বর্তমান সময়ে আমরা কম বেশি সবাই একটি শব্দের সাথে বেশ পরিচিত সেটা হল ইনফলুয়েন্সার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম এ ইনফলুয়েন্সারদের একটা বৃহৎ অংশ তাদের প্রতিভার জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। একজন ইনফ্লুয়েন্সার তার কথা এবং তার উপস্থাপনার মাধ্যমে খুব সহজে তার অডিয়েন্সকে প্রভাবিত করতে পারে তার। এমনকি এখন তারা তাদের দক্ষতার মাধ্যমে প্রোডাক্ট, বিজনেস, সফটওয়্যার সহ বিভিন্ন জিনিসের রিভিউ দিয়ে থাকে যার মূল উদ্দেশ্য হলো মার্কেটিং করা।
আর বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বিশাল মার্কেটপ্লেস দখল করে রেখেছে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কি? আপনি কিভাবে একজন দক্ষ ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটার হবে? এবং কিভাবে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে আয় করবেন তার সব কিছু আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় ব্যক্তি যখন কোনো কোম্পানির হয়ে তাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে তখন এই মার্কেটিং প্রক্রিয়াকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলে। ইনফ্লুয়েন্সের হলো এমন একজন যে অন্য মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে তাদের পরিবর্তন করে দেয় অর্থাৎ যে ব্যক্তি অন্যদেরকে দিক নির্দেশনা বা কোনো ভাল কাজে উৎসাহিত করে থাকে তাকে ইনফ্লুয়েন্সার বলে।
আমরা যদি জনপ্রিয় ফুড ব্লগার Rafsan The Chotobhai এর কথা বলি তিনি বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট এর ফুড রিভিউ করে থাকে। এর জন্য সেই রেস্টুরেন্ট এর পরিচিতি বৃদ্ধি পায় ও তাদের সেল বাড়ে। তার বিশাল একটি ফ্যান ফলোয়ার বা পরিচিতি রয়েছে। সে যখন কোন ব্রান্ড সম্পর্কে বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে তার পেজে কিছু বলবে সেটা অনেক মানুষ দেখবে এবং জানতে পারবে। এছাড়াও আমরা অনেক বড় সেলেব্রিটিদের দেখি তারা বিভিন্ন কোম্পানির ব্রান্ড ব্রান্ড আম্বাসিডর হয়ে থাকেন। কারণ তাকে সবাই চিনে অনেক মানুষ তাকে ফলো করে। সে যদি একটা কিছু তার পেজে শেয়ার করে বলে সেটা অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এতে করে সেই ব্র্যান্ড এর মার্কেটিং হবে। অনেক মানুষ জানতে পারবে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে। এর মাধ্যমে একটা কোম্পানির ব্রান্ড, ভ্যালু বেড়ে যায়।
ব্রান্ড প্রমোশনের ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এখন আমাদের কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমরা প্রথমে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পেইজ, ইউটিউব এবং গুগলে সেই বিষয়ে সার্চ করে থাকি। আপনি একটু লক্ষ্য করে দেখবেন এই সাইটগুলোতে ইনফ্লুয়েন্সাররা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও আপলোড দিয়ে থাকে বা ব্লগ দেয়। বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর সুবিধা,কোথায় সেটা পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে তারা গাইডলাইন দিয়ে থাকে। পজিটিভ রিভিউ থাকলে আমরা সেই প্রোডাক্টটি কেনার চিন্তা করে থাকি।
যারা ইনফ্লুয়েন্স করেন তাদের অনেক বড় ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে এবং অনেকেই তার ভিডিও বা রিভিউ দেখে ইনফ্লুয়েন্স হয় সেই প্রোডাক্ট কিনার জন্য। বর্তমানে আমাদের লাইফস্টাইলে ইনফ্লুয়েন্সারা বিশেষ প্রভাব ফেলছে। আমরা এখন আমাদের চলা-ফেরা,খাওয়া -দাওয়া, ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস, ট্রাভেল ইত্যাদি নানা বিষয়ে ইনফ্লুয়েন্সারদের ফলো করছি। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে ব্রান্ড ভেলু বাড়াতে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক বেশি।
কেন Influencer Marketing করবেন?
