Blog

মাস্টারকার্ড কি? বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৩টি জনপ্রিয় কার্ড

mastercard for freelancers

মাস্টারকার্ড হল অর্থ বা মুদ্রা লেনদেনের জন্য একটি বৈধ আন্তর্জাতিক কার্ড যা বর্তমান বিশ্বে সর্বাধিক প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত। এই কার্ড আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয়, যেটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সাধারনভাবে আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো যে এটিএম কার্ড তার গ্রাহকদের দিয়ে থাকে মাস্টার কার্ড দেখতে সেই সব এটিএম কার্ডের মতই তবে তাদের ব্যবহারে ভিন্নতা আছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মাস্টারকার্ড কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানব এবং বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সুবিধাজনক ও জনপ্রিয় ৩টি মাস্টারকার্ড সম্পর্কে আলোচনা করব। এই কার্ডগুলা কিভাবে পাবেন সে সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে জানব।

মাস্টারকার্ড কি?

সহজভাবে বলতে গেলে মাস্টারকার্ড একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। মূলত দুই দেশের কারেন্সি আপনি এই কার্ডের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি দেশে বসে বাইরের দেশের কোন ই-কর্মাস সাইট থেকে পণ্য কেনাকাটা করতে চান তাহলে তা সহজে মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারবেন। বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠানে পেমেন্ট করতে পারবেন মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে। এই কার্ড ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অথবা বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যায়। বর্তমানে যারা অনলাইনে কাজ করেন অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে এই কার্ড বেশি জনপ্রিয়। কারন বাইরের দেশ থেকে তাদের কাজের পারিশ্রমিক নির্ভেজাল উপায়ে দেশে আনার অন্যতম সহজ উপায় হল মাস্টার কার্ড।

কি কি ধরনের মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ ব্যবহার করা যায়?

মাস্টারকার্ড কোম্পানির কাজ হল এই কার্ড দ্বারা হওয়া ট্র্যানজেকশনকে নিয়ন্ত্রন করা কিন্তু এই কোম্পানি ব্যবহারকারীদের জন্য কার্ড ইস্যু করে না। সহজ ভাষায় বলতে গেলে যেহেতু মাস্টার কার্ড এক ধরনের অর্থ বিনিময়ের কার্ড, তাই এটি ইস্যুও করে ব্যাংকসমুহ। এখন বিভিন্ন ব্যাংক তাদের নীতিমালা অনুস্বরন করে একেকরকম সুযোগ সুবিধা ঘোষনা করে থাকে। আপনার যে ধরনের সুযোগ সুবিধা দরকার সে অনুযায়ী আপনার পছন্দের ব্যাংক থেকে মাস্টারকার্ড সংগ্রহ করতে পারেন। চলুন দেখি বাংলাদেশে কি কি মাস্টারকার্ড বর্তমানে প্রচলিত আছেঃ

  • পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ডঃ এই কার্ডটি বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়।
  • একুয়া মাস্টারকার্ডঃ এই কার্ডটি ইস্টার্ন ব্যাংক দিয়ে থাকে। এটি একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। অর্থাৎ এতে আপনি টাকা এবং ডলার দুটোই রাখতে পারবেন।
  • স্বাধীন মাস্টারকার্ডঃ এটি ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক প্রদত্ত আরো একটি জনপ্রিয় কার্ড। এটিও ডুয়াল কারেন্সির কার্ড।
  • সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক মাস্টারকার্ডঃ এই কার্ডটি দেয় সিটি ব্যাংক।
  • গোল্ড মাস্টার কার্ডঃ এবি ব্যাংক এই মাস্টারকার্ড ইস্যু করে।

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ব্যাংকই এখন মাস্টারকার্ড ইস্যু করে। প্রধানত তিন ধরনের মাস্টার কার্ড চালু রয়েছে।

প্রিপেইড মাস্টারকার্ড প্রিপেইড মাস্টারকার্ড হল একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে সেবামূলক কার্ড। এই কার্ড ব্যবহার করতে হলে আগেই এতে টাকা ডিপোজিট করে রাখতে হবে। কারন টাকা ডিপোজিট না থাকলে এই কার্ড সচল হবে না। এই কার্ড দিয়ে আপনি সকল লেনদেন করতে পারবেন তবে আগেই আপনার কার্ড থেকে টাকা কেটে তারপর আপনাকে সেবা প্রদান করবে।

