Blog

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কি? কেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা হয়?

SEO Search Engine Optimization

ডিজিটাল এই যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর বিষয় হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যাকে সংক্ষেপে SEO বলা হয়। হাজার হাজার লিঙ্ক, ওয়েবসাইট বা পণ্যের মধ্যে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনে যেন আপনার টাই সবার আগে মানুষের সামনের চলে আসে এটি মূলত SEO এর কাজ। আপনার বিজনেস বা সার্ভিস সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকারী দিক হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। কারন প্রতিযোগিতার এই মার্কেটে আপনি যদি সবার সামনের সারিতে না থাকতে পারেন তাহলে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সার্চ ইঞ্জিনের উপর নির্ভর করে সারা পৃথিবীতে লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন অনলাইনে কিছু করতে হলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে জানতে হবে এবং এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে নিজের মধ্যে পরিস্কার জ্ঞান থাকতে হবে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO কি?

সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে মূলত Google, Bing এই সাইটগুলো যেখানে মূলত মানুষ কিছু খুঁজে বের করার জন্য সার্চ করে। মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়মকানুন যা অনুসরণ বা প্রয়োগ করা হলে সার্চ ইঞ্জিন কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং র‍্যাঙ্ক করে থাকে। বর্তমান প্রতিযোগিতার বিশ্বে এসইও ছাড়া সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর বা ট্রাফিক পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আরও সহজ করে বলি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কেউ সার্চ ইঞ্জিন ব্যাবহার করে একটি ওয়েব সাইটকে বিনামূল্যে সকলের কাছে পৌছে দিতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কে সংক্ষেপে SEO এসইও বলে।

ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর জনপ্রিয়তা তত বাড়ছে। অনেকে একে ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে ব্যবহার করছেন ও প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করছেন। এছাড়া যারা ব্লগ পরিচালনা করছেন তাদের ব্লগের পরিচিতি বাড়ানোর প্রয়োজন তো আছেই। ইন্টারনেটে ব্যবসা বাণিজ্য করে টিকে থাকার জন্য এসইও (SEO) এর গুরুত্ব অপরিসীম।

বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম 

গুগল (google), ইয়াহু (yahoo), বিং (bing) ইত্যাদি। এইসব সাইটে আপনি একটি শব্দ সার্চ বক্সে লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করলে, কয়েক সেকেন্ড এর মধ্য অনেক ওয়েবসাইটের লিংক চলে আসে, যেসব লিংকে গেলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়। এছাড়া ভিডিও সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে YouTube অন্যতম এবং গুগলের পরেই ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় পপুলার সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে ইউটিউব।

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন কি ভাবে কাজ করে। আমরা কোন বিষয় নাম লিখলে যে সার্চ ইঞ্জিন আমাদের সামনে অনেক গুলা সাইট লিঙ্ক দেখায় সেটা কি ভাবে দেখায়? সে বিষয়ে আগে জেনে নেয়া যাক। 

সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে মূলত, মানুষের তথ্য খুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটির মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েভসাইটটি কেমন জনপ্রিয়। এগুলোসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে। তাই SEO এর পাশাপাশি কিন্তু আপনার সাইট এর কন্টেন্ট মানসম্মত হতে হবে। তাহলে আপনি ফলাফল খুব দ্রুত পাবেন। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO এর উদ্দেশ্য

সার্চ ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে মূলত ইউজারদের অনুসন্ধানের সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য আর এসইও (SEO) সেই তথ্যকে সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী করে তুলে। এসইও এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি সার্চ ইঞ্জিনে ইউজাররা কী তথ্য খুঁজছে, কী ধরনের সমস্যার সমাধান চাচ্ছে, কী ধরনের শব্দ বা কিওয়ার্ড ব্যবহার করছে এবং কী ধরনের কনটেন্ট তারা চায়। এসইও এর মাধ্যমে আমরা সহজেই ইউজারদের এ সকল সমস্যার সমাধান দিতে পারি।

