Blog

নতুনদের জন্য অল্প পুজিতে ১৭টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

online earning ways


বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনে আয় বা বিজনেস করা আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। বিশেষ করে যারা ঘরে বসে কিছু করতে চান, অথবা হাতে পুঁজি কম তাদের জন্য অনলাইন জগতে রয়েছে অসংখ্য সম্ভাবনা। কিন্তু অনেকেই ভাবেন ব্যবসা করতে গেলে তো অনেক টাকা লাগবে! এই ধারণা একদম ভুল। আজকের এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি ঘরে বসেই শুরু করতে পারেন নিজের অনলাইন ব্যবসা। অথবা অনলাইন থেকে ইনকামের একটা সুন্দর পথ।

আজকের এই ব্লগে আমরা আলোচনা করবো এমন ১৭টি রিয়েল অনলাইন বিজনেস আইডিয়া যা অল্প বা একদম শূন্য ইনভেস্টে শুরু করা সম্ভব।

১) কনটেন্ট রাইটিং (অনলাইন লেখালেখি)

আপনি যদি বাংলা বা ইংরেজিতে লেখালেখিতে ভালো হন তাহলে অনলাইন কনটেন্ট রাইটিং হতে পারে আপনার উপার্জনের চমৎকার মাধ্যম। ব্লগ, ওয়েবসাইট, প্রোডাক্ট রিভিউ বা ইউটিউব স্ক্রিপ্ট লিখে আয় করা সম্ভব। Fiverr, Upwork বা LinkedIn-এ প্রোফাইল খুলেই কাজ শুরু করতে পারেন। প্রথমে কিছু কাজ কম দামে করে রেটিং তুলুন, তারপর ধাপে ধাপে রেট বাড়ান। এখন যেহেতু AI চলে এসেছে তাই এর সাহায্য নিয়েও এই কাজটি আপনি চাইলে সহজে করতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি যদি চান আপনার নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আপনার নিজের লেখা ব্লগ পাবলিশ করে Ads, Affiliate এবং Sponsorship-এর মাধ্যমে ইনকাম করবেন তাহলে সেটাও করতে পারবেন। আর এই বিষয়ে MSB Academy তে রয়েছে Blogging with Artificial Intelligence (AI) নামে একটি কমপ্লিট কোর্স। চাইলে আপনি কোর্সটি করে সঠিক গাইডলাইন নিতে পারেন।

২) ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস

বর্তমান সময়ে ব্যবসা মানেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতেই হবে। আপনি চাইলে Facebook Boost, Google Ads বা WhatsApp Marketing করে আয় করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে। ইউটিউবেই অনেক ভিডিও পাবেন চাইলে সেখান থেকে বেসিক শিখতে পারেন তারপর প্রফেশনাল ভাবে শিখতে আপনি কোন ভাল ভাবে একাডেমী থেকে প্রফেশনাল মানের কোর্স করে শিখতে নিতে পারেন। ছোট বিজনেসগুলোর মার্কেটিং সামলানো দিয়ে শুরু করতে পারেন, এতে একসাথে অনেক কাজও পেতে পারেন। তাছাড়া ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটার এর চাহিদা ব্যাপক।

আর ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি স্কিল যা আপনি একবার ভালোভাবে শিখতে পারলে লং টাইম এটি দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং খুব প্রফেশনাল ভাবে শিখতে হবে। এবং সময়ের সাথে সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে। চাইলে আপনি MSB Academy এর এই AI Focused Digital Marketing Masterclass  কোর্সটি করতে পারেন যেখানে আপনি ১৪ রকমের ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শিখতে পারবেন। 

৩) AI কনটেন্ট সার্ভিস (AI-Based Services)

বর্তমানে AI দিয়ে সহজে কনটেন্ট, স্ক্রিপ্ট, ডিজাইন, ইমেজ বা ভিডিও তৈরি করা যায়। ChatGPT, Canva AI, Google AI Studio, RunwayML এমন অনেক AI টুলস রয়েছে যা দিয়ে আপনি Fiverr বা ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। যেহেতু প্রতিযোগিতা কম, তাই এখনই ভালো সময় শুরু করার। কিন্তু এর জন্য আপনাকে AI সম্পর্কে ভাল ভাবে জানতে হবে। কারন এই সকল AI টুলস মুলত কাজ করে Prompt এর মাধ্যেমে। অর্থাৎ আপনি যত সুন্দর করে সঠিক ভাবে Prompt ব্যবহার করতে পারবেন তত ভাল রেজাল্ট পাবেন।

