Blog

৯ রকম ভিন্ন উপায়ে WordPress Theme & Plugin Development শিখে ইনকাম করুণ

wordpress theme plugin development

কোডিং এর ঝামেলা ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বর্তমান সময়ে ওয়ার্ডপ্রেস খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সব থেকে চাহিদা সম্পূর্ণ কাজ হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডিজাইন & ডেভেলপমেন্ট। সব থেকে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস Fiverr এ সব থেকে জনপ্রিয় স্কিল হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস & ওয়েবসাইট ডিজাইন। ডেভেলপমেন্ট এর প্রতি যদি আপনার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস থিম অ্যান্ড প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট করে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস থিম অ্যান্ড প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখে কিভাবে ক্যারিয়ার গড়বেন কি ভাবে ইনকাম করবেন সেই বিষয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে।

WordPress কি?

ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্লগ পাবলিশিং অ্যাপলিকেশন এবং শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS), যা পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল দ্বারা তৈরিকৃত ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়্যার। এটি PHP ও MySQL দ্বারা তৈরি উন্মুক্ত প্রযুক্তি ব্লগিং সফটওয়্যার। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৪৩% সাইট (৮১০ মিলিয়ন সাইট) ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি। একদম শুরুর দিকে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে শুধু মাত্র ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করা হতো। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস ওপেন সোর্স হওয়াতে দিনের পর দিন নতুন নতুন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের অবদানে ওয়ার্ডপ্রেসকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছে , এখন চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যেকোনো ওয়েবসাইট তৈরী করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস এর রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্রি থিম এবং প্লাগিন, যা ব্যবহার করে যে কেউ কোনো প্রকার কোডিং ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবে।

WordPress Theme কি? এর কাজ কি?

থিম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের মূল প্রাণ। ওয়ার্ডপ্রেস কত গুলো ফাইলের সমন্বয়ে গঠিত যার মাধ্যমে একটা গ্রাফিক্যাল ডিজাইন তৈরী হয়। আরো সহজ ভাবে ভাবে বলতে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে টেমপ্লেট বা বাহ্যিক অবয়ব। একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন দেখাবে কিংবা কোন জায়গায় কোন জিনিস দেখাবে এসব কিছু থিম দিয়েই ঠিক করা হয়। তবে একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে থিম কাস্টমাইজেশন আর থিম ডেভেলপমেন্ট কিন্তু এক জিনিস না। ডেভেলপমেন্ট হলো শূন্য থেকে শুরু করে সবকিছু বানানো হয়। এখানে কোডিং দিয়েই কাজটি করতে হয়। আর কাস্টমাইজেশন হলো কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্লাগিন ব্যবহার করে Develop করা থিমকে পরিবর্তন করা।

wordpress theme

একটু উদাহরণ দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন,ধরুন আপনি বাজারে গেলেন পেন্ট কিনার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখলেন আপনার কোমরের মাপে পেন্ট পাওয়া যায় কিন্তু লম্বায় ৩/৪ ইঞ্চি বড় হয়। এখন কি করবেন? নিশ্চয় পেন্ট টা কিনে টেইলারিংয়ের কাছে গিয়ে কেটে ঠিকঠাক মাপ করে নেবেন তাই না? এখানে গার্মেন্টস কোম্পানি ডেভেলপার এর কাজ করেছে আর টেইলার কাস্টমাইজেশন এর কাজ করেছে আর আপনি কাস্টমার হিসাবে কাজ করিয়ে নিয়ে সেটি ব্যবহার করছেন।

WordPress Plugin কি? এর কাজ কি?

