Blog

বেস্ট আর্টিকেল রাইটিং এর কমপ্লিট গাইডলাইন

write article with artificial intelligence

আপনি কি জানেন একটা সময় মানুষ শখের বসেই তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ডাইরি লিখত? সেখান অনেকেই প্রতিদিন এর কাজ বা ঘটনা লিখে রাখত!! আবার কেউ কেউ মনের ভিতরে আশা কথাগুলা গল্প আকারে লিখে রাখত। সময়ের সাথে সাথে যখন প্রযুক্তি উন্নত হল তখন লেখার লেখির জন্য বিভিন্ন ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি হল। সেখানে সবাই যে যার মত করে একটা নিদিষ্ট বিষয় নিয়ে অনেক তথ্য দিয়ে লিখত এবং সেটা পাবলিশ করলে সবাই সেটা পড়ত, এবং অনেকেই তাদের মতামত প্রকাশ করত। সময়ের সাথে সাথে এই লেখা গুলা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো। ধীরে ধীরে এই গুলা কন্টেন্ট এ পরিনত হয়ে উঠল। বর্তমানে এই আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখে মানুষ মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।

বর্তমানে কন্টেন্টকে King হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিজনেস, সার্ভিস, প্রোডাক্ট , কনসেপ্ট, নিউজ এবং অন্যান্য ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়গুলাতে Targeted client এর সামনে সুন্দরভাবে বিষয়গুলা উপস্থাপন করার জন্য একজন দক্ষ অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ কন্টেন্ট রাইটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর বর্তমান সময়ে আপনি যদি সুন্দর SEO ফ্রেন্ডলি কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। ঘরে বসে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু আর্টিকেল শুধু লিখলে হবে না তার মধ্যে বেশ কিছু গুণাবলি থাকতে হবে। সব ধরনের আর্টিকেল দিয়ে ইনকাম করা যায় না। তার মধ্যে মানসম্পূর্ণ অনেক কিছু থাকতে হবে। আর্টিকেল লেখার জন্যে সঠিক নিয়ম কি কি তা আমরা অনেকেই জানি না। আর্টিকেল রাইটিং কি? কিভাবে একটি সুন্দর বেস্ট আর্টিকেল লিখতে হয়? আর্টিকেল লেখার সময় কোন কোন বিষয়ে বেশি নজর দিতে হবে তার কমপ্লিট গাইডলাইন এই ব্লগে আলোচনা করা হবে।

আর্টিকেল রাইটিং কি?

কন্টেন্ট রাইটিং এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো আর্টিকেল রাইটিং। কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য আমরা কোন বই, ম্যাগাজিন, পত্রিকা অথবা অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, যে লেখা বা টেক্সট পড়ি, ভিডিও, অডিও, ইমেইজ দেখি সেগুলোই হচ্ছে কনটেন্ট বা আর্টিকেল। কন্টেন্ট অনলাইন বা অফলাইন দুই ধরনের হতে পারে। অনলাইন কন্টেন্টগুলোকে ডিজিটাল কন্টেন্টও বলা হয়। ডিজিটাল কন্টেন্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে –

  • টেক্সট কন্টেন্ট (আর্টিকেল),
  • ভিডিও কন্টেন্ট,
  • অডিও কন্টেন্ট এবং
  • ছবি/ ইমেজ ইত্যাদি।

আর কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে সাজিয়ে গুছিয়ে টেক্সট আকারে তথ্য বহুল কোনো কনটেন্ট লেখার যাবতীয় কার্যক্রমকেই বলা হয় আর্টিকেল রাইটিং। আর্টিকেল মূলত ব্যাপক সংখ্যক অডিয়েন্সের জন্য লেখা হয়ে থাকে। এখানে পাঠকদের মনোযোগ, আকর্ষণ শেষ অবধি ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই কারণেই এগুলো সাধারণত একটি আকর্ষণীয় বা বিনোদনমূলক পদ্ধতিতে লিখতে হয়। এটি ফরমাল বা ইনফরমাল উভয়ই হতে পারে। আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন মতামত এবং চিন্তা, সেইসাথে তথ্য যুক্ত থাকে।

