Blog

কম খরচে ফেসবুক মার্কেটিং এর ৮টি সহজ কৌশল

আপনি জানলে অবাক হবেন পৃথিবীর প্রায় ২০ কোটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য ফেসবুকে তাদের বিজনেস পেজ পরিচালনা করছে। এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন? এর কারন হল মানুষের ফেসবুকের প্রতি আসক্তি। গ্লোবাল ডাটা অনুসারে একজন মানুষ গড়ে ১৯.৫ ঘণ্টা সময় প্রতি মাসে ফেসবুকে ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশের জন্য আলাদা করে ডাটা না থাকলেও আমরা অনুমান করতে পারি এই সংখ্যা বেশি ছাড়া কম হবেনা। ফেসবুকের ৬৫ ভাগ ব্যবহারকারি হচ্ছে তরুণ কিন্তু প্রতিনিয়ত মাঝ বয়সী এবং বয়স্ক মানুষদের ফেসবুক ব্যবহারের সংখ্যাও বাড়ছে।

ফেসবুক বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। যার মাধ্যমে আপনি দেশ এবং দেশের বাহিরের নানা ধরনের মানুষের সাথে যেমন পরিচিত হতে পারেন ঠিক তেমনি অনেক অজানা কিছু সম্পর্কে আপনি জানতে পারেন, অজানা জিনিস দেখতে পারেন। ফেসবুক একসময় শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হলেও সময়ের পরিবর্তনে ফেসবুক এখন সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব ৮টি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে কিভাবে কম খরচে ফেসবুক মার্কেটিং করা যায় এবং ফেসবুক মার্কেটিং করার সময় কোন বিষয়গুলির দিকে আমাদের বিশেষ নজর রাখতে হবে।

ফেসবুক মার্কেটিং কি?

আপনার কোন পণ্য বা সেবা ফেসবুক এর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দেয়া হল ফেসবুক মার্কেটিং। এটাকে ফেসবুক মার্কেটিং বলা হয় এই কারনে যে আপনি আপনার পণ্য বা সার্ভিসটি ফেসবুক এর মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। সেটা হতে পারে একটা ছবির মাধ্যমে, কোন শট ভিডিও মাধ্যমে, অথবা কোন মোশন গ্রাফিক্স এর ভিডিও মাধ্যমে।

কম খরচে কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করবেন?

বড় ব্র্যান্ডগুলার ক্ষেত্রে আসলে ফেসবুক মার্কেটিং খরচ তেমন বড় কোন চ্যালেঞ্জ না। কেননা তাদের অভিজ্ঞতা এবং বাজেট দুটিই বেশি থাকে। যার ফলে তাদের সাথে সাথে রিটার্ন যেমন দরকার হয় না, আবার একই ভাবে তাদের বাজেট বেশি থাকার কারণে তাদের কন্টেন্ট, টুলস এবং হিউম্যান রিসোর্স নিয়ে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। সব কিছুতেই তারা সেই গুনগত মানের দিকে নজর দিতে পারে। তবে ছোট ব্যবসাগুলার ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ভিন্ন। ছোট ব্যবসায় মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এমন একটি সলিউশন ডেভেলপ করতে হবে যা কম খরচে করা যায়। কম রিসোর্স দরকার হয় এবং টুলসের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব ফ্রি টুলস ব্যবহার করা যায় কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে কথা বলতে চাইলে, বিশেষ করে খরচ সংক্রান্ত, তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আসলে খরচগুলো কোথায়? ফেসবুক মার্কেটিং এর খরচ মূলত এই চারটি জাগায়।

  1. কন্টেন্ট (ইমেজ, ভিডিও, টেক্সট ইত্যাদি)
  2. টুলস (রিসার্চ, অটোমেশন ইত্যাদি)
  3. বিজ্ঞাপনের খরচ
  4. হিউম্যান রিসোর্স

আপনার কন্টেন্ট মূলত কাদের উদ্দ্যেশ্যে তৈরি হয়েছে এবং এর সাথে কাদের এঙ্গেইজমেন্ট আছে, তা বুঝার চেষ্টা করে থাকে ফেসবুক। যারা এঙ্গেইজড থাকে আপনার কন্টেন্টগুলো তাদের নিউজফিডে বেশি দেখবে। কন্টেন্ট এর ধরনের উপর নির্ভর করে তা নিউজফিডে দেখানো হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ভিডিও এবং ইমেজ কন্টেন্টকে ফেসবুক বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আমরা সবাই জানি, ফেসবুক মূলত রিসেন্ট আপডেটগুলো নিউজফিডে বেশি দেখায়। তাই পুরান পোষ্টগুলো কারো নিউজফিডে নতুনভাবে নাও দেখাতে পারে,  যদি সেটা কোন ভাইরাল কন্টেন্ট হয় তাহলে অবশ্য ভিন্ন ব্যাপার।

