Blog

Artificial Intelligence-এর যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা কতটা যুক্তিযুক্ত?

graphic design with artificial intelligence

গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চাহিদা সম্পূর্ণ একটি সেক্টর। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেক বেকার তরুন-তরুণী এই পেশায় আসছে শুধুমাত্র তাদের বেকারত্বের অবসান ঘটানোর জন্য। গ্রাফিক্স ডিজাইন আসলে এমন একটি কাজ যার চাহিদা প্রতিটা সেক্টরে রয়েছে। কারণ আপনি যে কাজই করুন না কেন গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনার লাগবেই। আপনি যদি কোন বিজনেস করেন তাহলে আপনার বিজনেসে কার্ড তৈরি থেকে শুরু করে ব্যানার পোষ্টার তৈরি, মার্কেটিং এর জন্য লিফলেট তৈরি সব কিছুতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রয়োজন হবে। দেশে বিদেশে অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যাদের পার্মানেন্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার রয়েছে। মুভি তৈরি থেকে শুরু করে নাটক, গান, ইভেন কি অফলাইন অনলাইন সকল ক্ষেত্রে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বেশি।

যত দিন যাচ্ছে সকল সেক্টরে কিন্তু নতুন নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হচ্ছে। আমরা সবাই জানি বর্তমানে AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সকল সেক্টরে ব্যাপক সারা ফেলেছে। এই AI এর সাহায্য এখন মানুষ খুব সহজে ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে ডিজাইন, কোডিং এর মত কঠিন কাজ সহজে করে ফেলছে। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা কি যুক্তিক হবে নাকি শুধু সময়ের অপচয়? আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই বিষয় সম্পর্কে জানব, AI বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে। এবং ঠিক এই সময় এসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখা এবং এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়া কতটা যুক্তিক হবে।

গ্রাফিক ডিজাইন কি?

গ্রাফিক ডিজাইন হল একটি আর্ট। গ্রাফিক ডিজাইন এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আপনার নিজের আইডিয়া, শিল্প, এবং দক্ষতা, ব্যবহার করে ছবি, শব্দ , এবং ধারণার মিশ্রণ করে একটি আলাদা এবং নতুন ছবি ডিজাইন তৈরি করা। বিভিন্ন Text, pictures এবং ধারণার মিশ্রনের দ্বারা তৈরি হওয়া এই নতুন ডিজাইনটি হলো গ্রাফিক্স। যা কম্পিউটার সফটওয়্যার দ্বারা তৈরি করা হয়। একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন হতে পারে তথ্যবহুল। আরেকটু সাবলীল ভাষায় বলতে গেলে গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি আর্ট যা কম্পিউটার সফটওয়্যার ও টুলের মাধ্যমে করা হয়।

MSB Academy তে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে Graphic Design Mastery With Freelancing & Microstock কোর্স পাবলিশ করা হয়েছে। Adobe Photoshop & Adobe Illustrator এর কম্বিনেশনে কমপ্লিট এই গ্রাফিক ডিজাইন কোর্সটি ভালোভাবে কমপ্লিট করার মাধ্যমে যেকেও এই সেক্টরে এক্সপার্ট হতে পারবে। ফ্রিল্যান্সিং এবং ৮টিরও বেশি Microstock সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার গাইডলাইন সহ ১৫০০ ডলার সমমূল্যের ডিজাইন রিসোর্স এই কোর্সে দেয়া হবে। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে যদি ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে জয়েন হয়ে যান কোর্সটিতে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে বা AI কি?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যন্ত্র বা অ্যাপ্লিকেশনকে মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তির আদলে কাজের উপযোগী করে তোলে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) হল কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুকৃত করার চেষ্টা করা হয়। AI-এর লক্ষ্য হল এমন কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার তৈরি করা যা মানুষের মতো চিন্তা করতে, শিখতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বনাম সৃজনশীলতা 

