Blog

১০টি ভিন্ন উপায়ে ই-কমার্স সাইটে বেশী ট্রাফিক আনার প্রুভেন টেকনিক

যেকোনো ওয়েবসাইটের সফলতা নির্ভর করে তার ট্রাফিক সংখ্যার উপর। ওয়েবসাইটের ট্রাফিক তখনই বাড়বে যখন ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর আসবে এবং তারা ওয়েবসাইটে থাকবে। তাই বলা যায় ভিজিটর ই মূলত একটি ওয়েবসাইটের প্রান। ভিজিটর ছাড়া ওয়েবসাইট মূল্য হীন। আর ইকমার্স ওয়েবসাইটের জন্য ত ভিজিটর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট যত ভাল কোয়ালিটির হোক না কেন, মানুষ যদি সেটা সম্পর্কে জানতে না পারে তাহলে সেটা ওয়েবসাইটে থেকে কোন লাভ হবে না। কিন্তু ভিজিটর ত আর এমনেতেই আসবে না। তার জন্য কিছু কাজ করতে হবে। আপনার যে ওয়েবসাইট রয়েছে সেটা মানুষকে জানাতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়বে। কিভাবে জানাবেন, কিভাবে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াবেন সেই সম্পর্কে আজকে এই ব্লগে আমি আপনাকে সাথে ১০ টি টিপস বা কৌশল শেয়ার করব।

ওয়েবসাইট ট্রাফিক কি?

ওয়েবসাইট ট্রাফিক হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট মোট কতজন মানুষ ভিজিট করছে তা নিশ্চিত করা। যেসব কাস্টমার আগে থেকেই আপনার ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করেছে, বা যারা নতুন ব্যবহার করছে বা কাস্টমাররা কোন বিষয়গুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, অথবা আপনার ওয়েবসাইটের কোন কোন পেইজ গুলো কাস্টমাররা বেশি ব্যবহার করছে ইত্যাদি, নানা ধরনের কাজ ওয়েবসাইট ট্রাফিকের অন্তর্ভুক্ত। একটি সহজ উদাহরণ দেয় তাহলে আরও ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবেন। মনে করুন, রাস্তার পাসে আপনার একটি দোকান রয়েছে। এখন আপনার দোকানের সামনে দিয়ে যত লোকজন যাবে সবাই ট্রাফিক। আর যারা আপনার দোকানের ভিতর যাবে তারা ভিজিটর। আর দোকানের ভিতর গিয়ে আপনার দোকানের কি কি প্রোডাক্ট রয়েছে সব কিছু দেখে তার যেটা প্রয়োজন সেটা কিনলে সে হয়ে যাবে আপনার কাস্টমার।

ট্রাফিকের বিভিন্ন ধরণের সূচক রয়েছে যেমন-

  • পেজভিউস
  • ভিজিটর
  • ইউনিক ভিজিটর
  • বাউন্স রেট
  • কনভারশন রেট, ইত্যাদি

কিভাবে আপনি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াবেন?

আসলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখলে ত আর ট্রাফিক আসবে না। ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য অনেক ধরনের কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। আর ট্রাফিক আসলে সেটা ধরে রাখার জন্য কিন্তু কাজ করতে হবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানোর বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। আপনি যদি সঠিক উপায়ে তা প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়বে। সেই সেই রকম কিছু পদ্ধতি এখানে আমি শেয়ার করব আশা করি আপনি সঠিক ভাবে এই গুলা প্রয়োগ করলে ভাল একটি রেজাল্ট পাবেন।

১) ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করুন

ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে হলে আপনাকে ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আর ই কমার্স ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ত এটি আর বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন বলতে কি বুঝানো হয়! মনে করুন, আপনার ঘরে অনেক মেহমান এসেছে, কিন্তু ঘরের অবস্থা এমন যে মেহমানের মন সেখানে কিছুতেই টিকছে না। মেহমান আসে, কিন্তু বেশিক্ষণ থাকছে না। এর কারণ হতে পারে আপনার ঘর অনেক অগোছালো। একটি ইকমার্স ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে কিন্তু তাই। আপনার ওয়েবসাইটে যারা আসবে তাদের কাছে যদি ওয়েবসাইট সুন্দর আকর্ষণীয় না হয় তাহলে তারা ওয়েবসাইটে থাকবে না। তাই আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন যেন ইউজারদের আকর্ষণ করতে পারে সেই ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটে যারা ভিজিট করবে তারা যেন সহজে সব কিছু খুঁজে পায়, সব কিছু যেন সুন্দর একটি ফর্মেটে সাজানো থাকে।