আর এখন যেহেতু AI চলে এসেছে তাই এখন Artificial Intelligence (AI)-এর সঠিক ব্যাবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি বা ব্লগ আর্টিকেল লেখা অনেক সহজ হয়ে হয়েছে। যদি আপনি এই Artificial Intelligence এর ব্যবহার সঠিক ভাবে শিখতে পারেন তাহলে অন্য সবার থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকবেন। আর এই সকল দিক বিবেচনা করে আমাদের MSB Academy তে পাবলিশ করা হয়েছে Blogging With Artificial Intelligence নামে একটি প্রফেশনাল মানের কোর্স। যেখানে Artificial Intelligence (AI)-এর সঠিক ব্যাবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি, প্রফিটেবল নিশ সিলেক্ট, কীওয়ার্ড রিসার্চ, AI দিয়ে ব্লগ রাইটিং, গুগলে ধ্রুত সাইট রেঙ্কিং, সাইট থেকে মাল্টিপল (2x/3x) উপায়ে ইনকাম এবং এই ব্লগিং বিজনেসকে ১০০% অটোমেট করে নিশ্চিন্তে প্যাসিভ ইনকাম এর সকল গাইডলাইন এই কোর্সের মধ্যে শিখানো হয়েছে।

কোর্সে একবার জয়েন করলে পাবেন লাইফ টাইম কোর্স এক্সেস + লাইফ টাইম সাপোর্ট এবং ফ্রি কোর্স আপডেট। AI নিয়ে ভবিষ্যতে যত আপডেট আসবে সব কিছু ফ্রিতে পাবেন।

আর্টিকেল রাইটিং-এর কমপ্লিট গাইডলাইন

একটি প্রফেশনাল আর্টিকেল লিখতে হলে অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হয়। কারণ একটি ব্লগ আর্টিকেল অনেক গুলা উপাদান এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, আইডিয়া, এবং অনেক রিসোর্স সেখানে থাকে। মনে রাখতে হবে কন্টেন্ট মার্কেটিং এর অনেকগুলো ধাপের মধ্যে ব্লগিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সব ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীরা প্রথমে ব্লগের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে অনলাইন কনটেন্ট থেকে সাহায্য নিয়ে থাকে সেই বিষয় সম্পর্কে ধারনা নিয়ে থাকে এবং এটি আপনার ওয়েবসাইট এর ট্র্যাফিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কমপ্লিট একটি ব্লগ আর্টিকেল লিখতে হলে কোন কোন বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ

১) সুন্দর এবং নিদিষ্ট একটি নিশ সিকেলশন

নিশ মানে হল একটি সুন্দর বিষয় বা টপিক। আপনি যে বিষয়ের উপর একটি ব্লগ আর্টিকেল লিখবেন সেটা মূলত নিশ বা সাবজেক্ট। এটি হতে পারে অডিয়েন্স রিলেটেড যেকোনো বিষয় নিয়ে। যেমন, এডুকেশন, হেলথ, ট্র্যাভেল, ইলেকট্রনিক্স,স্পোর্টস, ফ্যাশন, টেকনোলজি ইত্যাদি। এই নিশ আপনি দুই ভাবে সিলেক্ট করতে পারেন।

  • সিঙ্গেল নিশ
  • মাল্টি নিশ

সিঙ্গেল নিশ

সিঙ্গেল নিশ হচ্ছে যেকোনো একটি স্পেসিফিক বিষয় নিয়ে কাজ করাকে বুঝায়। এখানে একটি মাত্র নিদিষ্ট বিষয় নিয়ে সকল ধরনের ব্লগ আর্টিকেল লেখা হবে। সেই নিদিষ্ট সময়ের সব কিছু এখানে পাওয়া যাবে। একটি ছোট উদাহরণ দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন। যেমন – ক্রিকেট, এটি স্পোর্টস ক্যাটাগরির মধ্যে একটি নিদিষ্ট বিষয়। কারণ স্পোর্টস এর মধ্যে আরও অনেক ক্যাটাগরির খেলাধুলা রয়েছে। তাই এখানে ক্রিকেট হল একটি নিদিষ্ট সিঙ্গেল নিশ।

মাল্টি নিশ

মাল্টি-নিশ হলো এমন বিষয় যা আপনার ঐ বিষয়ের সকল ক্যাটাগরিকে কভার করবে। যেমন – স্পোর্টস এর মধ্যে ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, হকি ইত্যাদি সহ দেশ বিদেশের সকল ধরনের স্পোর্টস নিয়ে ব্লগ থাকতে পারে। আপনি যদি স্পোর্টস সম্পর্কিত কোন নিশ নিয়ে কাজ করেন বা ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে সেখানে স্পোর্টস সম্পর্কিত যত বিষয় আছে সব কিছু নিয়ে লেখালেখি করেতে পারবেন। তাই নিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ব্লগ আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে।