এখন আপনি যদি চান Artificial Intelligence-এর অসীম ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে বা এ আই বেইড সার্ভিস দিয়ে করে খুব সহজে ইনকাম করবেন তাহলে জয়েন করতে পারেন MSB Academy এর Master in Artificial Intelligence (AI) & Earn Money from Online কোর্সে। AI-এর সাহায্যে কন্টেন্ট ক্রিয়েট, ডিজাইন সেল এবং আরো বিভিন্ন উপায়ে Passive Income গাইডলাইন শিখতে পারবেন এই কোর্সে। 

৪) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

নিজের ওয়েবসাইট, ইউটিউব বা ফেসবুক পেজে অন্যের পণ্যের রিভিউ বা লিংক শেয়ার করে বিক্রি করালেই আপনি এটি নিদিষ্ট কমিশন পাবেন। এটি হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। যেখানে কোন ধরনের ইনভেস্ট করতে হয় না কোন প্রোডাক্ট কিনতে হয় না। MSB Academy, Amazon, Daraz এ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেই শুরু করতে পারেন। এটি প্যাসিভ ইনকামের অন্যতম সেরা পদ্ধতি।

MSB Academy তে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু রয়েছে সেখানে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সেল করতে পারলে প্রতি সেলে ২০% করে কমিশন পাবেন। অর্থাৎ আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে যদি কেউ ৫০০০ হাজার টাকার কোন কোর্স কিনে আপনি পেয়ে যাবেন ১০০০ হাজার টাকা। যেখানে আপনার কোন ইনভেস্ট করতে হচ্ছে না। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এই ভিডিও সম্পূর্ণ দেখে নিতে পারেন।

৫) সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

Facebook Page, Instagram Page এবং YouTube চ্যানেল চালাতে গিয়ে অনেক উদ্যোক্তাই হিমশিম খান। বা অনেকে মনে করেন তার এই সোশ্যাল মিডিয়া অন্য কেউ দেখুক সে তার কাজে ফোকাস থাকবে। আপনি যদি পোস্ট তৈরি, ফলোয়ার বাড়ানো ও Engagement বাড়াতে পারেন তাহলে এই সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনার কম্পিউটার ব্যবহার জানতে হবে, ইন্টারনেট ব্রাউজার জানতে হবে এবং টুকটাক ডিজাইন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। তবে আপনি চাইলে Canva দিয়ে ডিজাইন বানিয়ে নিতে পারবেন, নিয়মিত পোস্ট শিডিউল করতে পারবেন। কাজটা সহজ, ইনকামটা চমৎকার। তবে আপনার যদি ফেসবুক মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা থাকে তাহলে আপনি এই ক্ষেত্রে আরও এক্সট্রা বেনিফিট পাবেন।

৬) অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

যারা টেকনোলজি পছন্দ করেন তারা কোডিং শেখার পাশাপাশি এখন No-Code টুল দিয়েও মোবাইল অ্যাপ বানাতে পারেন। Flutter ও FlutterFlow ব্যবহার করে সহজ অ্যাপ তৈরি করা যায়। বর্তমানে অ্যাপ ডেভেলপার এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি আপনার নিজের তৈরি করা অ্যাপ Google Play Store এ পাবলিশ করে ইনকাম করতে পারবেন। আবার চাইলে ক্লায়েন্টের জন্যও অ্যাপ বানিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

তাই আপনাদের জন্য গুড নিউজ হচ্ছে MSB Academy আপনাদের সকলে কথা বিবেচনা করে নিয়ে এসেছে কমপ্লিট একটি Flutter App Development Masterclass (Build Android & iOS Apps) কোর্স। যেখানে একদম বেসিক থেকে সব কিছু হাতে কলমে Flutter এর সবকিছু শিখানো হয়েছে। এছাড়াও FlutterFlow শিখে কিভাবে আপনি কোডিং ছাড়া মোবাইল অ্যাপ তৈরি করবেন সেই বিষয়ে কমপ্লিট গাইডলাইন রয়েছে। কোর্সে একবার জয়েন করলে পাবেন লাইফ টাইমের জন্য কোর্স এক্সেস, কোর্স আপডেট, এবং কোর্স মেন্টর সাপোর্ট।

৭) ইউটিউব ভিডিও বানানো

যারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে পারেন বা ভয়েস দিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন তাদের জন্য ইউটিউব হতে পারে ইনকামের সোনার খনি। এখন মোবাইল দিয়েই ভিডিও বানানো যায়, কোনো বড় পুঁজি লাগে না। নিজের স্কিল, অভিজ্ঞতা বা ইনফরমেশন ভিত্তিক ভিডিও তৈরি করে আয় করা যায় Adsense ও Sponsorship থেকে। এর জন্য আপনার ভিডিও এডিটিং এর বেসিক কিছু ধারনা থাকতে হবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে ভিডিও বানানোর মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। যেখানে আপনার কোন ধরনের প্রোডাক্ট কিনার ইনভেস্ট করতে হবে না। কোন দোকান ভাড়া নিতে হবে না। আর এই বিষয়ে আরও কমপ্লিট গাইডলাইন পেতে বা শিখতে MSB Academy এর Amazon Affiliate Marketing with YouTube এই কোর্সটি করতে পারেন।