এখন আপনার যদি মনে হয় ইউজার ফ্রেন্ডলি ই কমার্স ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয়, কোন বিষয় গুলার দিকে বেশি নজর নিতে হয়, এই বিষয়ে একটি কমপ্লিট গাইডলাইন প্রয়োজন তাহলে আমাদের eCommerce + Dropshipping Website Development নামে একটি কোর্স রয়েছে আপনি এই কোর্সটি করতে পারেন। এই কোর্সের মধ্যে ডোমেইন হোস্টিং কেনা থেকে শুরু করে, কমপ্লিট একটি মাল্টি-ভেন্ডর ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে গাইড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এই কোর্সের সাথে ৯০০ ডলার মূল্যের প্রিমিয়াম থিমের লাইফটাইম লাইসেন্স দেয়া হবে যা আপনি আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারবেন।

২) ই-কমার্স ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি করুন

বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৪.২ বিলিয়ন একটিভ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। এবং ৯২.৩ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। আপনি জানলে অভাক হবেন, প্রায় ৫৫% ওয়েবসাইটের ট্রাফিক আসে এই মোবাইল ব্যবহারকারী থেকে। তার মানে বুঝতে পারছে প্রায় ৬০ ভাগ ভিজিটর মোবাইলের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকে। এত বিশাল বড় অংকের ভিজিটর কে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করা থেকে বিরত রাখা একদম উচিত হবে না। সুতারাং ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজ যেন মোবাইল ফ্রেন্ডলি হয় সেটা মাথায় রাখতে হবে।

ecommerce mobile

৩) প্রমোশনাল অফার দিয়ে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করা

ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে তাদের ওয়েবসাইটের প্রতি কাস্টমারদের আকর্ষণ ধরে রাখা। সময়ে সময়ে বিভিন্ন প্রমোশনাল অফার দিয়ে, বিশেষ দিন গুলাতে বিশেষ ছাড় দিয়ে কাস্টমারকে ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা। যেমনঃ ডিসকাউন্ট অফার দেয়া। বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান বা দিবস উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দেয়া, বাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার দেয়া, স্পেশাল কোম্ব প্যাকেজ, নির্দিষ্ট কিছু সময়ের জন্য ফ্রী শপিং এর ব্যবস্থা করা, ডেলিভারি ফ্রি অফার এই ধরনের নানা মার্কেটিং টেকনিক কাজ লাগিয়ে কাস্টমারদের আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারেন। যা কিনা আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

আপনি যখন এই ধরনের প্রমোশনাল অফার দিয়ে সোশাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সাধারণ সময়ের থেকে অনেক বেশি বেড়ে যাবে।

৪) ফেসবুক মার্কেটিং এর প্রতি গুরুত্ব দিন

বর্তমান সময় হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ার যুগ। তাই ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানো। ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে ফাচেবুকের প্রায় ৩ মিলিয়ন Monthly ব্যবহারকারী রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৪.৮ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী আছে। অর্থাৎ বলা যায়, প্রতি ৩ জন ব্যক্তির মধ্যে একজন ফেসবুক চালায়। এ সংখ্যাটি ক্রমেই বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বাংলাদেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করবে। সুতরাং বুঝতে পারছেন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ট্রাফিকের জন্যে ফেসবুকের খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এখন ফেসবুকে কিন্তু দুই ভাবে মার্কেটিং করা যায়। পেইড এবং ফ্রি মার্কেটিং আপনি ফেসবুকে আপনার ই কমার্স বিজনেস ওয়েবসাইটের নামে একটি পেজ অথবা একটি গ্রুপ খুলতে পারেন। সেখানে প্রতিদিন আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে পোষ্ট করে শেয়ার করতে পারেন এবং প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় গ্রুপের বন্ধুদের সাথে একটিভ থাকুন। এতে করে কিছু রেগুলার কাস্টমার পাবেন এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক ও বাড়বে।

