Blog

User Generated Content (UGC) কি? অনলাইন বিজনেসে এটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট বা UGC এই শব্দটির সাথে অনেকেই পরিচিত আবার অনেকের কাছে নতুন মনে হতে পারে। তবে যারা অনলাইনে বিজনেস এর সাথে জড়িত তাদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়, এবং গুরুত্বপূর্ণ বটে। কারণ, যে কোন বিজনেস এর ক্ষেত্রে কোম্পানির প্রচার এর পর সবচেয়ে বেশি সাফল্য বা মার্কেটিং হয় ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট থেকে। কারণ এটি মানুষের কাছে বেশি ট্রাষ্টের। একটি হিসাবে দেখা গিয়েছে, ব্রান্ড এর নিজের তৈরি কন্টেন্ট এর তুলনায় মানুষ ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট প্রায় ২.৫ % বেশি পছন্দ করে। নতুন বিজনেস এর ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব আরও অনেক বেশি। এই ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট কি? কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে আপনি আপনার নিজের বিজনেস এর জন্য ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট তৈরি করবেন সেই বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।

User Generated Content কি?

ইউজার বলতে আমরা সাধারণত ব্যবহারকারী বা কাস্টমার কে বুঝায়। তাই ইউজার জেনারেটে কন্টেন্ট বলতে সাধারণত কাস্টমার বা ব্যবহারকারী দ্বারা তৈরি করা কোন কন্টেন্ট কে বুঝায়। অর্থাৎ যখন কোন কাস্টমার কোন প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট থেকে কোন একটি নিদিষ্ট ব্র্যান্ড এর পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে ব্যবহার করে সেটা সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করে তাকে মূলত ইউজার জেনারেটে কন্টেন্ট বলে। এটা ব্যবহারকারীর সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে এক ধরনের রিভিউ বলা যায়। সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন ছবি পোস্ট, সোশ্যাল স্ট্যাটাস পোস্ট, বা ভিডিও আকারে সেই প্রোডাক্ট নিয়ে কিছু কথা বলে পোস্ট এবং সেটি সম্পর্কে বড় করে কোন ব্লগ পোস্ট।

কাস্টমার যখন সোশাল মিডিয়াতে এই ধরনের রিভিউ পোস্ট করে তখন সেই প্রোডাক্ট বা ব্রান্ড সম্পর্কে মানুষের মনে আস্থা তৈরি হয়। এতে মানুষের বিশ্বাস বেড়ে যায় এবং নতুন অনেক কাস্টমার তৈরি হয়। এতে করে প্রোডাক্ট এর প্রচার এবং সেল দুইটা অনেক বেড়ে যায়।

ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট এর প্রকারভেদ

সাধারণ ভাবে ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট তিন ধরনের হয়ে থাকে, যথা- লেখা পোস্ট , ছবি পোস্ট, এবং ভিডিও পোস্ট। তবে এর মধ্যে আরও অনেক ধরনের প্রকার বা ভাগ হয়েছে। যেমন-

১) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কাস্টমার ব্যবহার করে সেটা সম্পর্কে যদি ফেসবুকে কোন পোস্ট করে তাহলে সেই কাস্টমারের ফ্রেন্ড লিস্ট যারা থাকবে সবাই সেই সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে নতুন কাস্টমার তৈরি হবে। এবং অনেক মানুষ সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিতে চাইবে। যাদের প্রয়োজন তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এবং কি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার অপশন রয়েছে। অনেকেই সেই পোস্ট শেয়ার করবে, তাদের পরিচিত মানুষকে ম্যানশন করবে এতে করে কিন্তু এক ধরনের পজেটিভ মার্কেটিং হয়ে যাবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে আমাদের একটি কোর্স রয়েছে All-in-one ডিজিটাল মার্কেটিং নামে। যেখানে আপনি নিজে ১৪ রকমের মার্কেটিং কৌশল শিখতে পারবেন যদি কোর্সটি ভাল ভাবে কমপ্লিট করতে পারেন। তাই এই সেক্টরে সিরিয়াস হয়ে থাকলে জয়েন করে ফেলুন এই বেস্টসেলিং কোর্সে।