আমরা যদি অতীত এবং বর্তমানের দিকে একটু লক্ষ্য করি তাহলে বুঝতে পারব পূর্বে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে প্রায় সকল পেশায়। এর ধারাবাহিকতা চিন্তা করলে বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা আইটি সেক্টরে কিন্তু তুমুল পরিবর্তন হচ্ছে। যার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ হচ্ছে বর্তমান আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI টেকনোলজি । তাই বলা যায় বর্তমান সময় হচ্ছে AI এর যুগ। যা ভবিষ্যতে আরও বেশি বাড়বে। এখনই কিন্তু সকল সেক্টরে AI এর ছোঁয়া লেগে যাচ্ছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সৃজনশীল পেশা। শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান দিয়ে কেউ ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারে না। ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার জন্য অবশ্যই ব্যবহারিক জ্ঞান থাকতে হয়। অর্থাৎ নিয়মিত ডিজাইন চর্চা করা এবং অন্যের ডিজাইন দেখার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনে মুখস্থ বিদ্যা কিংবা কপি-পেস্টের সুযোগ নেই বরং এখানে আপনার নিজের সৃজনশীলতাকে প্রকাশ করতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যদিও ডিজিটাল যুগে অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে কিন্তু এটি আপনার সৃজনশীলতা ও কৌশলের পরিবর্তে কাজ করতে পারবে না।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সফটওয়্যার গুলো আপনাকে কিছু নির্ধারিত টেমপলেট ও রিসোর্স দিয়ে থাকবে যা আপনি ব্যবহার করে ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু এই ডিজাইন গুলো কোন ভাবেই আপনার কাজের মান বাড়াতে পারবে না। এই ডিজাইনগুলো আপনি শুধুমাত্র ছোটখাটো কাজে ব্যবহার করতে পারেন। যখন আপনি প্রফেশনাল বা কর্পোরেট কাজ করতে যাবেন তখন আপনাকে আপনার নিজের স্বকীয়তা ও সৃজনশীলতা দিয়ে ডিজাইন করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জ্ঞান ও কৌশল আপনাকে সাহায্য করবে। তাই বলা যায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজে সহায়তা করবে কিন্তু কাজের মধ্যে সৃজনশীলতা নিয়ে আসতে হলে মানুষের প্রয়োজন হবে। যেখানে মানুষের হাতের ছোঁয়া লাগবে এবং মানুষকে নিজে সফটওয়্যার এর মধ্যে করতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভূমিকা কেমন?

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার মানে হলো নতুন নতুন ডিজাইন ও কনসেপ্ট তৈরি করার ক্ষমতা অর্জন করা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সফটওয়্যার গুলো আপনাকে ডিজাইন করে দিতে পারে কিন্তু আপনার মনের মত ডিজাইন করতে পারবে না। এই সফটওয়্যার গুলো আপনার কাজকে সহজ করতে পারে কিন্তু আপনার কাজের মান বাড়াতে পারবে না। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে আপনার কাজের মান বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সফটওয়্যার গুলোকে আপনার সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সফটওয়্যার গুলোকে আপনার প্রধান কাজের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি আপনার কাজের মান বাড়াতে পারবেন না।

তাই সম্পূর্ণ ভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। গ্রাফিক্স ডিজাইনের টুলস এবং সফটওয়্যার সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আপনি যখন সব কিছুর ব্যবহার জানবেন তখন আপনি আপনার মত করে ক্রিয়েটিভ ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন এবং তখন চাইলে AI এর সাহায্য নিয়ে আপনার কাজকে আরও সহজ এবং আকর্ষণীয় করতে পারবেন। তাই বলা যায় গ্রাফিক্স ডিজাইনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ভূমিকা রয়েছে এবং সামনে থাকবে তবে ডিজাইনের সঠিক ব্যবহার জানার জন্য আপনাকে ম্যানুয়াল ভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে হবে।