৮) গ্রাফিক ডিজাইনিং

আপনি যদি একটু সৃজনশীল হন তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন হতে পারে আপনার জন্য সেরা পেশা। Canva দিয়েই সহজে পোস্টার, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন বানানো যায়। কোনো কোর্স না করেও ইউটিউবে শেখা সম্ভব। ডিজাইন শেয়ার করার জন্য Behance বা Facebook পেজ বানান, তারপর ক্লায়েন্ট খোঁজা শুরু করুন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস Fiverr, Upwork এ কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এবং Microstock সাইট গুলাতে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে আপনার ডিজাইন আপলোড করে প্যাসিভ ইনকামের একটা বিশাল সুযোগ রয়েছে।

তবে এই ক্ষেত্রে প্রফেশনাল ভাবে কাজ করতে হলে Adobe Photoshop & Illustrator সম্পর্কে ধারনা থাকতেই হবে। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে MSB Academy এর Graphic Design Masterclass with AI, Photoshop & Illustrator কোর্সটি করতে পারেন। এতে আপনার ডিজাইন স্কিল যেমন প্রফেশনাল মানের হবে এর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এবং ৮টিরও বেশি Microstock সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। 

৯) SEO কনসালটিং

যারা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন তারা সবসময় চান গুগলে তাদের সাইট প্রথমে আসুক। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) জানেন তাহলে ওয়েবসাইট মালিকদের গাইড করে ইনকাম করতে পারবেন। Upwork বা Fiverr-এ প্রোফাইল খুলে ক্লায়েন্ট খুঁজে নিন। পাশাপাশি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করেও সার্ভিস অফার করতে পারবেন। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা থাকতে হবে।

১০) অ্যানিমেশন ও মোশন গ্রাফিক্স

বর্তমানে ইউটিউব, ব্র্যান্ডিং ভিডিও, ফেসবুক বিজ্ঞাপন সব জায়গাতেই অ্যানিমেশন ভিডিওর চাহিদা আকাশছোঁয়া। আপনি যদি 2D/3D অ্যানিমেশন, মোশন গ্রাফিক্স বা Whiteboard Animation তৈরি করতে পারেন, তাহলে ভালো রেট দিয়ে অনেক কাজ পেতে পারেন। Fiverr, Upwork ছাড়াও YouTube Creator বা মার্কেটিং এজেন্সিরা এমন ভিডিও বানাতে লোক খোঁজে। বর্তমানে অ্যানিমেশন এর চাহিদা প্রচুর।

এছাড়াও আপনি যদি ভালভাবে অ্যানিমেশন শিখতে পারেন তাহলে নিজে গল্প তৈরি করে সেই অনুযায়ী অ্যানিমেশন তৈরি করে সেটা আপনার ফেসবুক পেইজ বা ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দিয়ে সেখানে থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এই বিষয়ে MSB Academy তে Make Animated Videos & Earn from YouTube নামে একটি কমপ্লিট কোর্স রয়েছে।

১১) অনলাইন বুক কভার ডিজাইন বা ই-বুক ফর্ম্যাটিং

বর্তমানে যারা ই-বুক লেখেন তারা অনেকেই সুন্দর কভার ডিজাইন বা প্রফেশনাল ফরম্যাটিং খুঁজে থাকেন। আপনি যদি Canva, Photoshop বা Microsoft Word ব্যবহার করে সুন্দর ডিজাইন তৈরি করতে পারেন তাহলে ই বুক ডিজাইন এর  সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এই মার্কেট অনেকটা নতুন হলেও দ্রুত বাড়ছে এবং প্রতিযোগিতা তুলনামূলকভাবে কম।

আর আপনার নিজের যদি লেখালেখির অভ্যাস থাকে আর আপনি যদি চান আপনি নিজেই আপনার লেখা বই Amazon Kindle পাবলিশ করবেন সেটা করতে পারেন। এর জন্য আপনার লেখার ফরম্যাট জানতে হবে এবং অ্যামাজন কিন্ডলে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার লেখা বই পাবলিশ করতে পারবেন। ইনভেস্ট ছাড়া প্যাসিভ ইনকামের জন্য এটি সেরা একটি মাধ্যেম। এই বিষয়ে যদি আরও বিস্তারিত শিখতে চান তাহলে MSB Academy তে পাবলিশ হওয়া Amazon Kindle Direct Publishing (KDP) কোর্সটি করতে পারেন। বই লেখা থেকে শুরু করে পাবলিশ করা পর্যন্ত সব কিছু কোর্সের মধ্যে শিখতে পারবেন। 

