ফ্রিল্যান্সিং কথাটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি সেক্টর যেখানে নিজের স্কিল কে কাজে লাগিয়ে স্বাধীন ভাবে কাজ করে আয় করা যায়। বর্তমানে অনেক মানুষ এই পেশাকে ফুল টাইম হিসেবে নিচ্ছে, আবার কেউ কেউ চাকরির পাশাপাশি অবসর সময় নষ্ট না করে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে হলে আপনকে কিছু স্কিল অর্জন করতে হবে।
এখন এই স্কিল অর্জন করার সময় বেশ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আপনি যদি এমন কিছু নিয়ে কাজ করেন যার চাহিদা মার্কেট খুবই কম তাহলে সেখান থেকে ভাল আয় করা কঠিন হয়ে যাবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখার ক্ষেত্রে আপনাকে সেই কাজগুলা শিখতে হবে যার চাহিদা মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি।
Top 7 High Demanding Freelance Work
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলাতে আপনি যদি একটু সময় নিয়ে ভিজিট করেন তাহলে দেখবেন সেখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। কিন্তু সকল কাজের চাহিদা এক রকম না। কিছু কাজ রয়েছে যার চাহিদা সময় সময় বেশি থাকে এবং সামনেও বেশি থাকবে। তাই আমরা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে পপুলার এমন ৭টি কাজের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব, যার ফলে আপনি আপনার পছন্দ মত ১টা অথবা ২টা সেক্টর পিক করে ফ্রিল্যান্সিং জার্নি কনফিডেন্সের সাথে শুরু করতে পারেন এবং কোথা থেকে শিখবেন সেই বিষয়েও গাইডলাইন পাবেন।
১) ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইন এ কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা। সহজ অর্থে ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইনে আপনার প্রোডাক্টগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচার করা। ১৯৯০ সালে যখন প্রথম সার্চ ইঞ্জিন আর্চির যাত্রা শুরু তখন থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উৎপত্তি হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং করার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমন, ফেসবুক, ইউটিউব, Instragram, Tiktok এই সব কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্ল্যাটফর্ম।
স্মার্টফোন এর সাহায্যে মোবাইল মার্কেটিং অথবা এসএমএস মার্কেটিং করা যায়। এই সব কিছুই একটি বিজনেস এর প্রচার প্রচারণা চালানোর জন্য করা হয়। আর উপরে উল্লেখিত সব কিছুই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। তাহলে বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি! আর একটি অনলাইন বিজনেস কে স্মার্টলি সবার কাছে পৌঁছাতে পারবেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। ফোর্বসের মতে বর্তমানে প্রতি ২৪ ঘন্টায় প্রায় ২ হাজার নতুন মানুষ মিলিয়নিয়ার হয় এবং এই দুই হাজারের প্রায় ৭০% এর ব্যবসা বা কাজই হল ইন্টারনেট ভিত্তিক।
এখন এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে যে নিজের পণ্য বা সার্ভিস মার্কেটিং করতে হবে এমন না। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলাতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর চাহিদা। যেমন SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ। আপনি যদি অনলাইন মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক এ একজন এসইও এক্সপার্ট এর প্রোফাইল দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন তারা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৭০ থেকে ১০০ ডলারের উপরে কাজ করে। সুতরাং বুঝতে পারছেন এর চাহিদা কত বেশি।