যে সকল নিয়মগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের প্রথম দিকে দেখাতে পারবেন। এসইআরপি (SERPs) তে প্রথম দিকে আপনার ওয়েবসাইটটিকে দেখানোই এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মূল উদ্দেশ্য। আপনাকে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে, সার্চ ইঞ্জিনের আয়ের উৎস শুধু অ্যাডভারটাইজ বা বিজ্ঞাপন থেকে আসে। তাদের লক্ষ্য হলো ইউজারদের সঠিক তথ্যের সন্ধান দেওয়া যাতে ইউজাররা SERPs-এ পুনরায় আসে এবং দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন মূলত দুই ভাবে করা হয়ে থাকেঃ

  1. অন পেজ অপটিমাইজেশন (On-Page SEO)
  2. অফ পেজ অপটিমাইজেশন (Off-Page SEO)

অন পেজ অপটিমাইজেশন

ব্লগ বা ওয়েব পেজের মধ্যে আমরা যে সকল অপটিমাইজেশন করে থাকি তাকেই অন-পেজ অপটিমাইজেশন বলা হয়। অন পেজ অপটিমাইজেশনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক কিওয়ার্ড খোঁজা এবং এর ব্যাবহার, মেটা ট্যাগের ব্যবহার, টাইটেলে ট্যাগের ব্যবহার, বর্ণনা ট্যাগের ব্যবহার, কী ওয়ার্ড সমৃদ্ধ কনটেন্ট বনানো এবং এক্সএমএল সাইটম্যাপ যুক্ত করণ ইত্যাদি। অন পেজ এসইও মূলত সাইটের ভিতরে কাজ করা হয়ে থাকে। ওয়েবসাইটের যে আর্টিকেল রয়েছে সেই আর্টিকেল গুলোতে এসইও এর বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করার মাধ্যমে তাকে এসইও ফ্রেন্ডলি করা হয়। এই অন পেজ অপটিমাইজেশন খুব ভাল ভাবে করতে পারলে ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে খুব দ্রুত রাঙ্কিং করবে।

অফ পেজ অপটিমাইজেশন

অফ পেইজ অপটিমাইজেন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেন যার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামুলক রেঙ্কিং এ একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সাধারনত উন্নত ব্যাকলিংক, আর্টিকেল মার্কেটিং, ফোরাম পোস্টিং, ইত্যাদির মাধ্যমে অফ পেইজ অপটিমাইজেশন করা হয়। অফ পেইজ অপটিমাইজেশন শুধুমাত্র একটি পাতায় নয় এর সঠিক ব্যাবহার আপনার পুরো ব্লগের উপরে পরবে অর্থাৎ এর ফলে আপনার ব্যাকলিংক বৃদ্ধি পাবে এবং পেজ রেঙ্ক বেড়ে যাবে। তাই চেষ্টা করা উচিত সাইট এর কন্টেনটগুলো যেন অন্যান্য সাইট থেকে একটু আলাদা হয়। এর পরে আপনি আপনার কন্টেনট অনুযায়ী কিছু জনপ্রিয় কী- ওর্য়াড আপনার কন্টেনট পেইজ এ যোগ করে দিন। অন পেজ এবং অফ পেজ এসইও মূলত বেশি কার্যকারী। যা সার্চ ইঞ্জিন এর সঠিক নিয়ম মেনে করা হয়ে থাকে। এছারও এসইও করার আরও উপায় রয়েছে। যেমন

  1. ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
  2. হোয়াইট হ্যাট এসইও

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও (Black Hat SEO)

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর মাধ্যমে ও আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইট রাঙ্কিং করতে পারবেন তবে সেটা সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম এর বাহিরে গিয়ে। সহজ কথায় ব্ল্যাক হ্যাট অপটিমাইজেশন হল সার্চ ইঞ্জিনের নিয়মনীতি ভঙ্গ করে অর্থাৎ অসৎ উপায় অবলম্বন করে এসইও করা। অনেকেই সার্চ ইঞ্জিনে তাড়াতাড়ি র‍্যাংক করার জন্য কৃত্রিমভাবে লিংক বিল্ডিং করে যেটা সম্পূর্ন সার্চ ইঞ্জিনের নীতিবিরুদ্ধ। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন এর নীতিমালার বাহিরে কাজ করে তাই এটি বলতে গেলে অবৈধ। আপনি হয়ত এটি দিয়ে খুব দ্রুত সাইট রাঙ্ক করাতে পারবেন তবে সেটা লং টাইম থাকবে না এবং যদি সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে আপনি নিয়ম এর বাহিরে গিয়ে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যাকলিংক তৈরি করে এসইও করেছেন তাহলে পুনরায় আর আপনার সাইট Rank করাতে পারবেন না। এমন কি সাইট ব্লক করে দিতে পারে। এটি অস্থায়ী এবং অবৈধ তাই এটি না করাই ভাল।

হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO)

সার্চ ইঞ্জিন স্বীকৃত এসইও পদ্ধতি হলো হোয়াইটহ্যাট এসইও। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন এর সঠিক নিয়ম নীতি মেনে যে পদ্ধতিতে সাইট এসইও করা হয় তাকে মূলত হোয়াইটহ্যাট এসইও বলে। এক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন থেকে traffic পেতে সময় লাগলেও, কিছু সময় কষ্ট করার পর কোনো সমস্যা ছাড়া Google বা অন্যান্য search engine গুলোর থেকে organic traffic সব সময় পেতে পারবেন এবং এই পদ্ধতিতে সাইট র‍্যাংক করানো সম্ভব হলে তা দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর হয়ে থাকে।

SEO শুরুর আগে যে বিষয় গুলো জেনে নেয়া জরুরী

যদিও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের লার্নিং কার্ভ বিশাল তারপরেও নতুন অবস্থায় SEO এর কাজ করতে গেলে আগে আপনার বেসিক কিছু ব্যাপারে ধারণা রাখতে হবে। তাই SEO শুরুর আগে কি কি বিষয়ে আগে জেনে নেয়া দরকার সেই বিষয়ে আমরা এখন জানব।

১) কিওয়ার্ডঃ কীওয়ার্ড (Keyword) হলো একটি শব্দ যা ওয়েব পেজের বিষয়বস্তু বর্ণনা করে। অর্থাৎ একটি কীওয়ার্ড হলো সার্চ ক্যোয়ারী (Search Query) বা এর নির্দিষ্ট শব্দ যার উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটগুলোকে SERP-এ প্রদর্শন করে থাকে। আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে বুঝায় আমরা সার্চ ইঞ্জিনে যা লিখে সার্চ করি সেটাই কীওয়ার্ড। ধরুন ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এটি একটি কীওয়ার্ড। এখন যদি কেউ গুগলে বা সার্চ ইঞ্জিনে ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এইটা লেখে সার্চ করে তাহলে গুগল বা সার্চ ইঞ্জিন এই কীওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে SERP এ ওয়েব পেজ গুলির একটি তালিকা বা লিস্ট প্রকাশ করবে। এখন যদি আপনার ওয়েবসাইটে সার্চকৃত কিওয়ার্ড বা এর কোন বিষয় নিয়ে কোন কিছু লেখা থাকে কোন ব্লগ বা আর্টিকেল যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং করার সঠিক নিয়ম, ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কি ভাবে শিখবেন? ইত্যাদি যদি কীওয়ার্ড হিসেবে ঠিক করা থাকে তাহলে গুগল এর প্রকাশ করা লিস্টে আপনার ওয়েবসাইট দেখাবে। তাই বলা যায় কীওয়ার্ড হল সফল SEO এর প্রথম ধাপ।

২) সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজঃ সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ হলো যখন আমরা কোন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করার পর যে পেজে রেজাল্ট গুলোকে দেখানো হয় সেই পেজটিকেই SERP (Search Engine Result Page) বলা হয়। অর্গানিক সার্চ রেজাল্টগুলো কোনো পেড বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নয় কেবল এসইও–এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে আসে। বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজকে বলা হয় SERPs এবং এখন অ্যাডভারটাইজিংয়ের পাশাপাশি অরগানিক রেজাল্ট অনেক বেশি সমৃদ্ধ। SERPs–এর কিছু ফিচার অরগানিক এবং তা এসইওয়ের মাধ্যমে প্রভাবিত করা যায়। আপনি যদি সার্চ করেন ‘Dhaka Weather’ তাহলে আপনি দেখতে পাবেন কোনো লিংকের পরিবর্তে ঢাকার জলবায়ু পূর্বাভাসের একটি চিত্র। এবং আপনি যদি সার্চ করেন ‘MSB ACADEMY’ তখন দেখবেন MSB ACADEMY অবস্থান গুগল ম্যাপে, সাথে লিংক এবং তাদের ছবি চলে আসবে। আপনাকে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে যে, সার্চ ইঞ্জিনের আয়ের উৎস শুধু অ্যাডভারটাইজ বা বিজ্ঞাপন থেকে আসে। তাদের লক্ষ্য হলো ইউজারদের সঠিক তথ্যের সন্ধান দেওয়া যাতে ইউজাররা SERPs-এ পুনরায় আসে এবং দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।

