Blog

জিরো ইনভেস্টমেন্টে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট থেকে প্যাসিভ ইনকাম

amazon affiliate marketing

যারা অনলাইনে ইনকাম করার ব্যাপারে আগ্রহী কিংবা অনলাইনে কোন না কোন বিষয় নিয়ে কাজ করছেন বা করার জন্য চেষ্টা করছেন, আমি সিউর তারা একবারের জন্য হলেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যাপারে শুনেছেন। আসলে অনলাইন থেকে ঘরে বসে ইনকাম করার যে কতগুলো মাধ্যম আছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভাল এবং সহজ মাধ্যমে হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। যেখানে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকলেই আপনি ঘরে বসে খুবই স্বল্প পুঁজিতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে পেসিভ ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য আপনাকে জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সঠিক নিয়ম এবং গাইডলাইন।

আজকের এই আর্টিকেলে আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় একটি প্লাটফর্ম Amazon Affiliate Marketing নিয়ে আলোচনা করব। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কি ভাবে হ্যান্ডসাম একটা আর্নিং জেনারেট করবেন সেই বিষয়ে সিক্রেট কিছু টিপস অ্যান্ড ট্রিক্সও আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তাই মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়লে আশা করছি আপনি অনেক নতুন কিছু জানতে পারবেন।

Affiliate Marketing কি?

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানতে হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এবং কি ভাবে কাজ করে। সহজ কথায় যদি বলি, ধরুন আপনার কোন প্রোডাক্ট আছে এবং আমি আপনার সেই প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন করে প্রোডাক্টটি বিক্রি করলাম। এখন আপনি আমাকে এরজন্য একটা কমিশন বা লাভের অংশ দিবেন। আর অনলাইনে কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করিয়ে দেয়ার জন্য মার্কেটাররা যে মার্কেটিং করে এবং কমিশন পায় সেটাকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। মানে অনলাইনে অন্যের পণ্য বিক্রি করে টাকা আয়! আর অনলাইনে এই কাজটি করা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং থেকে অনেক বেশি সহজ। কারণ আপনার রেফার করা প্রোডাক্ট যত বেশি মানুষ কিনবে আপনি তত বেশি অ্যাফিলিয়েট কমিশন পাবেন। আর তাইত এখন অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যাপারটা এখন এত বেশি জনপ্রিয়। লোকালি এবং গ্লোবালি অনেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।

আর আপনি জেনে খুশি হবেন যে আমাদের এই MSB Academy প্লাটফর্মের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম আছে। যেখানে জয়েন করার মাধ্যমে আপনি আমাদের প্লাটফর্মের কোর্সগুলোর মার্কেটিং বা আপনার পরিচিত কাওকে রেফার করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই ইউটিউব, ফেসবুকে কোর্সগুলোর মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে। এমএসবি একাডেমী একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান তাই কোনোভাবে প্রতারণার স্বীকার হতে হবেনা এবং কোনো টাকাও এম এসবি একাডেমীতে ইনভেস্টও করতে হবেনা। এছাড়া ৩০ দিনের কুকিজ পলিসি এবং ২০% অ্যাফিলিয়েট কমিশনের সুযোগতো থাকছেই। এই ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে এই ব্লগটি পড়তে পারেন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট কি? এটি কেন জনপ্রিয়?

আমরা সবাই জানি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন (Amazon.com)। সাইটটিতে প্রতি মিনিটে গড়ে ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য বিক্রি হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর এদিক থেকে পিছিয়ে নেই অ্যামাজনও। তারা তাদের সাইটে থাকা প্রডাক্টের বিক্রি বাড়ানোর বিপণন কৌশলের অংশ হিসেবে ‘অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম' নামে বিশেষ একটি সুবিধা আছে এই সাইটে। বিশ্বের যে কেউ এ প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে অ্যামাজন পণ্যের বিক্রি বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারেন এবং সে বিক্রি অনুযায়ী অ্যামাজন থেকে একটা নিদিষ্ট কমিশন দেয়া হয়। পণ্যের ক্যাটাগরি ভেদে কমিশন স্ট্রাকচার এক এক রকম।