অন্যদিকে আপনার সব ফলোয়ারদের ছাড়িয়ে আরো বৃহত্তর অডিয়েন্স এর কাছে পৌঁছানোর একটি বড় মাধ্যমে হল ফেসবুকে বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপন দিতে আপনাকে কিছু থাকা খরচ করতে হবে। কিন্তু আপনার পণ্যের সেল বাড়াতে এবং ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে এই পেইড মার্কেটিং অনেক বড় ভূমিকা রাখে। তবে শুধু ডলার খরচ করে ত আর মার্কেটিং করলেই হবে না সঠিক উপায় জানতে হবে এবং সঠিক উপায়ে মার্কেটিং করতে হবে। ফেসবুকে কিন্তু টার্গেট আডিয়েন্স সিলেক্ট করা যায়। যেমন ধরুন, আপনার যে পণ্য সেটার ব্যবহারকারী ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সের উপরে যারা তারা, এখন আপনি যদি তাদের সঠিক ভাবে টার্গেট না করে এর নিচের বয়সের করেন তাহলে দেখা যাবে ডলার খরচ করে মার্কেটিং করেছেন ঠিকই, কিন্তু টার্গেট আডিয়েন্স ভুল হওয়ার কারণে তারা আপনার পণ্য সম্পর্কে বুঝতে পারবেন না। এবং কোন আগ্রহ দেখাবে না এতে করে সেল কমে যাবে এবং ওয়েবসাইটে কেউ ভিজিটও করবে না।

এখন আপনি যদি সঠিক উপায়ে ফেসবুক মার্কেটিং শিখে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে চান তাহলে আমাদের Facebook Marketing কোর্সটি করে ফেলতে পারেন। যেকোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সেল বৃদ্ধি, মেসেঞ্জার চ্যাটবটের মাধ্যমে সাপোর্ট সিস্টেম Automate করা ছাড়াও, আপনার কিংবা ক্লাইন্টের যেকোনো বিজনেসকে নেক্সট লেভেলে কিভাবে নিয়ে যাবেন সব কিছু শিখতে পারবেন আমাদের এই ফেইসবুক মার্কেটিং কোর্সটিতে।

৫) কন্টেন্ট মার্কেটিং তৈরি করা

কন্টেন্ট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটিং এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি জনপ্রিয় করে তুলতে চান অর্থাৎ সকল মানুষের কাছে আপনার ব্রান্ড সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিতে চান তাহলে এই কন্টেন্ট মার্কেটিং অসাধারণ একটি মাধ্যম। এখন কন্টেন্ট কিন্তু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন, ব্লগ পোস্ট হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট পোস্ট হতে পারে আবার ভিডিও মার্কেটিং কিন্তু এই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মধ্যে পরে। ই কমার্স বিজনেসের ক্ষেত্রে কন্টেন্ট মার্কেটিং অসাধারণ ভূমিকা পালন করে।

যেমন ধরুন, আপনি আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে একটি ব্লগ আর্টিকেল লিখলেন এবং সেখানে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরলেন যে কেন এইটা মানুষের প্রয়োজন, কোন কাজের জন্য প্রয়োজন, এইটার সুবিধা সব কিছু। এখন যারা আপনার এই লেখাটি পড়বে তারা কিন্তু প্রোডাক্ট টি দেখার জন্য আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। এই ভাবে ব্লগিং, ভিডিও, সাহায্যে মানুষ আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে যেমন ধারণা পাবে তেমনি সে ওয়েবসাইটটির প্রতি তাদের আগ্রহ বাড়বে আর যা কিনা ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

৬) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা (SEO)