৩) ডোমেইন অথোরিটিঃ ডোমেইন অথরিটি এমন এক search engine ranking score, যেটা moz organization/company দ্বারা জারি করা হয়েছে। এই ডোমেইন অথরিটি স্কোর এর মাধ্যমে, সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে যেকোনো ওয়েবসাইটের তার রাংক (rank) করার ক্ষমতা আন্দাজ করা হয়। মানে, যতটা বেশি যেকোনো ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি score থাকবে, ততটাই বেশি সেই ওয়েবসাইট, অণ্য কম ডোমেইন অথরিটি থাকা ওয়েবসাইটের তুলনায়, ভালো ভাবে সার্চ ইঞ্জিনে রাংক (rank) করার ক্ষমতা রাখবে। ডোমেইন অথরিটি score অধিক থাকা মানে, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের রাংক করার ক্ষমতাও অধিক থাকা। Domain authority, যেকোনো ওয়েবসাইটের ১ থেকে ১০০ অব্দি হতে পারে। এবং, যতটাই বেশি ততটাই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভালো।

৪) পেজ অথোরিটিঃ এসইও শুরু করার আগে পেজ অথোরিটি সম্পর্কেও পরিস্কার ধারনা থাকতে হবে। এটাও Moz কর্তৃক তৈরি করা একটি র‍্যংকিং সিস্টেম যা ১ থেকে ১০০ এর মাঝে সব সাইটের পেজগুলোকে র‍্যাংকিং করে। এটি Moztrust, Mozrank এরকম আরো অনেক ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। ডোমেইন অথরিটির মত পেজ অথরিটিও সবসময় ওঠানামা করে। এটা ৩০-৪০ করা যতটা সহজ ৮০ বা, ৯০ এ নেয়া ততটা সহজ না। অনেক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এটা করা হয়।

৫) পেজ র‍্যাংকিংঃ পেজ র‍্যাংকিং গুগলের অ্যালগোরিদমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা একটি ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজে নিয়ে আসে। গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এটি বিভিন্ন ওয়েবপেজের কোয়ালিটি বিবেচনা করে ওয়েবপেজটিকে গুরুত্ব অনুসারে র‍্যাংকিং এ আনে। ওয়েবসাইটের জন্য সার্চইঞ্জিনের র‌্যাঙ্ক অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসইও শিখতে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে কীভাবে সার্চইঞ্জিনগুলো URLগুলোকে র‌্যাঙ্ক করে? এর উত্তরে যাওয়ার আগে র‌্যাঙ্কিং বিষয়টি জেনে নিতে হবে। সার্চইঞ্জিনগুলো কীভাবে নিশ্চিত হয় যে, যখন কোনো ইউজার সার্চ বারে কোনো কিছু লিখে সার্চ করে, তখন তারা সঠিক রেজাল্ট পাবে? এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় র‍্যাঙ্কিং। যেখানে সার্চ করা তথ্যের সঙ্গে মিল রেখে যে রেজাল্টটি ইউজারের জন্য উপযোগী করে তা দেখানো হয়।