১২) অনলাইন কোর্স তৈরি

যদি কোনো বিষয়ে আপনি দক্ষ হন  যেমন ডিজাইন, মার্কেটিং, রান্না, ইংরেজি বা এমনকি কোরআন তেলাওয়াত তাহলে ভিডিও কোর্স বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। Udemy, Skillshare, বা Msb Academy প্ল্যাটফর্মে এসব কোর্স বিক্রি করা যায়। একবার বানালে কোর্সটি বারবার বিক্রি হয়, মানে প্যাসিভ ইনকামের মত। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই দক্ষ্য মেন্টর হতে হবে। এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা থাকতে হবে। কারন কোর্স করে স্টুডেন্ট সমস্যা ফেইস করলে সেটা আপনাকে সমাধান দিতে হবে। এবং সময়ের সাথে সাথে কোর্সের মধ্যে আপডেট টপিক অ্যাড করতে হবে। তার জন্য নিজেকে সব সময় আপডেট রাখতে হবে।

১৩) প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস

প্রিন্ট অন ডিমান্ড (POD) হলো এমন একটি অনলাইন ব্যবসা যেখানে আপনার ডিজাইন অনুযায়ী প্রোডাক্টে প্রিন্ট করে ক্রেতার কাছে পাঠানো হয়। আপনি যেমন টি-শার্ট, মগ, ব্যাগ, হুডি, ফোন কভার বা পোস্টারের ডিজাইন তৈরি করবেন, আর যখন কেউ অর্ডার করবে তখন সেই ডিজাইন প্রিন্ট করে সরাসরি ক্রেতার ঠিকানায় ডেলিভারি দিবে POD কোম্পানি। এতে আপনাকে কোনো প্রোডাক্ট স্টক করতে হয় না, কেবল ডিজাইন তৈরি করলেই হয়। এই ব্যবসায় ঝুঁকি কম, পুঁজি কম লাগে, এবং Shopify, Teespring, Printful, বা Redbubble-এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সহজেই শুরু করা যায়। যারা ডিজাইন করতে পারেন বা ক্রিয়েটিভ আইডিয়া আছে, তারা এই ব্যবসা থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। শুধু ভালো ডিজাইন আর স্মার্ট মার্কেটিং হলেই সেল বাড়ানো সম্ভব।

এই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস নিয়ে প্রফেশনাল মানের একটি কোর্স রয়েছে MSB Academy তে Print on Demand Masterclass নামে। ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই Merch by Amazon, Teespring, Redbubble এবং ViralStyle এর মতো জনপ্রিয় প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাইটগুলতে ক্রিয়েটিভ টিশার্ট ডিজাইন সেল করে প্যাসিভ ইনকাম করার কমপ্লিট গাইডলাইন পেয়ে যাবেন এই কোর্সের মধ্যে।

১৪) ড্রপশিপিং ব্যবসা

ড্রপশিপিং একটি অনলাইন ব্যবসার মডেল, যেখানে আপনি কোনো পণ্য নিজের কাছে স্টক না রেখেই বিক্রি করতে পারেন। একজন ক্রেতা আপনার অনলাইন দোকান থেকে অর্ডার করলে, আপনি সেই অর্ডারটি সরাসরি কোনো থার্ড-পার্টি সাপ্লায়ার (যেমন: AliExpress, CJ Dropshipping, বা স্থানীয় হোলসেলার) কে ফরওয়ার্ড করেন। তারপর সেই সাপ্লায়ার পণ্যটি ক্রেতার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়। সহজভাবে বললে আপনি শুধু মধ্যস্থতাকারীর মতো কাজ করেন এবং লাভ করেন।

আবার আপনি চাইলে ড্রপশিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। ই কমার্স সাইড , ওয়ান পেজ সাইড সহ শপিফাই দিয়ে যে কোন ধরনের ড্রপশিপিং ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করবেন সেই বিষয়ে আপনি প্রফেশনাল ভাবে শিখতে পারবেন MSB Academy এর Freelancing with Shopify এই কোর্সের মধ্যে।

