Blog

প্রিন্ট অন ডিমান্ড Vs ড্রপশিপিং – কোনটা করা বেশি লাভজনক?

প্রিন্ট অন ডিমান্ড ড্রপশিপিং

বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অনেক মাধ্যমে রয়েছে। এই মাধ্যম গুলাকে কাজে লাগিয়ে অনেকে প্রতিমাসে খুব ভাল ইনকাম করছে। আবার কেউ কেউ হয়ত এই অনলাইনকে কেন্দ্র করে নিজের ছোট একটি বিজনেস প্রতিষ্ঠা করেছে। আজকে আপনাদের ঠিক তেমনি দুইটি বিজনেস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, যা করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করাও সম্ভব, যদি বুঝে শুনে করতে পারেন।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড এবং ড্রপশিপিং বর্তমান সময়ে অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় ২টি অনলাইন বিজনেস। অনেকের হয়ত এর নাম শুনেছেন আবার অনেকে শুনেনি। কিন্তু যারা একবার এই বিজনেস এর সঠিক নিয়ম বুঝতে পেরেছে তারা লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছে খুব অল্প সময়ে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এই জনপ্রিয় দুইটি বিজনেস সম্পর্কে জানব। কিভাবে করবেন এই প্রিন্ট অন ডিমান্ড এবং ড্রপশিপিং বিজনেস? পিন্ট অন ডিমান্ড এবং ড্রপশিপিং বিজনেসের সুবিধা, অসুবিধা এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস কি?

অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে যারা টিশার্ট বা বিভিন্ন Customized প্রোডাক্ট প্রিন্টিং এর কাজ করে এবং তা ডেলিভারি দিয়ে থাকে। আর সেইসব কোম্পানিতে ডিজাইন করে সাবমিট করে আমার আপনার মত ডিজাইনাররা। এমনকি যারা ডিজাইন করে তারাই প্রোডাক্ট কত দামে বিক্রি করবে সেই প্রাইস সেট করে। আর তারপর কেও সেই ডিজাইন করা প্রোডাক্ট অর্ডার করলে, সেটা কোম্পানি প্রিন্ট করে কাস্টমারের হাতে পৌঁছে দেয়। সেই ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট তৈরি অ্যান্ড ডেলিভারি খরচ বাদ দিয়ে বাকি যা থাকে সেটা পায় ডিজাইনার!! এর মানে ডিজাইনারের কাজ শুধু ভালো ডিজাইন করা এবং মার্কেটিং করার মাধ্যমে তার ডিজাইন করা প্রোডাক্টে বেশি বেশি সেল আনা। এইটাকেই মূলত প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস বলা হয়।

অন্যভাবে বললে বলা যায়, প্রিন্ট অন ডিমান্ড হলো যখন কোনো বিজনেস ওনার, ডিজাইনার, আর্টিস্ট এবং এমনকি ফটোগ্রাফাররা ইউনিক ডিজাইন ক্রিয়েট করেন এবং সেগুলো কোনো অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে সেল করে থাকে। ডিজাইনগুলো মগ, পিলো, টিশার্ট এবং আরও অনেক কিছুর উপর ডিজিটালি তারা জাস্ট অনলাইনে আপলোড করে থাকে। কেও অনলাইন থেকে সেগুলো অর্ডার করলে, তার উপর ভিত্তি করে প্রোডাক্ট প্রিন্ট অ্যান্ড ডেলিভারি করা হয়। আর সেই ক্ষেত্রে ইনভেন্টরি স্টক করারও কোনো প্রয়োজন নেই। আপনার ডিজাইন করা প্রোডাক্টের প্রিন্ট তখনি হবে যখন কোন কাস্টমার সেটি অর্ডার দিবে।