ফেসবুকের এই এলগরিদম বুঝাটা এত সহজ বিষয় নয়। ভিতরে আরও অনেক বিষয় রয়েছে। তবে এই সব কিছুর পর আমাদের যে বিষয়টি আগে বুঝতে হবে সেটা হল কাস্টমার কিভাবে চিন্তা করে? একই মানুষ কিন্তু এক এক প্লাটফর্মে এক এক রকম ভাবে বিচরণ করে। তাই এই ব্যাপারে আপনি যত ভালো জানবেন আপনি তত বেশি মানুষের কাছে রিচ করতে পারবেন। সফলতা তত দ্রুত আসবে। আরেকটা কথা আপনার অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, যেকোন ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য দুইটা জায়গাতে কাজ করতে হয়। নতুন কাস্টমার তৈরি করা এবং পুরাতন কাস্টমারের কাছে বার বার সেল করা। একই পণ্য অথবা নতুন পণ্য।

ফেসবুক মার্কেটিং এর টেকনিকগুলো একবার ভালোভাবে জেনে আপনি যদি সেগুলোকে ঠিকভাবে Apply করতে পারেন তাহলে কিন্তু ফেসবুক থেকেই আপনি নানানভাবে ইনকাম করতে পারবেন। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কম খরচে ফেসবুক মার্কেটিং এর ৮টি সহজ কৌশল!!

১) পার্সোনাল ফেসবুক প্রোফাইলকে ব্যবহার করুন

মানুষ মানুষের সাথে ইন্টারেক্ট করতে পছন্দ করে। ব্যাক্তিগত ভাবে এসএমএস বা কমেন্টে কথা বলতে মানুষ বেশি পছন্দ করে। তাই আপনার ব্র্যান্ড যত বড়ই হোক, আপনার পার্সোনাল এক্টিভিটি, মানুষকে প্রভাবিত করবে। তাই আপনি একজন উদ্যোক্তা, টপ ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটার হিসেবে আপনার পরিচিতি বাড়াতে পার্সোনাল ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহার করুন। এটিকে আপনার ব্যবসায়িক লক্ষ্যে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই এই শক্তিশালী জায়গাতে ফোকাস করতে পারে না। আপনি চাইলেই আপনার ব্য্যান্ড এর অনেক কিছু পার্সোনাল প্রোফাইলে শেয়ার করতে পারেন। আলাদা কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। আপনার বিজনেস বা কাজের বিহাইন্ড দ্যা সিন আলোচনা করতে পারেন। যা আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি এবং বিক্রি দুটাই বাড়াতে সহায়তা করবে। এর পাশাপাশি আপনার অনেক বিশ্বস্ত ফলোয়ার তৈরি হবে।

২) ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করুন এবং এটি নিয়ে কাজ করুন

ফেইসবুক গ্রুপ হচ্ছে কোনো এক সম্প্রদায়, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কমিউনিটি । বেশিরভাগ মানুষ শুধুমাত্র তার বিজনেস পেজ নিয়ে ভাবে। আর ভুলে যায় ফেসবুকের আরো বেশ কিছু টুলস আছে যা খুবই কার্যকরি। ফেসবুক প্রতিনিয়ত পেজগুলোর অরগানিক রিচ কমিয়ে দিচ্ছে। তারমানে পেইড মার্কেটিং ছাড়া বা বুস্ট ছাড়া আপনার পেজের কন্টেন্টগুলো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। ছোট ব্যবসার জন্য পেইড মার্কেটিং এর পিছনে টাকা ইনভেস্ট করা খুব সহজ কাজ নয়। প্রতিনিয়ত ডলার খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে পণ্য/সেবার দাম কমাতে হচ্ছে প্রতিযোগিতাপূর্ন এই বাজারে টিকে থাকার জন্য।