১৫) ট্রান্সলেশন সার্ভিস 

ট্রান্সলেশন সার্ভিস মানে হচ্ছে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় কনটেন্ট অনুবাদ করে আয় করা। আপনি যদি বাংলা ও ইংরেজি বা অন্য কোনো ভাষা ভালো জানেন, তাহলে অনলাইনে অনেক কাজ করতে পারেন যেমন: ওয়েবসাইটের লেখা অনুবাদ, সাবটাইটেল ট্রান্সলেট করা, ডকুমেন্ট অনুবাদ, অ্যাপ কনটেন্ট অনুবাদ ইত্যাদি। আজকাল ইউটিউব চ্যানেল, অনলাইন কোর্স কিংবা অ্যাপ ডেভেলপাররা অনেকেই তাদের কনটেন্ট বিভিন্ন ভাষায় দিতে চান, সেখানেই আপনার সুযোগ। Fiverr, Upwork, Freelancer–এই প্ল্যাটফর্মে হাজার হাজার অনুবাদের কাজ পাওয়া যায়। শুরুতে ছোট কাজ দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে ভালো ক্লায়েন্ট এবং বড় প্রজেক্ট পাওয়া যায়। যারা বাড়িতে বসে কম খরচে কাজ করতে চান তাদের জন্য এটি খুব লাভজনক ও স্কিলভিত্তিক ইনকামের পথ।

১৬) Voiceover সার্ভিস

ভয়েস ওভার সার্ভিস হচ্ছে কোনো ভিডিও, অডিও, বিজ্ঞাপন, ইউটিউব কনটেন্ট, বা অ্যানিমেশন ভিডিওর জন্য কণ্ঠ ধার দেওয়া। আপনার কণ্ঠ যদি পরিষ্কার, মিষ্টি বা ভারী হয় এবং উচ্চারণ যদি স্পষ্ট হয়, তাহলে আপনি ঘরে বসেই এই সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন। আজকাল ইউটিউবার, ভিডিও নির্মাতা, ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, এমনকি ছোট ব্যবসারাও তাদের ভিডিও কনটেন্টের জন্য ভয়েস ওভার খোঁজে। আপনাকে শুধু একটি ভালো মাইক্রোফোন, একটি নীরব ঘর, আর অডিও রেকর্ডিং সফটওয়্যার (যেমন Audacity) ব্যবহার করতে হবে। Fiverr, Upwork বা Freelancer ওয়েবসাইটে এই সার্ভিসের প্রচুর চাহিদা আছে। এটা এমন এক ইনকামের পথ, যেখানে আপনার মূল সম্পদ শুধু কণ্ঠ এবং দক্ষতা।

এখন ElevenLabs, Play.ht ছাড়াও এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই আপনি Voiceover এর কাজগুলো করতে পারবেন। অনেকে এইসব সার্ভিস ইউস করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল বানিয়ে নিয়মিত কাজ পাচ্ছে এবং করছে।

১৭) ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (VA)

এখন ব্যস্ত উদ্যোক্তারা অনলাইনে সহকারী খোঁজেন যারা তাদের সময় বাঁচিয়ে দিতে পারবে। ইমেইল চেক করা, মিটিং সেট করা, ফাইল অর্গানাইজ এসব ছোট কাজ করেই মাসে ভালো ইনকাম করা যায়। ভালো ইংরেজি জানা থাকলে Fiverr, Zirtual বা Belay-তে কাজ পাওয়া সহজ হয়। সময় ম্যানেজমেন্ট ও কমিউনিকেশন স্কিল এখানে খুব জরুরি। এছাড়াও অনলাইন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।

পরিবেশে একটি কথা, চাকরী নেই? সমস্যা নেই! একটু ইচ্ছাশক্তি আর ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি ঘরে বসে নিজের আয় শুরু করতে পারবেন। উপরের প্রতিটি অনলাইন ইনকাম আইডিয়াই অল্প খরচে শুরু করা যায়। কোনটি আপনার স্কিল বা আগ্রহের সঙ্গে যায়, এখনই চিন্তা করুন, শেখা শুরু করুন  কারণ দেরি করলেই শুধু সময় নষ্ট হবে।

Comments

  • nuhad29
    August 1, 2025

    অল্প পুঁজি থাকলেও অনলাইন ব্যবসা শুরু করা যায় এই ব্লগটা না পড়লে কখনো বিশ্বাসই করতাম না! দারুণ আইডিয়াগুলো একদম ব্যবহার উপযোগী।

  • naeem02
    August 1, 2025

    যারা কিছু করতে চায় কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবে বুঝে না, তাদের জন্য এটা একদম সঠিক গাইড। thanks

  • lilyakter39
    August 1, 2025

    অসাধারন কিছু টিপস পেলাম। ধন্যবাদ

Leave a Reply