Blog

Passive Income কি? অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম শুরুর ৮টি উপায়

passive income

অনেকর একটি চাওয়া থাকে যে চাকরি পাশাপাশি কিংবা পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের ২য় একটা উৎস থাকলে কতই না ভালো হত। আর সেটা যদি যদি প্যাসিভ আয় তাহলে ত আর কথাই নেই। প্যাসিভ ইনকাম আয়ের এমন একটি উৎস যেখানে এক্টিভ ইনকামের মত সবসময় বা নিয়মিত ভাবে কাজ করার প্রয়োজন হয় না। একবার ভালভাবে কাজ করলে প্রতি মাসে সেখান থেকে টাকা আসতে থাকবে। তাই আজকাল অনেকেই প্যাসিভ ইনকামের দিকে ছুটছে। প্যাসিভ ইনকাম করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। সঠিক গাইডলাইন মেনে সঠিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা Passive Income করা ব্যপারই হবে না।

প্যাসিভ ইনকাম কি? কিভাবে করবেন প্যাসিভ ইনকাম? কোন ধরনের কাজ থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়? প্যাসিভ ইনকামের সেরা ৮টি মাধ্যেম নিয়ে আজকে আলোচনা করব। এই ৮টি কাজের মধ্যে ২,১টি কাজ কেও শিখে ভালোভাবে করতে পারলে খুব সহজে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব হবে। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই আপনার কাজ শিখার এবং কাজ করার সৎ ইচ্ছা থাকতে হবে।

Passive Income কি?

ইনকাম দুই ভাবে করা যায় Active Income আর Passive Income। প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন একটি আয় যেখানে একবার কাজ করে রেখে দিলে তারপর অবিরত সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকে। অর্থাৎ আপনাকে সবসময় সেখানে কাজ করতে হবে না। একটি ছোট উদাহরণ দিয়ে বুঝায় তাহলে আরও সহজে বুঝতে পারবেন, মনে করুন আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার, এখন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে নিদিষ্ট ক্লাইন্টের জন্য ডিজাইন করে দিলে আপনার ইনকাম হবে। এখানে আপনার তখনই ইনকাম হবে যখন ক্লাইন্ট আপনাকে কাজ দিবে। ক্লাইন্ট কাজ না দিলে আপনার কোন ইনকাম হবে না।

এখন আপনি যদি আপনার করা কতগুলো ডিজাইন তৈরি করে মাইক্রোস্টোক সাইটে আপলোড করে রাখেন এবং আপনার তৈরি করা সে সকল ডিজাইন যদি সারাবছর বিক্রি হতে থাকে তাহলে কেমন হবে। এটাই মূলত প্যাসিভ ইনকাম একবার ডিজাইন করলে সারা বছর ধরে বিক্রি হবে আর আপনার ইনকাম আসতে থাকবে। যাকে বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম।

Active Income কি?

Active Income হচ্ছে কাজ করলে টাকা আসবে আর কাজ না করলে টাকা নেই। আপনি যতক্ষণ কাজ করতে পারবেন,যতক্ষণ সময়, শ্রম দিতে পারবেন ততক্ষণ আপনার আয় আসবে। আপনি অসুস্থ,কাজ করতে পারছেন না, আপনার ইনকাম বন্ধ হয়ে শূন্য হয়ে যাবে। একটিভ ইনকামের জন্য আপনাকে অন্যের আন্ডারে কাজ করতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে অফিসে যেতে হবে এবং মাস শেষে আপনি নিদিষ্ট Amount এর টাকা পাবেন। Active Income এ টাকার পরিমাণ লিমিট থাকে।

প্যাসিভ ইনকাম কেন প্রয়োজন?

আমাদের সবার জীবনে টাকার প্রয়োজন। টাকার প্রয়োজন নেই এমন মানুষ আজকাল খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমান সমাজ সভ্যতার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হলে আপনাকে টাকা ইনকাম করতেই হবে। কোন ইনকাম সহজ নয়, তবে অন্য সকল ইনকাম থেকে প্যাসিভ ইনকাম এর বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ সুবিধা হল এখানে আপনাকে সবসময় কাজ করতে হবে না। একটি নিদিষ্ট সময় কাজ করে সব কিছু সাজিয়ে রাখলে সেখান থেকে ইনকাম আসতে থাকবে। আপনার রেগুলার ইনকামের সাথে প্রতি মাসে এক্সট্রা আরও কিছু ইনকাম অ্যাড হলে সেটা আপনার ভবিষ্যতের জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে।

কিভাবে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করবেন?

