Blog

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য ইনকামের ৫টি সেরা উপায়

graphic design, money

গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে একটি যুগোপযোগী  ইন্ডাস্ট্রি, যেখানে রয়েছে হাজারো কর্মসংস্থানের সুযোগ। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেক বেকার তরুন-তরুণী এই পেশায় আসছে শুধুমাত্র তাদের বেকারত্বের অবসান ঘটানোর জন্য। কিন্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন কি শুধুই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করছে? নাকি এই সমাজের জন্য এক অনন্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে? আপনার কি মনে হয়? আমরা যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ১০ বছরের একটি জরিপ লক্ষ্য করি, তাহলে যে চিত্র পাব তাতে স্পষ্ট যে গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ার এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার নাম।

Linkedin-এর বিজনেস এনালাইসিস এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত শুধু মাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টর ১৫ বিলিয়ন ডলার এর একটি মার্কেট ভ্যালু তৈরি করবে। আর শুধু তাই নয়, USA Market এ একজন ডিজাইনার এর স্যালারি ৫২ হাজার ডলার হয়ে থাকে প্রতি বছরে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই যুগে গ্রাফিক ডিজাইন ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং কল্পনা করা যায় না। কারন ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য একটি কোম্পানির যা যা প্রয়োজন তার বেশির ভাগই বানাতে গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন হয়। যা গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা তৈরি করে থাকে। 

ব্যানার, পোষ্টার, বিলবোর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া কভার ফটো,ইন্সটাগ্রাম পোস্ট, পোস্টার ডিজাইন, ইউটিউব থাম্বনেইল, টেলিভিশন কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপন ইত্যাদির সবকিছুই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের অন্তর্ভুক্ত। এসব কারনেই গ্রাফিক্স ডিজাইন-এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন যে গ্রাফিক ডিজাইন শিখবেন, তাহলে আমি বলব এটি আপনার জীবনের সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নানা উপায়ে ইনকাম করা যায়। তারমধ্যে আজকে আমি আপনাদের ৫ টি সেরা উপায় বলব।  

গ্রাফিক ডিজাইন কি?

গ্রাফিক ডিজাইন হল একটি আর্ট। গ্রাফিক ডিজাইন এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আপনার নিজের আইডিয়া, শিল্প, এবং দক্ষতা, ব্যবহার করে ছবি, শব্দ , এবং ধারণার মিশ্রণ করে একটি আলাদা এবং নতুন ছবি ডিজাইন তৈরি করা। বিভিন্ন Text, pictures এবং ধারণার মিশ্রনের দ্বারা তৈরি হওয়া এই নতুন ডিজাইনটি হলো গ্রাফিক্স। যা কম্পিউটার সফটওয়্যার দ্বারা তৈরি করা হয়। একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে তথ্যবহুল। আরেকটু সাবলীল ভাষায় বলতে গেলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি আর্ট যা কম্পিউটার সফটওয়্যার ও টুলের মাধ্যমে করা হয়।

MSB Academy তে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে Graphic Design Mastery With Freelancing & Microstock কোর্স পাবলিশ করা হয়েছে। Adobe Photoshop & Adobe Illustrator এর কম্বিনেশনে কমপ্লিট এই গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সটি ভালোভাবে কমপ্লিট করার মাধ্যমে যেকেও এই সেক্টরে এক্সপার্ট হতে পারবে ইনশাল্লাহ। ফ্রিল্যান্সিং এবং ৮টিরও বেশি Microstock সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার গাইডলাইন সহ ১৫০০ ডলার সমমূল্যের ডিজাইন রিসোর্স এই কোর্সে দেয়া হবে। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যদি ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে জয়েন হয়ে যান কোর্সটিতে। 

গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে ইনকাম করার জনপ্রিয় ৫ টি উপায়

