Blog

অনলাইনে ইনকাম করার ৫টি সেরা উপায়

online earning 5 ways

অনলাইনে আয় / ফ্রিল্যান্সিং এখন  তরুণ সমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি নিজ কর্ম দক্ষতায় স্বাবলম্বী হচ্ছে এই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে।

যদিও আমাদের দেশে এখনও এ বিষয়টি নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার। উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। আমরাও যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজারের সামান্য অংশ কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্ত হাতিয়ার। আসুন, জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়ে বিস্তারিত।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

এককথায় বলতে গেলে, গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যেমনঃ কেউ ব্যবসা কে পেশা হিসেবে নেন তাঁরা হলেন ব্যবসায়ী, যারা চাকুরী করেন তাঁরা হলেন চাকুরীজিবী, আবার যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা হলেন মৎস্যজীবি, ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের পেশা। আর যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। যাঁরা নিজের মেধা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে আয় করে থাকেন।
freelancing work with freedom

আউটসোর্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং-এর সাথে আর একটি শব্দ প্রকাশ্য ভাবে জড়িত, তা হচ্ছে আউটসোর্সিং। ইন্টারনেটের ব্যাবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয়। এসব কাজ করানোকেই বলে আউটসোর্সিং। আর যারা আউটসোর্সিং করেন তাঁদের বলা হয় আউটসোর্সার বা বায়ার। সাধারণতঃ এরাই ফ্রিল্যান্সার-দের ক্লায়েন্ট হয়ে থাকে।

কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং-কে ক্য়ারিয়ার হিসেবে বেছে নেবেন?

আগেই বলেছি যে ফ্রিল্যান্সিং হল একটি স্বাধীন পেশা, তাই এটি ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিলে আপনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী, যখন ইচ্ছে, যেখান থেকে ইচ্ছে কাজ করতে পারবেন। বাড়িতে বসেই ছোট থেকে বড় কোম্পানির বা কোনও ব্যাক্তির কাজ করতে পারবেন। আর এতে আপনার কোনও ডিগ্রি বা অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট এর ও প্রয়োজন নেই, তবে কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় এমন কোন কাজে যথাযথ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে। আর এই পেশার পারিশ্রমিক গতানুগতিক চাকুরির চেয়ে একটু বেশিই হয়ে থাকে। যদিও এটা আপনার কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে। এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যাঁরা নিজের উচ্চ বেতনের চাকুরী ছেড়ে এখন ফ্রিল্যান্সিং করছেন এবং তাঁরা মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং এই তাঁরা অনেক বেশী আয় করেন এবং সফল। তবে চাকুরী করার পাশাপাশিও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।

কারা কারা এই পেশায় আসতে পারে?

যেকোনো স্তরের মানুষই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে পারেন। এতে নারী-পুরুষের কোন ভেদাভেদ নেই, কিংবা বয়সেরও কোন সীমাবদ্ধতা নেই। ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, গৃহিণী সহ যেকোনো কাজের পাশাপাশি যে কেউ ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন। অথবা যারা পড়াশুনা শেষ করে চাকুরির জন্য চেষ্টা করছেন তারাও এই পেশাটাকে বেছে নিতে পারেন। একজন ফ্রিল্যান্সার, হতে পারে সে ৪০ বছরের একজন চাকুরীজীবী অথবা ২৫ বছরের গৃহিণী। এককথায় কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় এমন যেকোনো কাজই একজন ফ্রিল্যান্সার পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। এর মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