৬) র‍্যাংক ব্রেইনঃ র‍্যাংক ব্রেইন গুগলের হামিং বার্ড সার্চ অ্যালগোরিদমের একটি যা গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে কাজ করে। র‍্যাংকব্রেইন হচ্ছে একপ্রকার মেশিন লার্নিং যা গুগল কোর অ্যালগরিদম-এর একটি কম্পোনেন্ট। এটি এমন একটি র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর যা সময়ে সময়ে কম্পেয়ার করে কার আগে র‍্যাংকে থাকা উচিত আর কার থাকা উচিত না। র‍্যাংকব্রেইনের কার্যক্রম অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করতে পারে। যেহেতু র‍্যাংক ব্রেইনের কাজ সবচেয়ে যোগ্য কন্টেন্টকে সবার সামনে উপস্থাপন করা। এসইও শুরুর আগে র‍্যাংক ব্রেইন সম্পর্কে বিস্তাতির ভাবে জানতে হবে।

৭) HTML টাইটেল ট্যাগঃ অন পেজ এসইও করার সময় HTML টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে এইচটিএমএল এর ভূমিকা অনেক বেশি। HTML এর পূর্ণরূপ হলো Hyper Text Markup Language। এসইও এর জন্য এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কোন ওয়েবসাইটের জন্য তৈরি কন্টেন্টের জন্য মূল শিরোনাম লিখতে এই ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। এর সঠিক ব্যবহারে আপনার কন্টেন্ট গুলো SEO Friendly ও হবে।

৮) HTML মেটা ট্যাগঃ সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর আনার জন্য অন পেজ SEO খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই অন পেজ SEO এর একটি বড় অংশ হলো Meta Tag. আপনার সাইট এ যদি সার্চ ইঞ্জিন হতে ভিজিটর আনতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই ম্যাটা ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। মেটা ট্যাগ হল একধরনের HTML কোড। HTML মেটা ট্যাগ টাইটেল ট্যাগের মতই এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মেটা ট্যাগ হচ্ছে ওয়েবসাইটের জন্য তৈরি কন্টেন্ট এর একটি সংক্ষিপ্ত সারমর্ম যার মাধ্যমে আপনার ব্লগ কি সম্পর্কে তা সার্চ ইঞ্জিন ও ভিজিটর জানতে পারে। মেটা ট্যাগে অনেকগুলা বিষয় জড়িত থাকেযেমনঃ- ব্লগের বিবরন, ব্লগের কি ওয়ার্ড, ব্লগের মালিকের নাম, robots ইত্যাদি।

৯) গুগল স্যান্ডবক্সঃ এসইও এক্সপার্ট হওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই গুগল স্যান্ডবক্স সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এটি আপনার সিস্টেমে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যার মাধ্যমে কোন প্রোগ্রাম একে অপরের স্পর্শ থেকে দূরে থাকে। কোন ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার যদি আপনার সিস্টেমে ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত করাতে চায় তো সে ব্যর্থ হয়, কেনোনা স্যান্ডবক্সিং মানে ঐ প্রোগ্রামকে অত্যন্ত কড়া নিয়মের মধ্যে রান করানো। বর্তমানে অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যারা অলরেডি স্যান্ডবক্সের উপর কাজ করে আপনার সিস্টেম নিরাপদ রাখছে, কিন্তু সকল সফটওয়্যারে ডিফল্টভাবে স্যান্ডবক্সিং থাকে না, আপনাকে নিজ থেকে এই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

১০) ব্যাকলিংকঃ ব্যাকলিংক এসইও এর অফ পেজ অপটিমাইজেশনের অংশ। ব্যাকলিংক একটি ইংরেজি শব্দ।ইংরেজিতে ব্যাক মানে পেছনে অন্যদিকে লিংক মানে সংযোগ। ব্যাকলিংক হচ্ছে একটি এক্সটারনাল লিংক (External Link) যা অন্য একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনি আপনার সাইটে পেয়ে থাকেন। আরো সহজভাবে বললে, যখন অন্য কেউ তাদের ওয়েবসাইটের কোন এক কনটেন্টে আপনার সাইটের লিংক প্রকাশ করে, তখন তাকে ব্যাকলিংক বলে। সহজ কথায়, একটি ওয়েবসাইটের লিংক অন্য একটি সাইটে থাকলেই ব্যাকলিংক। উদাহরণ হিসেবে আমাদের ওয়েবসাইটের একটি লিংক যদি প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে থাকে তাহলে আমাদের সাইটের জন্য একটি ব্যাকলিংক। ব্যাকলিংক এসইও এর জন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিংয়ের পিছনে ব্যাকলিংকের অবদান অনেক। ব্যাকলিংক মূলত দুই ধরনের হয়, ডুফলো ব্যাকলিংক এবং নোফলো ব্যাকলিংক।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO এর সুবিধা