একটি কথা আছে, “প্রচারেই প্রসার”। আপনি মার্কেটিং করবেন যেন আপনার ব্র্যান্ড এর প্রচার হয়। মানুষ যেন আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে পারে। এইটা কিন্তু আসল উদ্দেশ্য। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে এত কিছু থাকতে কেন ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করবেন? এইটা করে আপনার কি কোনো লাভ আছে? বর্তমান সময়ে রেডিও বা টেলিভিশন এর বিজ্ঞাপন থেকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং সাফল্য অনেক বেশি। কারণ একজন মানুষ প্রাক্টিক্যালি এই মার্কেটিংগুলো করে তাই এই মার্কেটিংগুলো অনেকটাই বাস্তব সম্মত মনে হয় যা মানুষের চিন্তায় খুব সহজেই প্রভাব ফেলে।
আবার যে মার্কেটিংটি করছে সে যদি কোনো জনপ্রিয় ব্যক্তি হয় তাহলে তো কথাই নেই। আর প্রতিটা ইনফ্লুয়েন্সারের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশাল ফ্যান ফলোয়ার থাকে। তাই ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটিং এর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন-
১) নতুন কাস্টমার ও ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পায়
আগেও বলছি ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং যারা করেন তাদের বিশাল ফ্যান ফলোয়ার থাকে এবং প্রতিদিন অনেক নতুন নতুন ফলোয়ার যুক্ত হয় তাদের কন্টেন্ট দেখার জন্য। অনেক ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছে যাদের লাখ লাখ ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে। তারা যদি আপনার ব্র্যান্ড এর কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কোন পোস্ট দেয় কোন ভিডিও রিভিউ দেয় সেটা তার সকল ফ্যান দেখতে পারবে এবং এতে করে নতুন কাস্টমার যেমন আসবে ঠিক তেমনই ব্র্যান্ড এর ভ্যালু অনেক বাড়বে।
২) বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি পায়
রেডিও টেলিভিশন এর বিজ্ঞাপন দেখে মানুষ একটা ব্র্যান্ড সম্পর্কে যতটা আস্থা পায় তার থেকে বেশি আস্থা পায় এবং বিশ্বাস করে যখন কোন মানুষ সেটা ভিডিও মাধ্যমে বা কোন ব্লগ এর মাধ্যমে সেটা বলে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটাররা যখন কোন ব্রান্ড বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে সুন্দর করে গুছিয়ে কোন কথা বলে সেটা মানুষ গ্রহণ করে বেশি। বিশ্বাস করে বেশি।
৩) বিক্রি অনেক বেড়ে যায়
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর প্রধান টার্গেট থাকে যেন সেল অনেক বেশি হয়। জনপ্রিয় কোন ইনফ্লুয়েন্সার যদি আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে কিছু বলে, আপনার ব্র্যান্ডকে প্রমোট করে তাহলে আপনার বিক্রি অনেক বেড়ে যাবে। যেমন ধরুন, বাংলাদের ফেমাস ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। বর্তমান সময়ে যে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি এতে কোনো সন্দেহ নেই। যার কারণে বাংলাদেশের অনেক নামি দামি কোম্পানি যেমন, গ্রামীণফোন, নগদ, বিকাশ, তাদের ব্র্যান্ড এম্বাসিডর হিসাবে তাকে হায়ার করেছেন।
বর্তমানে কোম্পানির আগের সেল এবং তাকে ব্র্যান্ড এম্বাসিডর হিসাবে হায়ার করার পরের সেল গুলো বিবেচনা করলেই আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়ে যাবে একটি কোম্পানি এবং একটি প্রোডাক্ট এর সেল বাড়ানোর ক্ষেত্রে একজন ফেমাস ব্যক্তি ইনফ্লুয়েন্সের হিসাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি যদি বুঝানোর জন্য আরেকটু সোজা ভাবে বলি তাহলে, এখন যেকোনো একটি নতুন কোম্পানি বা প্রোডাক্ট এর জন্য যদি সাকিব আল হাসানকে অথবা অন্য কোনো জনপ্রিয় ব্যক্তি দিয়ে মার্কেটিং করা হয় তাহলে সেই কোম্পানি বা প্রোডাক্ট এর গ্রোআপ খুব সহজেই হয়ে যাবে।
কিভাবে একজন সফল ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটার হবেন?