প্রিন্ট অন ডিমান্ড কেন এত জনপ্রিয়

প্রিন্ট অন মার্কেট প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি জাস্ট মিনিটের মধ্যেই অনলাইন এ একটি স্টোর সেটআপ করে নিতে পারবেন এবং সিম্পলি আপনার ফান বেসড ও ক্রিয়েটিভ ডিজাইনগুলো আপলোড করে মার্কেটিং স্টার্ট করতে পারবেন। কোন প্রোডাক্টগুলো আপনি সেল করতে চান তা আপনি চুজ করতে পারবেন এবং আপনার ফুলফিলমেন্ট অথবা শিপিংয়ের দিকটি নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবে না কারণ আপনার প্ল্যাটফর্মটি সেই সবগুলো কাজ আপনার পক্ষ থেকে করে দিবে।যেহেতু ডিমান্ড অনুযায়ী প্রিন্ট দেয়া হয় তাই আগে থেকে স্টক করে রাখার কোন ঝামেলা নেই। আর আমাদের যদি ভালো ডিজাইন করার স্কিল থাকে, তাহলে কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই আমরা চাইলে এই বিজনেস শুরু করতে পারব আজকে থেকেই। যদিও এই বিজনেস করে খুব ভালো করতে চাইলে আপনার মার্কেট রিসার্চ, Trend এবং মার্কেটিং এর সেক্টরগুলোতেও বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। মূলত খুব সহজেই ইনিশিয়াল কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই এই বিজনেস শুরু করা যায় বলে প্রিন্ট অন ডিমান্ড সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কি ভাবে কাজ করে থাকে প্রিন্ট অন ডিমান্ড?

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসটি মূলত দুইটি ভাগে কাজ করে থাকে। যেমনঃ

  • সেলার/ ডিজাইনার
  • ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার

সেলার/ ডিজাইনার

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস শুরু করার আগে আপনাকে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে। এক এক প্ল্যাটফর্মে প্রিন্ট অন ডিমান্ড এক এক ভাবে কাজ করে। কারণ কোম্পানির ভিন্নতার কারণে এক এক কোম্পানির রুলস এক এক রকম হয়ে থাকে। এই বিজনেস করার জন্য আপনি যেই প্লাটফর্মকেই বেছে নেন না কেন, জয়েন করা এই POD প্লাটফর্মগুলোতে ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ ফ্রি। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে আপনার একটি স্টোর খুলতে হবে এবং ডিজাইন সাবমিট করে প্রোডাক্ট লাইভ করতে হবে। আপনার ষ্টোর লাইভ হবার মধ্যে দিয়ে শুরু করতে পারবেন আপনার প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসটি। আপনি প্লাটফর্মভেদে টিশার্ট ছাড়াও Hoodies, Mugs, Face Masks, Sneakers, Stickers, Tote Bags ইত্যাদি বিক্রি করতে পারবেন।

Merch by Amazon, Teespring, Redbubble এবং ViralStyle এর মতো জনপ্রিয় প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাইটগুলতে ক্রিয়েটিভ টিশার্ট ডিজাইন সেল করেও ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া আপনার যদি ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা না থাকে, সেক্ষেত্রে ডিজাইনার হায়ার করতে পারেন। অথবা ডিজাইন সেল করার অনেক সাইট রয়েছে। চাইলে সে সকল সাইট থেকে ডিজাইন ক্রয় করে আপনার স্টোর সাঁজাতে পারবেন।

ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার

ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার হচ্ছে এমন একজন জন বিজনেস পার্টনার যে আপনার স্টোরের সকল প্রোডাক্ট এর যোগান দিবে বা সরবারাহ করবে। ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যেমন, তাদের ওয়্যারহাউজ এর পরিধি কতটুকু, তাদের প্রোডাক্ট কোয়ালিটি কেমন, তারা কী ধরনের প্রোডাক্ট ভেরিয়েন্ট আপনাকে অফার করে থাকে, তাদের কাস্টমার সার্ভিস কতটুকু কার্যকারী, তাদের প্রোডাক্ট ডেলিভারী টাইম কতদিনে হয়ে থাকে। ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার কিন্তু আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিবে। তাই ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