ক্রেডিট মাস্টারকার্ড এই ধরনের মাস্টার কার্ডগুলো সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃতও বটে। সাধারন ক্রেডিট কার্ডের মত এই কার্ড দিয়েও যথেষ্ট টাকা না থাকলেও কেনাকাটা করতে পারবেন। অর্থাৎ এই কার্ড দিয়ে আপনি যে কোন অংকের লোন নিতে পারবেন বা বিল পরিশোধ করতে পারবেন। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, ক্রেডিট মাস্টার কার্ড দিয়ে বড় অংকের লেনদেন এর অর্থ হল বড় অংকের লোন নেয়া।

ডেবিট মাস্টারকার্ডঃ ডেবিট মাস্টারকার্ডই মূলত স্ট্যান্ডার্ড মাস্টার কার্ড যা, ফ্রিল্যন্সাররা ব্যবহার করে থাকেন। এর ব্যবহারও ব্যাংক প্রদত্ত অন্যান্য ডেবিট কার্ডের মতই। এই কার্ড দিয়ে আপনি ইচ্ছামত লোন গ্রহন বা বিল পরিশোধ করতে পারবেন না। আপনি কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থই এই ডেবিট কার্ড দিয়ে অগ্রীম খরচ করতে পারবেন। এই কার্ড থেকে আপনি কোন লোন পাবেন না তবে কিছু পরিমান অর্থ আপনি অগ্রীম পরিশোধ করতে পারবেন।

বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ৩টি জনপ্রিয় মাস্টারকার্ড

ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে বাংলাদেশে বেশ কয়েক ধরনের মাস্টারকার্ড পাওয়া যায়। কিন্তু এর মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সুবিধা জনক ৩টি মাস্টারকার্ড রয়েছে। সেগুলো হচ্ছেঃ পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড, একুয়া মাস্টারকার্ড এবং স্বাধীন মাস্টারকার্ড। চলুন এইবার জেনে নেয়া যাক এই মাস্টারকার্ড তিনটি পেতে হলে আপনার কি কি থাকা লাগবে এবং কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং এর সুবিধাসমূহ।

১) পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড [Payoneer MasterCard]

Payonner বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে বহুল পরিচিত একটি নাম। এখন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সাররই বাইরে থেকে তাদের উপার্জিত ডলার দেশে আনার সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে পাইওনিয়ার ব্যবহার করে। আপনি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বড় বড় মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে যে পারিশ্রমিক পাবেন তা পেতে আপনাকে নির্ভরযোগ্য অনলাইন ব্যাংকিং সেবার সাহায্য নিতে হবে। পাইওনিয়ার মূলত একটি অনলাইন ব্যাংকিং সার্ভিস। যার মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যেকোন কোম্পানি থেকে ডলারে বা দেশের কারেন্সিতে টাকা আপনার একউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন। মূলত পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট খুলে অনলাইন থেকে ডলার রিসিভ করলে তারপর সেটি আপনি অনলাইনে খরচ করতে চাইলে বা টাকা উঠাতে চাইলে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডটি আপনার দরকার হবে। তবে পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড দিয়ে বাংলাদেশের ভিসা এটিএম বুথগুলো থেকে টাকা উঠাতে চাইলে প্রতি ট্র্যানজেকশনে ২০০০ টাকা চার্জ দিতে হয়, যেটা আমার মতে বাংলাদেশীদের জন্য এই কার্ড ব্যবহারের সবচেয়ে নেগেটিভ দিক।

কিভাবে পাইওনিয়ার অ্যাকাউন্ট ওপেন করবন? এই স্পেশাল লিঙ্কে ক্লিক করে পাইওনিয়ারের ওয়াবসাইটে ভিজিট করুন এবং Sign Up এ ক্লিক করুন। (আমাদের দেয়া লিঙ্কে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট খুললে ৫০ ডলার বোনাস হিসাবে পাবেন!!!) তারপর Sign Up এ ক্লিক করলে আপনি স্ক্রিনে একটি ফর্ম দেখতে পাবেন। এই ফর্মটি পূরন করুন। এই ফর্মটি পারসোনাল একাউন্ট হিসেবে পুরন করতে হবে কোন কোম্পানীর অধীনস্ত হয়ে নয়।

মনে রাখবেন, কোনভাবেই কোন ভুল তথ্য এখানে দেয়া যাবে না। আপনার নামের বানান, জন্ম তারিখ, আপনার এনআইডি নাম্বার অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট নাম্বার যেটাই ব্যবহার করুন না কেন সব সঠিক এবং হুবহু মিল রেখে ফর্মটি পুরন করতে হবে। এই ফর্ম এ আপনি এমন একটি ঠিকানা ব্যবহার করবেন যেটা সঠিক হবে এবং যে ঠিকানায় আপনার কার্ড সম্পর্কিত সকল চিঠি আসবে। এই ফর্মে আপনি আপনার ভেরিফাইড মোবাইল নাম্বারটিও ব্যবহার করবেন। বাকি সব তথ্য পূরন করে আপনি আপনার একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি প্রশ্ন সেট করুন। এই কার্ডটি কোন দেশের জন্য প্রযোজ্য সেটা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।