একটি উদাহারন দিয়ে দেখায় তাহলে ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারবেন। আমরা পেপসি বাংলাদেশের একটি পেইজের স্ক্রিনশট দেখাতে পারি। ধারনা করছি এই পোস্টে কোন বিজ্ঞাপন দেয়া হয়নি। ২ লাখের উপরে মানুষ এই পেইজের সাথে কানেক্টেড যেখানে তাদের একটি পোষ্ট গত ৫ মাসে মাত্র ১৭৭ টি লাইক/রিয়েকশন পেয়েছে, কমেন্ট ৩৪টি এবং শেয়ার মাত্র ৩৪ টি। এখান থেকে বুঝা যায় পেইড মার্কেটিং ছাড়া ফেসবুক পেজের অরগানিক রিচ কত কম হয়ে থাকে।

pepsi bangladesh facebook

ফেসবুক পেজের অরগানিক রিচ কমতে থাকলেও ফেসবুক গ্রুপের পোস্টগুলোর রিচ কিন্তু বেশি হয়। তাই আপনার ব্যবসার ধরনের উপর ভিত্তি করে আপনি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করতে পারেন। ফেসবুক গ্রুপ ব্যবসার নামের উপড়েই হতে হবে তা কিন্তু না। প্রমোশনাল পোস্টগুলো গ্রুপ থেকে শেয়ার করলে এটি বেশি মানুষের নিউজফিডে যাবে। অন্যদিকে যেহেতু ফেসবুক গ্রুপ একটি কমিউনিটির মত এখানে সবাই যার যার মত করে সবার মতামত দিতে পারে। এতে করে একটি পণ্য/ সেবার ভাল মন্দ সে সম্পর্কে সবার মতামত পাওয়া যায়।

৩) কন্টেন্টের মধ্যে ভ্যারিয়েশন থাকতে হবে

মানুষ অনেক বৈচিত্র্যময় প্রাণী। মানুষের মন এবং চাওয়া পাওয়া এক জায়গাতে স্থির থাকে না। কারন তাদের হাতে অনেক ধরনের অপশন রয়েছে। তাই আপনাকে কাজ করতে হবে তাদের সাথে দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই ভাল সম্পর্ক তৈরি করার জন্য। আর এজন্য কন্টেন্ট ডাইভারসিটি নিয়ে ভাবতে হবে। বেশির ভাগ ব্র্যান্ড একটা সময় পর গিয়ে স্ট্রাগল করে কন্টেন্ট ভ্যারিয়েশন না থাকার কারণে। আর এই লিস্টে সবচাইতে বেশি সংখ্যাটা হচ্ছে ছোট এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো। আপনি তাদের পেজে গেলে দেখবেন তাদের মোটামুটি শত ভাগ পোস্ট তাদের পণ্য সম্পর্কিত। বিক্রি সম্পর্কিত। যা তাদের অডিয়েন্সকে বিরক্ত করছে, তাদের এঙ্গেইজমেন্ট কমছে এবং দিন শেষে ব্র্যান্ডের Growth কমে যাচ্ছে।

তাই নতুন নতুন কন্টেন্ট আইডিয়া জেনারেট করতে হবে। কন্টেন্ট এর মধ্যে ভ্যারিয়েশন থাকতে হবে। সব সময় পণ্য বা বিক্রি সম্পর্কিত কন্টেন্ট পোস্ট না করে ভিন্নতা আনতে হবে কারন মনে রাখতে হবে নতুনের প্রতি সবার আকর্ষণ বেশি থাকে।

৪) কোয়ালিটি এবং Engagement নিয়ে ভাবুন, কোয়ান্টিটি নিয়ে না

আপনি যদি MSB Academy ওয়েবসাইটে ভিজিট করেন তাহলে দেখতে পারবেন সেখানে লেখা রয়েছে It's Born For Quality Education In Bangla. এর কারন হল MSB Academy কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করে।

অনেকের মধ্যে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা যায় যে তাদের প্ল্যান হচ্ছে কোয়ান্টিটি নির্ভর। প্রতি দিন একটি করে পোস্ট দিতে হবে। অথবা সপ্তাহে ৫ টা পোষ্ট। তবে পোস্টের কন্টেন্ট কোয়ালিটি নিয়ে ভাবে না। এইটা ঠিক যে নিয়মত কন্টেন্ট দিতে হবে তবে তা কোয়ালিটি ছাড় দিয়ে নয়। আপনার কন্টেন্ট যদি Engaging না হয় তাহলে আসলে সেই কন্টেন্ট অকেজো। এর পেছনে আমি যতটুকু সময় এবং টাকা ইনভেস্ট করেছেন তা বৃথা। তাই প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে কোন কন্টেন্টগুলো বেশি Engagement জেনারেট করে এবং তা আপনার বিজনেস সম্পর্কিত কি না। আপনার কন্টেন্ট আপনার কাস্টমারের লাইফে ভ্যালু অ্যাড করছে কিনা। তার মনের মধ্যে আপনার কন্টেন্ট গুলো কোন ছবি তৈরি করছে কিনা।