আপনি যদি মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসাবে লোকালি কিংবা গ্লোবালি সার্ভিস দিতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন বিকল্প নাই। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিন্তু আমাদের একটি প্রফেশনাল কোর্স রয়েছে। ব্লগিং, SEO, অ্যাফিলিয়েট, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব, কুপন বিজনেস থেকে শুরু করে ১৪টির বেশি মার্কেটিং সেক্টরে এক্সপার্ট হয়ে যাবেন এই কোর্সটি ভাল ভাবে কমপ্লিট করার মাধ্যমে, যা আপনাকে প্রতি মাসে হাজার ডলার ইনকাম জেনারেটে সাহায্য করবে।
২) ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
অনলাইন টেকনোলজি এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ার ফলে ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করার সুযোগ দিন দিন বাড়ছে। অনেক মানুষ একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিজের ঘরে বসেই প্রচুর টাকা আয় করছেন। এটি হতে পারে অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট, সাধারণ ব্লগ ওয়েবসাইট, ফোরাম ওয়েবসাইট, Social Media ওয়েবসাইট বা নিজের ব্যবসার বা কোম্পানির ওয়েবসাইট এবং আরও বিভিন্ন রকমের ওয়েবসাইট।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে এমন অনেক ওয়েব ডেভেলপার রয়েছে যারা মাসে ২-৩ লাখ টাকা বা তারও বেশি ইনকাম করছে। কারণ এখন ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠান চায় তাদের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকুক যাতে করে মানুষ তাদের ওয়েবসাইট দেখে তাদের সকল কার্যক্রম সম্পর্কে ঘরে বসে ধারনা নিতে পারে। আর যদি আপনার ইচ্ছা থাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে চাকরী করবেন তাহলে সেটা করতে পারবেন। আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলাতে একজন নতুন ওয়েব ডেভেলপার এর বেসিক বেতন মাসে ৩০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়ে থাকে। সাথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধাত রয়েছেই।
এখন কিন্তু ওয়েবসাইট দুই ভাবে তৈরি করা যায়, একটি কোডিং করে, আবার যাদের কোডিং অনেক বেশি ঝামেলা মনে হয় তারা কোডিং ছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন করে যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেসে যেহেতু কোডিং এর কোন ঝামেলা নাই, তাই এইটা শিখতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তবে শুরু দিকে কিছুটা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড গিয়ে কিছু দিন প্র্যাকটিস করলে দেখবেন খুব সহজ হয়ে গেছে।
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যেকোন ধরণের প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট শিখে সফলতার সাথে ফ্রিল্যান্সিং অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজগুলো করতে চান, তাহলে এই WordPress Theme & Plugin Customization Masterclass কোর্সটি হবে আপনার জন্য পারফেক্ট একটি কোর্স। বোনাস হিসাবে এই কোর্সের সাথে পাবেন ১৫০০ ডলার মূল্যের প্রিমিয়াম থিম এবং প্লাগিনের লাইফটাইম লাইসেন্স। যা ব্যাবহারে আপনি একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসাবে অন্য সবার কাছ থেকে বহুগুণে এগিয়ে থাকবেন।