প্যাসিভ ইনকাম কি? প্যাসিভ ইনকাম কেন প্রয়োজন আশা করি এত সময়ে বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে শুরু করবেন প্যাসিভ ইনকাম। আসলে প্যাসিভ ইনকাম করার কিন্তু নানা মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে থেকে আমি আপনাকে বেস্ট ৭টি মাধ্যম সম্পর্কে বলব এবং এই মাধ্যম গুলাতে যদি প্রফেশনালভাবে কাজ করতে পারেন, তাহলে প্রতি মাসে আপনার প্যাসিভলি ১০০০-৫০০০ ডলার ইনকাম করা কোন ব্যাপারই হবে না।

১) ইউটিউবের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট

একজন ভাল মানের ইউটিউবার তার তৈরি করা ভিডিও কন্টেন্ট দিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকার উপরে ইনকাম করে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে কন্টেন্ট যেন ভাল মানের হয়। আর এখন আপনি চাইলে কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। অ্যামাজন হচ্ছে বিশ্বের ১ নাম্বার ইকমার্স ওয়েবসাইট, যেখানে প্রতিনিয়ত বেচা-কেনা হচ্ছে লক্ষ কোটি প্রোডাক্ট। আর অ্যামাজনের বিভিন্ন প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট করে এক্সপার্ট মার্কেটাররা ইনকাম করছে হাজার হাজার ডলার। ইনকামের সম্ভবনা এইখানে আসলে লিমিটলেস। এখানেও আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিওতে Google Adsense অ্যাড এর মাধ্যমে এবং অ্যামাজন এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ ভিডিও তৈরি করে সেখানে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক অ্যাড করার মাধ্যেম।

বর্তমানে দেশ এবং বাহিরের দেশ গুলাতেও ইউটিউবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এর ডিমান্ড খুব বেড়েছে। এর কারণ হল এখন মানুষ কোন পণ্য কিনার আগে ইউটিউব ভিডিও আকারে সেটার রিভিউ খুব ভাল ভাবে দেখে নেয়। ইউটিউবের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করে প্যাসিভ ইনকাম করতে হলে আপনাকে ক্যামেরা সামনে আসতে হবে না। ক্যামেরা সামনে না এসেও সঠিক নিশ সিলেক্ট করে ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। এই বিষয়টি আরও প্রফেশনাল ভাবে শিখতে এমএসবি একাডেমীতে পাবলিশ করা হয়েছে Amazon Affiliate Marketing With YouTube কোর্সটি। কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে কীভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়, সেই ব্যাপারে সব সিক্রেট টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স পাবেন এই কোর্সে। খুব ভালো ইংলিশ না পারলেও হবে! আর কাজ করতে যা যা লাগবে সব কিছুই দিয়ে দেয়া হবে কোর্সের সাথে।

২) ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম

প্যাসিভ ইনকামের সবচেয়ে সহজ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ব্লগিং। আপনার যদি টুকটাক লেখা লেখালেখির প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে এই অভ্যাসকে কাজে লাগিয়ে প্রতিমাসে ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা কাজ করে ব্লগ লেখা শুরু করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে যদি নিদিষ্ট কিছু টপিক বা নিশ সিলেক্ট করে লেখা যায় তাহলে সফলতা খুব দ্রুত পাওয়া যাবে। যেমন সেটা হতে পারে মজাদার খাবারের রেসেপি আইডিয়া, ক্যারিয়ার গাইডলাইন, ভ্রমণ গাইডলাইন, অথবা হতে পারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে কোন তথ্য। বাংলা এবং ইংরেজিতে উভয় ক্ষেত্রে ব্লগিং শুরু করা যেতে পারে। আর আপনার সাইটে ট্রাফিক আশা শুরু Google Adsense এর অ্যাড দেখিয়ে কিন্তু সহজেই ইনকাম করতে পারবেন।

আর এখনত চাইলে ১০০% ফ্রিতে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় কোন কোডিং ঝামেলা ছাড়াই। এছাড়াও চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব কম সময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। কোন রকম প্রোগ্রামিং ও কোডিং জানতে হবে না। সামান্য কিছু ইনভেস্ট করলে খুবই আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারবেন নিজেই। চাইলে আপনার লেখা ব্লগে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে সেখান থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন ওয়েবসাইটে Google Adsense অ্যাড করার মাধ্যমে আবার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক যুক্ত করে।

৩) গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্যাসিভ ইনকাম

প্যাসিভ ইনকামের আরও একটি সেরা মাধ্যম হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের একজন ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনার ক্রিয়েটিভ এই মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলাতে কাজ করে যেমন ডলার ইনকাম করতে পারবেন ঠিক তেমনি আপনার করা ডিজাইন বিভিন্ন Microstock সাইটগুলাতে সেল করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। কারণ Microstock সাইটগুলোতে আপনি নিয়ম মেনে নিজের করা ডিজাইন আপলোড করে রাখলেই, ইউজারদের প্রতি ডাউনলোড এর উপর ভিত্তি করে আপনার ইনকাম হবে। এর মানে আপনি যত বেশি মানসম্পন্ন ডিজাইন সেই প্লাটফর্মগুলোতে রাখতে পারবেন, আপনার ইনকাম ধীরে ধীরে তত বেশি বাড়তে থাকবে!!