আর আপনি যদি ব্লগিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রথমে একটি সুন্দর নিশ সিলেক্ট করতে হবে। কারণ ব্লগিংয়ের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল নিশ নির্বাচন করা। তাই প্রথমেই নিশ সিলেকশন নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। যে আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন। এখন আপনার যদি খেলাধুলা ভাল লাগে তাহলে সেটা নিয়ে কাজ করতে পারেন। আপনার যদি ভ্রমণ করতে ভাল লাগে তাহলে ট্রাভেল গাইডলাইন নিয়ে কাজ করতে পারেন। স্বাস্থ্য বিষয়ে যদি আপনার খুব ভাল ধারনা থাকে তাহলে হেলথ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাই সঠিক নিশ বা প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে পারলে ব্লগিং নিয়ে আপনার যে স্বপ্ন তা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।

২) সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ

একটি বিষয়ে আর্টিকেল লেখার জন্য সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ একটি ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখতে চান বা মানুষ আসলে সার্চ ইঞ্জিন গুলাতে কি কি বিষয় লিখে সার্চ করছে তারা আসলে কি জানতে চাচ্ছে এইটা যদি আপনি বুঝতে পারেন, তাহলে বলা যায়, আপনার লেখা ব্লগ আর্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিনে ভাল রাঙ্ক করবে এবং আপনি যে উদ্দেশ্য লিখবেন সেটা সফল হবে। তাই কোনো কিছু নিয়ে লেখার আগে আপনাকে এটা দেখে নিতে হবে যে, আপনি যে বিষয়ের উপর লিখছেন এই বিষয়ের জন্য আপনার ইউজার বা ব্যবহারকারীরা তারা কি কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে।

কেননা আপনার ইউজাররা যা লিখে সার্চ করে ঐ বিষয়ের জন্য তা যদি আপনি বুঝতে বা ধরতে না পারেন তাহলে আপনার লেখার কোনো দাম থাকবে না। আর এই লেখাও আপনার ইউজারদের কোনো উপকারে আসবে না। তাই সবার আগে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা অন্তত জরুরি। কিওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ এর প্রধান সাহায্যকারী যা ইউজারদের সঠিক ইনফরমেশন পেতে সহায়তা করে থাকে। এই কিওয়ার্ড কিন্তু দুই ধরনের রয়েছে, যথা- শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড এবং লং-টেইল কিওয়ার্ড।

শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড

এটি এমন সার্চ শব্দ বা কিওয়ার্ড যা সাধারণত এক বা দুটি শব্দের হয়ে থাকে। এই কিওয়ার্ডগুলো সাধারণ যত বেশি সার্চ করা হয় ততই প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠে। এই কিওয়ার্ডগুলোর বিশাল ভলিউম রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় “টিশার্ট” এটি একটি শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড। আপনি যখন Google বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে এই শব্দটি সার্চ করবেন তখন আপনি সেকেন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফলাফল আপনার সামনে পেয়ে যাবেন। শর্ট-টেইল কিওয়ার্ডগুলি প্রচুর পরিমাণে ট্র্যাফিক তৈরি করলেও এই কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের রিচ খুব বেশি বাড়াতে পারবেন না এবং টার্গেটে মানুষের কাছে আপনার ওয়েবসাইট রিচ করতে পারবেন না আপনার মত করে।

লং-টেইল কিওয়ার্ড

লং-টেইল কিওয়ার্ডে একাদিক শব্দ থাকে এবং সাধারণত শর্ট-টেইল কিওয়ার্ডের চেয়ে বেশি নির্দিষ্ট হয়। সার্চ ইঞ্জিনে মানুষ একটি নিদিষ্ট বিষয় বা জিনিস খুঁজেতে লং-টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে। তখন যদি এই বিষয়ে আপনার ওয়েবসাইটে কোন ব্লগ আর্টিকেল থাকে তাহলে সেটা খুব সহজে তাকে আকৃষ্ট করতে পারবে। যেমন ধরুন “টিশার্ট ডিজাইন বাংলা কোর্স

এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কি উপায়ে সহজে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায় –

