বর্তমান অনলাইন দুনিয়ায় আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও লাভজনক একটি পদ্ধতি হচ্ছে CPA Marketing। আপনি যদি কোডিং শিখা বা কোন প্রোডাক্ট বিক্রি ছাড়াই আয় করতে চান, তাহলে CPA হতে পারে আপনার জন্য সেরা সহজ পথ। আপনি হয়ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর নাম শুনেছেন, CPA Marketing মূলত এরই একটি ধরন। তবে অনেক সহজ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ। সিপিএ মার্কেটিং কি? এটি কিভাবে কাজ করে এবং আপনি সিপিএ মার্কেটিং শিখে কিভাবে ইনকাম করবেন সেই বিষয়ে আজকের এই ব্লগে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
CPA মার্কেটিং কি?
CPA যাকে বলা হয় Cost Per Action। CPA মার্কেটিং হলো এমন এক ধরনের অনলাইন আয়ের পদ্ধতি, যেখানে কোনো ইউজার নির্দিষ্ট একটি কাজ করলেই আপনি আয় করতে পারবেন। এখানে কাউকে কিছু কিনতে বাধ্য করার দরকার নেই। বরং ইউজার যদি একটি ফর্ম পূরণ করে, একটি অ্যাপ ইনস্টল করে, অথবা একটি অ্যাকাউন্ট খুলে তাহলেই আপনি টাকা পাবেন। অর্থাৎ এখানে অ্যাকশন কমপ্লিট হলেই ইনকাম। এই কারণেই এটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কিছুটা আলাদা ও তুলনামূলকভাবে সহজ। সহজ করে বললে, আপনি এমন একটি অফার প্রোমোট করবেন, যেখানে মানুষ কোনো ফ্রি কাজ যেমন, ইমেইল সাবমিট, সাইন আপ, অ্যাপ ডাউনলোড করলেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
CPA Marketing এর কাজ কি?
সিপিএ মার্কেটিং মূলত এমন এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি, যেখানে একটি নির্দিষ্ট অ্যাকশন বা কাজের বিনিময়ে কমিশন প্রদান করা হয়। এই অ্যাকশনটি হতে পারে কেউ একটি ফর্ম পূরণ করা, অ্যাপ ডাউনলোড করা, ইমেইল সাবমিট করা বা একটি ফ্রি অফারে সাইন আপ করা। এই পুরো সিস্টেমে তিনটি প্রধান পক্ষ কাজ করে যথা,
- অ্যাডভার্টাইজার (যারা অফার দেয়)
- CPA নেটওয়ার্ক (মধ্যস্থ প্রতিষ্ঠান)
- পাবলিশার/মার্কেটার (যারা অফার প্রচার করে)
মনে করুন, একটি কোম্পানি তাদের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করাতে চায়। এখন তারা সরাসরি ইউজারদের কাছে না গিয়ে CPA নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তাদের এই চাহিদা পূরণ করে। CPA নেটওয়ার্ক সেই অ্যাপ ডাউনলোড অফারটি অনেক পাবলিশারের যারা ব্লগ, ওয়েবসাইট, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া চালায় কাছে পাঠায়। যে পাবলিশার এই অফারটি তার প্ল্যাটফর্মে প্রোমোট করবে এবং মানুষ সেই লিংকে ক্লিক করে অ্যাপ ডাউনলোড করবে, সেই পাবলিশার পাবেন নির্দিষ্ট কমিশন।
একটি উদাহরণ দিয়ে আরও পরিষ্কার করে বলি তাহলে বুঝতে পারবেন, ধরুন, একটি অফার হলো, “এই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই পাবেন ৫০ টাকা রিচার্জ” আপনি সেই অফারটি আপনার ফেসবুক পেজে বা ইউটিউব ভিডিওতে শেয়ার করলেন। যদি ১০০ জন সেই লিংকে ক্লিক করে অ্যাপটি ডাউনলোড করে আপনি প্রতিটি ডাউনলোডে ১ ডলার করে পান তাহলে আপনার আয় হবে = ১০০ x ১ = ১০০ ডলার! এভাবেই আপনি মূলত অ্যাকশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন পণ্য বিক্রির কোনো ঝামেলা নেই।
(কিরন এর প্রমো ভিডিও অ্যাড করে দিতে পারিস এখানে)
CPA Marketing এর মাধ্যেমগুলা কি কি?