২) কাস্টমার রিভিউ পোস্ট

আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট থেকে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিতে চাই তখন সেই ওয়েবসাইটে সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর রিভিউ চেক করি। আমাদের আগে যারা এই প্রোডাক্ট নিয়েছে তারা কি বলছে এটি সম্পর্কে সেটা জানার জন্য। এটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সেখানে যদি কাস্টমার প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভাল পজেটিভ রিভিউ দেয় তাহলে পরবর্তী কাস্টমারের আস্থা আরও বেড়ে যায় এবং এতে করে সেল অনেক বেড়ে যায়। আর এটি তখনই হবে যখন আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কোয়ালিটি সম্পূর্ণ হবে। ভাল মানের হবে। কথার সাথে কাজের মিল থাকবে। যেমন আমাদের MSB Academy থেকে কোর্স করে আমাদের কোর্স সম্পর্কে ৯৮% স্টুডেন্ট পজেটিভ মতামত রিভিউ দিয়েছে।

৩) ভিডিও রিভিউ পোস্ট

এখন কিন্তু আর মানুষ শুধু মাত্র লেখালেখিতে সীমাবদ্ধ নেই। রিল ভিডিও, শর্ট ভিডিও এবং কি রিভিউ ভিডিও পোস্ট করে অনেকেই। কারণ সকল সোশ্যাল মিডিয়া, যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, এবং কি টিকটক সব জাগায় কিন্তু এখন ভিডিও শেয়ার করা যায়। অনেক কাস্টমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নেয়ার পর সেটা ব্যবহার করে তার কেমন লেগেছে, কোয়ালিটি কেমন, কতটা মানসম্মত সব কিছু ভিডিও আকারে বলে দেয়। এতে করে মানুষ সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারনা পায়। এখন আপনি যদি চান আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কাস্টমার আরও বেশি করে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করুন তাহলে আপনি তাদের কে স্পেশাল অফার দিয়ে আরও বেশি করে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে নিতে পারেন।

৪) ছবি রিভিউ পোস্ট

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা দেখি অনেকই নতুন কিছু কিনলে সেটা ছবি তুলে পোস্ট করে দেয়। অনেকেই সেখানে লাইক এবং লাভ রিয়েক্ট দেয়। আবার অনেকেই কমেন্ট করে সেটা সম্পর্কে জানতে চাই। আপনি চাইলে আপনার কাস্টমার কে আপনার প্রোডাক্ট এর সাথে কিছু ছবি তুলে সেটা শেয়ার করতে বলতে পারেন। এবং পরবর্তীতে সেটা আপনি আপনার ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন এতে করে কাস্টমার আস্থা অনেক বেড়ে যায়।

আর এই ধরনের ছবি রিভিউ কালেশন করার সবচেয়ে সহজ এবং ভাল মাধ্যেম হল ফেসবুক গ্রুপ। আপনার ব্যান্ড এর নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ ওপেন করবেন এবং সেখানে সবাইকে জয়েন হতে বলবেন এতে করে আপনার বিশাল একটি কাস্টমার গ্রুপ তৈরি হবে এবং সবাই তাদের মতামত দিতে পারবে। যেমন আমাদের MSB Academy অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে সবাই পোস্ট করতে পারে এবং নতুন অনেক কিছু শেয়ার করা হয় সেটা সবাই জানতে পারে।

৫) ইউটিউবে ভিডিও রিভিউ

বর্তমান সময়ে ইউটিউব বেশ জনপ্রিয় ভিডিও রিভিউ এর জন্য। মানুষ এখন কোন কিছু সম্পর্কে জানতে গুগল এর পর ইউটিউবে সেই বিষয়ে সার্চ করে ভিডিও দেখে এবং সেটা অনুযায়ী সিন্ধান্ত নেয়। আর এখন অনেক কাস্টমার এবং ইনফ্লুয়েন্সার রয়েছে যারা তাদের চ্যানেলে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ ভিডিও তৈরি করে থাকে। আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে কাস্টমার এর ভিডিও রিভিউ ইউটিউব চ্যানেলে দিতে পারেন তাহলে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ইনফ্লুয়েন্সার দের মাধ্যমে ভিডিও রিভিউ তৈরি করতে পারেন। যা বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় মার্কেটিং কৌশল।