এছাড়া হাই বাজেটের ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে চাইলে শিখতে পারেন Shopify দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরির কাজ। এই ক্ষেত্রেও আপনার কোডিং জানা লাগবে না! Shopify হচ্ছে একটি ওয়েব বেইসড ই-কমার্স সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে কোন এডভান্স টেকনোলজি বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জ্ঞান ছাড়াই ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অনলাইন স্টোর তৈরি করা যায়। শপিফাই ১৭৫ টিরও বেশি দেশে ব্যবহৃত হয় এবং ২০+ ভাষায় Shopify ব্যবহার ব্যবহার করা হয়। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শপিফাই $৩১৯ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম শপিফাই। সুতরাং বুঝতে পারছেন এই প্ল্যাটফর্ম এর জনপ্রিয়তা এবং ইউজার যে হারে বাড়ছে, অদূর ভবিষ্যৎতে সিংহভাগ ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি হবে শপিফাই দিয়ে।
মাত্র ১ ডলারে Shopify দিয়ে সাইট তৈরি করতে এই লিঙ্কে ভিজিট করুনঃ https://www.msbacademy.com/shopify
Shopify দিয়ে সাইট তৈরির মূল চ্যালেঞ্জ হলো সব রিসোর্স একসাথে কম্বাইন করা এবং দরকার অনুসারে পারফেক্টলি সব সেটাপ করা। Google, Youtube-এ আপনি সপিফাই লিখে সার্চ করলে প্রচুর টিউটোরিয়াল পাবেন ঠিকই কিন্তু সবই সেখানে অগুছালো! আর কোন একটা কাজ করতে গেলে মাঝ পথে আটকে গেলে সেটার কোন সমাধানও পাওয়া যায়না। আর ঠিক এই সকল বিষয় বিবেচনা করে MSB Academy প্লাটফর্মে পাবলিশ করা হয়েছে Freelancing With Shopify Masterclass কোর্সটি। কোর্সটি করে ইতিমধ্যে ৯০% স্টুডেন্টদের আরনিং শুরু হয়ে গেছে অ্যান্ড অনেকের ইনকাম এখন প্রতি মাসে ১০০০+ ডলারও ছাড়িয়েছে।
এই Shopify কোর্সে কোডিং ছাড়াই ফ্রি অ্যান্ড পেইড থিম দিয়ে স্টোর তৈরি, পেজ বিল্ডার দিয়ে ডিজাইন, প্রোডাক্ট ইম্পোর্ট এবং আপলোড, ড্রপশিপিং-এর জন্য প্রোডাক্ট রিসার্চ, প্রোডাক্ট মার্কেটিং ও অর্ডার ম্যানেজমেন্টের সবকিছু শিখানো হবে। ড্রপশিপিং এবং ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেসে হাই-ডিমান্ডের সব কাজ করার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দেয়া হবে এই কোর্সে। মজার বিষয় হলো সাইট তৈরির এই কাজগুলো করতে আপনার Shopify-এর পেইড সাবস্ক্রিপশনতো কেনা লাগবেই না, এমনকি এক্সট্রা ১ টাকাও খরচ করতে হবে না।
৩) গ্রাফিক্স ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন এই নামটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিতি। কারন বর্তমান সময়ে আপনি যে সেক্টরেই যাবেন সেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ছোঁয়া দেখতে পারবেন। ঠিক এই মুহূর্তে আপনার মানিব্যাগে যাদের ভিজিটিং কার্ড রয়েছে সেইসব গ্রাফিক্স ডিজাইনে মাধ্যমে করা হয়েছে। অফলাইন এবং অনলাইন দুই সেক্টরেই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের চাহিদা অনেক। গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রায় সমস্ত কোম্পানির দরকার হয়। কোন কোম্পানি যদি কোম্পানির প্রচার করতে চায় তাহলে কোম্পানিকে পোস্টার বা ব্যনার ডিজাইন করতে হয়। বর্তমানে আপনি ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে যে অ্যাডভার্টাইজ দেখতে পান প্রায় সবই গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর দ্বারা তৈরি ।
এইসব কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সহ অফলাইন চাকরিতে অনেক বেশি। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা এনালাইসিস করেন তাহলে দেখতে পাবেন এই ক্যাটাগরিতে প্রত্যেক ঘন্টার হাজার হাজার কাজ পাবলিশ করা হচ্ছে। তাছাড়া এই কাজের চাহিদা দিন দিন প্রচুর আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অনেক Graphic Designer আছে যারা প্রত্যেক ঘন্টায় $৫0 ডলার থেকে $১০০ ডলার পযর্ন্ত আয় করছে। আর চাকরিতে দক্ষতা অনুযায়ী একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার এর স্যালারি ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