CPA মার্কেটিং এর অনেক মাধ্যেম রয়েছে তবে আপনার যেসব ট্র্যাফিক সোর্স বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আছে, তার ভিত্তিতে নিচের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই CPA মার্কেটিং করতে পারবেন।
১) ওয়েবসাইট বা ব্লগ
আপনার যদি একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট থাকে তাহলে এটি CPA মার্কেটিং করার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হতে পারে। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের (নিশ) ওপর কনটেন্ট তৈরি করে সেখানে CPA অফার প্রমোট করা যায়। যেমন ধরুন,আপনার ওয়েবসাইট যদি “ফ্রি গেম ডাউনলোড” বিষয়ক হয়, তাহলে আপনি “গেম ডাউনলোড CPA অফার” যুক্ত করে ইউজারদের উৎসাহিত করতে পারেন। এভাবে টার্গেট কনটেন্ট ও প্রাসঙ্গিক CPA লিংক ব্যবহার করে প্রতিদিনই ভালো কনভার্সন পাওয়া যায়।
২) ইউটিউব চ্যানেল
ইউটিউব হলো ভিডিও কনটেন্টের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম। CPA মার্কেটিংয়ের জন্য আপনি ইনফরমেটিভ ভিডিও, রিভিউ ভিডিও, বা টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে ভিডিওর ডেসক্রিপশন অংশে CPA লিংক যুক্ত করতে পারবেন। যেমন, “Top 5 Free Antivirus” এই টপিকে ভিডিও করলে, নিচে আপনি Antivirus-এর CPA লিংক দিতে পারেন। ভিউয়াররা ভিডিও দেখে আগ্রহী হলে তারা ক্লিক করে কাজটি করে ফেলবে আর আপনি কমিশন পাবেন। বিশেষ করে গিভঅ্যাওয়ে, ফ্রি টুলস বা ট্রায়াল অফার বিষয়ক ভিডিওতে CPA খুব ভালো কাজ করে।
৩) ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ
আপনার যদি একটি অ্যাকটিভ ফেসবুক পেজ বা জনপ্রিয় কোনো গ্রুপ থাকে যেখানে নিয়মিত ভিজিটর বা মেম্বার অ্যাক্টিভ থাকে, তাহলে এটি হতে পারে CPA অফার প্রচারের জন্য দারুণ এক মাধ্যম। আপনি সেখানে তথ্যভিত্তিক পোস্ট, ইনফোগ্রাফিক, বা রিভিউ পোস্ট করে CPA লিংক যুক্ত করতে পারবেন। তবে অবশ্যই ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলতে হবে যেন পোস্টগুলো স্প্যাম মনে না হয়। সঠিক টার্গেট গ্রুপে অফার দিলে অনেক ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
৪) Pinterest বা Instagram
ভিজ্যুয়াল ভিত্তিক CPA মার্কেটিং করতে চাইলে Pinterest এবং Instagram খুব কার্যকরী মাধ্যম। এই দুটি প্ল্যাটফর্মে মূলত ছবি, ভিডিও বা ইনফোগ্রাফিক ব্যবহার করে CPA লিংক প্রমোট করা যায়। বিশেষ করে যদি আপনি ফ্যাশন, হেলথ, ট্রাভেল, বা ফিটনেস নিশে কাজ করেন, তাহলে Pinterest বা Instagram এ প্রচুর আগ্রহী ইউজার পাওয়া যায়। পিন্টারেস্টে পিন তৈরি করে সেগুলোর মধ্যে ওয়েবসাইট বা CPA লিংক যুক্ত করে ট্রাফিক আনা যায়। ইনস্টাগ্রামে বায়ো লিংকে CPA লিংক দিয়ে কিংবা ইনফোগ্রাফিকের মাধ্যমে CPA প্রচার করা সম্ভব।