৬) ব্লগ পোস্ট

ব্লগ পোস্টও বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয়। প্রতিটা ওয়েবসাইটে ব্লগ নামে একটি সেকশন থাকে যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ব্লগ লেখা হয়ে থাকে। এখন অনেক ব্লগিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বিষয় ভিত্তিক টপিক নিয়ে ব্লগ লেখা হয়। আর আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট লেখার একটি সেক্টর রাখতে পারেন যেখানে ব্লগ পোস্ট করার মাধ্যমে কাস্টমার তাদের মতামত শেয়ার করতে পারবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়বে এবং নতুন কাস্টমার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে।

আর বর্তমানে কিন্তু ব্লগ আর্টিকেল লিখে ইনকামও করা যায়। AI দিয়ে এখন খুব সহজে যে কোন বিষয়ের উপর ব্লগ লেখা যায় এবং কম খরচে সহজ ভাবে ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায়। এই বিষয় নিয়ে আমাদের Blogging With Artificial Intelligence নামে একটি কোর্স রয়েছে। Artificial Intelligence (AI)-এর সঠিক ব্যাবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি, প্রফিটেবল নিশ সিলেক্ট, কীওয়ার্ড রিসার্চ, AI দিয়ে ব্লগ রাইটিং, গুগলে ধ্রুত সাইট রেঙ্কিং, সাইট থেকে মাল্টিপল (2x/3x) উপায়ে ইনকাম এবং এই ব্লগিং বিজনেসকে ১০০% অটোমেট করে নিশ্চিন্তে প্যাসিভ ইনকাম করার কমপ্লিট গাইডলাইন এই কোর্সের মধ্যে শিখানো হয়েছে।

ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

সবাই নিজেদের প্রোডাক্ট সব সময় ভাল বলে এইটা স্বাভাবিক বিষয়। কোন ব্র্যান্ড তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে কন্টেন্ট তৈরি করলে বা প্রমোশনাল কোন ভিডিও তৈরি করলে সেটা দেখে মানুষের মনে যতটা আস্থা বা বিশ্বাস তৈরি হয় তার থেকে বেশি বিশ্বাস তৈরি হয় যখন আসে পাশের কোন মানুষ সেটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন রিভিউ পোস্ট করে। কারণ যিনি পোস্ট করেছেন তিনি সেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে রিয়েল রিভিউ দিবেন এইটা মানুষের বিশ্বাস।

তাই আপনার কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে যদি আপনার পুরাতন কোন ব্যবহারকারী আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে পজেটিভ রিভিউ দেয় তাহলে নতুন কাস্টমার তৈরি হওয়ার পাশাপাশি সেটা নিয়ে মানুষের আস্থা থাকবে। এবং এর সুন্দর কিছু প্রভাব আপনার বিজনেসের উপর পড়বে। যেমনঃ

১) গ্রাহকদের বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিশাল একটি জায়গা দখল করে আছে। রিয়েল প্রোডাক্ট যেমন রয়েছে তেমন অনেক ভুয়া এবং ফেইক প্রোডাক্ট রয়েছে। বিভিন্ন সময় মানুষ প্রোডাক্ট কিনে অনেক ভাবে প্রতারিত হয়েছে। তাই এখন অনলাইন থেকে নতুন কোন ব্র্যান্ড এর প্রোডাক্ট কিনে ভয় পায়। অনেক ফেইক ও ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে মানুষ প্রোডাক্ট কিনে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ব্রান্ড নিজেরা যে ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করে প্রচার করতে সেইগুলা মানুষের আস্থা সেই ভাবে অর্জন করতে পারে না।

