথেনটিক রিভিউ দিতে হবে এবং এর সুবিধা অসুবিধা এবং গুনগত মান নিয়ে সুন্দর করে সেটা উপস্থাপন করতে হবে এবং ভিডিও মধ্যে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিতে হবে। ভিডিও ডেসক্রিপশনে অবশ্যই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিতে হবে যাতে করে সেই লিঙ্কে ক্লিক করে সবাই সহজে প্রোডাক্ট কিনতে পারে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে যদি সাবস্ক্রাইবার অনেক বেশি থাকে এবং ভিউ অনেক বেশি হয় তাহলে ফ্রিতে আপনি এখান থেকে অনেক বেশি সেল পাবেন এবং যত বেশি প্রোডাক্ট সেল হবে মানুষ কিনবে আপনার কমিশন তত বেশি বাড়বে।

পেইড মার্কেটিং

যে মার্কেটিং করতে টাকা খরচ করতে হয় সেটা মূলত পেইড মার্কেটিং। যেমন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কিন্তু আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। কারণ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। Google-এ অ্যাড রান করতে হবে। আপনি নিজে যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে না পারেন তাহলে ডেভেলপার হায়ার করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য Domain Hosting কিনতে হবে।

আপনার ওয়েবসাইট SEO করতে হবে। আপনি যে বিষয়ের উপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেই বিষয়ের উপর SEO ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট লিখতে হবে। আপনার যদি আবার লেখা লেখির অভ্যাস না থাকে তাহলে সেটা আবার হায়ার করে লেখাতে হবে। সব মিলিয়ে এটি কিছুটা ব্যয়বহুল বলা যায়।

আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে শুরু করবেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি চাইলে দুই ভাবে করতে পারবেন। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে তাহলে নতুনদের জন্য কোনটি বেশী সুবিধা জনক হবে website নাকি YouTube? আপনার যদি নিজের ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে পারেন। আর যদি নতুন করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হয় তাহলে আপনাকে শুরু থেকে বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। আর এখন যেহেতু মানুষ ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ করে তাই ইউটিউবের মাধ্যমে করা বেশি লাভজনক হবে বলে আমি মনে করি।

Comments

  • User Avatar
    mirhasan26
    September 10, 2024

    ব্লগটি পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারছি কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে সেটা হচ্ছে এখন কি একটা নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা সম্ভব??

Leave a Reply