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর অনেক সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি সঠিক নিয়মে এটি করতে পারেন তাহলে দীর্ঘস্থায়ী এর সুবিধা পাবেন। কারন ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সেক্টর হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO। সঠিক পদ্ধতিতে আপনার বা আপনার কোম্পানির সাইটের জন্য যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ করা হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে প্রচুর বেনিফিট পাওয়া যাবে, ওয়েবসাইটকে ঠিক মত Monetize করতে পারলে প্রচুর রেভিনিউও জেনারেট করা সম্ভব। SEO-এর কিছু সুবিধা পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করছিঃ

১) খরচ কম এবং অর্গানিকঃ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্যের মার্কেটিং করতে যে টাকা খরছ হয় তার থেকে অনেক কম খরচে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় এসইও এর মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনের তুলনায় খরছ অনেক কম। এবং এর মাধ্যমে খুব সহজে কম খরচে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। বিজ্ঞাপন এবং পেইড মার্কেটিং থেকে এসইও  খরচ যেমন কম এর পাশাপাশি অর্গানিক উপায়ে কাস্টমার এর কাছে আপনার ওয়েবসাইট বা প্রোডাক্ট পৌঁছাতে পারবেন।

২) সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধিঃ আপনার ওয়েবসাইট যত ভাল এবং সুন্দর হোক না কেন যদি ভিজিটর না আসে তাহলে সেটার কোন ভেলু থাকবে না। আমার ওয়েবসাইট কন্টেন্ট যত ভাল হোক না কেন যদি সেটা ভিজিটর না দেখে ওদের কাছে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে সেটা মূল্যহীন হয়ে পড়ে। কারন ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আমাদের সবার একটা উদ্দেশ্য থাকে যেন অনেক বেশি ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করে। যত বেশি ভিজিটর ওয়েবসাইটে আসবে ট্রাফিক তত বাড়বে সাথে আপনার সেল অনেক বেড়ে যাবে। এসইও এর স্ট্র্যাটেজি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং উন্নতি করবে এবং আপনার সাইটকে দ্রুততার সাথে ভিজিটরের সামনে আনবে।

৩) ‘’ROI (return on investment)’’ এ ভালো স্কোরঃ যদি আপনার একটি ভাল এসইও কোম্পানির সাহায্য নেন, তাহলে তারা আপনার এসইও বিজ্ঞাপনগুলি কতটা কার্যকর তা সঠিকভাবে ট্র্যাক করতে সক্ষম হবে। আপনি আপনার র‍্যাঙ্কিং, ট্রাফিক সংখ্যা এবং কাস্টমারের অনুপাত দেখতে পারবেন এবং আরও ভালো ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

৪) ব্র্যান্ডের গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্বস্ততা বাড়বঃ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়ে যখন আপনার ওয়েবসাইট বা পণ্য সবার প্রথমে দেখতে পাবে তখন অন্য সবার থেকে আপনার ব্র্যান্ড বা সাইট উপর বেশি বিশ্বাস রাখবে। সবার কাছে বিশ্বস্ততা অনেক গুন বেড়ে যাবে। আপনার সাইট বা পণ্য যখন সবার উপরে থাকবে তত বেশি গ্রাহক বা ভিজিটর আকৃষ্ট হবে। এতে করে আপনার ব্র্যান্ডের গ্রহণযোগ্যতা সবার কাছে অনেক বেড়ে যাবে। আর আপনি যদি একবার মানুষের মনে বিশ্বাস এর জায়গাটা তৈরি করে নিতে পারেন তাহলে আপনার উন্নতির ধারা তার সাথে Profit সবার থেকে বহু গুনে বেড়ে যাবে। কারন আপনার যদি কোন ব্র্যান্ড উপর আস্থা বা বিশ্বাস চলে আসে আপনি বার বার সেই ব্র্যান্ড জিনিস খুঁজবেন। 