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যাকে সংক্ষেপে SEO বলা হয়। হাজার হাজার লিঙ্ক, ওয়েবসাইট বা পণ্যের মধ্যে ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনে যেন আপনার টাই সবার আগে মানুষের সামনের চলে আসে এটি মূলত SEO এর কাজ। আপনার বিজনেস বা সার্ভিস সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকারী দিক হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। কারন প্রতিযোগিতার এই মার্কেটে আপনি যদি সবার সামনের সারিতে না থাকতে পারেন তাহলে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

seo

কারণ ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আমাদের সবার একটা উদ্দেশ্য থাকে যেন অনেক বেশি ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করে। যত বেশি ভিজিটর ওয়েবসাইটে আসবে ট্রাফিক তত বাড়বে সাথে আপনার সেল অনেক বেড়ে যাবে। এসইও এর স্ট্র্যাটেজি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং উন্নতি করবে এবং আপনার সাইটকে দ্রুততার সাথে ভিজিটরের সামনে আনবে। তাই বলা যায় আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য SEO অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এখন SEO সঠিক ভাবে করতে হলে আপনাকে কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি Important Part এই SEO। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আমাদের MSB Academy তে একটি কোর্স রয়েছে  All In One Digital Marketing Masterclass যেখানে SEO, ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং এবং কুপন বিজনেস থেকে শুরু করে ১৪টির বেশি মার্কেটিং শিখনো হয়েছে। চাইলে আপনি এই কোর্সটি করে ফেলতে পারেন যা আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইটের  ট্রাফিক এবং সেল দুইটাই বাড়াতে কাজে লাগবে।

৭) ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং এর সাহায্য ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি

একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে ইন্সটাগ্রামে প্রায় ২.৩৫ মিলিয়ন Monthly ব্যবহারকারী রয়েছে। এবং বিশ্বের ৪.১৮ বিলিয়ন স্মার্ট ফোন ব্যবহারকারীর মধ্যে ৪৭.৮৪ % মানুষ এই ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করে থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ফেসবুক এর মত ইনস্টাগ্রাম কিন্তু এখন অনেক জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া। ইন্সটাগ্রাম যেহেতু মোবাইল দিয়ে সহজে ব্যবহার করা যায় তাই দিন দিন এর ব্যবহারকারী ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ই কমার্স ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্যে ইন্সটাগ্রাম বিশাল মাধ্যেম। ইন্সটাগ্রামে কিছু সহজ এবং সুন্দর ফিচার রয়েছে যা ব্যবহার করার মাধ্যেম সেল বাড়ানোর পাশাপাশি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানো যায়।

আপনার ওয়েবসাইটের নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলে ইনস্টাগ্রামের বায়োতে আপনি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটের লিংক অ্যাড করতে পারেন যার মাধ্যমে সহজে কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইটটির সাথে সরাসরি সংযুক্ত হতে পারবে। আর ইন্সটাগ্রাম যেহেতু Photo and Video শেয়ারিং আপ্লিকেশন, তাই আপনি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট, স্টোরি এবং রিলসে আপনার প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে পারবেন।

এখন আপনি যদি চান সঠিক উপায়ে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং করে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে তাহলে আপনাকে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং দক্ষ হতে হবে এবং সঠিক কৌশল জানতে হবে। এখন আপনি চাইলে গুগল, ইউটিউব দেখে বেসিক মার্কেটিং ধারনা নিতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে এই ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে MSB Academy এর Instagram Marketing Masterclass এই কোর্সটিতে জয়েন হতে পারেন। এই কোর্সটি ভাল ভাবে কমপ্লিট করলে ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং এর A to Z শিখে যেতে পারবেন আশা করি।

৮) ফোরাম সাইট ব্যবহার করুন

ফোরাম সাইট কে আপনি এক ধরনের Q&A সাইটও বলতে পারেন। যেখানে মানুষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে, কোন জিনিস কোথায় ভাল পাওয়া যাবে সেটি নিয়েও অনেকই পোস্ট করে। বলতে পারেন এটি এক ধরনের ডিজিটাল কমিউনিটি। বাংলাতে অনেক ফোরাম সাইট আছে। যেখানে অনেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকেন। যদি দেখেন যে সেখানে এমন কোন একটি প্রশ্ন আছে যার উত্তর আপনার ওয়েবসাইটে আছে। তাহলে সেখানে ছোট্ট করে উত্তর দিয়ে কৌশলে আপনার ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক দিয়ে বলে দিতে পারেন এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ভিজিট করতে। এতে করে যারা সেই বিষয়ে জানতে চাইবে তারা আপনার দেয়া লিঙ্কে ভিজিট করবে। এতে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়বে এবং ট্রাফিকও বাড়বে।