মনে রাখতে হবে, Engagement জেনারেট না হলে আসলে সেই কন্টেন্ট এর পেছনে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। তাই কন্টেন্ট এর সংখ্যা কম হলেও সমস্যা হবে না যদি কন্টেন্ট এর কোয়ালিটি ভাল হয়। কন্টেন্ট এর মধ্যে আপনার ব্র্যান্ড এর নাম এমন জরিয়ে দিতে হবে যেন কন্টেন্ট এর সাথে সাথে আপনার ব্র্যান্ডের নামও তাদের মস্তিষ্কে ডুকে যায়।

৫) কন্টেন্টকে গল্পের মত সাজান এবং শেয়ার করুন

মানুষ গল্প শুনতে পছন্দ করে। মানুষের মনে তা লম্বা সময় গেঁথে থাকে। মানুষ একে অন্যের সাথে এটি শেয়ার করে। যা প্রচারণার পথ তৈরি করে দেয়। তাই আপনার ব্র্যান্ড এবং পণ্যের গল্প মানুষকে শুনাতে হবে। মিথ্যা গল্পের কথা বলছি না। আপনার মেসেজটাকে গল্প আকারে শেয়ার করতে বলছি। আপনার মার্কেটিং কন্টেন্ট এর মধ্যে স্টোরি টেলিং ব্যাপারটা থাকতে হবে। তাহলে দেখবেন একই কন্টেন্ট বেশি Engagement এবং সেল জানারেট করবে।

মনে রাখতে হবে, ছোট বেলা আমরা কঠিন কঠিন সূত্র পড়েছি কারণ আমরা বাধ্য ছিলাম। কিন্তু ক্রেতা আমাদের কাছ থেকে কিনতে বাধ্য নয়। বর্তমান সময় কম্পেটিশনের সময়। যেখানে সবাই তার সাধ্যমত ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষন করতে ব্যাস্ত। আর এখানে একমাত্র সেই টিকে থাকবে, ডোমিনেট করবে যে জানে কিভাবে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষন করতে হয়? তাকে ধরে রাখতে হয়। আর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আপনার কন্টেন্ট তৈরির দক্ষতা। তাই গল্পের মত করে আপনার কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং এই গল্প বলার মধ্যে দিয়ে আপনার পণ্য/ সার্ভিস কেন তার প্রয়োজন সেটা তুলে ধরতে হবে।

৬) কাস্টমার রিটার্গেটিং বিজ্ঞাপন তৈরি করুন

মানুষ আপনার পণ্য/সেবা সম্পর্কে একবার জেনেই কিনে ফেলবে তা কিন্তু না। আর এখানেই বেশির ভাগ মানুষ ভুল করে। সে অচেনা মানুষকে পণ্য/সেবার বিজ্ঞাপন তো দেখায়, কিন্তু তাদেরকে রিটার্গেট করে না। আবার যখন বিজ্ঞাপন দেয় সেটা নতুনদের দেয়। তারা ভাবে একবার দেখেই কাস্টমার কিনে ফেলবে। আর তখনই বিজ্ঞাপনের খরচ বেড়ে যায়, কিন্তু বিক্রি কমে যায়।

মনে রাখতে হবে, মানুষ যখন মার্কেটে যায় তখন সে কিনতেই যায় এবং কোন না কোন দোকান থেকে কিনে। কিন্তু যখন সে ঘরে বসে থাকে, তখন সে কেনার জন্য বসে থাকে না। তাই তার কাছে বিক্রি করা কঠিন। একবার তাকে নক করে বিক্রি করা যাবে না। বার বার নক করতে হবে, বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন যায়গা থেকে নক করতে হবে। তার মধ্যে কেনার ক্ষুধা জাগিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার সেল বাড়াতে পারবেন। ফেসবুক বিজ্ঞাপন থেকে সর্বাধিক রিটার্ন পেতে চাইলে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং এর সিক্রেটগুলো জানতে হবে। এই বিষয়ে আপনি সব কিছু হাতে কলমে শিখতে এবং জানতে পারবেন MSB Academy এর বেস্টসেলিং ফেসবুক মার্কেটিং এই কোর্সে জয়েন করার মাধ্যমেঃ https://www.msbacademy.com/course/facebook-and-messenger-marketing