Graphic Design শিখে Artificial Intelligence শিখব? নাকি Artificial Intelligence শিখার পর গ্রাফিক ডিজাইন শিখব?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI আসার পর থেকে অনেক মানুষ মনে করছে AI দিয়ে দিয়ে যেহেতু ডিজাইনের কাজ করা যায় তাই তারা গ্রাফিক্স ডিজাইন না শিখে AI শিখার প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছে। AI থেকে পাওয়া টেম্পলেট বা রিসোর্স সহজে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাবহার করতে পারলেও আপনি কিন্তু তা কর্পোরেট বা প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য ব্যাবহার করতে পারবেন না। প্রফেশনাল ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইন এর রুলস, কালার, টাইপোগ্রাফি বা অন্যান্য কৌশল সম্পর্কে ভাল ভাবে জানতে হবে। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ডিজাইন করতে চান তাহলে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সফটওয়্যার এবং টুলস এর ব্যবহার জানতে হবে। ফ্রন্ট এবং কালার সম্পর্কে ধরানা থাকতে হবে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এই সময়ে এসে আপনি হয় টেকনোলোজি ব্যবহার করে ডিজাইন সহজে তৈরি করতে পারবেন কিন্তু একটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা AI কে সঠিক ভাবে কমান্ড দেয়ার জন্য হলেও আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে জানতে হবে। আমি আপনাকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখার জন্য না করছি না। অবশ্যই আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখবেন এবং আপনার ডিজাইন স্কিল কে আরও বেশি উন্নত করবেন। কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনের বেসিক বাদ দিয়ে শুধু মাত্র আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স শিখার উপর বেশি জোর দিবেন না। আপনি দুইটার কম্বিনেশন এ ভাল কিছু করতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইন এর পাশাপাশি, AI টেকনোলোজির সঠিক ব্যবহার শিখতে হবে। তাহলে আপনার কাজের গতি যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি ভাবে আপনি অনেকের থেকে এগিয়ে থাকবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের বর্তমান চাহিদা কেমন?

Graphic Design হচ্ছে সৃজনশীল পেশা। যা ব্যাক্তি তার মনের মত করে কাল্পনিক কোন কিছু ভিজুয়ালি প্রেজেন্ট করতে চায়। সেটি ডিজিটাল সফটওয়্যার এর মাধ্যমে হোক অথবা ম্যানুয়ালি হোক। আগে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা শুধু মাত্র একটি শিল্প হিসেবেই বিবেচিত হত। তবে কালের বিবর্তনে মানুষের প্রয়োজন হয়ে দাড়িয়েছে। আর এটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাজারও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। তৈরি হয়েছে দেশ বিদেশে বিশাল কর্ম সংস্থানের সুযোগ। আর ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে ফাইবার মার্কেটপ্লেস সহ আরও অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এবং প্রিন্ট অন ডিমান্ড সাইট থেকেও ইনকামের সুযোগ রয়েছে । আমি আগেই বলেছি বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজের চাহিদা যথেষ্ট পরিমান আছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রায় সমস্ত কোম্পানির দরকার হয়। American Statistics অনুযায়ী গড়ে একজন ডিজাইনার বছরে প্রায় ৫০ হাজার+ ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হন শুধু মাত্র জব এর মাধ্যমে। আমাদের দেশীয়ভাবে বলতে গেলে প্রতি মাসে ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে কোন কোম্পানি যদি কোম্পানির প্রচার করতে চায় তাহলে কোম্পানিকে পোস্টার বানাতে হবে। পোস্টারটি ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয় এবং এই পোস্টারটি অনলাইন অফলাইন দুটো জায়গাতেই প্রচার করা সম্ভব। এইসব কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাকরি বর্তমান মার্কেটে সহজেই পাওয়া যেতে পারে যদি আপনার মধ্যে সঠিক দক্ষতা থাকে। তাই ক্রিয়েটিভ এই পেশার চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং এর সম্ভাবনাকে উপলব্ধি করে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন AI Tools। যা আগের তুলনায় বর্তমান ডিজাইনারদের কাজ কে করছে ত্বরান্বিত। যা সত্যিকার অর্থেই ডিজাইন ক্যারিয়ার কে নিয়ে গেছে এক অনন্য লেভেলে।

গ্রাফিক ডিজাইন মার্কেট এর ভবিষ্যৎ?