  • ওয়েব ডেভলপমেন্ট: ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবভিত্তিক সফ্‌টওয়্যার তৈরি, ওয়েবসাইট ম্যান্টেনেন্স ইত্যাদি।
  • সাইবার নিরাপত্তাঃ বর্তমান বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, সরকারী বেসরকারী ভাবে বাংলাদেশে নিয়োগ চলছে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের। অনলাইন মার্কেট প্লেসেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অনেকেই সাইবার নিরাপত্তার উপর ফ্রিল্যান্সিং করে হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী।
  • ইথিক্যাল হ্যাকিংঃ সঠিক পদ্ধতিতে হ্যাকিং এর মাধ্যমেও আপনি উপার্জন করতে পারবেন। গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু সহ অসংখ্য দেশী বিদেশী কোম্পানীর ওয়েব সাইট / নেটওয়ার্ক / সিস্টেমের বিভিন্ন দূর্বলতা গুলো প্রকাশ করে আপনি আয় করতে পারবেন।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন: লোগো, ওয়েবসাইট ব্যানার, ছবি সম্পাদনা, অ্যানিমেশন ইত্যাদি। এমনকি টিশার্ট ডিজাইন করে আমাজনএ  টিশার্ট এর বিজনেস করতে পারেন। অ্যামাজনএ টিশার্ট বিজনেস এর সম্পূর্ণ গাইডলাইন পেতে এই কোর্সটি করে ফেলুনঃ ক্লিক করুন!
  • কম্পিউটার প্রোগ্রামিং: ডেস্কটপ প্রোগ্রামিং থেকে ওয়েব প্রোগ্রামিং সবই এর আওতায় পড়ে।
  • ইন্টারনেট বিপণন/ইন্টারনেট মার্কেটিং: ইন্টারনেটভিত্তিক বাজারজাতকরণ কার্যক্রম, যেমন ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বিপণন।
  • লেখালেখি ও অনুবাদ: নিবন্ধ, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ছোট গল্প, প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ভাষান্তরকরণ উল্লেখযোগ্য।
  • মাইক্রো জবসঃ ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেও আপনি আয় করতে পারবেন। যেমন ফেসবুকে লাইক দেওয়া, ১০ টি জিমেইল / ইয়াহু একাউন্ট খুলে দেওয়া। এ সংক্রান্ত ছোট কাজ গুলোর মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।
  • সাংবাদিকতা: যারা এবিষয়ে দক্ষ তারা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকায় লেখালেখির, চিত্রগ্রহণের পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক জনসংযোগ করে থাকেন।
  • গ্রাহক সেবা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাহককে টেলিফোন, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহাজ্যে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।
  • ভার্টুয়াল অ্যাশিস্ট্যান্ট/প্রশাসনিক সহায়ক: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি।

কোথায় কাজ পাবো?

অনলাইনে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এছারা নিজের পোর্টফোলিও বানিয়েও সরাসরি কাজ পাওয়া যেতে পারে। কাজে ভালো অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকলে বিভিন্ন কোম্পানিতে দীর্ঘমেয়াদির স্বাধীন চাকুরিও পাওয়া যায়। নিচে আমরা কিছু মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করবো।

এই পেশার চাহিদা ও ভবিষ্যৎ

বর্তমান যুগে এ ফ্রিল্যান্সিং-এ কাজের পরিধি অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী এধরণের কর্মপদ্ধতির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কেবলমাত্র ভারত-বর্ষেই ২৪ কোটির ও বেশী মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর র‍্যাঙ্কে চায়না আছে প্রথম স্থানে ও আমেরিকা দ্বিতীয় স্থানে এবং ভারতের স্থান তৃতীয় তবে অনেকের ধারনা ২০১৫ সালের মধ্যেই ভারতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আমারিকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাকে অতিক্রম করে যাবে। তো দেখা যাচ্ছে যে ইন্টারনেট জগতের ব্যপ্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাথে সাথে এই বিশালাকার ইন্টারনেট জগতের প্রচুর ব্যবহারির কে নিয়ে নতুন নতুন ব্যবসার উৎপত্তি হচ্ছে। আর এই ব্যবসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলি পরিচালনা করতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। আর যেহেতু পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় সেজন্য প্রতিনিয়তই ফ্রিল্যান্স-দের চাহিদা বাড়ছে।

কেনো আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে রাখবেন?