৭) কাস্টমার এটেনশন তৈরি করতে হবে

মানুষ যখন ফেসবুক ব্যবহার করে, তখন কিন্তু বিজ্ঞাপন দেখার জন্য ব্যবহার করে না। কোন পণ্য অথবা সেবা কেনার জন্য ও ব্যবহার করে না। তাই এখানে বিজ্ঞাপন দেখালেই বিক্রি বাড়বে এমন ধারণা করা যাবে না। আমরা প্রতিদিন অনেক বিজ্ঞাপন দেখি, কিন্তু সব বিজ্ঞাপন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে না। কিন্তু এর মধ্যে কোন কিছু ভিন্ন মনে হলে আমরা সেটা একটু হলেও দেখি। তাই আমাদের জানতে হবে কোন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করলে এটেনশন তৈরি করতে সহায়তা করবে।

তাই আপনাকে এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে হবে যা তার মনোযোগ আকর্ষণ করবে। অন্য সবার থেকে যখন আপনার বিজ্ঞাপন আলাদা হবে তখনই সেটা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করবে।

৮) ফেসবুক স্টোরিস ও রিলস তৈরি

বর্তমান সময়ে ফেসবুক স্টোরিস কিন্তু আরেকটা জনপ্রিয় টুলস। যা আপনাকে নতুন কাস্টমার পেতে সাহায্য করবে। ফেসবুক স্টোরিস এর জন্য আপনি আলাদা কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন এবং আপনার পার্সোনাল প্রোফাইল এবং বিজনেস পেইজে স্টোরি হিসেবে শেয়ার করতে পারেন।

ফেসবুকে আরও নতুন একটি ফিচার অ্যাড চালু করা হয়েছে রিলস নামে। ফিচারটির মাধ্যমে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ছোট ভিডিও (৬০ সেকেন্ড) তৈরি করতে পারবে এবং সেই ভিডিও শেয়ার করতে পারবে। এমনকি ইনস্টাগ্রাম রিলের জন্য তৈরি ভিডিও যে কেউ ফেসবুক রিলে শেয়ার করতে পারবে। আপনি একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন ফেসবুক স্টোরিস ও রিলস ফেসবুক পোস্ট থেকে কম সময়ে বেশি Engage করে।

আর এই ফেসবুক স্টোরিস ও রিলস তৈরি করতে আপনি Canva, VistaCreate, Inshot এই ওয়েব বা অ্যাপ ভিত্তিক সফটওয়্যারগুলোর সাহায্য নিতে পারেন। আসলে আমি যেই সফটওয়্যারগুলোর নাম বললাম সেগুলো দিয়ে আপনি আসলে Story & Reels ছাড়াও ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য পোস্টার এমনকি পেইজ, প্রোফাইল বা গ্রুপের জন্য কভার ফটো তৈরিতেও ব্যাবহার করতে পারবেন।

আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে যে পয়েন্টগুলার কথা বলে হয়েছে তার সারমর্ম যদি করি তাহলে এই বিষয়গুলা আসবে যে, কাস্টোমার সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারনা থাকতে হবে। তারা কিভাবে চিন্তা করে, কি পছন্দ করে, কখন ইত্যাদি। এর পাশাপাশি ফেসবুক এলগরিদম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে, ফেসবুকের এবং অনলাইনের বিভিন্ন ফ্রি এবং পেইড টুলস সম্পর্কে আইডিয়া থাকতে হবে। এর এই সব কিছুর কম্বিনেশন যদি আপনি এক সাথে পেতে চান তাহলে জয়েন করতে পারেন MSB Academy এর ফেসবুক মার্কেটিং কোর্সটিতে। লাইফ টাইম কোর্স এক্সেস + লাইফ টাইম সাপোর্ট এবং ফ্রি কোর্স আপডেট সহ ফেসবুক মার্কেটিং এর সবকিছুর গাইডলাইন এই কোর্সের মধ্যে পাবেন।

Leave a Reply