প্লাগিন হল এক ধরনের ছোট সফটওয়্যার যেটা নির্দিষ্ট কিছু ফাংশন নিয়ে গঠিত। যা একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে এবং ওয়ার্ডপ্রেসের দিয়ে তৈরি ওয়েবসাইট এ ইন্সটল করার মাধ্যমে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। এটা ওয়েবসাইট এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। যেহেতু ওয়ার্ডপ্রেস নিজে PHP প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে তৈরি, তাই প্লাগিন তৈরি তে PHP প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। Wordpreess এর সফলতার এবং জনপ্রিয়তার জন্য প্লাগিন এর অবদান সবচেয়ে বেশি। প্লাগিন দিয়ে আপনি চাইলেই আপনার সাইটের পুরো কাঠামোকেই নিয়ন্ত্রন করে নিতে পরাবেন।

wordpress plugin

৯ উপায়ে ওয়ার্ডপ্রেস থিম অ্যান্ড প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখে ইনকাম

১) ব্লগ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

প্রথমেই বলেছি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একদম শুরুর দিকে শুধু মাত্র ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করা হতো। আর এখন প্রায় বেশি ভাগ ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা হয়। আপনি চাইলে এই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে নিজে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট করে বিভিন্ন বিষয় এর উপর আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপন দেখিয়ে। আপনার লেখা ব্লগ যখন গুগলে রাঙ্ক করবে তখন আপনি Google ad এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পরবেন।

যেমন ধরুন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে একটি ব্লগ পাবলিশ করলেন এবং সেখানে প্রফেশনাল ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার জন্য MSB Academy এর ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সের কথা বলে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক দিয়ে দিলেন এখন আপনার এই ব্লগ পড়ে যতজন মানুষ আপনার দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সটি কিনবেন আপনি ২০% করে অ্যাফিলিয়েট কমিশন পেয়ে যাবেন। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টের স্পন্সরশিপ নিয়েও ইনকাম করতে পারবেন।

২) ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

বর্তমান ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ডেভেলপারদের কিন্তু প্রচুর চাহিদা। আপনি যদি ফাইবার, আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে গুলাতে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাহলে বুঝতে পারবেন। Fiverr, Upwork এর মতন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি। আপনি সেখানে প্রোজেক্ট ভিত্তিক কাজ করতে পারবেন এবং ঘণ্টা চুক্তিতে কাজ করতে পারবেন। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

৩) রিমোট জব ও লোকাল কোম্পানিতে জব করে ইনকাম

প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন কিন্তু অফিসে না গিয়ে বাসায় বসেও দেশ বিদেশের অনেক বড় বড় কোম্পানিতে রিমোট জব করা যায়। এতে কোন অফিস এর প্রয়োজন হয় না। আপনার বাসায় বসে আপনি এই জব করতে পারবেন। শুধু প্রয়োজন হবে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট সংযোগ। এখন আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কাস্টম কোড করে ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগিন তৈরী করতে পারেন তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি তে হাই বাজেট এর রিমোট জব করতে পারবেন। সাধারণত এই ধরনের রিমোট জব গুলোর স্যালারী তিন থেকে আট হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার HTML, CSS, JAVASCRIPT, Jquery ওয়ার্ডপ্রেসের অ্যাকশন এবং ফিল্টার Hooks নিয়ে খুবই ভালো ধারণা থাকতে হবে।

৪) ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং বিজনেস করে ইনকাম

বর্তমানে কিন্তু ই কমার্স বিজনেস বেশ জনপ্রিয়। আর এই ই কমার্স বিজনেস এর জন্য তৈরি ওয়েবসাইট কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার ভাল ভাবে জানেন তাহলে নিজেই নিজের ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন এবং বিজনেস শুরু করতে পারবেন। আপনি চাইলে ড্রপশিপিং বিজনেস করতে পারবেন ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে। অথবা আপনি চাইলে অন্যের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করতে গেলে আপনাকে শুরুতে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