এখন আপনার সরল মনে একটি প্রশ্ন আসতেই পারে যে, অনলাইনে হাজার হাজার অ্যাফিলিয়েট প্রগ্রামের থাকলেও অ্যামাজন কেন? অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম কেন এত জনপ্রিয়? তার কারন আপনি অ্যামাজন এর লোগোর দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন। অ্যামাজন এর লোগোটা কখনো খেয়াল করেছেন কি? দেখুন, A থেকে Z পর্যন্ত একটি তীর দেখা যাচ্ছে। এর মানে এ থেকে জেড পর্যন্ত সব আছে তাদের কাছে। হাজার হাজার প্রডাক্টের মধ্যে আপনার যা খুশি তা আপনি প্রমোট করে সেল করতে পারবেন এবং ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটি এত জনপ্রিয় হওয়ার আরও একটি কারন হল, অ্যামাজন অনলাইনে অন্যতম বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি এবং প্রোডাক্ট কিনে প্রতারণার স্বীকার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাদের ডেলিভারি সিস্টেম যেমন ফাস্ট, ঠিক তেমনি Customer Support-ও অসাধারণ। তাই কেও অ্যামাজনে একবার কিছু কেনার জন্য ভিজিট করলে দরকারি অনেক কিছু অর্ডার করে। আর ভালো সাপোর্ট অ্যান্ড এক জায়গায় সবকিছু পাওয়া যায় বলে অ্যামাজনে কাস্টমারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

আর অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামটি কুকিস সিস্টেমে কাজ করে। অর্থাৎ আপনি যদি শুধু মাত্র একটি পণ্যের অ্যাফিলিয়েট করে কোন কাস্টমার কে আপনার লিঙ্কের মাধ্যমে অ্যামাজন ওয়েবসাইটে পাঠান এবং সে যদি আপনার মার্কেটিং করা প্রোডাক্ট ছাড়াও যত প্রোডাক্ট কিনবে প্রতিটার জন্য আপনি একটি নিদিষ্ট কমিশন পাবেন। আর তাই অ্যাফিলিয়েট যারা করে তারা কমিশনও অনেক বেশি পায়। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন এখানে ইনকাম করার সুযোগ কতটা বেশী। এর জন্যই কিন্তু বড় বড় সব টেক ইউটিউবার থেকে শুরু করে সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারা অ্যামাজনের বিভিন্নও প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট কমিশন কিভাবে কাজ করে?

আপনার অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে ভিজিট করে যখন কোন কাস্টমার প্রডাক্ট কিনবে তখন সেই প্রোডাক্টের পার্সেন্টেজ কমিশন আপনি পাবেন। ধরুন, সেই প্রোডাক্টের দাম যদি হয় 100 ডলার আর কমিশন পার্সেন্টেজ হার যদি 10% তাহলে আপনি পাবেন ($100 x 10% = 10$) 10 ডলার। ঠিক তেমনি ভাবে প্রোডাক্টের দাম যদি 500 ডলার হয় আপনি পাবেন (500 x 10% = $50) 50 ডলার। তবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রোডাক্টের কমিশন কমবেশি হতে পারে। অর্থাৎ কাস্টমার যত বেশী পণ্য কিনবে আপনার কমিশন তাত বাড়বে তার সাথে বাড়বে আপনার ইনকাম।

amazon affiliate new commission rate

উপরের এই ছবিটা দেখে আশা করি বুঝতে পারছেন যে, অ্যামাজনের প্রোডাক্টের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে অ্যাফিলিয়েট কমিশনের % ভিন্ন হয়ে থাকে। এখন কমিশন বেশি যেই ক্যাটাগরিতে সেই ক্যাটাগরিতে কাজ করলেই যে আপনার ইনকাম বেশি হবে তেমনটা কিন্তু না। তাই কোন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করলে সহজে ইনকাম বেশি হবে? সেই ব্যাপারে প্রোডাক্ট বা ক্যাটাগরি রিসার্চের একটি বিষয় রয়েছে। যা অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সাকসেসের জন্য এই রিসার্চটি ভালোভাবে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে করব অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং?

সব অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম মূলত একই পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ আপনি অন্যের প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা দিয়ে এর সুবিধা অসুবিধা সব কিছু তুলে ধরবেন এবং শেষে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে দিবেন সেই লিঙ্কে ক্লিক করে যত মানুষ যত টাকার প্রোডাক্ট কিনবে আপনি প্রতিটা প্রোডাক্ট এর উপর একটি নিদিষ্ট কমিশন পাবেন। অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মূলত ২ ভাবে করা যায়ঃ

  • ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
  • ইউটিউবের মাধ্যমে

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকে হবে এবং নিয়মিত সেখানে নিশ রিলেটেড ব্লগ / আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আপনি অ্যামাজন এর যে প্রোডাক্টটি নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেই প্রোডাক্ট নিয়ে রিসোর্সফুল  আর্টিকেল লিখতে হবে। ভাল মন্দ, সুবিধা, অসুবিধা সব কিছু সেখানে তুলে ধরতে হবে। অথবা সেই প্রোডাক্ট রিলেটেড কোন আর্টিকেল লিখে শেষে আপনার অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিতে হবে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে। এই ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটে টার্গেটেড ভিজিটর সংখ্যা যত বেশি হবে, ইনকামের সম্ভবনাও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। 