নতুনরা গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ক্ষেত্রে কোন কোন জায়গায় সমস্যা ফেইস করে, আর কোন জায়গায় গুরুত্ব বেশি দিতে হয় এবং কিভাবে আসলে প্র্যাকটিস করা দরকার! সেটা অনেকেই জানে না, তাই আপনি আমাদের Adobe Photoshop and Illustrator এর কম্বিনেশনে তৈরি কমপ্লিট গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সটি ভালোভাবে কমপ্লিট করার মাধ্যমে নিজেকে এই সেক্টরে এক্সপার্ট হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এবং ৮টিরও বেশি Microstock সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার গাইডলাইন সহ ১৫০০ ডলার সমমূল্যের ডিজাইন রিসোর্স এই কোর্সে দেয়া হবে। So দেরি না করে এখই মূল্যবান সময়কে কাজে লাগিয়ে শিখা শুরু করে দিন।
আবার অনেকে আছে ডিজাইনের ছোট ছোট কাজ শিখেই সেইসব ডিজাইন বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করার মাধ্যমে Passive Income করছে। আপনিও যদি নির্দিষ্ট কিছু ডিজাইনের কাজ শিখে অনলাইন থেকে ইনকামের এই পদ্ধতি শিখে ইনকাম করতে চান, তাহলে আমাদের “Income Focused Graphic Design“ কোর্সে জয়েন করে ফেলুন। মূলত ডিজাইনার হিসাবে স্মার্টলি কাজ করে নিজের ডিজাইন বিভিন্ন Microstock সাইটে বিক্রি করে প্রতি মাসে ৫০০-১০০০ ডলার প্যাসিভ ইনকাম করতে চাইলে এই কোর্সটি হবে আপনার জন্য পারফেক্ট একটি কোর্স।
৪) মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
অ্যান্ডয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের এখন স্বর্ণ যুগ। আপনার যদি প্রোগ্রামিং নিয়ে ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে শিখতে পারেন অ্যান্ডয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখলে নিজের বানানো অ্যাপ থেকে Google Admob এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন, অ্যাপ সেল করেও ইনকাম করতে পারবেন। কারন বর্তমানে এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার কারির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ সহ ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অ্যাপ ডেভলপার এর চাহিদা অনেক অনেক বেশি। তাই একজন প্রফেশনাল অ্যাপ ডেভলপার হতে পারলে ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে আপনার জব এর সুযোগ রয়েছে।
বর্তমানে সবার হাতে স্মার্ট ফোন রয়েছে। সবাই কম বেশি অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল সব কাজ করে থাকে। তাই ছোট বড় সকল কোম্পানি তাদের সার্ভিসকে কাস্টমারের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে অ্যাপ তৈরি করছে। আপনি যদি ব্যাংক কথা চিন্তা করেন তাহলে দেখবেন, এখন প্রায় সকল ব্যাংক এর মোবাইল অ্যাপ রয়েছে এবং অ্যাপ থেকে সব কিছু করা যায়। তাই বলা যায় মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা দিন দিন আরও বাড়বে। আপনি যদি একবার প্রোফেশনাল এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হবে না।
আপনি যদি একজন প্রোফেশনাল এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটি বিশাল সুযোগ। MSB Academy-তে Complete Android App Development Masterclass In Bangla একটি কোর্স রয়েছে যা শিখলে আপনি শিখলে নিজের বানানো অ্যাপ থেকে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। ৭০+ ঘণ্টার এই কোর্সটিতে প্রোগ্রামিং এর বেসিক থেকে এডভান্স এবং তারপর বেসিক কিছু অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে কীভাবে এডভান্স সব অ্যাপ তৈরি করে ফেলা যায় এবং কীভাবে অ্যাপে Admob এর অ্যাড যুক্ত করে অ্যাপ থেকে ইনকাম করা যায় সেই ব্যাপারে স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।
