Blog

টি-শার্ট ডিজাইন কেন শিখবেন? ক্যারিয়ার হিসেবে এই সেক্টরটি কেমন?

অনলাইন এবং অফলাইন উপয় ক্ষেত্রেই বর্তমান সময়ে অন্যতম চাহিদাপূর্ণ কাজ হল টিশার্ট ডিজাইন। টিশার্ট অনেক আরামদায়ক একটি পোষাক। অবশ্য শুধু যে আরামের জন্যই জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা কিন্তু নয়। টি-শার্ট মানুষকে এতবেশী আকর্ষণ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে এর দৃষ্টিণন্দন এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন। আপনি যদি নিজেকে একজন প্রফেশনাল মানের টিশার্ট ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে অফলাইন এবং অনলাইন দুই সেক্টরে সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। টিশার্ট ডিজাইনার হয়ে অনলাইনে কিভাবে সফল ক্যারিয়ার গড়বেন? এবং বর্তমানে এর চাহিদা কেমন? কিভাবে একজন প্রফেশনাল মানের টিশার্ট ডিজাইনার হবেন? এই সব কিছু নিয়ে এই আর্টিকেলে আমরা জানব।

টিশার্ট ডিজাইন কি?

এটা অবশ্য সকলেই জানি টিউনিক থেকে টিশার্ট এসেছে। বর্তমান সময়টিশার্ট একটি খুবই জনপ্রিয় ও সব ধরনের মানুষের কমফোর্ট এবং অ্যাফোড করতে পারে এমন একটি কাপড়। বর্তমানে এটি অনেক কোয়ালিটির হয়ে থাকে। এবং বর্তমানে টিশার্টের উপর প্রিন্ট করে সাদামাটা টি-শার্টকে অ্যাট্রেক্টিভ এবং প্রিমিয়াম কোয়ালিটি করে তা বহুল লভ্যাংশে বিক্রয় করা সম্ভব হয় শুধুমাত্র প্রিন্ট ডিজাইনটার কারণে। হ্যাঁ এক্ষেত্র অবশ্যই ডিজাইনারকে খুবই এক্সপেরিয়েন্স এবং এক্সপার্ট হতে হবে এবং সেই সাথে বর্তমান ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজাইন করতে জানতে হবে।

টিশার্ট ডিজাইনের ভবিষ্যত কি?

পোষাকশিল্পের অন্যতম এক শাখা টিশার্ট এবং পোলো শার্ট। এই সেক্টরে কাজ শিখতে পারলে বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে ভালো কিছু করা সম্ভব। পৃথিবীর জনসংখ্যা ক্রমবর্ধ্মান। মনে রাখবেন এই বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য প্রচুর পরিমাণ পোশাক দরকার। আর বর্তমানে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে এই সেক্টরের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনে অনেকে ভাল মানের টিশার্ট ডিজাইনার হায়ার করে এবং কি আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলাতে আপনার করা প্রিমিয়াম ডিজাইন সেল করে প্রতিমাসে ইনকাম করতে পারবেন। .

চাকুরী এবং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে টিশার্ট ডিজাইনের কেমন সম্ভাবনা রয়েছে?

বড় বড় কোম্পানির গুলোর দিকে তাকালে আপনি বুঝতে পারবেন তারা তাদের মার্কেটিং এবং প্রোডাকশন কোয়ালিটি ধরে রাখার জন্য মেশিন, সেলিব্রেটি আম্বাসেডর এবং এক্সপেরিয়েন্সড ও প্রফেশনাল লোক রেখে অন্যান্য কর্মচারী যাদেরকে না রাখলেই হয় তাদেরকে চাকরি থেকে বের করে দিচ্ছে। এ থেকেই বুঝা যায় বর্তমানে শর্টকাট বলতে কিছু নেই আপনার কিছু না কিছু বিষয়ে স্কিলফুল হতেই হবে। আর আপনি যদি স্কিলফুল হন অন্তত এই সেক্টরটিতে স্কিলফুল হন তাহলে সাকসেস আপনি হবেন ইনশাল্লাহ। বর্তমানে যদি বাংলাদেশেও দেখেন এখানেও অনেকগুলো কোম্পানি গড়ে উঠেছে যারা টি-শার্টের মাধ্যমে বিজনেস করে থাকে। তাদেরও কিন্তু ডিজাইন এবং টিশার্ট ডিজাইনার দরকার হয়।

একই সাথে আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন। যেমন- ফাইবার ও আপওয়ার্ক, সেই সাথে নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে এবং এক্সপার্ট লেভেলকে কাজে লাগিয়ে কিছু মাইক্রোস্ট্রোক সাইট এবং কিছু হিডেন সাইটে আপনি আপনার সম্পূর্ণ নিজে করার ডিজাইন সাবমিট করার মাধ্যমে প্রতি মাসে একটি হ্যান্ডসাম আর্নিং জেনারেট করতে পারবেন খুব সহজে। সেই সাথে পিওডি সাইটতো আছেই। তাহলে বুঝতে পারছেন এই বিষয়ে আপনি দক্ষ হলে এবং আপনি ডিজাইনার হলে চাকুরীর পাশাপাশিও আপনি প্যাসিভ ইনকাম ও ডিরেক্ট ক্লাইন্টের সাথে কাজ করার সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়েছে।

টিশার্ট ডিজাইন শিখে কেমন ইনকাম করা সম্ভব?