আপনি গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ শিখার পর বিভিন্ন মাধ্যম এ ইনকাম করতে পারবেন। তবে সব মাধ্যম আপনার জন্য সঠিক নাও হতে পারে। তাই আপনাকে জানতে হবে আসলে ডিজাইন কি? যা ইতিপূর্বে জেনেছি। এছাড়াও জানতে হবে কি কি ক্যাটাগরির ডিজাইন হয়ে থাকে। ডিজাইন করতে কোন সফটওয়্যার এর ব্যাবহার আমরা প্রফেশনাল ভাবে করে থাকি। এবং সেই সাথে জানতে হবে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ শিখার পর কোন মাধ্যম বা পথ অবলম্বন করে আমরা গ্রাফিক ডিজাইনের ক্যারিয়ার গড়তে পারি। নিম্নে জনপ্রিয় ৫ টি মাধ্যম বা পথ তুলে ধরা হল। 

১) ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং এর রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। কারন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে যেই কাজ আপনি ভাল জানেন, সেই কাজগুলো আপনি ঘরে বসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে করে দিতে পারবেন তাদের কোম্পানির জন্য। সেটি কন্ট্রাক্ট বেসিস অথবা প্রজেক্ট বেসিস আবার ঘন্টা বেসিস ও হতে পারে। এই ধরনের কিছু উল্লেখযোগ্য মার্কেটপ্লেস হলঃ UpWork – Fiverr – Freelancer – Toptal – Guru – People Per Hour Etc. মূলত হাজারো স্কিল আছে আপনার সামনে যে কোন স্কিল ভালভাবে শিখার পর, আপনি সেই কাজের জন্য উক্ত মার্কেট গুলোতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন সম্পূর্ণ  ফ্রিতে। 

একটি উদাহরণ দেই তাহলে আরও ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবেন। ধরুন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একটি শপিং মল, এখানে অনেক দোকান আছে। আপনিও সেই মার্কেট এর একজন দোকানদার। আপনার জানা স্কিল দিয়ে আপনি আপনার  দোকান যত ভাল ভাবে সাজাতে পারবেন, এই শপিং মলে যারা কাজ করাতে আসবে তারা আপনার দোকান ঘুরে ঘুরে দেখবে। আপনার সার্ভিস বা অফার যদি তাদের পছন্দ হয় তাহলে তারা আপনাকে অর্ডার করবে। এখন আপনি বিশ্বের যেকোন যায়গা থেকে সেই কাজ সম্পন্ন করে এই মার্কেটে দিবেন। শপিংমল কর্তৃপক্ষ আপনার আর আপনার গ্রাহকের মাঝে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। 

যতক্ষন আপনি কাজটি করে না দিচ্ছেন, আর আপনার গ্রাহক না বলছে যে সে কাজ পেয়ে গিয়েছে। ততক্ষন শপিং মল থেকে আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট এর মুল্য তার কাছেই রাখবে। দ্বিতীয় পক্ষ ক্লিয়ার হলে তবেই আপনার কাজের যে মুল্য তা আপনাকে দেওয়া হবে। এবং শপিং মল এর নিয়ম বা উক্ত মার্কেটপ্লেসের নিয়ম অনুযায়ী আপনি আপনার কাজের টাকা লোকাল ব্যাংক এ নিয়ে আসতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলো মূলত এই ভাবে কাজ করে। বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ বর্তমানে এই ক্যারিয়ারে ঝুঁকছে। এটি এমন এক স্কিল যা জানলে ভাল্ভাবে আপনাকে বসে থাকতে হবে না। দরকার শুধু ভাল কাজ শিখে একটি ভাল মানের পোর্টফলিও রেডি করা। যাতে বিভিন্ন মাধ্যমে আপনি আপনার কাজ এর সেম্পল সবাইকে দেখাতে পারেন।

২) ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করে আয়  

বর্তমানে অনলাইনে ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করেও ইনকাম করা যায়। প্রথমত আমাদের ডিজিটাল প্রোডাক্ট কি তা জানতে হবে। এর পর ডিজিটাল প্রোডাক্ট কিভাবে বানায় তার পদ্ধতি জানতে হবে। এর পর একটি ভাল ক্যাটাগরি বাছাই করতে হবে এবং আপনার পছন্দের ক্যাটাগরি নিয়ে আপনাকে অনেক ডিজাইন রেডি করতে হবে। আপনার সেই ডিজাইন হচ্ছে আপনার জন্য একটি প্রোডাক্ট। কিন্তু আমরা এই প্রোডাক্ট কে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট এর মত ছুয়ে দেখতে পারি না। কিন্তু আমাদের কাজে বা বিজনেসের জন্য ব্যবহার করতে পারি। তাই এই প্রোডাক্ট গুলো হচ্ছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট। ডিজিটাল প্রোডাক্ট এর কিছু উদাহরণ যেমন – ই-বুক, যে কোন ধরনের সোশাল ডিজাইন, সফটওয়্যার, চিট শিট, ভিডিও, লেখা, চিত্র ইত্যাদি। এই ধরনের প্রোডাক্ট কে আপনি অনেক মাধ্যমে সেল করতে পারেন। এখন সেটি আপনার রেডি  ডিজাইন বা ডিজাইনের কোন ইলিমেন্টস ও হতে পারে। এই সেল করার পদ্ধতি আবার দুই রকম ভাবে হয়ে থাকে।

প্রথমত, নিজের ওয়েবসাইট বা নিজের যে কোন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মার্কেটিং করে মানুষকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানিয়ে।

দ্বিতীয়ত, এমন কিছু মার্কেটপ্লেস ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করার জন্য রয়েছে যেখানে আপনি ফ্রিতে একাউন্ট খুলে আমাদের ডিজাইন সেল করতে পারবো। যেমন- Envato – Template Monster – Etsy – Creative Market ইত্যাদি।  

এখন আপনি যদি নিজে ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি সেখান থেকে সেল করেন তাহলে সম্পূর্ণ Profit আপনার থাকবে কিন্তু তা সেল করার জন্য কিন্তু আপনাকে ফ্রি বা পেইড মার্কেটিং করা লাগবে। তার জন্য কিছু খরচ আপনাকে করতেই হবে। অন্যদিকে রেডি মার্কেটপ্লেস যেগুলো আছে সেগুলোতে একাউন্ট খুলে কাজ দিয়ে প্রোফাইলকে কে আগে রিচ করা লাগে। তারপর অটোমেটিক তাদের প্রিভিয়াস ভিজিটর বা কাস্টমাররা আপনার ডিজাইন দেখে চাইলে কিনে নিতে পারে। তার জন্য আপনার কোন টাকা খরচ করতে হবে না। তবে সেল হলে আপনার প্রোডাক্ট এর একটা লাভের অংশ সেই মার্কেটপ্লেস গুলো কেটে রেখে দিবে তাদের নিয়ম অনুযায়ী। 

৩) মাইক্রোস্টক সাইত থেকে প্যাসিভ ইনকাম

Microstock বলতে ক্ষুদ্রতম এমন কিছু মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি চাইলে আপনার করা একটি ডিজাইন অনেক ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেসে একই সময়ে রাখতে পারবেন এবং প্রতিটা মার্কেটপ্লেসে আলাদা আলাদা প্রাইস সেট করে দিতে পারবেন। অনেক সময় প্রাইস তারা দিয়ে দেয় তাদের পলিসি অনুযায়ী। এর সুবিধা হল, একটি কাজ বার বার করা লাগবে না কিন্তু এক কাজ থেকে বার বার ভিন্ন ভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে আপনি ইনকামের সুযোগ পাচ্ছেন। 

বর্তমানে তেমনি পপুলার কিছু মার্কেটপ্লেস হল- Adobestock, Freepik, Shutterstock, Veectezy, Vectorstock, Alamy ইত্যাদি। বলা বাহুল্য যে, এই ইনকাম কিন্তু থেমে থাকবে না। আপনি যত বেশি ডিজাইন বা আপনার কাজ এখানে রেগুলার বেসিস দিয়ে যাবেন আপনার ইনকাম তত বেশি হবে। এবং একটা সময় গিয়ে স্ট্রং বিজনেসে রুপ নিবে।