আর আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে MSB Academy প্লাটফর্মে আমরা ডিজাইন সেল করে কিভাবে খুব ধ্রুত অনলাইনে Passive Income শুরু করা যায় সেই ব্যাপারে কমপ্লিট একটি কোর্স নিয়ে এসেছি। Income Focused Graphic Design কোর্সটিতে আপনি জয়েন করলেই এই ব্যাপারে কমপ্লিট গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। কোন সাইটে কোন ডিজাইন বেশি সেল হয়, কিভাবে ডিজাইন গাইডলাইন মেনে সেই ডিজাইনগুলো করতে হবে, এমনকি Microsotck সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট সেটআপ, ডিজাইন সাবমিশন এইসব কিছু A to Z শিখানো হয়েছে। তাই যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে গতাগতিকভাবে ইনকামের বাইরে নিজের ডিজাইন বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এই কোর্সটি হবে বেস্ট একটি কোর্স।

৪) ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কিংবা অফ্যালিয়েট মার্কেটিং জন্য ইনস্টাগ্রামের ভূমিকা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতি মাসে প্রায় ১.৪+ বিলিয়ন অ্যাক্টিভ ইউজার আছে ইন্সটাগ্রামে। এই প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে দেশি বিদেশি অনেকেই এখন হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। ইন্সটাগ্রাম মূলত Photo, Video শেয়ারিং আপ্লিকেশন এবং সোশ্যাল প্লাটফর্ম। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ইন্সটাগ্রাম একটি Mobile Focused সোশ্যাল প্লাটফর্ম। মানে ম্যাক্সিমাম ব্যবহারকারী ইন্সটাগ্রাম মূলত তাদের মোবাইল ফোনেই ব্যাবহার করে। তাই আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে মার্কেটিং এর কিছু সিক্রেট ফলো করে প্রতি মাসে মিনিমাম ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব।

আসলে অনলাইনে ইনকামের জন্য অনেকেই চেষ্টা করে কিন্তু সঠিক গাইডলাইনের অভাবে অনেকেই ফেইল করে। এই বিষয়ে A To Z সঠিক গাইডলাইন দেয়া হয়েছে Instagram Marketing Masterclass এই কোর্সটিতে। শূন্য থেকে একটি ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দ্রুত রিয়েল ফলোয়ার বাড়ানো, মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যান্ড ভিডিও এডিটিং, রেগুলার কোয়ালিটি পোস্ট করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট, প্রডাক্ট বিক্রি, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, CPA মার্কেটিং করে ইনকামের কমপ্লিট গাইডলাইন, এমনকি আপনার তৈরি করা ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে কিভাবে ডলার $$$ ইনকাম করা যায় সেটিও এই কোর্সের মধ্যে শিখনো হয়েছে।