শুধুমাত্র টিশার্ট ডিজাইন আপনি প্রফেশনাল ভাবে করতে পারলে ফ্রীলান্সিং বলেন কিংবা পেসিভ ইনকাম ৮-১০ রকমেরও বেশি প্লাটফর্মে আপনি খুব ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। যার ফলে প্রতি মাসে মিনিমাম ১০০-১০০০+ ডলার ইনকাম করা আপনার জন্য কোন ব্যাপারই হবে না। বর্তমান সময়ে টি-শার্ট ডিজাইন একটি মাল্টি মিলিয়ন ডলারের মার্কেট। Merch by Amazon, Teespring, Redbubble এর মত প্লাটফর্মগুলোতে ভালো ভালো ডিজাইন আপলোড করার মাধ্যমে আপনি ডিজাইন আপলোড করে রাখার মাধ্যমে গ্লোবালি টিশার্ট সেল করে Passive Income করতে পারবেন।

তেমনি Freepik, Adobestock, Creative Febrica Shutterstock-এর মত সাইটগুলোতে ডিজাইন সাবমিট করার মাধ্যমে একই ডিজাইন থেকে বার বার ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। এর মনে সাইটগুলোতে আপনি যত বেশি ভালো ভালো ডিজাইন লাইভ রাখতে পারবেন, আপনার ইনকাম ততই বেড়ে যাবে।

টিশার্ট ডিজাইন করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? 

টিশার্ট ডিজাইন করে মূলত দুই ভাবে ইনকাম করা যায়। অনলাইনের মাধ্যমে এবং অফলাইনের মাধ্যমে। অনলাইন এবং অফলাইন থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক।

অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম

অনলাইনে আপনি বিভিন্ন ভাবে টিশার্ট ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন: ফ্রিল্যান্সিং!! ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে টিশার্ট ডিজাইনের বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় যেসব ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল ~

  • ফাইবার (Fiverr)
  • আপওয়ার্ক (Upwork)
  • ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)
  • পিপলপারআওয়ার (PeoplePerHour)
  • গুরু (Guru)

এই রকম আরও অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে টিশার্ট ডিজাইনের সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করা যায়। এখানে দেশি বিদেশি অনেক বায়ার আসে ভাল মানের টিশার্ট ডিজাইন করানোর জন্য। আপনি এই সকল মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে আপনার নিজের করা ডিজাইন আপলোড করে প্রাইস সেট করে দিতে পারবেন। এছড়া অনেকে আসে তাদের প্রোজক্টের কাজে ডিজাইনার হায়ার করার জন্য। তাদের সকল শর্তাবলী যদি পছন্দ হয় তাহলে সেখানে আবেদন করতে পারবেন। সেখান থেকেও অনেক স্মার্ট ইনকাম করতে পারবেন। শুধু তাই না, আপনার ডিজাইন যদি ভাল হয় পরবর্তীতে আপনাকে আবার কাজের জন্য অফার করবে। বুঝতেই পারছেন এই সেক্টরে ইনকাম করার সম্ভাবনা অনেক।

প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড বিসনেসের মাধ্যমে ইনকাম

বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে পেসিভ ইনকাম করার অন্যতম সহজ মাধ্যমে হচ্ছে প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড (POD) বিসনেস। নিজের করা ডিজাইন বিভিন্ন POD সাইটে প্রাইস সেট করে লিস্ট করবেন, মার্কেটিং করবেন। আর কেও অর্ডার করলেই আপনার ইনকাম হয়ে যাবে। টিশার্ট প্রিন্ট, ডেলিভারী এইসব কাজ সব ওই POD কোম্পানিই করবে। প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড বিজনেসের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় সাইটগুলো হচ্ছে ~

  • মার্চ বাই অ্যামাজন (Amazon Merch on Demand)
  • টিস্পিং (Teespring / Spring)
  • রেডবাবোল (Redbubble)
  • ক্যাফেপ্রেস (CafePress)
  • স্প্রেডশার্ট (Spreadshirt)
  • ভাইরালস্টাইল (Viralstyle) ইত্যাদি

এই ওয়েবসাইটগুলাতে আপনি অ্যাকাউন্ট খোলার করার পর আপনার নিজের করা ডিজাইন সেল করতে পারবেন। আপনার করা ডিজাইন যদি ইউনিক হয় তাহলে বিদেশি অনেক ক্লাইন্ট আপনার ডিজাইন কিনে নিতে আগ্রহী হবে। বাংলাদেশের অনেকেই এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে কাজ করে এখন লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