খুব সহজ ভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য Keyword Surfer নামে একটি এক্সটেনশন রয়েছে। আপনি আপনার গুগল ক্রম (Chrome) বা ফায়ারফক্স (Firefox) এর মাধ্যমে কিওয়ার্ড সার্ফার এক্সটেনশনটি অ্যাড করে নিবেন কীওয়ার্ড রিসার্চ এর জন্য। এই এক্সটেনশনটি আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ এর কাজকে অনেক সহজ করে দিবে। এক্সটেনশনটি ক্লিক করে “select location” এ যেয়ে আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিওয়ার্ডের জন্য আপনার পছন্দ মতন দেশ সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। কেননা একেক দেশের জন্য, দেশের মানুষের চাহিদার উপর বিবেচনা করে কিওয়ার্ড ভিন্ন রকমের হতে পারে।

গুগল সার্চ বারে আপনি যখন আপনার কাঙ্ক্ষিত কিওয়ার্ড দিবেন সাথে সাথে এই এক্সটেনশনটি আপনাকে ঐ কিওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম লোকেশন অনুযায়ী দেখাবে। এই এক্সটেনশনটি ব্যবহারের ফলে আপনি আপনার কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউমের পাশাপাশি ঐ কিওয়ার্ডের রিলেটেড আরও কিছু কিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন যা আপনার কিওয়ার্ড রিসার্চ প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করে তুলবে। এবং এতে করে সঠিক কিওয়ার্ড সিলেক্ট করতে আপনার অনেক বেশি সহজ হবে।

৩) সুন্দর আকর্ষণীয় শিরোনাম বা হেডলাইন

একটি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, একটি ব্লগ আর্টিকেলে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই আর্টিকেল এর হেডলাইন বা শিরোনাম দেখে ক্লিক করে। তাই আর্টিকেল এর শিরোনাম অবশ্যই সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হতে হবে। এটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। আপনার আর্টিকেল এর ভিতরে যদি লেখা খুবই সুন্দর এবং মানসম্মত হয় আর যদি শিরোনাম খুবই নরমাল হয় তাহলে সেখানে কেউ ক্লিক করবে না। আমরা যখন ইউটিউব কোন ভিডিও দেখি বা অনলাইন নিউজ পেপারে কোন নিউজ দেখি তখন কিন্তু সবার আগে দেখি নিউজ এর শিরোনাম এবং ইউটিউব আর থাম্বেল। যদি শিরোনাম আমাদের কাছে আকর্ষণীয় হয় তাহলে আমরা সেখানে ক্লিক করে ভিতরে কি আছে সেটা দেখার জন্য।

তাই ব্লগ আর্টিকেল এর শিরোনাম খুব সময় নিয়ে বুঝে শুনে দিতে হবে যেন সেটা দেখে সবাই ক্লিক করে। কারণ বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে ” আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী”। এখন আকর্ষণীয় শিরোনাম বা হেডলাইন লেখার জন্য আপনি কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে পারেনঃ

  • আপনার আর্টিকেল এর জন্য কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ টি সুন্দর শিরোনাম লিখুন। তারপর সেখান থেকে যেটা বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হবে সেটা ব্যবহার করুন।
  • শিরোনাম যেন নির্ভুল হয় সেটা লক্ষ্য রাখুন। কোন বানান বা কথা যেন ভুল না হয়।
  • যতটা সম্ভব ছোট এবং সংক্ষিপ্ত রাখার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করবেন ৭ থেকে ১০ টি শব্দের মধ্যে রাখার জন্য।
  •  শিরোনামে একটি প্রশ্ন বোধক শব্দ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কেন? কিভাবে? কি উপায়ে? এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করতে পারেন।
  • আর্টিকেল এর সাথে শিরোনাম এর মিল রাখুন। আপনি যে বিষয় বা টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন শিরোনাম এর মধ্যে যেন সেই বিষয়টা সুন্দর ভাবে প্রকাশ পায়।
  • শিরোনামে নাম্বার লেখার চেষ্টা করুন। এতে করে ক্লিক করার আগ্রহ বাড়বে। যেমন- AI এর ১০ টি ব্যবহার, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে ৫ উপায়ে ইনকাম এর সুযোগ!