৫) 2D কার্টুন অ্যানিমেশন
অ্যানিমেশন এর কথা শুনলে আমাদের প্রায় সবার চোখে প্রথমেই আসে মীনা কার্টুনের কথা। কারন আমরা সবাই ছোট বেলায় টিভি তে মীনার কাটুন দেখে বড় হয়েছি। কারও আবার মজার কোনো Tv বিজ্ঞাপনের কথা মনে পড়ে যায়। মজার এসব ভিডিওর কোনো চরিত্রই কিন্তু বাস্তবে নেই। কম্পিউটারে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে বানানো। মজার এসব ভিডিও দেখার সময় অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে, কীভাবে বানানো হয় ভিডিওগুলো? আসলে অ্যানিমেশনের কাজ করতে চাইলে খুব বেশি ক্রিয়েটিভ হতে হবে এমন কিন্তু না। অ্যানিমেশন শুরু করার আগে অ্যাডোবি অ্যানিমেট, আফটার ইফেক্টস ইত্যাদি সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। এ ছাড়া ভালো যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে।
বর্তমানে কিন্তু এই অ্যানিমেশন এর চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্কে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০টি অ্যানিমেশন কাজের পোস্ট করা হয়। এগুলোতে আবেদন করলে দ্রুত উত্তর পাওয়া যায়। যদি প্রফেশনাল ভাবে অ্যানিমেশনের কাজ জানা থাকে তাহলে, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ। এসব কাজের মূল্য ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, কোথায় শিখব? কিভাবে শিখব? আপনি যদি সিনেমা, টিভি সিরিজ বা বিজ্ঞাপন এর অ্যানিমেশন বানাতে চান, তবে প্রথমেই ভালো ছবি আঁকা শিখতে হবে। তবে সাধারণ মানের অ্যানিমেশন ভিডিও তৈরি শেখার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা অনলাইন কোর্সে ভর্তি হয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে আপনারা এখন চাইলে এমএসবি একাডেমী থেকে 2D অ্যানিমেশন শিখে সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। যারা অ্যানিমেশনের কাজ শিখে ক্যারিয়ার গড়তে চান এবং অ্যানিমেশন কে প্রফেশনাল হিসেবে নিতে চান তাদের জন্য এম এসবি একাডেমীতে অ্যানিমেশন উপর দুটি কোর্স পাবলিশ করা হয়েছে।
Adobe Animate দিয়ে প্রফেশনাল লেভেলের কার্টুন মেকিং এর জন্য যা যা জানা এবং শিখা দরকার সেইসব কিছুর কম্বিনেশনে এই প্রজেক্ট ভিত্তিক কার্টুন অ্যানিমেশন কোর্সটি তৈরি করা হয়েছে। ফাস্ট অ্যানিমেশন তৈরির প্রসেস, প্রিমিয়াম রিসোর্স শেয়ার, ইউটিউব থেকে সহজেই ইনকাম মাল্টিপ্লাই করার টেকনিক ছাড়াও অনেক সিক্রেট কোর্সে শেয়ার করা হবে। কোর্সটি একবার এনরোল করলে পেয়ে যাবেন লাইফটাইম কোর্স এক্সেস, লাইফটাইম আপডেট, এবং লাইফটাইম কোর্স আপডেট।
৬) Ui / Ux ডিজাইন
সময়টা এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির। মানুষ সব জিনিস এখন অনলাইনেই পেতে চায়। আর সেজন্য এখন প্রায় সব বিজনেস অনলাইনে তাদের কার্যক্রম চালু করছে। আপনি বই কেনা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহার্য সকল কিছু এখন ঘরে বসেই পাবেন। অর্থাৎ বিজনেস গুলো এখন মোবাইল বা ওয়েবসাইটে তাদের পন্যগুলোর মার্কেটিং করছে। আর তাদের মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের ডিজাইন করার জন্য UI/UX Designer প্রয়োজন।
কারণ এই সেক্টরে আপনি রিমোট জব এবং ফ্রিল্যান্সিং ২টাই করতে পারবেন। ক্লায়েন্ট আপনাকে যে কাজটা দিবে সেটা আপনাকে একটা নির্দিষ্ট টাইমের ভিতর ডেলিভারি করতে পারলেই কিন্তু হয়ে গেল। এছাড়াও আপনি যদি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেমন Fiverr, Upwork সহ অন্যসব ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করলে দেখবেন, অন্যসব কাজের থেকে ইউজার ইন্টারফেজ ডিজাইন বা ইউআই ডিজাইনের কাজগুলোতে কম্পিটিশন কম আর UI Design এর প্রজেক্টগুলোর বাজেটও অনেক বেশি। আপনি যদি Individually কাজ করেন তাহলেও খুব সহজে আপনি প্রতি মাসে ৩-৫ হাজার ডলার কিছু প্রজেক্টের কাজ কমপ্লিট করে ইনকাম করে ফেলা সম্ভব। আর মার্কেটপ্লেসে কিছুদিন ভালো সার্ভিস দিতে পারলে কিন্তু পরবর্তীতে আপনি কাজের প্রচুর অর্ডার পাবেন।