৫) ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং CPA মার্কেটিংয়ের জন্য অন্যতম শক্তিশালী পদ্ধতি। আপনার যদি একটি ভাল মানের ইমেইল সাবস্ক্রাইবার লিস্ট থাকে, তাহলে আপনি সেগুলোকে নিয়মিত কনটেন্ট, টিপস বা অফার পাঠাতে পারেন। নিউজলেটার বা ফলোআপ ইমেইলের মধ্যে আপনি CPA লিংক যোগ করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই ইনফরমেটিভ এবং ভ্যালু-দেওয়া মেসেজ হতে হবে। সরাসরি বিক্রির চাপ না দিয়ে ব্যবহারকারীকে উৎসাহিত করতে হবে যেন তারা নিজে থেকেই লিংকে ক্লিক করে কাজ করে।
৬) সময় এবং ধৈর্য নিয়ে কাজ করা
যেকোনো বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য সময় এবং ধৈর্য দুইটিই সবচেয়ে জরুরি । অনেকেই দ্রুত ফল না পেয়ে মাঝপথে থেমে যান, কিন্তু সত্যি কথা হলো সফলতা কখনোই তাড়াহুড়ো করে আসে না। ধীরে ধীরে নিজের স্কিল গড়ে তুলতে হয়, ভুল থেকে শিখতে হয়, এবং অপেক্ষা করতে হয় সঠিক সময়ের জন্য। যে ধৈর্য ধরে প্রতিদিন সামান্য একটু হলেও কাজ করে শেষ পর্যন্ত সফলতাটা তার কাছেই ধরা দেয়। তাই আপনাকে CPA Marketing এ সফল হতে হলে সময় এবং ধৈর্য নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
CPA মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?
- ভালো একটি CPA নেটওয়ার্ক সিলেক্ট করুন যেমন, CPA GRIP, AFFMINE, ADSTERRA, MYLEAD, MaxBounty, ইত্যাদি
- অ্যাকাউন্ট খুলুন এবং অ্যাপ্রুভাল নিন। কিছু নেটওয়ার্ক অ্যাপ্রুভাল কঠিন হলেও সঠিক তথ্য দিলে এবং ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল প্রুফ থাকলে সহজ হয়।
- CPA অফার ব্রাউজ করে পছন্দ করুন। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই ক্যাটাগরি বেছে নিন যেমন, ফ্রি গিফট কার্ড, গেম ইনস্টল, ট্রায়াল ইত্যাদ আপনি আপনার মত করে বেছে নিতে পারেন।
- CPA লিংক তৈরি করে শর্ট করুন Bitly বা TinyURL ব্যবহার করে লিংক শর্ট করে নিন।
- আপনার ট্র্যাফিক সোর লিংক প্রমোশন করুন। সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, ইউটিউব, ফোরাম, বা ইমেইলে লিংক দিন।
- রেজাল্ট ও কনভার্সন মনিটর করুন CPA ড্যাশবোর্ড থেকে।
- পেমেন্ট সংগ্রহ করুন যখন মিনিমাম লিমিট পূরণ হবে। পেমেন্ট সিস্টেম: PayPal, Payoneer, WebMoney, Binance ইত্যাদি।
সিপিএ মার্কেটিং এর সুবিধা
১) প্রোডাক্ট বিক্রি করতে হয় না