আমাদের সকলের ই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে রাখা প্রয়োজন। কারন, যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা পড়াশুনার পাশাপাশি আয় করা ছাড়াও পড়াশুনা শেষ হলে চাকুরীর পিছনে হতাশ হয়ে দৌড়ানোর প্রয়োজন হবে না। আর যারা চাকুরীজীবী তারা নিজেদের কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। চাকুরী স্থায়িত্বকাল কখনো চিরস্থায়ী নয়, কিন্তু আপনি যেই ফ্রিল্যান্সিং এর জ্ঞান অর্জন করবেন সেটা কখনোই হারিয়ে যাবে না

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যা যা প্রয়োজনঃ

  • একটি ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ কম্পিউটার।
  • ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ।
  • কাজ করার ইচ্ছে ও চেষ্টা।
  • কাজ শেখা ও শেখার পর অনুশীলন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ও মানসিকতা।
  • এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন কমিউনিকেশন সিস্টেম যেমন- স্কাইপ, ইমেইল ইত্যাদি সম্পর্কে বেসিক ধারনা থাকতে হবে। কারন, যেহেতু উন্নত দেশগুলিই বেশীরভাগ কাজ আউটসোর্স করে থাকে, তাই আপনি যখন আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করবেন তখন এ মাধ্যম গুলো কাজে লাগবে।

নতুনদের জন্য অনলাইনে আয়ের কিছু উৎসঃ

মূলত অনলাইনে যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের আগে দক্ষতা অর্জন করা উচিৎ। তবুও নতুন অবস্থায় ও আপনি কিছু কিছু পদ্ধতিতে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
এবারের আলোচনা সেই সম্পর্কে।

ইউটিউবের মাধ্যমে আয়ঃ অনলাইনের এই যুগে ইউটিউবের কথা কে না জানি। কিন্তু আপনি জানেন কি, যে ইউটিউবের মাধ্যমেও আপনি আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ভালো মানের একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। বিভিন্ন গেমের রিভিউ , রান্নার ভিডিও, বিভিন্ন টিউটোরিয়াল, মজার ভিডিও সহ বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

মাইক্রোওয়ার্কার্স এর মাধ্যমে আয়ঃ ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে আয়ের সব চাইতে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কার্স। আপনি যদি নিজেকে কিছুটা ঝালিযে নিতে চাচ্ছেন অথবা পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের এবং ইন্টারনেটের বিল উসুল করার কথা চিন্তা করে থাকেন তবে এই ফ্রিন্যান্সিং সাইট টা আপনার জন্য । আর বর্তমান মাইক্রো-ফ্রীলান্সিং বিশ্বে অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি সামান্য কিছু কাজের ধারনা নিয়ে অনায়াসে মাসে ৩০০-৬০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সবচেয়ে ভাল এবং বেশি কাজ পাওয়া যায় এমন একটি সাইট হল “মাইক্রোওয়ার্কার্স.কম”। মাইক্রোওয়ার্কার্স এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছেঃ

  • এখানে কাজ করার জন্য কোনো বিড করতে হয় না।
  • কাজগুলো খুবই ছোট হয়ে থাকে। প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে সাধারণত ২ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগবে।
  • কাজটি আপনি সত্যি সম্পন্ন করেছেন কিনা তার একটি প্রমাণ দিতে হয়।কীভাবে প্রমাণ দেবেন তার বর্ণনা কাজের বর্ণনার সঙ্গেই পাবেন।
  • কাজগুলো যেহেতু ছোট, তাই অর্থের পরিমাণও সামান্য। প্রতিটি কাজ ০.১০ ডলার থেকে শুরু করে ৮ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • একটি কাজ একবারই করতে পারবেন।
  • মোট আয় ১০ ডলার হলে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
  • চারটি পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায়—চেক, মানিবুকারস, পেপাল এবং অল্টারপে।
  • প্রথম বার অর্থ উত্তোলন করতে গেলে আপনার ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠানো হবে, যাতে একটি পিন নম্বর দেয়া থাকবে। এই পদ্ধতিতে আপনার ঠিকানা যাচাই এবং একজন ব্যবহারকারী যাতে দুটি অ্যাকাউন্ট করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হয়।