৫) প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস

বর্তমান সময়ে প্যাসিভ ইনকামের জনপ্রিয় মাধ্যম হল প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস। Print on Demand কে সংক্ষেপে POD বলা হয়ে থাকে। প্রিন্ট অন ডিমান্ড নামটি শুনে বুঝতে পারছেন যে এখানে ডিমান্ড অনুযায়ী কোন কিছু প্রিন্ট করে দিতে হবে। অর্থাৎ কাস্টমার এর ডিমান্ড অনুযায়ী আপনাকে প্রোডাক্ট ডিজাইন করে প্রিন্ট করে দিতে হবে। বিভিন্ন পণ্য যেমন টি-শার্ট, মগ, বই, ক্যানভাস ইত্যাদি এর উপর প্রোডাক্ট ডিজাইন করে বিভিন্ন প্রিন্ট অন ডিমান্ড সাইটগুলোতে সেল করাকেই বলে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস। আপনি শুধুমাত্র ডিজানই করে প্রোডাক্টটি সাইটে একটা প্রাইস সেট করে অ্যাড করে রাখবেন, আর কোন কাস্টমারের অর্ডার করলে আপনি যেই মার্কেটে কাজ করবেন তারাই আপনার হয়ে প্রোডাক্টটি প্রিন্ট করে শিপ করে দিবে প্রোডাক্টটি কাস্টমারের কাছে। প্রোডাক্ট তৈরির খরচ বাদ দিয়ে বাকি যা থাকবে সেটাই হবে আপনার প্রফিট। সময়ের সাথে সাথে দেশ এবং দেশের বাহিরে এই প্রিন্ট অন ডিমান্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্যাসিভ ইনকাম এর জন্য।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড প্লাটফর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে মার্চ-বাই-অ্যামাজন। কারণ Merch by Amazon (MBA) এই প্লাটফর্মের সাহায্যে আপনি আপনার আপলোড করা প্রোডাক্ট সরাসরি অ্যামাজনে তা সেল করতে পারবেন। আর অ্যামাজনে যেহেতু অরগানিক ট্রাফিক অনেক তাই সঠিক Keyword Research অ্যান্ড Competition Analysis করে কাজ করলে প্রচুর অরগানিক সেল পাওয়া যায়। মার্চ-বাই-অ্যামাজন ছাড়াও প্রিন্ট অন ডিমান্ডের আরও অনেক জনপ্রিয় সাইট রয়েছে। যেমনঃ Teespring, Redbubble, ViralStyle, TeePublic ইত্যাদি।  প্রিন্ট অন ডিমান্ড কে যখন আপনি আপনার প্রফেশন হিসেবে নিবেন তখন এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা থাকতে হবে। প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ A TO Z গাইডলাইন নিয়ে আমাদের এম এসবি একাডেমীতে রয়েছে অসাধারণ একটা প্রিন্ট অন ডিমান্ডের উপর অনলাইন কোর্স। কোর্সে জয়েন করা প্রায় 2400+ স্টুডেন্ট এই কোর্সটি করে বেশ সফলভাবে POD সাইটগুলো থেকে প্যাসিভ ইনকাম করছে। তাই এই বিজনেসে আপনি সিরিয়াস হয়ে থাকলে জয়েন করে ফেলতে পারেন কোর্সটিতে। 

৬) মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম

আমরা আমাদের মোবাইল যে অ্যাপ ব্যবহার করি এই অ্যাপগুলা কিন্তু কেউ না কেউ তৈরি করে। আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মানের মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়াও চাইলে নিজেই অ্যাপ তৈরি করে সেটা iOS অ্যাপ স্টোর বা Google Play স্টোরে সেল করতে পারবেন। এমনকি Google Admob এর মাধ্যমে অ্যাপে অ্যাড দেখিয়েও চাইলে প্রচুর প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব।

অ্যাপ ডেভলপমেন্ট এমন একটা দক্ষতা যেটার ডিমান্ড বা চাহিদা সর্বদাই মার্কেটে থাকবে আপনাকে শুধু নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে এবং প্রফেশনাল ভাবে কাজ শিখতে হবে। আমাদের দেশে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের উপর ট্রেনিং দিয়ে আসছে। ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে শুধু লেকচার শোনা হয় কিন্তু সরাসরি হাতে কলমে প্রাক্টিস এর অভাবে পরবর্তিতে বাসায় এসে ইমপ্লিমেন্ট করার সময় বা নতুন কোন টপিক্স শিখতে গেলে কিংবা কোন প্রব্লেম ফেস করলে কিন্তু সোলিউশন পাওয়া যায় না। আর এই সকল কথা চিন্তা করেই এমএসবি একাডেমীতে পাবলিশ করা হয়েছে Complete Android App Development Masterclass In Bangla কোর্স।

৭০ ঘণ্টার এই এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ কোর্সে একদম বিগিনার লেভেল থেকে এডভান্স পর্যন্ত রিয়েল লাইফ এক্সাম্পল সহকারে এবং গুগলের একদম আপডেটেড ডকুমেন্টেশন অনু্যায়ী শিখানো হয়েছে। কোর্সে জয়েন করলেই পাবেন লাইফ টাইম কোর্স এক্সেস + লাইফ টাইম সাপোর্ট এবং ফ্রি কোর্স আপডেট। আপনি যদি একজন প্রোফেশনাল এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে সফটওয়্যার কম্পানিতে জব করার অথবা নিজেই অ্যাপ ডেভেলপ করে গুগল প্লেতে অ্যাপ পাবলিশ করার মাধ্যমে ইনকাম করে স্মার্ট একটি ক্যারিয়ার গড়ার সকল গাইডলাইন পাবেন কোর্সটিতে।