আসলে সফলতা কখনও একদিনে আসে না। তার জন্য কাজ করে যেতে হয়। পরিশ্রম করতে হয়। আপনি যদি একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটার হতে চান তাহলে আপনাকে সকল ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলাতে Active থাকতে হবে। Facebook, YouTube, Instragram, TikTok কে ফেমাস হতে হবে অর্থাৎ প্রচুর ফ্যান ফলোয়ার বাড়াতে হবে। যদিও এটি একদিনে সম্ভব না। খুব ধৈর্য সহকারে সামনে এগিয়ে যাতে হবে। কিন্তু ফ্যান ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য অশ্লীল কন্টেন্ট এবং হারাম বিষয় গুলো নিয়ে কোনো ভাবেই কাজ করা যাবে না। সঠিক উপায়ে একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হওয়ার জন্য এই টিপস গুলা ফলো করতে পারেন।
১) সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করা
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং যেহেতু ডিজিটাল ভাবে করা হয়। তাই ডিজিটাল যে সোশ্যাল মিডিয়া গুলা রয়েছে সব জাগায় অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। বর্তমানে ইন্টারনেটে অনেকগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে Facebook, Instagram, Tiktok, Whatsapp ইত্যাদি সহ আরো অনেক জনপ্রিয় সোসিয়াল মিডিয়া সাইট রয়েছে। আপনাকে একজন সফল ইনফ্লুয়েন্সার হতে হলে সবার প্রথমেই এই সকল প্লাটফর্ম গুলোতে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফ্যান ফলোয়ার বাড়াতে হবে।
২) Engaging কন্টেন্ট আপলোড করতে হবে
আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট খোলার পর যদি বসে থাকেন তাহলে হবে না। কাজ শেষ অটোমেটিকলি আপনার ফ্যান ফলোয়ার বেড়ে যাবে এরকম ভাবাটা একদম বোকামি হবে। কারণ মানুষ আপনাকে ফলো করবে কিছু পজেটিভ ইউনিক কন্টেন্ট আপনার কাছ থেকে পাবে। যা দেখে মানুষ কিছু জানতে পারবে কিছু শিখতে পারবে। তাই আপনাকে Engaging কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে হবে।
সেটা ছবি,ভিডিও,টেক্সট অনেক কিছুই হতে পারে। যাতে করে মানুষ আপনাকে সেই কন্টেন্ট এর জন্য পজিটিভ কমেন্ট,লাইক এবং শেয়ার করে। এর মাধ্যমে আপনি মানুষের খুব সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। তবে এখন ভিডিও কন্টেন্ট এর যুগ। তাই সবচেয়ে বেশি ভাল হবে যদি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সেটা নিয়মিত আপলোড দেন তাহলে নতুন ফলোয়ার বাড়বে।
৩) ফলোয়ারদের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে
আপনি যখন কোন কন্টেন্ট দিবেন আপনার আইডি বা পেজে তখন আপনার ফলোয়াররা সেটা দেখবে। অনেকেই লাইক দিবে, শেয়ার দিবে, আমার অনেকেই সেটা দেখে তাদের মতামত দিবে কমেন্ট করবে। আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে সেগুলোর যথাযথ রিপ্লাই দিতে হবে। এখানে একটা জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবে খেয়াল রাখবেন,সেটা হলো আপনার কন্টেন্ট এ অনেক ধরনের নেগেটিভ কমেন্ট আসবে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই মাথা ঠান্ডা রেখে তার পজিটিভ উত্তর দিতে হবে।
তাহলেই মানুষের মাঝে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনি যে কাজ করছেন বা যে ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করবেন সেটা যে সবার ই ভাল লাগবে সেটা কখনও হবে না। তাই কেউ কোন খারাপ কমেন্ট করলে সেটা হয় ডিলেট করে দিতে হবে না হয় পজেতিভ ওয়েতে সেটার রিপ্লায় দিতে হবে।
৪) সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকটিভ থাকতে হবে এবং নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড দিতে হবে
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হওয়ার জন্য এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালোমানের একজন ইনফ্লুয়েন্সের হতে হলে আপনাকে সর্বদাই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অ্যাক্টিভ থাকতে হবে। আপনার ফ্যান ফলোয়ার ধরে রাখার জন্য সময় উপযোগী ট্রেন্ড এর সাথে মিল রেখে নিয়মিত কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে হবে।