৫) কাস্টম থিম অ্যান্ড প্লাগিন সেল করে ইনকাম

আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এর কাস্টম থিম এবং প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সব থেকে লাভ জনক হবে ওয়ার্ডপ্রেসের কাস্টম থিম এবং প্লাগিন তৈরী করে বিক্রি করা। কেননা যেখানে ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে আপনাকে প্রতিনিয়ত সক্রিয় ভাবে কাজ করে যেতে হয়, তা না হলে আপনার ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে। মানে আপনি যত সময় কাজ করবেন তত দিন ইনকাম করতে পরবেন কাজ করা বন্ধ করে দিলে আর ইনকাম হবেনা। কিন্তু থিম অথবা প্লাগিন একবার তৈরী করার মাধ্যমে আপনি মাসের পর মাস কিংবা তার থেকে বেশি সময় কোনো প্রকার কাজ না করলেও ইনকাম আসতেই থাকবে। এইটা এক ধরনের প্যাসিভ ইনকামের মত। থিম প্লাগিন সেল করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস তার মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় হচ্ছে Themeforest, Template Monster, Codecanyon ইত্যাদি। আপনি চাইলে এইসব মার্কেটপ্লেসে আপনার তৈরী করা থিম অথবা প্লাগিন সেল করতে পারবেন।

কিন্তু এই সব মার্কেটপ্লেস আপনার থেকে একটি মোটা অংকের কমিশন কেটে রাখবে | আর তাই সব থেকে ভালো হবে আপনি যদি আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে থিম প্লাগিন সেল করেন। নিজস্ব ওয়েবসাইট এ আপনি আপনার তৈরী করা থিম অথবা প্লাগিন এর জন্য মাসিক অথবা বাৎসরিক পেমেন্ট নিতে পারবেন যা আপনি মার্কেটপ্লেসে পারবেন না।

৬) অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ইনকাম

আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে আপনার সেই মেধাকে অনলাইনে কোর্স পাবলিশ করে সেখান থেকেও আয় করতে পারবেন। এখন অনেক ভাল মানের অনলাইন একাডেমী রয়েছে যেখানে স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স সহ আরও নানা ধরনের কোর্স এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ধরনের কাজ শিখনো হয়ে থাকে। আপনি চাইলে সে সকল একাডেমীতে কোর্স পাবলিশ করে আয় করতে পারবেন। আর বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে, তাই নতুন অনেকেই ওয়ার্ডপ্রেস শিখছে তাদের ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স করার জন্য। অথবা আপনি চাইলে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেও আপনার কোর্স সেল করে ইনকাম করতে পারবেন।

৭) ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম

আপনি চাইলে রেডিমেড ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার ওয়েবসাইটে কেমন ভিজিটর রয়েছে, এবং আপনার ওয়েবসাইট কোন বিষয়ের উপর। আপনি যদি একটি ভালো ওয়েবসাইট তৈরী করে সেই ওয়েবসাইট জনপ্রিয় করতে পারেন সেই তাহলে পরবর্তীতে ওয়েবসাইট টি বেশ ভাল টাকায় বিক্রি করে দিতে পারবেন। ওয়েবসাইট বিক্রি করার সব থেকে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে flippa.com.

৮) WP SEO করে ইনকাম

SEO একটি ইংরেজি শব্দ যার পূর্ণরূপ Search Engine Optimization (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান)। সহজ ভাষায় এটি সার্চ ইঞ্জিনগুলিতে উচ্চতর রাঙ্ক করে আরও বেশি ট্রাফিক পেতে ওয়েবসাইট ব্যবহৃত একটি কৌশল। এটি এমন ফর্ম্যাটিং যা সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটগুলোকে আপনার ওয়েবসাইট এবং কনটেন্টকে পড়তে এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে বুঝতে সুবিধা করে দেয়। যখন কোনো পাঠক গুগলে সেই টপিক নিয়ে সার্চ করবে যেটি আপনি এসইও করে লিখেছেন তখন গুগল আপনার লেখাকে ভালো পজিশন দিয়ে সার্চ রেজাল্ট দেখাবে এবং আপনি আরও বেশি ভিজিটরস ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট SEO এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর SEO করে করে আপনি চাইলে খুব সহজে প্রতি মাসে ৩০০-৫০০ ডলার মানে বাংলাদেশি টাকার ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৯) নো-কোডিং ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ইনকাম