তাই আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনার পুরাতন কাস্টমার যখন কোন রিভিউ পোস্ট করে সেটা হলে পারে ছবি, লেখা বা ভিডিও সেটা দেখে মানুষের মনে আস্থার জায়গা তৈরি হয়। মানুষের মনে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে একটা বিশ্বাস এর জায়গা তৈরি হয়।

২) প্রোডাক্ট সেল বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে

আপনার ব্র্যান্ড বা কোম্পানির কোন প্রোডাক্ট যখন কোন কাস্টমার ব্যবহার করে সেটা নিয়ে ফেসবুক বা অন্য সোশ্যাল মাধ্যমে প্রোডাক্ট নিয়ে সুন্দর কোন রিভিউ দিবে বা ছবি পোস্ট করবে তখন যাদের প্রোডাক্ট টি প্রয়োজন তারাও কিনার জন্য আগ্রহ দেখাবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করবে। এতে করে প্রোডাক্ট এর সেল যেমন বাড়বে তেমন নতুন নতুন কাস্টমার এর সংখ্যা দিন দিন অনেক বাড়বে। আর নতুন কাস্টমার যত বাড়বে সেল তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

৩) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO তে ভাল প্রভাব ফেলে

আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে পুরাতন কাস্টমার যত বেশি কন্টেন্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করবে তত এটি নিয়ে মানুষ বেশি সক্রিয় হবে। নতুন নতুন কাস্টমার সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ব্রান্ড, আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে সার্চ করবে। সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন সব জাগায় আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে আলচনা হবে আর এতে করে অর্গানিক ভাবে SEO তে বেশ ভাল প্রভাব পড়বে। এতে করে ওয়েবসাইটে SEO Ranking অনেক বৃদ্ধি পায়।

৪) ফ্রিতে মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট দুইটা পাওয়া যায়

আপনি যদি নিজে আপনার ব্র্যান্ড এর কোন কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে সেটার জন্য আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে। আপনি যদি কোন ইনফ্লুয়েন্সার কে দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করতে চান তাহলে তাকে টাকা দিতে হবে। কিন্তু আপনার কাস্টমার যদি আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে খুশি হয়ে কোন রিভিউ কন্টেন্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে সেটা কিন্তু আপনি ফ্রিতে পাবেন। এতে করে আপনি নতুন কাস্টমার যেমন পাচ্ছেন ঠিক তেমন ভাবে ফ্রিতে আপনি কন্টেন্ট পাচ্ছেন।

ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট পাওয়ার উপায় কি?

একজন ব্যবহারকারী শুধু শুধু আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কন্টেন্ট দিবে না। হয়ত এক দুই জন দিবে কিন্তু বেশি ভাগ মানুষ দিবে না। তাই ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট পেতে হলে আপনাকে কিছু সুন্দর কৌশল ব্যবহার করতে হবে। এই কৌশল গুলা প্রয়োগ করে ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট বেশি করে পাওয়া যাবে। যেমন –

১) কাস্টমারের সাথে সু সম্পর্ক বজায় রাখা

কাস্টমারের কাছ থেকে ফ্রিতে প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ কন্টেন্ট পাওয়ার প্রথম ধাপ হল প্রতিটা কাস্টমারের সাথে সুন্দর সু সম্পর্ক বজার রাখতে হবে। হাসি মুখে কথা বলতে হবে। সুন্দর ব্যবহার করতে হবে, কোন সমস্যা হলে সেটা সুন্দর ভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। কাস্টমারের সাথে এতটা ভাল সম্পর্ক রাখতে হবে যেন তারা বার বার আপনার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে। আর এতে করে তারা নিজেকে থেকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ কন্টেন্ট দিবে।

২) প্রমোশনাল অফার দেয়া

অফার ব্যপারটার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ কাজ করে। তাই বিভিন্ন অকেশনে প্রমোশনাল অফার এর ব্যবহার করতে হবে। যেমন, নতুন বছর এর অফার, ঈদ অফার, পূজা অফার, বাংলা নববর্ষের অফার, এমন কিছু অফার দিতে হবে এতে করে নতুন কাস্টমার তৈরি করে সেল বাড়বে।