এই মাইক্রোস্টক কে কেন্দ্র করে কমপ্লিট ডিজাইন এর উপর MSB Academy তে Income Focused Graphic Design Masterclass For Everyone একটি কোর্স পবালিশ করা হয়েছে। কোর্সের মধ্যে মার্কেটপ্লেসে চাহিদা রয়েছে এমন ডিজাইন এর উপর বেশি ফোকাস করা হয়েছে। কোর্সটি ভালভাবে কমপ্লিট করলে মাইক্রোস্টক সাইট থেকে কিভাবে প্যাসিভ ইনকাম করবেন সেই বিষয়ে কমপ্লিট গাইডলাইন পেয়ে যাবেন। আর একবার কোর্সে জয়েন করলে পাবেন লাইফ টাইম কোর্স এক্সেস + লাইফ টাইম সাপোর্ট+ ফ্রি কোর্স আপডেট এবং প্রয়োজনীয় সকল রিসোর্স এবং সফটওয়্যার।

৪) Design Agency এর মাধ্যমে আয় 

বর্তমান ডিজিটাল যুগে Entrepreneur এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি যতই বড় কোম্পানিতে ভাল জব করেন না কেন, একজন বিজনেস ম্যান এর লাইফ এর তুলনায় আপনি খুব সঙ্কীর্ণ। যত সাক্সেসফুল মানুষ আছে সবাই বিজনেস করেই বড় হয়েছে। তাই বিজনেস করার জন্য যদি আপনি ডিজাইন এর স্কিল কে বেছে নেন তাহলে আমি বলবো আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারন, যে কাজে আপনার প্যাশন থাকবে সেই কাজে আপনার সফলতা থাকবে এবং সেই সাথে একটা বিজনেসে রেগুলার প্রসেস বা কিছু স্টেপ থাকে। যেখানে ধৈর্য ধরে আগাতে হয়, না হলে বিজনেস একটা সময় গিয়ে মুখ থুবড়ে পরে। তাই বিজনেস + প্যাশন এক সাথে হলে আপনার সফলতার পথ সহজ হবে বলে আমি মনে করি।

বর্তমানে ছোট বড় সব কোম্পানির ডিজাইন প্রয়োজন হয়। সোশ্যাল মিডিয়া ফ্রি এবং পেইড মার্কেটিং করে আপনার এজেন্সির সার্ভিস পৌঁছে দিতে পারেন বিশ্বব্যাপী। বর্তমান বিশ্বে ডিজাইনার এর চাহিদা অনেক ব্যাপক রয়েছে। তাই আপনি নিজের ডিজাইন স্কিলকে কাজে লাগিয়ে আপনার বিজনেস কে গ্রো করতে পারলে, আপনি একজন সাক্সেসফুল বিজনেস ম্যান হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবেন। যা আপনার সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। 

৫) Influencer হয়ে ইনকামের সুযোগ

বর্তমান বিশ্বের অনলাইনের প্রায় প্রতিটি  বিজনেস মডেলে এখন আপনি Influencer দের ভূমিকা দেখতে পারবেন। বেশি দূর আপনাকে যেতে হবে না। আপনি যদি ইউটিউব খুলেন তাহলে দেখবেন আপনার সামনে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন আসবে, সেই বিজ্ঞাপন এর কাজ গুলো ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিন্ন ভিন্ন মানুষরা করছেন। Influencer রা মূলত মানুষকে একটা কাজের প্রতি বা কোন কিছুর প্রতি মানুষকে Influence করে অর্থাৎ সেই কাজ করার জন্য মানুষের আগ্রহ তৈরি করে। 