Next MSC এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩ সালেই শুধু এই সেক্টর ছিল ৫৭.৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। যা ২০৩০ সাল নাগাদ হবে ৭৮.২৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। এছাড়াও ছোট বড় অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরকে কেন্দ্র করে। ফলে এর চাহিদা বা ডিম্যান্ড ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করলে বুঝা যায় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা বা ডিম্যান্ড আগেও ছিল ছিল এবং বর্তমানে আছে আর ভবিষ্যতেও থাকবে।

তবে তার জন্য প্রয়োজন হবে মার্কেট এর ডিমান্ড অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করার মত দক্ষতা থাকা। কারণ আপনি যদি মার্কেটে কোন সময় কি ধরনের ডিজাইন চলছে এই ট্রেন্ড বুঝতে না পারেন তাহলে অনেক সময় ভাল ডিজাইন করেও খুব বেশি সফল হওয়া যায় না। আর এই জন্য আমাদের MSB Academy তে Income Focused Graphic Design Masterclass For Everyone নামে একটি কোর্স পবালিশ করা হয়েছে। সঠিক মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে গাইডলাইন এবং বেস্টসেলিং ডিজাইন সম্পর্কে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। । Microstock সাইটগুলোতে যেভাবে ডিজাইন করলে এবং যেসব ডিজাইন বেশি সেল হয় সেইসব ডিজাইন করার টেকনিক এই কোর্সে শিখানো হয়েছে। এমনকি Ai (Artificial intelligence) দিয়ে তৈরি Powerful সব ডিজাইন টুলসের ব্যবহার শিখনো হয়েছে, যা ব্যাবহারে খুব দ্রুত ক্রিয়েটিভ ডিজাইন করা যাবে। আর আপনার ডিজাইনগুলো সেইসব সাইটে কিভাবে আপলোড করবেন সেই ব্যপারেও স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইডলাইন থাকবে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা কতটা যুক্তিযুক্ত?

আগেই বলেছি গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি সৃজনশীল কাজ। প্রযুক্তি যত আপডেট হোক গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা সব সময় থাকবে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা এখনো যুক্তিযুক্ত এবং ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য একটি ভালো ক্ষেত্র। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আপনার কাজের জায়গা নিয়ে নেবে না বরং আপনার কাজকে আরও সুন্দর ও সহজ করে দেবে। আপনি যদি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সফটওয়্যারগুলোকে আপনার প্রধান কাজের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে আপনি আপনার কাজের মান বাড়াতে পারবেন না।

একটি কথা আছে, পুরাতন চাল ভাতে বাড়ে। তাই ফটোশপ + ইলাস্ট্রেটর আপনি আগে শিখে নিতে পারেন। এর চাহিদা আগেও ছিল বর্তমানেও আছে ভবিষ্যতে থাকবে। তাপর আপনি AI Technology নিয়ে কাজ করতে পারেন। আমরা যখন একটি AI Image Generate করে থাকি, তখন AI Technology কিন্তু আমাদের প্রপার রেজাল্ট বা আমি যা চাচ্ছি তা নাও দিতে পারে। কিছুটা মডিফাই কিন্তু আমাদের করতেই হবে। এই মডিফাই করার জন্য হলেও আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। বর্তমান যেহেতু AI Technology এর ট্রেন্ড চলছে, তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনকে ক্যারিয়ার হিসিবে নিতে চাইলে, Photoshop + Illustrator + Ai Technology শিখার কোন বিকল্প নেই।

পরিশেষে একটি কথা বলব,  প্রযুক্তি হয়ত আপনার ডিজাইন আইডিয়া দিবে এবং আপনার কাজকে সহজ করে দিবে কিন্তু তাই বলে সম্পূর্ণ ভাবে প্রযুক্তির উপর বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপর নির্ভর হওয়া যাবে না। প্রযুক্তি তত উন্নত হোক মানুষের আবেগ অনুভূতি কখনো সম্পূর্ণ ভাবে প্রযুক্তি ধারণ করতে পাড়বে না। তাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স চলে এসেছে এই ভেবে বসে না থাকে যদি আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে শিখা শুরু করে দিন। প্রযুক্তি হয়ত আপনার কাজ সহজ করে দিবে কিন্তু আপনার কাজ সে শতভাগ দখল করবে না।

Leave a Reply