অনলাইন ইনকামের অনেক মাধ্যমেই প্রোডাক্ট বিক্রির ওপর নির্ভর করতে হয় যা নতুনদের জন্য কঠিন হতে পারে। কিন্তু CPA মার্কেটিংয়ে আপনাকে কোনো প্রোডাক্ট বিক্রি করার দরকার নেই। শুধু কেউ একটি নির্দিষ্ট কাজ যেমন- ফর্ম পূরণ, অ্যাপ ডাউনলোড, ইমেইল সাবমিট করলেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এটি কাজের ঝামেলা অনেক কমিয়ে দেয় এবং দ্রুত রেজাল্ট পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে।
২) নতুনদের জন্য উপযুক্ত
সিপিএ মার্কেটিং শুরু করার জন্য বড় কোনো ইনভেস্টমেন্ট বা পেইড টুলস প্রয়োজন হয় না। অনেক অফারই আপনি ফ্রি ট্রাফিক ব্যবহার করেও প্রোমোট করতে পারবেন। তাই যাদের বাজেট বা ইনভেস্ট সীমাবদ্ধতা আছে বা একদম শুরুতেই ঝুঁকি নিতে চান না তাদের জন্য এটি একটি সেরা মাধ্যেম। শুধু একটা ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল বা একটা ব্লগ থাকলেই শুরু করা যায়।
৩) প্যাসিভ ইনকামের সম্ভাবনা
আপনি যদি একটি মানসম্মত ভিডিও, ব্লগ পোস্ট বা ফেসবুক কনটেন্ট তৈরি করেন যা মানুষের কাজে আসে, তাহলে সেটা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে। একবার তৈরি করা কনটেন্ট থেকে মাসের পর মাস ইনকাম আসতে পারে এটাই প্যাসিভ ইনকামের সৌন্দর্য। এইভাবে আপনি ভবিষ্যতের জন্য একধরনের ডিজিটাল সম্পদ তৈরি করতে পারবেন। যেখানে একবার কাজ করে রাখলে প্যাসিভ ভাবে ইনকাম আসতে থাকবেন।
৪) ফ্রিতে প্রোমোট করা যায়
অনেক CPA অফার থাকে যেখানে ভিজিটরকে টাকা খরচ করতে হয় না। শুধু ইমেইল সাবমিট, সাইন আপ বা অ্যাপ ইনস্টল করলেই কাজ হয়ে যায়। তাই আপনি সহজে এই অফারগুলো ফ্রি সোর্সে যেমন: Facebook, WhatsApp, YouTube প্রোমোট করে ইনকাম করতে পারবেন। এতে ট্রাফিক কনভার্ট করাও সহজ হয়, কারণ ইউজারদের কিছু কিনতে হয় না।
৫) অনেক বেশি অফার পাওয়া যায়
CPA নেটওয়ার্কগুলোতে হাজার হাজার অফার থাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যেমন: গেমিং, ফিন্যান্স, এডুকেশন, ট্রায়াল সাবস্ক্রিপশন, গিভঅ্যাওয়ে ইত্যাদি। এতে আপনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী বা আপনার অডিয়েন্সের আগ্রহ অনুযায়ী অফার বেছে নিতে পারেন। এমনকি, আপনি একসাথে একাধিক অফারও প্রোমোট করতে পারেন, যার ফলে ইনকামের সুযোগ আরও বাড়ে।
সিপিএ মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি: সফল হওয়ার ৭টি টিপস
১) নির্ভরযোগ্য CPA নেটওয়ার্ক নির্বাচন করুন
আপনার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কোন CPA নেটওয়ার্কে কাজ করছেন তার উপর। যেমন: MaxBounty, CPA Grip, PeerFly ইত্যাদি। ভালো নেটওয়ার্ক মানে ভালো অফার, অনটাইম পেমেন্ট এবং ভালো সাপোর্ট।
২) নির্দিষ্ট নিস (Niche) বেছে নিন
একাধিক নিসে কাজ করার চেয়ে একটি ফোকাসড নিসে কাজ করলে কনভার্সন রেট অনেক বেশি হয়। যেমন: Weight loss, Finance, Dating, Gaming ইত্যাদি।
৩) ভিজিটরের উদ্দেশ্য বুঝুন (User Intent)