কাজের ধরণঃ এখানের কাজ গুলো খুবই ছোট এবং সাধারন। যেমন, দুইটি ফেসবুক পেজে লাইক দিলেন, একটা ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করলেন, অথবা ছোট একটা আর্টিকেল লিখে দিলেন। এর জন্য আপনি অর্থ পেয়ে যাবেন। তবে মাইক্রোওয়ার্কার্স দিয়ে আপনি কখনোই ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন না। একেবারে বেসিক অবস্থার জন্যই এই সাইটটির মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।
পরবর্তীতে কাজ শিখে আপনি ফাইবার অথবা মার্কেটপ্লেসের সাইট গুলোতে কাজ করতে পারলে তবেই আপনার দ্বারা ভালো পরিমান  অর্থ আয় করা সম্ভব।

অনলাইনে আয় করুন ওয়েবসাইট / ব্লগ থেকেঃ অনলাইনে আয়ের একটি জনপ্রিয় পন্থা হচ্ছে ওয়েবসাইট / ব্লগ। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং নির্দিষ্ট পরিমান ভিজিটর থাকে তবে বিভিন্ন এড এজেন্সীর মাধ্যমে আপনিও আয় করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স ছাড়াও অনেক এড এজেন্সী রয়েছে যারা বিজ্ঞাপন দাতা হিসেবে আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। আর আপনি ১০০% ফ্রিতে ব্লগ সাইট বানিয়ে ইনকাম শুরু করতে চাইলে এই প্লেলিস্টের ভিডিওগুলো দেখে ফেলতে পারেন।

অনলাইনে আয় হোক ফাইবারের মাধ্যমেঃ ফাইবার হচ্ছে একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখান থেকে আপনি দক্ষতা অর্জন করলে নিয়মিত ভাবে আয় করতে পারবেন। আর ফ্রীলেন্সিং ভালোভাবে শুরু করতে চাইলে আপনি আমাদের বেস্টসেলিং ফাইভার সাকসেস কোর্সটি করতে পারেন। কোর্সে ১৮ রকমের ভিন্ন ভিন্ন কাজ শিখানোর পাশাপাশি প্রচুর রিসোর্স এবং পেইড সফটওয়্যার কোর্সের সাথেই দিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কিভাবে ভালো করবেন তার স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইডলাইনতো আছেই। এই কোর্সটিতে জয়েন করা প্রায় ৯২% স্টুডেন্টই এখন ফাইভারে ফ্রিলান্সিং করে যে যার ক্যারিয়ারে ভালো করতে পারছে।

অনলাইনে আয় করুন বিভিন্ন কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করেঃ বর্তমান এই প্রযুক্তির বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আপনিও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে আয় করতে পারবেন। শুধু অনলাইন নয়, বাংলাদেশের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গুলোতেও আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ চলছে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের। আর আপনি জেনে খুশি হবেন যে, আমাদের MSB Academy প্লাটফর্মে ইথিকাল হ্যাকিং এর উপর প্রফেশনাল মানের একটি কোর্স আছে। তাই আপনি সিকুরিটি এক্সপার্ট হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাইলে কোর্সে নির্দ্বিধায় জয়েন করতে পারেন।

Comments

  • munju
    September 13, 2019

    আপনার পোষ্টটি দারুন সুন্দর। আমাকে খুব ভাল লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

  • Rakibul
    November 5, 2019

    Valo

  • Md Hriday
    January 16, 2020

    ইউটিউবাররা নতুন অফার পায় কি করে যা এসএমএস কে পাঠানো হয়

  • User Avatar
    issibellaanni69
    April 23, 2020

    Nice and wonderful . Video quality was also great . thanks

  • md jaber khan
    October 12, 2020

    ami filanse sekta ci .kivavy sekta pari.

Leave a Reply