এই ক্ষেত্রে আমার লিস্টের প্রথমে থাকবে Merch by Amazon! কারণ এই প্লাটফর্মের সাহায্যে আপনি আপনার ডিজাইন করা প্রোডাক্ট সরাসরি অ্যামাজনে বিক্রি করতে পারবেন। আর অ্যামাজনে যেহেতু প্রচুর অরগানিক ট্রাফিক তাই Proper Keyword Research and Competition Analysis করে ভালো ডিজাইন করতে পারলে খুব সহজেই Passive Income এর রাস্তা তৈরি করতে পারবেন। Merch by Amazon সাইটে কাজ করার ক্ষেত্রে নতুনদের অনেকরকম প্রশ্ন থাকে। আর সেইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে Merch By Amazon বিজনেসের কিছু কমন প্রশ্ন এবং উত্তর (Q&A) – এই ব্লগটি পড়তে পারেন। এছাড়া অন্যান্য পপুলার যেসব প্লাটফর্ম আছে যেমনঃ Teespring, Redbubble, ViralStyle ইত্যাদি প্লাটফর্মগুলোতেও আপনি স্টোর খুলে POD বিজনেস শুরু করতে পারেন।

প্রিন্ট অন ডিমান্ডের সুবিধা

১. ইনভেস্টমেন্টের ঝামেলা নেই

কোন বিজনেসের চিন্তা মাথায় আসলে আমাদের প্রথমে যে সমস্যায় পরতে হয় সেটা হল ইনভেস্টমেন্ট। অনেকই এই ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য বিজনেস করতে সাহস পায় না। প্রিন্ট অন ডিমান্ড ফরমেটে আপনি জিরো ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে বিজনেস করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি ইনভেস্টমেন্ট এর ঝামেলা ছাড়াই বিজনেস শুরু করতে পারবেন।

২. ঝামেলাবিহীন ব্যবস্থাপনা

প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেসটি কিন্তু সম্পূর্ণ ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। তাই কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছানো থেকে শুরু করে যত রকম বিজনেস ঝামেলা রয়েছে সব কিছু ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার নিয়ন্ত্রন করবে। আপনার এই সব নিয়ে কোন এক্সট্রা চিন্তা বা ঝামেলা করতে হবে না। আপনার কাজ শুধু নতুন ডিজাইন এবং ভিন্ন প্রোডাক্ট স্টোরে নিয়ে আসা এবং সেটা আপলোড দেয়া।

৩. কাস্টমার সেটিস্ফেকশন

প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর আরও একটি বড় সুবিধা হচ্ছে কাস্টমার সেটিস্ফেকশন। কাস্টমার যেহেতু তাদের প্রয়োজন মত প্রোডাক্ট এর সাইজ, কালার সিলেক্ট করে দিতে পারছে। সেক্ষেত্রে প্রোডাক্ট এর মান যদি ঠিক থাকে তাহলে পরবর্তীতে তারাই আপনার স্থায়ী কাস্টমারে পরিনত হবে এবং আপনার স্টোর থেকেই সব সময় প্রোডাক্ট অর্ডার দিবে।

৪. লিমিটলেস ইনকামের সুযোগ

প্রিন্ট অন ডিমান্ড প্ল্যাটফর্মে শুধুমাত্র টিশার্ট না, প্লাটফর্মভেদে এছাড়া আরও ৩০০+ টাইপের প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। আর এই প্রোডাক্টগুলো নিত্য প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট হওয়াতে ইনাকামের সুযোগ এইখানে অসীম। আর আপনি যদি কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই Merch by Amazon, Teespring, Redbubble এবং ViralStyle এর মতো জনপ্রিয় প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাইটগুলতে ক্রিয়েটিভ টিশার্ট ডিজাইন সেল করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান এবং অনলাইনে সাকসেসফুল ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে করে ফেলতে পারেন MSB Academy-এর বেস্টসেলিং Print on Demand কোর্সটি। কোর্সটি করে ৬০% এর বেশি স্টুডেন্ট প্রতি মাসে ৩০০+ ডলার ইনকাম করছে। আবার অনেকে হাজার ডলারেরও বেশি Passively ইনকাম করছে।

ড্রপশিপিং কি?