আপনারা যারা কোডিং করতে ভয় পান তারা চাইলে কোনো প্রকার কোডিং ছাড়াই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। ইতিমধ্যে আপনাদের কে বলেছি ওয়ার্ডপ্রেস এর প্রচুর থিম & প্লাগিন রয়েছে। ছোট এবং মাঝারি ধরণের কোম্পানি গুলো Fiverr, Upwork মার্কেটপ্লেস থেকে তাদের বিজনেস এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করিয়ে নেয়। এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ডেভেলপার খুঁজি থাকে। ওয়ার্ডপ্রেসের থিম এবং প্লাগিন কাস্টোমাইজ করে সুন্দর সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করেও প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে শিখবেন ওয়ার্ডপ্রেস থিম অ্যান্ড প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট? 

ওয়ার্ডপ্রেস কি? কিভাবে থিম অ্যান্ড প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট করে ইনকাম করবেন সেই বিষয়ে আসা করি একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। ইনকাম যে করবেন তার জন্য আপনকে অবশ্যই কাজ শিখতে হবে। থিম অ্যান্ড প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখতে হবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোথা থেকে কিভাবে শিখব এই ওয়ার্ডপ্রেস থিম অ্যান্ড প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট? আপনার জন্য সুখবর হচ্ছে আমাদের MSB Academy তে পাবলিশ করা হয়েছে Make Money By Selling WordPress Theme & Plugins Worldwide এই কোর্সটি।  প্রোগ্রামিং এর বেসিক থেকে এডভান্স, PHP, PHP OOP, AI টুলস এর ব্যবহার এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট স্টেপ-বাই-স্টেপ শিখানো হয়েছে এই কোর্সের মধ্যে। কোর্স কমপ্লিট করে যেকেও নিজের তৈরি Theme, Plugin গ্লোবালি বিক্রি করে প্রতি মাসে ৫০০ – ৫০০০ হাজার ডলার প্যাসিভ ইনকাম করবেন সেই বিষয়ে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।

এমনকি Fiverr, Upwork মার্কেটপ্লেসে হাই বাজেটের কাজ এবং রিমোট জবও চাইলে করতে পারবেন কোর্সটি ভাল ভাবে কমপ্লিট করার পর। শুধু তাই না, একবার কোর্সটিতে জয়েন করলে পাবেন লাইফটাইম কোর্স এক্সেস, লাইফটাইম কোর্স আপডেট এবং লাইফটাইম ইনসট্রাক্টর সাপোর্ট।

বাংলাদেশেই অনেক মিলিয়ন ডলার কোম্পানি গড়ে উঠেছে এই WordPress এর জন্য বিভিন্ন রকমের Theme and Plugin তৈরি করে গ্লোবালি বিক্রি করছে। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে Themeum, WPMangeNinja, WeDevs, ThemeXpert ইত্যাদি। আসলে আপনি যদি চান WordPress Theme and Plugin Development শিখে নিজের ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার তৈরি করবেন তাহলে আর চিন্তা না করে শেখা শুরু করে দিন। একবার শিখা শুরু করে দিলেই বুঝতে পারবেন এই সেক্টরে ইনকামের সুযোগ আসলে কতটা অসীম।

Comments

  • User Avatar
    Anjali
    August 8, 2023

    সুন্দর। আমার প্রশ্ন হল আমি প্রোগ্রামিং জানি না আমার জন্য কি কোর্সটি করা ঠিক হবে?

  • User Avatar
    lalbabu
    August 8, 2023

    ব্লগটি পড়ে ভাল লাগল। কোর্সটিতে জয়েন করলাম

  • User Avatar
    Sunil Yadav
    August 8, 2023

    nice blog

Leave a Reply