তবে ওয়েবসাইট মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করতে গেলে বেশ কিছু ঝামেলা এবং শুরু করতে কিছু টাকা আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন-হোষ্টিং কিনতে হবে এবং ওয়েবসাইটকে খুব সুন্দর ভাবে সাঁজাতে হবে। আর্টিকেল লিখতে হবে আর আপনি যদি আর্টিকেল লিখতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আর্টিকেল রাইটার হায়ার করতে হবে। অর্থাৎ বুঝতে পারছেন সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট আপনাকে মেনটেইন করে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে। এখানে টাকা এবং সময় দুইটায় বেশী দিতে হবে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে ৬-৯ মাস ভালোভাবে কাজ করলে অ্যামাজন থেকে ভালো অ্যাফিলিয়েট কমিশন আরনিং করা সম্ভব। তবে শুরুতে আপনাকে আপনার সাইটটা যাতে গুগলে ভালো একটা Rank পায় তার জন্য SEO করতে হবে, সঠিকভাবে Competition Analysis করে নিশ সিলেক্ট করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। আর এই ব্যাপারগুলোতে আপনি যদি অবহেলা করেন তাহলেও কিন্তু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে পুরাপুরি ফেইল করার সম্ভবনা রয়েছে।

ইউটিউব এর মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার আরও একটি সহজ মাধ্যমে হল ইউটিউব। কারন ইউটিউব হল ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় বৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন।গুগলের পরেই ইউটিউবের স্থান। ইউটিউব দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে প্রয়োজন হবে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল। সেখানে অ্যামাজন এর বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে হবে। কাস্টমাররা যখন ভিডিও দেখে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কের মাধ্যমে অ্যামাজন এর ওয়েবসাইটে ভিজিট করে প্রোডাক্ট কিনবে তখন সে প্রোডাক্টের দাম অনুসারে একটা কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন। ইউটিউব দিয়ে আমাজন আফিলিয়েট করতে কোন পুঁজি দরকার হয় না। কারণ এখানে কোন ইনভেস্টমেন্ট লাগে না। ঠিকমত দুই থেকে তিন মাস কাজ করলে ইউটিউবে আমাজন আফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে হাজার ডলার+ ইনকাম করা পসিবল।

কেন ইউটিউবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা বেশী?

অ্যামাজন হচ্ছে বিশ্বের ১ নাম্বার ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ প্রোডাক্ট সেল হয়। আর এই প্রোডাক্ট গুলো সবচেয়ে বেশি কিনে থাকে আমেরিকা-কানাডা, ইউরোপের মানুষ জন। তবে সবচেয়ে বেশি আমেরিকার মানুষজন কিনে থাকে। আমেরিকার মানুষ আমাদের মতো না যে একটা প্রোডাক্ট দেখে ভাল লাগল আর কিনে ফেলল, তারা ঐ প্রোডাক্ট এর বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে,  রিভিউ চেক করে। আর ওই রিভিউ চেক করতে তারা যে প্ল্যাটফর্মটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে সেটা হচ্ছে YouTube। ইউটিউবে এসে তারা প্রোডাক্ট নিয়ে সার্চ করে। সার্চ করার পর ওই প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন ভিডিও দেখে, রিভিউ দেখে তারা ডিসিশন নেয় প্রোডাক্ট টা কিনবে কিনা।

ওয়েবসাইট দিয়ে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করলে ইনকাম জাস্ট একটাই- কমিশন। কিন্তু ইউটিউব দিয়ে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে মাল্টিপল ইনকাম – কমিশন, স্পনসরশিপ,এডসেন্স সব কিছু দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইট দিয়ে অ্যাফিলিয়েট করে ২-৩মাসে আয় করা কঠিন কিন্তু ইউটিউব দিয়ে ডেইলি কাজ করলেই ২-৩ মাসে আয় সম্ভব। ওয়েবসাইট দিয়ে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করার চেয়ে ইউটিউব দিয়ে করা সবদিকেই লাভ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ইউটিউব দিয়ে অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন এত জনপ্রিয় কারন ওয়েবসাইট থেকে এর সুবিধা অনেক বেশি।

কিভাবে কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইউটিউব দিয়ে আমাজন আফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন?