প্রিন্ট অন ডিমান্ড এবং ড্রপশিপিং অনেকটা সিমিলিয়ার। কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণ্য আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে প্রচার করে বিক্রয় করাকে ড্রপশিপিং বলা হয়ে থাকে।

আরও একটু সহজ করে বলি, ধরুন আপনার কোন ওয়েবসাইটে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক প্রোডাক্ট রয়েছে। তার মধ্যে থেকে আমি একটি হেডফোন পছন্দ করে অর্ডার করলাম। এখন আপনি আমার অর্ডার করা প্রোডাক্টটি অন্য কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করে আমি অর্ডার করার সময় যে ঠিকানা দিয়েছিলাম সে ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলেন, এটাই মূলত ড্রপশিপিং বিজনেস। এর মানে আপনার কাছে কোন প্রোডাক্টই থাকবে না, কিন্তু আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিক্রির জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট লিস্ট করে রাখবেন। আর কেও অর্ডার করলে, যারা সেটা সোর্স করে কাস্টমারের কাছে সেটি পৌঁছে দিবেন।

ড্রপশিপিং কেন এত জনপ্রিয়

আপনি যখন ড্রপশিপিং কে কেন্দ্র করে অনলাইনে একটা বিজনেস প্রতিষ্ঠা করবেন তখন সেটা হবে ড্রপশিপিং বিজনেস। প্রিন্ট অন ডিমান্ড এর মত বর্তমান সময়ে ড্রপশিপিং বিজনেস বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি মূলত একটি অনলাইন বিজনেস। যেখানে প্রতিদিন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মিটিয়ে প্রতি মাসে একটা ভাল ইনকাম করা যায়। কিন্তু আপনাকে কোন পণ্য আগে থেকে মজুদ করে বা স্টক করে রাখতে হবে না। আর এইখানেই মূল পার্থক্য ড্রপশিপিং আর ইকমার্স বিজনেসের মধ্যে।

অনেকেই এখনও এই ড্রপশিপিং বিজনেস সম্পর্কে তেমন জানে না, আর যারা জেনেছে তারা প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। টিকসই এবং ঝামেলা কিছুটা কম হওয়া এবং ভাল ইনকামের জন্য দিন দিন ড্রপশিপিং বিজনেসের জনপ্রিয়তা বেড়ে চলছে।

ড্রপশিপিং বিজনেজ এর সুবিধা

১. সীমিত ইনভেস্টমেন্ট

যে কোন বিজনেস করতে গেলে বড় ধরনের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। ড্রপ শিপিং বিজনেসে ইনভেস্টমেন্ট অন্য সব বিজনেস থেকে কিছুটা কম লাগে। আপনাকে এক কালীন কিছু টাকা ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে এবং মার্কেটিং করতে। অন্যান্য অফলাইন বিজনেস শুরু করতে বা একটা ইকমার্স বিজনেস স্টার্ট করতে যে পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট লাগে, তার থেকে অনেক কম ইনভেস্টমেন্ট লাগে এই বিজনেসে।

২. আলাদা কোন অফিস বা জায়গা লাগবে না

সাধারনত ই-কমার্স বিজনেস করতে হলে বিশাল অফিস এবং প্রোডাক্ট মজুদ করে রাখার জন্য জায়গা বা গুদাম ঘর এর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আপনি যদি আপনার ই-কমার্স বিজনেস ড্রপশিপিং এর মাধ্যমে করেন তা হলে, আপনার আলাদা ভাবে কোন অফিস বা গুদাম লাগবে না। ঘরে বসেই করতে পারবেন। কারন কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রোডাক্ট অর্ডার করবে আর আপনি অন্য একটি ই- কমার্স ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করে সেটি কাস্টমারের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন।

৩. ড্রপশিপিং একটি অনলাইন বিজনেস

ড্রপশিপিং একটি অনলাইন বিজনেস সেটা আগেও অনেকবার বলেছি। আপনি যে কোন জায়গায় বসে করতে পারবেন শুধু প্রয়োজন একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন। আপনি ঘরে বসে একটি পিসি দিয়ে সব কিছু একা দেখাশোনা করতে পারবেন এবং অফলাইন বিজনেস থেকে ইনকাম অনেক বেশি এবং কায়িক পরিশ্রম করা লাগবে না।