৩) ফোন কল করে মতামত নেয়া

যারা আপনার কাছ থেকে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অলরেডি নিয়েছে আপনি মাঝে মধ্যে তাদের নাম্বারে কল করে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস তাদের কেমন লেগেছে সেই বিষয়ে মতামত নিতে পারেন। কিভাবে আরও ভাল করা যায়, নতুন কি কি অ্যাড করে তাদের জন্য সুবিধা হয় এই ধরনের পরামর্শ নিতে পারেন। এতে করে কাস্টমার খুশি হবে এই ভেবে যে আপনি তার পরামর্শকে মূল্যায়ন করছে। যার ফলে কাস্টমারের আস্থা অনেক বেড়ে যাবে আপনার ব্র্যান্ড এর প্রতি।

৪) রেগুলার কাস্টমারদের স্পেশাল অফার দেয়া

যারা আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর রেগুলার কাস্টমার তাদের জন্য মাঝে মধ্যে স্পেশাল অফার এর ব্যবস্থা করলে তারা খুবই খুশি হবে। আর এতে করে তারা খুশি হয়ে তাদের সোশাল মিডিয়াতে আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে কন্টেন্ট পোস্ট করবে। সেটা হতে পারে আপনার ব্র্যান্ড কে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট করবে ওনাকে স্পেশাল ছাড় দেয়ার জন্য।

৫) গিফট এর ব্যবস্থা রাখা

মাঝে মধ্যে কাস্টমারদের জন্য সুন্দর গিফট এর ব্যবস্থা রাখতে পারেন। কোন কাস্টমার অনলাইনে প্রোডাক্ট কিনলে ডেলিভারি সময় প্রোডাক্ট এর সাথে ছোট গিফট দিতে দিতে পারেন। গিফট পেলে মানুষ সেটা নিজ থেকে খুশি হয়ে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট গুলাতে সেটা শেয়ার করে। আপনি যখন গিফট দিবেন তখন আপনার ব্র্যান্ড বা কোম্পানির নাম ম্যানশন করে পোস্ট দিবে আর এতে করে সেই কাস্টমারের ফ্যান ফলোয়ার আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে নতুন করে জানতে পারবে। যাদের প্রয়োজন তারা আপনার ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করবে।

৬) বিভিন্ন কুইজ বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা

কাস্টমারদের জন্য মাঝে মধ্যে আপনার পেইজ বা ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট বা মজার কোন বিষয় নিয়ে কুইজ বা প্রতিযোগিতার এর আয়োজন করতে পারেন। এই প্রতিযোগিতার বিষয় বস্তু হিসেবে আপনার ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্ট নিয়ে যে যত সুন্দর রিভিউ দিতে পারবে তাদের মধ্যে বিজয়ীদের স্পেশাল ছাড় এবং স্পেশাল পুরস্কার এর ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে করে সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। এবং সবাই তাদের মত করে কন্টেন্ট পোস্ট করবে এতে করে অনেক কন্টেন্ট যেমন কালেকশন হবে ঠিক তেমনই সবার মধ্যে একটা উদ্দীপনা আমেজ কাজ করবে। আর এতে করে নতুন অনেক কাস্টমার তৈরি হবে।

আশাকরি, এই আর্টিকেলটি পড়ে ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট কি এবং একটি বিজনেসে এটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা পেয়েছেন। তবে এটি স্বীকার করতে হবে অনলাইন বিজনেস এর জন্য ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট বেশ কার্যকারী। ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট এর মাধ্যমে কম সময়ে এবং কম খরচে অনেক বেশি পজেটিভ ফলাফল পাওয়া যায়। তাই ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট কোন ভাবে অবহেলা করা যাবে না। আপনি নিজে টাকা দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে যতটা কাস্টমারের আস্থা তৈরি করতে পারবেন তার থেকে বেশি আস্থা তৈরি হব ইউজার জেনারেটেড কন্টেন্ট এর মাধ্যমে।

Comments

Leave a Reply