লোকাল মার্কেটপ্লেস বলুন আর গ্লোবাল মার্কেট প্লেস UI & UX ডিজাইনের প্রচুর চাহিদা বিদ্যমান। UI & UX ডিজাইন বর্তমান সময়ের হট কেক বলা যায়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। UI & UX ডিজাইন কে কেন্দ্র করে খুব সহজেই নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলা সম্ভব। বর্তমান সময়ে UI & UX এর চাহিদাযুক্ত প্রোফাইল চাকরীর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী। সিএনএনমনির মতে এই চাহিদা বার্ষিক ১৮% বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই একজন Ui/Ux এক্সপার্ট হয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হতে চাইলে আমাদের বেস্টসেলিং “Project-based Ui/Ux Masterclass” কোর্সটিতে নির্দিধায় জয়েন করতে পারেন।
৭) গেইম ডেভেলপমেন্ট
বর্তমান বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, আর তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভিডিও গেমের চাহিদা। কম্পিউটারে বা মোবাইলে গেইম খেলে না, এমন মানুষ পাওয়া এখন বেশ দুষ্কর। ছোট থেকে বড় বলা সব বয়সের মানুষ এখন গেইম খেলে। কেউ হয়ত সেটা অনেক বেশি খেলে আবার কেউ হয় কাজের ফাকে ফাকে খেলে। গেইমের প্রতি দুর্বলতা কম বেশি সবার ই আছে। এমন বিপুল চাহিদার কারণে গেম ডেভেলপমেন্টের চাহিদাও বাড়ছে ব্যাপকভাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৬ সাল নাগাদ বৈশ্বিক গেমিং বাজারের প্রবৃদ্ধি চলতি বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেড়ে ২১ হাজার ২৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ২০২৩ সালে গেমারদের সংখ্যা ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৩৮ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধরনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও মোবাইল গেমসের বাজার বড় হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের এ মোবাইল গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন একটিভ প্লেয়ার আছে যারা নিয়মিত নানা ধরনের মোবাইল গেমস খেলছে। সুতরাং বুঝতে পারছেন গেইম এর চাহিদা বাড়ছে এবং যা বেড়ে চলবে। আপনি যদি এই গেইম ডেভেলপমেন্টকে ক্যারিয়ার হিসবে নিতে চান তাহলে এখনই সঠিক সময়।
আর এই সকল দিক বিবেচনা করে MSB Academy তে পাবলিশ করা হয়েছে Project Based No-Code Game Development Masterclass নামে একটি কোর্স। কোন রকম পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং প্রোগ্রামিং নলেজ ছাড়াই আপনি যদি Unreal Engine দিয়ে প্রফেশনাল মানের কম্পিউটার অথবা মোবাইল গেইমস তৈরি করে Google Ads, Game Sell, In-App Purchase এবং হাই-ডিমান্ডের সব ফ্রিল্যান্সিং জব করে ইনকাম কিভাবে করবেন তার সব কমপ্লিট গাইডলাইন পাবেন এই একটি কোর্স। তাই আপনার যদি কোডিং ঝামেলা ছাড়া গেইম ডেভেলপমেন্ট করে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে জয়েন করুন এই কোর্সটিতে।
পরিশেষে একটি কথা, আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারনা পেয়েছেন। উপরে যে কাজগুলার কথা বল হয়েছে তার সব কাজ যে আপনাকে শিখতে হবে তেমনটা কিন্তু না। এই কাজগুলার মধ্যে আপনার যে কাজের প্রতি আগ্রহ বেশি সেই কাজটি প্রফেশনালভাবে শিখুন দেখবেন সেটা থেকে আপনি একটা সময় মাসে লাখ টাকার উপর ইনকাম করতে পারবেন। তাই সময় নষ্ট না করে এখনই শিখা শুরু করে দিন।
Comments