যা যা লাগবে ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করতে

আপনি কিন্তু চাইলেই ড্রপ শিপিং বিজনেস শুরু করতে পারবেন না। যেহেতু কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার করবে এবং পেমেন্ট করবে তাই আপনাকে কিছু জিনিস সেটআপ করতে হবে। ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করতে চাইলে কিছু জিনিস লাগবে। তার মধ্যে ৪ টি জিনিস যা লাগবেই বিজনেস শুরু করতে হলে। সেগুলো হচ্ছেঃ

  • ডোমেই + হোস্টিং
  • সুন্দর E-Commerce ওয়েবসাইট থিম
  • আলিড্রপশিপ প্লাগিন
  • এবং মার্কেটিং (Must)

এই ৪ টি জিনিস হলে আপনি মূলত বিজনেস শুরু করতে পারবেন। আর আপনি সাইট বানানোর ঝামেলায় যেতে না চাইলে Shopify ব্যাবহার করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে খরচ কিছুটা বেড়ে যাবে (কাজের ঝামেলাও অনেক কমে যাবে)

প্রিন্ট অন ডিমান্ড নাকি ড্রপশিপিং? কোনটা করা বেশি লাভজনক?

আর্টিকেলটি পড়ে হয় আপনি ভাবছেন তাহলে কোনটি দিয়ে বিজনেস শুরু করব? বা কোনটি বেশি ভাল হবে? এত সময় আমি আপনাদের প্রিন্ট অন ডিমান্ড এবং ড্রপশিপিং দুটি বিজনেস সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব কিছু বললাম। আমার কাছে সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে মনে হয়েছে ড্রপশিপিং বিজনেস থেকে প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস বেশি সুবিধা জনক এবং ঝামেলামুক্ত।

ড্রপশিপিং বিজনেসে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমনঃ এই বিজনেসে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকা লাগবে এবং সেটা মেইনটেইন করতে হবে। ডোমেই + হোস্টিং এর ঝামেলা রয়েছে। আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যেহেতু আপনি নিজের কোন প্রোডাক্ট সেল করবেন না, অন্য একটি ওয়েবসাইট থেকে সেল করবেন সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কন্ট্রোল আপনার কাছে থাকবে না। অনেক ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট Out of Stock হতে পারে। আবার প্রোডাক্টে কোন সমস্যা থাকলে সেটা রিটার্নের কাজটাও আপনার হ্যান্ডল করতে হবে। আর আপনার ওয়েবসাইটকে পপুলার করার জন্য মার্কেটিং যে করবেন, সেই ক্ষেত্রেও আপনার প্রচুর খরচ করতে হবে।

আর প্রিন্ট অন ডিমান্ডে আপনার কাজ শুধু ডিজাইন করে প্রোডাক্ট আপনার স্টোরে লিস্ট করা। সেই ক্ষেত্রে স্টোর তৈরিও সম্পূর্ণ ফ্রি। প্রোডাক্ট ডেলিভারি, যেকোনো সমস্যায় প্রোডাক্ট রিটার্ন, স্টকে আছে নাকি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনাকে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না। আপনি ভালোভাবে মার্কেট রিসার্চ করে ভালো ভালো ডিজাইন করতে পারলেই আপনার ইনকাম আসতে থাকবে। আর এই POD (Print on Demand) বিজনেসে আপনি খুব বেশি আগ্রহী হয়ে থাকলে করতে পারেন আমাদের বেস্টসেলিং প্রিন্ট অন ডিমান্ড কোর্সটি। সেই ক্ষেত্রে এই বিজনেসের শুরু থেকে, ডিজাইন, মার্কেটিং, রিসার্চ এমনকি দরকারি সব পেইড রিসোর্সও কোর্সের সাথেই পেয়ে যাবেন।

আশা করি এই আর্টিকেল পড়ে ড্রপশিপিং এবং প্রিন্ট অন ডিমান্ড বিজনেস সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। বিজনেস করতে গেলে রিস্ক নিতে হবে। সব সময় শুধু লাভ এর চিন্তা করলে হবে না। সময় নষ্ট না করে শুরু করে দিন। জীবনে ঝুকি নিতে শিখুন দেখবেন সফলতার সর্বোচ্চ স্থানে যেতে পারবেন।

Leave a Reply