৫) বিজনেস প্রসারিত করতে সাহায্য করেঃ আপনি যত বেশি ট্রাফিক পাবেন, আপনার সার্ভিস এবং প্রোডাক্টকে সাধারনের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া আপনার পক্ষে তত সহজ হবে। এসইও টুলস আপনাকে আপনার কাস্টমারদেরদের কাছ থেকে আপনার পন্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত পেতেও সাহায্য করে। কাস্টমারদের মতামত আপনাকে আপনার পণ্য বা সেবাকে কাস্টমাইজ করতে সাহায্য করবে, যাতে আপনি আপনার কাস্টমারদের চাহিদা আরও ভালভাবে পূরণ করতে পারেন। আপনি আপনার কাস্টমারদের চাহিদা যত ভালোভাবে পূরণ করবেন, ততই আপনার ব্যবসা প্রসারিত হবে। এছার সঠিক এসইও করার মাধ্যমে টার্গেট কাস্টমার এর কাছে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে পারবেন।

৬) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত তৈরি করবেঃ আমরা সবাই জানি বর্তমান সময় হল প্রতিযোগিতার সময়। আর এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে সব সময় সবার উপরে থাকতে হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে আপনার আশেপাশের প্রতিদ্বন্দ্বীরাও পিছিয়ে থাকবে না। তারাও সর্বোচ্চ পরিমানে এসইও ব্যবহার করে র‍্যাংকিং এর শীর্ষে থাকার চেষ্টা করবে। আর আপনিও চাইবেন না যে আপনার ভিজিটর বা কাস্টমার অন্য কোথাও চলে যাক। সেজন্য আপনাকে ভাল সার্ভিস অবশ্যই দিতে হবে, তার পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO আপনার সাইট বা সার্ভিসকে র‍্যাংকিং রেখে আপনাকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত তৈরি করবে।

৭) ওয়েবসাইটকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করেঃ এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন আপনার ওয়েবসাইটকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে অনেক বেশি সহায়তা করে। আপনার ওয়েবসাইটের লিংক এবং স্ট্রাকচার সহজে ব্যবহার করা যাবে এমন পদ্ধতিতে সাজানো হয়েছে কিনা তা বিভিন্ন এসইও টুল দ্বারা নিশ্চিত করা যায়। এসইও কেবল আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে ইনডেক্স ও র‍্যাংক করতেই সাহায্য করে না বরং ভিজিটরকেও নির্ধারিত কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আপনার সাইটটিকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। আপনার ওয়েবসাইট যখন সঠিক পথে থাকবে তখন আপনার ভিজিটর এর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।

৮) ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেনঃ ইন্টারনেটে থাকা মিলিয়নেরও বেশি ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনি নিশ্চয় আলাদাভাবে দাঁড়াতে চান এবং চান যে লোকেরা আপনাকে সহজেই খুঁজে পাক? ভালোমানের এসইও অ্যাপ্লিকেশনসমূহ মূলত এই কাজটিই করে থাকে। বর্তমান যুগে ইন্টারনেটের উপযুক্ত ব্যবহার আপনার ব্যবসার সাফল্যের জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার উপস্থিতি যত বেশি হবে তত বেশি ট্রাফিক পাবেন। সঠিক উপায়ে এসইও করার মধ্যে দিয়ে আপনি খুব সহজে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে আপনার ওয়েবসাইট পৌঁছে দিতে পারবেন।

৯) প্রচুর ক্লিক পেতে সাহায্য করবেঃ সার্চ ইঞ্জিনে মানুষ কোন কিছু সার্চ করে প্রথম পেজে যে লিঙ্ক গুলা থাকে সেই লিঙ্কে বেশি ক্লিক করে আর সেখানে যদি সে তার পছন্দের জিনিস পেয়ে যায় তাহলে আর দ্বিতীয় পেজে যায় না। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে সার্চ ইঞ্জিনের মোট ক্লিকের ৬০-৭০% ক্লিক র‍্যাংকের প্রথমে থাকা ওয়েবসাইট গুলাতে হয়ে থাকে। এসইও মূলত আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। এতে করে আপনি প্রচুর ক্লিক পাবেন এবং ভিজিটর পাবেন এবং সেল ইনকাম সব কিছু দ্রুত বেড়ে যাবে।