আর অবশ্যই নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড দিতে হবে। সেটা আপনি কবে এবং কত দিন পর পর দিবেন সেটা ঠিক করে রাখবেন। হতে পারে সেটা সপ্তাহে ১ টা করে ভিডিও কন্টেন্ট অথবা মাসে ৪ টা থেকে ৫ টি কন্টেন্ট। তবে নিয়মিত অ্যাকটিভ থাকতে হবে এবং কন্টেন্ট আপলোড করতে হবে। না হলে একটা সময় দিয়ে নতুন করে ফলোয়ার বাড়বে না আর যারা থাকবে তারাও কন্টেন্ট না পেয়ে আনফলো করে দেয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
৫) অন্য ইনফ্লুয়েন্সেরদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা
আপনি একজন ইনফ্লুয়েন্সের হতে চাইলে আপনাকে অনন্যাও ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথেও সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তাহলে আপনি তাদের থেকেও নতুন নতুন আইডিয়া অথবা সাজেশন পাবেন এবং এর সাথে আপনার ফ্যান ফলোয়ার ও বাড়বে।
৬) সঠিক হ্যাশট্যাগের ব্যবহার করা
হ্যাশট্যাগ সোশ্যাল প্লাটফর্ম এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি পোস্ট এর ভিজিবিলিটি বাড়াতে খুবই সাহায্য করে। তাই হ্যাশট্যাগ সম্পর্কে আপনার ধারণা না থাকলে আপনার এই বিষয়ে অবশ্যই আগে জ্ঞান অর্জন করে নিবেন। কারণ প্রতিটি কন্টেন্ট এর নিচে সঠিক ভাবে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলে অর্গানিক ভাবে আপনার পোস্টের রিচ অনেক বেড়ে যাবে।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন?
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ধারনা থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন বর্তমান সময়ে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এর প্রভাব কেমন। ইনফ্লুয়েন্সের মার্কেটিং বাস্তব সম্মত হওয়ায় একজন ইনফ্লুয়েন্সের এর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান খুব সহজেই তার গ্রাহক এর কাছে পৌঁছাতে পারে। কারণ ইনফ্লুয়েন্সার তারাই যাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশাল ফলোয়ার রয়েছে এবং তারা যদি একটি বিষয় নিয়ে কথা বলে সেটা লাখ লাখ মানুষ দেখে এবং বিশ্বাস করে। বর্তমান সময়ে একটি টিভিসি বিজ্ঞাপন করতে যত টাকা খরচ হয় তার থেকে অনেক কম খরচে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করা যায়।
আর এখন সবার হাতে স্মার্টফোন রয়েছে সবাই সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি সময় ব্যয় করে। আর তাই কোন ফেমাস ইনফ্লুয়েন্সার যদি আপনার ব্র্যান্ড নিয়ে কিছু বলে সেটা মুহূর্তে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। তাই দিন দিন এর চাহিদা ব্যাপক হরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ আমরা এখন প্রায় সব দিক দিয়ে ইনফ্লুয়েন্স হয়ে থাকি।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটার হিসেবে কত টাকা আয় করা যায়?
ইনফ্লুয়েন্সের মার্কেটিং নির্ভর করে ফ্যান ফলোয়ারের উপর এবং আপনার জনপ্রিয়তার উপর। তাই আপনার ইনকাম নির্ভর করব আপনার জনপ্রিয়তার উপর। তবে একটি হিসাবে দেখা গিয়েছে আপনার যদি ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি একজন ইনফ্লুয়েন্সের হিসাবে প্রতি পোস্ট এর জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এইটাত সোশ্যাল মিডিয়া সেক্টর থেকে আয়। কিন্তু এর সাথে যদি আপনি কোনো কোম্পানির অথবা প্রোডাক্ট এর ব্র্যান্ড এম্বাসিডর হয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনার ইনকাম আরও অনেক বেশি বেড়ে যাবে। আপনার যখন জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে তখন আপনি ইনকাম নানা দিক থেকে করতে পারবেন।
![]()
আশা করি ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটার নিয়ে আপনার একটি ক্লিয়ার ধারনা হয়েছে। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের মার্কেটিং সেক্টর গুলো পরিবর্তন হচ্ছে তার মধ্যে ইনফ্লুয়েন্সের মার্কেটিং অন্যতম। কারণ এই সেক্টরটি বাস্তব পূর্ণ হওয়ায় এটি মানুষের মনে খুব সহজেই প্রভাব ফেলে। আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে ইনফ্লুয়েন্সার হিসবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। তবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে জনপ্রিয় হতে হবে আপনার কাজ দ্বারা এবং মানুষকে ইনফ্লুয়েন্স করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে।
Comments