এখন আপনার যদি ডিজাইন স্কিল অনেক বেশি ভাল থাকে। এবং সেটা সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন প্লাটফর্ম যেমন ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুকে পেজে ভিডিও আকারে ডিজাইনের টিপস শেয়ার করে সেখান থাকে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনি ডিজাইন নিয়ে ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দিচ্ছেন এবং সেই ভিডিও দেখে মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারছে, এর মাধ্যমে আপনি ইউটিউব থেকে টাকা পাবেন এবং এর সাথে সাথে আপনার বেশ ভাল ফ্যান ফলোয়ার তৈরি হয়ে যাবে।    

influences

তখন কিন্তু অনেক কিছু সেল করার সুযোগ এখান থেকে হয়ে যাবে। বিভিন্ন কোম্পানি আপনার অডিয়েন্স দেখে আপনাকে খুঁজে তাদের বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করার অফার করবে। তাদের কোন সফটওয়্যার আপনাকে ব্যবহার করার জন্য দিবে এবং এটি নিয়ে একটি রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে বলবে আর এর জন্য আপনাকে কিন্তু হ্যান্ডসাম একটা এমাউন্ট ও তারা প্রোভাইড করবে। নিচের ভিডিটি দেখলে এই ব্যপারে একটা পরিষ্কার ধারণা পাবেন-

শুধু তাই না আপনি চাইলে যে কোন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনার ভিডিও দেখে যারা আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করে সেই কোম্পানির কিছু কিনবে বা ব্যবহার করবে আপনি সেখান থেকে একটা কমিশন পাবেন। এখন আপনি চিন্তা করুন, আপনার কন্টেন্ট এর ভ্যালু কত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, নিজে ভিডিও সেল করতে পারছেন। দ্বিতীয়ত ভিডিও ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে আপলোড দিয়ে সেখান থেকে ইনকাম করতে পারছেন। তারপর স্পন্সরশিপ নিয়ে কাজ করে ইনকাম করতে পারছেন।  

পরিশেষে একটি কথা, গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি স্কিল আপনি যদি এটি ভাল ভাবে অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। কারণ বর্তমানে অনলাইন এবং অফলাইন দুই সেক্টরে এর চাহিদা অনেক বেশি এবং যা ভবিষ্যতে থাকবে। এই সকল দিন বিবেচনা করে MSB Academy প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে Graphic Design Mastery With Freelancing & Microstock কোর্সটি পাবলিশ করা হয়েছে। Adobe Photoshop & Adobe Illustrator এর কম্বিনেশনে কমপ্লিট এই গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সটি ভালোভাবে কমপ্লিট করার মাধ্যমে যেকেও এই সেক্টরে এক্সপার্ট হতে পারবে ইনশাল্লাহ। ফ্রিল্যান্সিং এবং ৮টিরও বেশি Microstock সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার গাইডলাইন সহ ১৫০০ ডলার সমমূল্যের ডিজাইন রিসোর্স এই কোর্সে দেয়া হবে।তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যদি ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে জয়েন হয়ে যান কোর্সটিতে। Good Luck!

Comments

  • User Avatar
    abir25
    December 28, 2023

    সুন্দর নির্দেশনা দিয়েছন ভাই। ধন্যবাদ

  • User Avatar
    fouad18
    December 28, 2023

    আপনাদের দুইটা গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স দেখতে পেলাম এই দুইটা করলে কি প্রফেসনাল ভাবে ডিজাইন শিখা যাবে?

  • User Avatar
    maher45
    December 28, 2023

    আমি প্রিন্ট অন ডিমান্ড কাজ করতে চাই এর জন্য কি আমার গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে হবে?

    • User Avatar

      আমাদের প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড কোর্সে টিশার্ট ডিজাইন A to Z শিখানো হবে। তাই আলাদাভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স না করলেও হবে। সরাসরি এই প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড কোর্সে জয়েন করুন: https://www.msbacademy.com/course/print-on-demand-business/

Leave a Reply