৪) সুন্দর একটি ভূমিকা রাখুন

ভূমিকা মানে হল চরিত্র, বা সূচনা। ভূমিকা যে কোন বিষয়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এটি পাঠককে সেই বিষয়ের বিষয়বস্তু এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়। অর্থাৎ আপনি আপনার ব্লগ আর্টিকেলে কি বিষয় নিয়ে কথা বলবেন কোন ধরনের ইনফরমেশন শেয়ার করবেন এবং তারা এই ব্লগ আর্টিকেল পড়ে কি সম্পর্কে জানতে পারবে সেটা কিন্তু ভূমিকাতে সংক্ষিপ্ত আকারে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাই ভূমিকা সুন্দর, ছোট এবং তথ্যবহুল হতে হবে। সুন্দর ভূমিকা রাখার জন্য আপনি চাইলে এই নিয়ম ফলো করতে পারেন। যথা-

  • কোন প্রশ্ন দিয়ে শুরু করতে পারেন অথবা চাইলে মজার কোন তথ্য দিয়ে শুরু করতে পারেন। এতে করে ভিজিটরদের মনে সেটা সম্পর্কে শুরুতে একটা কৌতূহল তৈরি হবে।
  • ভূমিকা খুব বেশি বড় করবেন না। সংক্ষিপ্ত আকারে তথ্যবহুল শব্দ দিয়ে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
  • কেন আপনার এই আর্টিকেলটি সবার পড়া উচিত এই তথ্য ভূমিকার শেষে বলতে হবে। কি কি বিষয়ে আলোচনা করা হবে সেটা ছোট আকারে উল্লেখ্য করে দিতে হবে।

৫) ইনফরমেটিভ আর্টিকেল এর বডি বা ভিতরের অংশ

আমরা এত সময় ধরে জানতে পারলাম কিভাবে নিশ সিলেক্ট করব, কিভাবে সঠিক কিওয়ার্ড সিলেক্ট করব। শিরোনাম বা টাইটেল কিভাবে দিব, ভূমিকা কি ভাবে শুরু করব এই সব কিছু নিয়ে। এই বিষয়গুলা হল আর্টিকেল এর প্রথমিক ধাপ। আর একটি আর্টিকেল এর ভিতরের পার্ট বা বডি হল মেইন পার্ট যেখানে মূলত, আর্টিকেল এর মুল বিষয় গুলা থাকবে এবং সেখানে আপনি যে শিরোনামে আর্টিকেল লিখেবেন সেই সম্পর্কে বিশাল ভাবে সব কিছু তুলে ধরতে হবে। তাই বলে কিন্তু এখানে নিজের মত করে মনগড়া কথা বলা যাবে না।

ভুল কোন তথ্য দিয়ে ভিজিটরদের বোকা বানানো যাবে না। এখানে আপনি যে বিষয় সম্পর্কে জানাতে চাচ্ছেন সেটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করবেন। প্রতিটা বিষয়, পয়েন্ট এখানে বিস্তারিত ভাবে লিখতে হবে। যেন মানুষ সহজে বুঝতে পারে যে আপনি আসলে কি বুঝতে চাচ্ছেন। আর এর জন্য আপনি যদি কিছু নিয়ম ফলো করেন তাহলে আপনার লেখাটি সবার কাছে ভাল লাগবে। যেমন-

১) প্রতিটা প্যারা বা অনুচ্ছেদ সংক্ষিপ্ত আকারে লিখুন

আপনি যখন একটি অনুচ্ছেদ বা প্যারা লিখবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন সেটা যেন ৪ থেকে ৫ বাক্যের মধ্যে হয়। সেদিকে লক্ষ্য রাখাটা বেশ জরুরি। খুব বেশি বড় অনুচ্ছেদ ভিজিটরদের আপনার কন্টটেন্টটি পড়তে অনাগ্রহী করে তুলবে। তাই যতটা সম্ভব অনুচ্ছেদটি ছোট ও তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় ততই আপনার জন্য ভালো। যাতে সহজে পড়তে পারে।

২) সাব হেডিং ব্যবহার করুন

সাব-হেডিং হচ্ছে কনটেন্ট এর মূল স্তম্ভ বা পিলার এর মত কাজ করে। সাবহেডিং ব্যবহার করলে পাঠকদের কাছে আপনার লিখাকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলে। যাতে পাঠক কনটেন্ট পড়তে আগ্রহ না হারায়। সাব-হেডিং কনটেন্টকে পড়তে সহজ ও সাবলীল করে তুলে। তাই সাব হেডিং ব্যবহার করুন। সাব হেডিং এর মধ্যে যে প্যারগ্রাফ হবে সেই গুলা বেশি বড় করা যাবে না এতে করে পড়তে গেলে এক ধরনের বিরক্ত চলে আসবে। ছোট সংক্ষিপ্ত আকারে লেখার চেষ্টা করুন।