৭) অ্যামাজনে বই পাবলিশ করে ইনকাম

অ্যামাজন হচ্ছে ওয়ার্ল্ডের এক নাম্বার ই-কমার্স সাইট। প্রতিদিন লক্ষ কোটি প্রোডাক্ট কেনা বেচা হচ্ছে এই অ্যামাজন থেকে। আর এই অ্যামাজনের অনলাইনে ডিজিটাল বই এর প্লাটফর্মকে বলা হয় অ্যামাজন কিনডেল (Amazon Kindle)। পৃথিবীর সব বিখ্যাত, নতুন, পুরান সব ধরনের বই সেখানে পাওয়া যায়। আপনি সেগুলি নিজে লিখতে পারেন, লেখক নিয়োগ করতে পারেন এর মাধ্যমে আপনার ই বুক তৈরি করতে পারেন৷ এছাড়াও,একটি বই প্রকাশিত হবে কিনা তা বলার জন্য আপনাকে সম্পাদক বা প্রকাশকের উপর নির্ভর করতে হবে না। আপনার বইয়ের তাকগুলিতে রাখার জন্য আপনাকে কোনও বইয়ের দোকানের উপর নির্ভর করতে হবে না। সব বড় বড় দেশে অ্যামাজন আছে সেই সব দেশের মোটামুটি সবাই অ্যামাজন থেকেই বই কিনে। সুতরাং বুঝতেই পারছে যে, মিলিয়ন ডলারের বিজনেস রয়েছে অ্যামাজনের এই কিনডেল প্লাটফর্মে

নিজের লিখা অথবা আউটসোর্স করা বই অ্যামাজন কিন্ডেলে পাবলিশ এবং সঠিক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে অ্যামাজন থেকে 6 Figure Passive Income এর পথে যাত্রা শুরু করতে হয় তার স্টেপ-বাই-স্টেপ ফর্মুলা পাবেন MSB Academy এই Amazon Kindle Direct Publishing (KDP) কোর্সে। যদি লেখা লেখির ইচ্ছা থাকে তাহলে কোর্সটি করে সঠিক গাইডলাইন শিখে শুরু করতে পারেন বই লিখে প্যাসিভ ইনকাম।

৮) 2D Cartoon Animation তৈরি

প্যাসিভ ইনকামের আরও একটি বড় মাধ্যম হল অ্যানিমেশন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে শুরু করে টিভি বিজ্ঞাপন সহ এখন যে কোন পণ্যের মার্কেটিং এ অ্যানিমেশন এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। Bengali Fairy Tales, Ssoftoons Animation, Jibonto Animation, Bangla Animation Golpo এর মতো অনেক ইউটিউব চ্যানেল প্রতি মাসে ১০০০ থেকে ৫০০০ ডলার ইনকাম করছে। অনেক চ্যানেল একবার একটা অ্যানিমেশন তৈরি করে শুধু ভাষা ট্রান্সলেট করে বাংলা টু ইংলিশ, হিন্দিতে কনভার্ট করে একাধিক চ্যানেল রান করছে এবং সহজেই প্রচুর ইনকাম করছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে অ্যানিমেশন শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও আপলোড করে প্রতি মাসে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে 2D Cartoon Animation এর চাহিদার উপর ভিত্তি করে MSB Academy তে পাবলিশ করা হয়েছে Learn 2D Cartoon Animation And Make Money Online কোর্সটি। Adobe Animate দিয়ে প্রফেশনাল লেভেলের কার্টুন মেকিং এর জন্য যা যা জানা এবং শিখা দরকার সেইসব কিছুর কম্বিনেশনে এই প্রজেক্ট ভিত্তিক কার্টুন অ্যানিমেশন কোর্সটি তৈরি করা হয়েছে। ফাস্ট অ্যানিমেশন তৈরির প্রসেস, প্রিমিয়াম রিসোর্স শেয়ার, ইউটিউব থেকে সহজেই ইনকাম মাল্টিপ্লাই করার টেকনিক ছাড়াও অনেক সিক্রেট কোর্সে শেয়ার করা হয়েছে। এই কোর্সটি করে আপনি গোপাল ভাঁড়, ঠাকুরমার ঝুলি, পঞ্চতন্ত্রের মন্ত্র, নাট বলটুর মতো কার্টুন তৈরি করতে পারবেন। তাই বলা যায় প্যাসিভ ইনকামের জন্য কাটুন অ্যানিমেশন হতে পারে আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ।

আসলে কোন ইনকাম সহজ নয়। তার জন্য প্রচুর কাজ করতে হবে। প্যাসিভ ইনকামের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। শুরুতে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে কাজ শিখতে হবে এবং আপনার কাজগুলোকে মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করতে হবে তাহলে একটি নিদিষ্ট সময়পর প্যাসিভ ইনকাম হতে শুরু করবে।

Comments

Leave a Reply