১০) কাস্টমার তথ্য সংগ্রহ করতে সাহায্য করবেঃ যেকোন বিজনেসে কাস্টমারের ডিমান্ড বুঝতে পারা বিশাল ব্যাপার। আপনার আশেপাশে কাস্টমাররা কি খুঁজছে, কি কিনছে, এবং কি মূল্য দিতে ইচ্ছুক এই বিষয়টি যখন আপনি বুঝতে পারবেন তখন এই তথ্য আপনাকে আপনার পণ্য ও সেবাকে আরো উন্নত এবং সঠিক ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। আর এসইও আপনাকে তথ্য সংগ্রহ করতেও সাহায্য করবে। একবার আপনার ওয়েবসাইট টপ র‍্যাংকিং নিয়ে যেতে পারলে, অন্য কারও পক্ষে আপনার স্থান পরিবর্তন করা এবং আপনাকে রিপ্লেস করা খুব কঠিন হয়ে যাবে।

ক্যারিয়ার হিসাবে SEO এক্সপার্টদের ভবিষ্যৎ কেমন?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি? কি ভাবে করে হয় এবং এর সুবিধা এই সব কিছু আশা করি উপরের লেখাটা পড়ে বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও কেমন হবে? আপনি যদি বর্তমান অনলাইনের দিকে একটু ভাল ভাবে লক্ষ্য করেন থাকলে দেখতে পারবেন অনলাইনের সব কিছু তে এখন এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারন সবাই চাই তার ওয়েবসাইট বা পণ্য বা যে কোন সার্ভিস যায় হোক সেটা যেন সঠিক উপায়ে সবার কাছে পৌঁছে যায় এবং মানুষ যেন খুব সহজে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনে তার সেই সার্ভিস বা পণ্য সহজে খুজে পায় এবং সে সম্পর্কে মানুষ জানতে পারে।

আপনি যদি একজন SEO এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে শুধু মাত্র এই এটি অভিজ্ঞতা দিয়ে অনলাইনে যে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেমন Fiverr, Upwork, 99Desings, এই সকল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রতি মাসে অনেক স্মার্ট ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া আমাদের দেশি অনেক ওয়েবসাইট ও কোম্পানি রয়েছে যারা বর্তমানে ডিজিটাল ভাবে তাদের সার্ভিস বা প্রতিষ্ঠানকে মার্কেটিং করে আর সে ক্ষেত্রে প্রয়জন সঠিক এসইও। আপনি চাইলে এই সকল প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে প্রতিমাসে হ্যান্ডসাম একটা ইনকাম করতে পারেন।

এছাড়াও আপনি যদি নিজে যদি কোন ওয়েবসাইট তৈরি করে বা অনলাইন স্টোর তৈরি করে আর্টিকেল লেখা বা প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করতে চান সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর। অনেকেতো আবার টিম তৈরি করে মার্কেটিং এজেন্সির মাধ্যমে গ্লোবালি SEO-এর সার্ভিস দ্দিচ্ছে। আশা করি বুঝতেই পারছেন, আপনি যদি একজন SEO এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করতে পারেন। আসলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ছাড়া একটা ওয়েবসাইট কখনোই পূর্ণতা পায় না। কারন কোটি কোটি সাইটের মধ্যে আপনার সাইটের অবস্থান প্রথম সারিতে তৈরি করতে হলে এর বিকল্প নেই। তাই আপনি অনলাইনে ভাল কিছু করতে চাইলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা SEO সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। 

Comments

  • User Avatar
    Tarek Rahman
    July 30, 2022

    ব্লগটি পরে SEO সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ হাবিব ভাই এত সুন্দর লেখার জন্য।

  • User Avatar
    azmir haq
    July 30, 2022

    আপনাদের এই লেখা পড়ে seo সম্পর্কে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আশা করি seo নিয়ে একটা কোর্স নিয়ে আসবেন আপনারা তাহলে আরও ভাল হবে আমাদের জন্য।

    • User Avatar

      ইনশাআল্লাহ্‌, খুব শিগ্রই SEO নিয়ে এডভান্স কোর্স আসবে।

Leave a Reply