আপনার পাইওনিয়ার মাস্টারকার্ড করার আবেদনের কাজটি এখানেই শেষ। এবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ্ আপনার আবেদনটি রিভিউ করবে এবং সব ঠিক থাকলে একটি কনফর্মেশন মেইল পাঠাবে। তবে কনফর্মেশন মেইল পাওয়া মানেই কিন্তু কার্ড পেয়ে যাওয়া না। সম্প্রতি পাইওনিয়ার তাদের কার্ড প্রদানের নিয়ম কিছুটা বদলিয়েছে। আপনার একাউন্ট অনুমোদন পাওয়ার পর এই একাউন্টে প্রথমে আপনাকে ১০০ ডলার জমা করতে হবে। এই ডলার আপনি অন্য যে কোন পাইওনিয়ার একাউন্ট থেকে নিতে পারেন অথবা আন্তর্জাতিক মার্কেটে কাজ করার মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন। যখন একাউন্টে ১০০ ডলার জমে যাবে আপনি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সম্পূর্ন ফ্রি কার্ডটি পেয়ে যাবেন। পাইওনিয়ার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে। চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবেঃ

  • আপনার এনআইডি কার্ড/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট- যে কোন একটার কপি
  • একটি ভেরিফাইড ইমেইল একাউন্ট
  • বাংলাদেশে অবস্থিত যে কোন একটি ব্যাংকে থাকা সচল একাউন্ট এবং
  • আপনার ভেরিফাইড মোবাইল নাম্বার

২) একুয়া মাস্টারকার্ড [EBL Aqua Card]

দেশের বাইরে ভ্রমন ও অনলাইন শপিং প্রেমীদের জন্য ইস্টার্ন ব্যাংকের জনপ্রিয় একটি কার্ড সার্ভিস হচ্ছে অ্যাকুয়া প্রি-পেইড মাস্টার কার্ড। এটি একটি ডুয়েল কারেন্সির কার্ড অর্থাৎ এটিতে আপনি BDT (বাংলাদেশী কারেন্সি) ও USD দুটোই রাখতে পারবেন। ইবিএল এর যেকোন শাখায় গিয়ে আপনি এই কার্ডটি নিতে পারবেন। এমনকি বর্তমানে প্রচুর মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাড রান করার জন্য এমনকি সফটওয়্যার ডলারে কেনার জন্য এই একুয়া মাস্টার কার্ড ব্যবহার করছে। অর্থাৎ অনলাইনে যারা কাজ করে তাদের মধ্যেও ধীরে ধীরে এই কার্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

একুয়া মাস্টার কার্ড করার নিয়মঃ আগেই বলে রাখি যে একুয়া মাস্টার কার্ড করার জন্য আপনাকে Estern Bank Limited এ কোন একাউন্ট খুলতে হবে না। আপনার নিকটস্থ ইবিএল ব্যাংক এর যে কোন শাখায় উপরিউক্ত ডকুমেন্টগুলো নিয়ে যাবেন এবং দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তাকে জানাবেন আপনার আগ্রহের কথা। দায়িত্বশীল ব্যক্তি আপনাকে কতগুলো ফর্ম দিবেন পূরন করতে। এই ফর্মগুলো সাধারন ব্যাংক একাউন্ট ওপেনের ফর্ম এর মতই। ফর্মগুলো যথাযথভাবে পূরন করুন। এই ফর্মগুলোর সাথে “E-commerce Enrollment Form” নামে আরো একটি ফর্ম থাকবে যেটা কোন কারনে পুরন করা থেকে বাদ পড়লে এই কার্ডে USD কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন না।

এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, সাথে সাথে আপনি যে কার্ডটি পাবেন সেটিতে আপনার নাম প্রিন্ট করা থাকবে না। আপনাকে আপনার এনআইডি কার্ডে থাকা নাম ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি যদি আপনার নাম প্রিন্ট করা কার্ড চান তবে ফর্ম ও ডকুমেন্ট জমা দেয়ার পর ভেরিফিকেশনের জন্য ৭ থেকে ১০ কর্মদিবস অপেক্ষা করতে হবে। সব ঠিক থাকলে উক্ত সময়ের মধ্যেই আপনার কার্ডটি পেয়ে যাবেন। কোন কুয়েরির প্রয়োজন হলে ইবিএল এর কাস্টমার কেয়ার নাম্বার ১৬২৩০ তে ফোন দিয়েও জেনে নিতে পারবেন। একোয়া মাস্টারকার্ড করতে আপনার যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবেঃ

  • আপনার এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি তবে সাথে অরিজিনাল কপিও আনতে হবে।
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • কার্ড ফি এবং ভ্যাট সহ মোট ৫৭৫ টাকা (৩ বছরের জন্য)
  • পাসপোর্ট এর কপি। আপনি যদি এই মাস্টার কার্ড শুধু বাংলাদেশী কারেন্সির লেনদেন করতে চান তবে পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে না কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ট্র্যানজেকশনের জন্য অবশ্যই পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে।

৩) স্বাধীন মাস্টারকার্ড

ব্যাংক এশিয়া স্বাধীন মাস্টারকার্ড একটি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। আপনি বাংলাদেশি টাকা এবং ইন্টারন্যাশনাল USD কারেন্সীতে লেনদেন করতে পারবেন। ব্যক্তি এবং কোম্পানি উভয় নামে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিদেশ থেকে আয়কৃত মুদ্রার ৩০% ভাগ তাৎক্ষনিক টাকায় রুপান্তরিত হবে এবং ৭০ ভাগ USD থাকবে তবে আপনি যে কোন সময় টাকাকে USD এবং USD কে টাকায় কনভার্ট করতে পারবেন। এই হল স্বাধীন মাস্টার কার্ডের অন্যতম সুবিধা।

এছাড়াও এই কার্ডের আরো একটি বড় সুবিধা হল, আপনার পাইওনিয়ার কার্ড এর সাথে স্বাধীন মাস্টার কার্ড সংযুক্ত করতে পারবেন। একবার এই দুটি কার্ড সংযুক্ত করা হয়ে গেলে ব্যাংক এশিয়া স্মার্ট অ্যাপ ব্যবহার করে পাইওনিয়ার একাউন্ট এর ব্যালান্স চেক করতে পারবেন। এমনকি পাইওনিয়ার থেকে স্বাধীন কার্ডে টাকাও পাঠাতে পারবেন। স্বাধীন মাস্টারকার্ড করতে আপনার যে সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবেঃ

  • আপনার এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট, অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফটোকপি
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙ্গীন ছবি
  • ট্যাক্স রিটার্ন কপি অথবা TIN সার্টিফিকেট
  •  ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার পরিচয় পত্র অর্থাৎ, যে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওয়ার্ক অর্ডার/ যে কোন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেসের আইডি নম্বর বা স্ক্রিন শটের প্রিন্ট আউট/ পেমেন্ট রিসিভ কপি/ অথবা আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটার হন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের স্ক্রিন শটের প্রিন্ট আউট।

প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্টের কপি নিয়ে আপনি প্রথমে আপনার নিকটস্থ ব্যাংক এশিয়ার যে কোন শাখায় যোগাযোগ করবেন। শাখার দায়িত্বশীল ব্যক্তি আপনাকে একটি আবেদনপত্র সম্বলিত ফর্ম দিবে। ফর্মে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরন করা অত্যন্ত জরুরি। সকল তথ্য পূরনের পর সিগনেচার করতে ভুলবেন না। আপনি চাইলে ব্যাংক এশিয়ার ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনেও এই ফর্ম পূরন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে কোন শাখার অধীনে করতে চান সে শাখার নাম উল্লেখ করতে হবে। এইভাবে সব ডকুমেন্টের সাথে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য জমা দেয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার কাংক্ষিত কার্ডটি আপনি পেয়ে যাবেন।

পরিশেষে একটি কথা, আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে মাস্টারকার্ড কি এবং কিভাবে মাস্টারকার্ড তৈরি করবেন সে বিষয়ে একটি ধারণা পেয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ যারা ফ্রিল্যান্সিং করে বা অনলাইনে কাজ করে টাকা উপার্জন করে তাদের মধ্যে বেশি ভাগ মানুষ উপার্জন করা অর্থ নিজের হাতে কি ভাবে পাবে এই বিষয়টি নিয়ে খুব সমস্যা ফেইস করে থাকে। তাই আমি আপানকে বলব আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম বা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজকে প্রফেশন হিসেবে নিতে চান তাহলে আপনি Payonner অ্যাকাউন্ট আজই খুলে ফেলুন কারণ ফ্রিলান্সিং সাইট থেকে ডলার রিসিভ করতে এই অ্যাকাউন্টটি আপনাকে অনেক সুবিধা দিবে। এছাড়া অনলাইন থেকে কোন কিছু কেনার জন্য বা ফেসবুক গুগলে অ্যাড দেয়ার জন্য আপনি EBL Aqua কার্ড ব্যাবহার করতে পারেন। এছাড়া বর্তমানে ডলারকে টাকায় কনভার্ট করে তুলে আনার জন্য এই তিনটি মাধ্যম বেশ কার্যকর এবং সুবিধাজনক।

Leave a Reply