৩) অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন

মনে রাখবেন ব্লগ আর্টিকেল কোন পরীক্ষার খাতা না আপনার মত করে ভুল তথ্য এবং অপ্রয়োজনীয় কথা লিখে দিবেন আর মানুষ সেটা পড়বে। অপ্রয়োজনীয় কথা বাদ দিয়ে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার কনটেন্টে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যুক্ত করবেন। অপ্রয়োজনীয় শব্দগুলি বাদ দিয়ে বুলেট পয়েন্টগুলি ব্যবহার করলে ভিজিটরদের কাছে আপনার কন্টেন্ট বেশি গ্রহণ যোগ্যতা পাবে। তাই অপ্রয়োজনীয় কথা লিখে কনটেন্ট বড় না করে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বুলেট পয়েন্ট আকারে ফুটিয়ে তুলেলে আপনার কনটেন্টকে সুন্দর হবে।

৪) আর্টিকেল রিলেভেন্ট ছবি ব্যবহার করুন

” একটি ছবি হাজারো শব্দের সমান” তাই আপনার ব্লগ আর্টিকেলে প্রতিটা পয়েন্ট এর সাথে সেই সম্পর্কিত একটি ছবি বা চার্ট, অথবা ভিডিও অ্যাড করে দিন। এতে করে যারা আর্টিকেলটি পড়বে তারা লেখার পড়ে জানার পাশাপাশি ছবিটি দেখে এই সম্পর্কে এক ধরনের ধারনা পেয়ে যাবে। লেখার সাথে যায় এমন রিলেটেড ছবি বা ভিডিও অ্যাড করা হলে দেখতে যেমন সুন্দর লাগবে ঠিক তেমন ভাবে যারা পড়বে তারা খুব উৎফুল্ল ভাবে পড়বে তার বিষয়টি তাদের কল্পনায় ভিজুয়াল করতে পারবে। এতে করে আর্টিকেল যদি একটু বড় হয় তাহলেও বিরক্তবোধ করবেন না।

৫) সহজ এবং সাবলীল শব্দ ব্যবহার করুন

ব্লগ আর্টিকেল লেখার সময় এমন কোন কঠিন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না, যা বুঝতে সমস্যা হয়। একটি কথা সব সময় মাথায় রাখতে হবে আপনার এই আর্টিকেল সকল শ্রেণির মানুষ পাঠ করবে। সকল ভিজিটর এর বুঝার দক্ষতা এক সমান হবে না। তাই আপনাকে ভিতরে এমন সহজ শব্দ ব্যবহার করতে হবে যেন সহজে তার অর্থ যে পাঠ করবে সে বুঝতে পারে। আপনি যদি ইংলিশ কোন শব্দ ব্যবহার করেন সেটার সহজ ইংলিশ ব্যবহার করবেন।

একটি ব্লগ আর্টিকেল লেখার সময় কোন কোন বিষয়ে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে আশা করি এই বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন। তবে বর্তমান সময় যেহেতু ডিজিটাল যুগ। তাই সব কিছুতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ছোঁয়া লাগে সেটা সবার কাছে পৌছাতে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা থাকলে আপনি আপনার কাজ দিয়ে খুব সহজে মানুষের কাছে পৌছাতে পারবেন। আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আমাদের ALL IN ONE DIGITAL MARKETING নামে একটি কোর্স রয়েছে। যেখানে ১৪ রকমের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শিখানো হয়েছে। আপনার ওয়েবসাইট রাঙ্কিং এবং আপনার লেখা ব্লগ আর্টিকেল রাঙ্কিং করতে এই মার্কেটিং আপনাকে বেশ সহায়তা করবে।

Comments

  • somrat08
    September 16, 2024

    সুন্দর ব্লগ লিখেছেন। আমার লেখার অভ্যাস খুব একটা নেই। বেশি ভাল লিখতে পারি না আমি।

  • sumit30
    September 16, 2024

    সুন্দর লিখছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে AI কি সব কিছু লিখে দিবে নাকি শুধু আইডিয়া দিবে বাকি সব আমাকে লিখতে হবে একটু জানাবেন?

  • habib16
    September 17, 2024

    অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম ব্লগটি পড়ে, ধন্যবাদ

Leave a Reply