অথবা আর একটি কাজ করতে পারেন। আপনি নিজেই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ফোরাম সাইট বানাতে পারেন। যেখানে যে কেউ লগিন করে প্রশ্ন করতে পারবে। যদি প্রশ্ন আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড হয়, তাহলে আপনি যতটুকু সম্ভব উত্তর দিবেন। অথবা অন্য কারও উত্তর জানা থাকলে সে উত্তর দিতে পারবে। আসলে মানুষ প্রশ্ন করতে এবং প্রশ্নের উওর দিতে বেশ আনন্দবোধ করে। তাই আপনি চাইলে এই টেকনিক কাজে লাগাতে পারেন ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে।

৯) ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ট্রাফিক বাড়ানো

ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমেও আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করা সম্ভব। ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন কাস্টমার পেতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটে অনেক বেশি ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন ইমেইল মার্কেটিং করে। আর এজন্যে আপনাকে প্রথমেই একটি ইমেইল লিস্ট তৈরী করতে হবে। ইমেইল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে তথ্য কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে চাচ্ছেন তা যেন সুন্দর এবং সংক্ষিপ্ত কিছু লাইনের টেক্সট হয়। ইমেইল মার্কেটিং এর সাবজেক্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে সাবজেক্টি যেন সংক্ষিপ্ত হয়।

email marketing

কাস্টমাররা যেন সাবজেক্টটি পড়েই সম্পূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে। আর এই ইমেইল মার্কেটিং কাস্টমারদের যত বেশি আকৃষ্ট করতে পারবে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও ইমেইল মার্কেটিং করে আপনি আপনার নতুন নতুন জিনিস সম্পর্কে মানুষকে জানাতে পারবেন। আর তারপর তারা আকৃষ্ট হয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। আর এতে আপনার ট্রাফিক বাড়বে।

১০) ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে ট্রাফিক বৃদ্ধি

বর্তমান সময়ে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয়। অন্যান্য সকল মার্কেটিং এর মত ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করেও ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানো যায়। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং আসলে কিভাবে কাজ করে, মনে করুন আপনি একটি টিভি কিনার চিন্তা করছেন, এখন কোন টিভি কিনবেন, কোন কোম্পানির কিনবেন সেটা নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন। এখন অনলাইনে যাকে আপনি ফলো করেন সে যদি কোন একটি নিদিষ্ট ব্র্যান্ড এর টিভি সম্পর্কে বলে সেটা হলে পারে পোস্ট করে অথবা ভিডিও করে যেভাবে হোক না কেন তাহলে, আপনার মাথায় সেই টিভি কিনার চিন্তা আসবে যদি নাও কিনে থাকেন তাহলে একবার হলেও সেই ওয়েবসাইট ভিজিট করে সেই টিভি আপনি দেখবেন। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং মূলত এই ভাবে কাজ করে।

influences

ফেসবুকে যাদের যথেষ্ট ফলোয়ার রয়েছে তারা যদি আপনার ই কমার্স ওয়েবসাইট বা প্রোডাক্ট নিয়ে কোন পোস্ট দেয় বা কথা বলে তাহলে, তার ফ্যান ফলোয়ার তার কথায় বিশ্বাস রেখে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে আর এতে আপনার ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে এবং সেলও বেশি হবে।

আশা করি উপরের এই সম্পূর্ণ লেখাটা পরে আপনি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনার ই কমার্স সাইটের ট্রাফিক বাড়াবেন। তবে আপনি অনলাইনে ওয়েবসাইট ট্রাফিক, সেল যায় বাড়াতে চান না কেন আপনাকে একটি বিষয়ে ভাল ভাবে জানতে হবে সেটা হল ডিজিটাল মার্কেটিং। আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি স্কিল আপনি অনলাইনে যে কাজই করুন না কেন এই স্কিল আপনার জানতে হবে। না হলে সবার থেকে অনেক পিছিয়ে থাকবেন।

Comments

  • User Avatar
    Rabbi53
    December 28, 2023

    Nice Blog. Apnader Digital Marketing Course ki ei Bisoy ta Sikhano Hobe??

Leave a Reply