ইউটিউব এর মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার একটি বিশাল সুবিধা হল এখানে কোন ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন নেই। কারন ইউটিউব চ্যানেল মেনটেইন করতে আপনার কোন ডোমেইন-হোষ্টিং কিনতে হবে না। বিশাল কোন আর্টিকেল লিখতে হবে না। ইউটিউব দিয়ে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনার একটি চ্যানেল থাকতে হবে। এই চ্যানেলের ভিডিও আপলোড করে মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা লাগবে। ৫০ বা তারও বেশি ভিডিও আপলোড করার পর অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট এ এপ্লাই করে অ্যাপ্রভাল নিতে হবে। এপ্লাই করার পরেই একটা ইউনিক স্টোর আইডি দেয়া হয় আমাজন থেকে। স্টোর আইডি ব্যবহার করে যেকোনো প্রডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করা যাবে। অ্যামাজন থেকে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার জন্য ন্যূনতম তিনটা সেল আনতে হবে ৬ মাস বা ১৮০দিনের মধ্যে। এই সেল না আসলে অ্যাপ্রভাল দিবে না অ্যামাজন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে ইউটিউবে আমাজন অ্যাফিলিয়েট করলে এক মাসের মধ্যেই তিনটা বা তারও বেশি সেল সহজেই জেনারেট করা যায়। 

নতুনদের জন্য কোনটা সুবিধা হবে Website নাকি YouTube?

আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি চাইলে দুই ভাবে করতে পারবেন। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে তাহলে নতুনদের জন্য কোনটি বেশী সুবিধা জনক হবে website নাকি YouTube? আপনার যদি নিজের ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে পারেন। আর যদি নতুন করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে হয় তাহলে আপনাকে শুরু থেকে বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। ওয়েবসাইটের জন্য জন্য ডোমেইন-হোষ্টিং কিনতে হবে এবং ওয়েবসাইট সাঁজাতে হবে মোট কথা ওয়েবসাইট মেইনটেইন করতে আপনাকে যেমন সময় দিতে হবে সেই সাথে টাকা খরচ করতে হবে। সেদিক থেকে আমি আপনাকে YouTube এর মাধ্যমে করতে পরামর্শ দিব।

amazon affiliate with YouTube vs Website

কারন YouTube এ ডোমেইন-হোষ্টিং বা অন্যান্য কোন খরচ নেই। সিকুরিটি বা সাইট মেইনটেনেন্স নিয়েও আপনার সময় নষ্ট করতে হবে না। যা লাগবে সেটা হচ্ছে সঠিক রিসার্চ এবং ভিডিওর জন্য ভালোভাবে Script লিখে আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করা। আর এই ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার খুব ভাল ইংলিশ না জানলেও হবে। এমনকি এই ফর্মুলাতে মার্কেটিং করলে আসলে আপনার কোন ইনভেস্টমেন্টও লাগবে না। কি অবাক হচ্ছেন? আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে Amazon Affiliate Marketing With YouTube নিয়ে আমাদের এমএসবি একাডেমীতে রয়েছে একটি কমপ্লিট কোর্সকোন রকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে কীভাবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়, সেই ব্যাপারে সব সিক্রেট টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স পাবেন এই Amazon Affiliate Marketing With YouTube কোর্সে। খুব ভালো ইংলিশ না পারলেও হবে! আর কাজ করতে যা যা লাগবে সব কিছুই দিয়ে দেয়া হবে কোর্সের সাথে। নিচের এই ভিডিওটি দেখলে ইউটিউবের মাধ্যমে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

এইরকম ভিন্নধর্মী অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কোর্স আপনি অনলাইনে অথবা অফলাইনে কোথাও খুঁজে পাবেন না। তাই আপনি অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ সত্যিই সিরিয়াস হয়ে থাকলে এই কোর্সটিতে জয়েন করে ফেলতে পারেন। কোর্স এনরোল করলেই পাবেন Lifetime Access + ইন্সট্রাক্টর সাপোর্ট।আসলে ইউটিউব দিয়ে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করলে আপনি সহজেই প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি টানা ছয় মাস কাজ করেন এরপর একমাস কাজ নাও করেন তবুও আপনার ইনকাম বন্ধ থাকবে না। কারণ ভিডিওগুলো আপনার চ্যানেলে থাকছে, আর ভিজিটর কোন অ্যাকশন নিলেই কিন্তু আপনি অ্যাফিলিয়েট কমিশন পাবেন। তাই আপনি পেসিভ ইনকাম করতে চাইলে ইউটিউবে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ একটি মাধ্যম।

Leave a Reply