কোন ভিজিটর কোন CPA অফার দেখছে — সে কি কেবল ব্রাউজ করছে, নাকি সত্যি আগ্রহী? এই ইন্টেন্ট বুঝে সেই অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করুন।
৪) প্রিমিয়াম ল্যান্ডিং পেজ ব্যবহার করুন
একটি ভালো ডিজাইন করা ল্যান্ডিং পেজ অনেক বেশি কনভার্সন আনে। পেজটি যেন ফাস্ট লোড হয়, মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয় এবং ক্লিয়ার CTA থাকে।
৫) ট্রাফিক সোর্স নির্বাচন করুন
CPA মার্কেটিং-এ ট্রাফিক সোর্স খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রি ট্রাফিকের জন্য YouTube, SEO, Facebook Group ইত্যাদি ব্যবহার করুন। পেইড ট্রাফিকের জন্য Google Ads, Native Ads, অথবা Push Notification Ads ট্রাই করতে পারেন।
৬) ট্র্যাকিং টুল ব্যবহার করুন
আপনার কোন ট্রাফিক সোর্স থেকে কনভার্সন আসছে তা জানার জন্য Voluum, Bemob, বা RedTrack.io এর মতো CPA ট্র্যাকিং টুল ব্যবহার করুন।
৭) A/B টেস্টিং করুন
একটি অফারের একাধিক ল্যান্ডিং পেজ বা ক্যাম্পেইন সেটআপ করে A/B টেস্ট করুন। কোনটা ভালো কাজ করছে সেটা দেখে সেটার উপর বেশি ফোকাস করুন।
কিভাবে শিখবেন CPA মার্কেটিং?
CPA মার্কেটিং কি? কিভাবে এটি কাজ করে, কেন এটি এত জনপ্রিয় এবং কেন আপনার CPA মার্কেটিং করা উচিৎ সব কিছু সম্পর্কে আমরা এত সময় জানলাম, এখন আপনাকে এত কিছু করতে হলে আগে সঠিক ভাবে CPA মার্কেটিং শিখতে হবে। কারণ শুধু বেসিক ধারনা নিয়ে এখন আর কোন মার্কেটপ্লেসে সফল হওয়া যায় না। সকল সেক্টরে এখন কম বেশি কম্পিটিশন রয়েছে। তাই এখানে টিকে থাকতে হলে এবং ইনকাম করতে হলে আগে আপনাকে CPA মার্কেটিং শিখতে হবে।
আর আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে MSB Academy-তে কিন্তু CPA Marketing Mastery নামের একটি বেস্টসেলিং কোর্স রয়েছে। কোর্সটিতে বেসিক থেকে শুরু করে মার্কেটিং এর এডভান্স এবং একদম শুরু থেকে ইনকাম করা পর্যন্ত সব কিছু লাইভ প্রজেক্টের মাধ্যমে শিখানো হবে। কোর্সটিতে আপনি একবার জয়েন হলে পাবেন লাইফটাইম কোর্স এক্সেস + ফ্রি কোর্স আপডেট এবং অভিজ্ঞ মেন্টরের লাইফ টাইম সাপোর্ট যা আপনার কাজে আরও সুন্দর এবং সহজ করে দিবেন এবং আপনার ইনকাম বাড়িয়ে দিবে।
পরিশেষে একটি কথা, CPA Marketing বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকামের একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর উপায়। আপনি যদি সময় দেন, ধৈর্য ধরেন এবং সঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে সিপিএ মার্কেটিং দিয়েই ঘরে বসে মাসে ভালো পরিমাণ ইনকাম করা সম্ভব তবে ভুল পথে না গিয়ে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করাটা খুবই জরুরি।