এখন আপনি যদি Merch by Amazon, Teespring, Redbubble এবং ViralStyle এর মতো জনপ্রিয় প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড সাইটগুলতে ক্রিয়েটিভ টিশার্ট ডিজাইন সেল করে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান এবং অনলাইনে সাকসেসফুল ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে এই MSB Academy-এর বেস্টসেলিং প্রিন্ট-অন-ডিমান্ডের কোর্সটিতে জয়েন হতে পারেন। এখানে টিশার্ট ডিজাইন শিখনো শুরু করা থেকে এই মার্কেটপ্লেসগুলাতে কিভাবে অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন? কিভাবে সঠিকভাবে ডিজাইন আপলোড দিবেন? সঠিকভাবে মার্কেটিং করা থেকে শুরু করে সকল ধরনের গাইডলাইন পেয়ে যাবেন।

কোর্সে জয়েন করলে পাবেন লাইফ টাইম কোর্স এক্সেস + লাইফ টাইম সাপোর্ট এবং ফ্রি কোর্স আপডেটের সাথে ৭০০ ডলার মূল্যের ফ্রি সফটওয়্যার ও রিসোর্স দেয় হবে। যা ব্যবহার করলে আপনার ডিজাইনকে আরও ক্রিয়েটিভ করে তুলতে পারবেন সহজেই।

অফলাইনের মাধ্যমে ইনকাম

অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে কাজ করে ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে। যেমন ধরুন আজকাল অনেক সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বনভোজন বা পিকনিক এর আয়োজন করে থাকে এবং তারা চায় তাদের প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব লোগো বা ডিজাইন করা টিশার্ট সবাই পরবে। এখন এই কাজের জন্য কিন্তু একজন টিশার্ট ডিজাইনার প্রয়োজন হবে। কারণ বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলা কিন্তু এই ধরনের ছোট কাজের জন্য আলাদা ভাবে কোন ডিজাইনার রাখে না। আপনি চাইলে এই কাজগুলা করে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়া আপনি চাইলে আপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনেক বড় বড় কোম্পানিতে ডিজাইনার হিসবে ফুলটাইম জব করতে পারবেন। এখন এক্সপার্ট ডিজাইনারদের ফ্যাশন ডিজাইন সেক্টরে প্রচুর Job Opportunity রয়েছে।

এছাড়াও আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে টিশার্ট ডিজাইনার নিয়োগ ও হায়ার করার অনেক বিজ্ঞাপন দেখা যায়। বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের নিজদের কাজ এবং অনেক প্রোজেক্ট এর কাজের জন্য ভাল মানের ডিজাইনার খুঁজেন। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে এই সকল কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন। তাদের চাহিদা এবং আপনার পারিশ্রমিক সব কিছু মিলিয়ে যদি মনের মত তাহলে আপনি কাজটি করে দিলে ভাল টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এই সকল কাজের সুবিধা হল আপনি আপনার ঘরে বসে করতে পারবেন।

টিশার্ট ডিজাইনে কি কি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়?

গ্রাফিক্স ডিজাইন করার সফটওয়্যার সমূহ দিয়ে আপনি টিশার্ট ডিজাইন করতে পারবেন। খুব বেশী সফটওয়্যার বা টুলস এর সাথে পরিচিত হওয়ার দরকার নেই। আপনি যদি এডোবি ফটোশপ এবং এডোবি ইলাষ্ট্রেটরের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি যেকোন রকমের টিশার্ট ডিজাইন করতে পারবেন।

photoshop and illustrator tshirt design Bangla

টিশার্ট ডিজাইনের দক্ষ হতে হলে আপনাকে প্রথমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের পুরোটা না জানলেও ব্যাসিক জানতে হবে। টুলস, প্রতিটা টুলস এর কাজ, অ্যাালাইন, কালার, ফ্রন্ট, এসব ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর দক্ষতা থাকতে হবে। এরপর কোন দক্ষ মেন্টরের গাইডলাইন নিয়ে কাজ শুরু করুন। প্রচুর প্রাকটিস করুন। টিশার্ট ডিজাইনের ইন্টারন্যাশনাল যেসব পোর্টফলিও সাইট এবং জব মার্কেট রয়েছে সেগুলোতে নিয়মিত ভিজিট করে ট্রেন্ড সম্পর্কে নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।

কিভাবে শিখবেন টিশার্ট ডিজাইন?

আশা করি ইতিমধ্যে আপনি বুঝতে পেরছেন টিশার্ট ডিজাইন কি? এর প্রয়োজনীয়তা এবং কি ভাবে আপনি টি শার্ট ডিজাইনার হয়ে ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কি ভাবে শিখবেন টি শার্ট ডিজাইন। টিশার্ট ডিজাইন আপনি চাইলে দুই ভাবে শিখতে পারেন।

১) ইউটিউব ভিডিও দেখে

বর্তমানে ইউটিউব হল জ্ঞানের এবং শিখার ভাণ্ডার। ইউটিউবে ভিডিও দেখে আপনি ভাল মানের ডিজাইন করা শিখতে পারেন। দেশ এবং দেশের বাহিরের অনেক ভাল মানের ডিজাইনার রয়েছে যারা তাদের নিজের চ্যানেল ভিডিও আপলোড করে থাকে। ইউটিউবে সার্চ দিয়ে আপনি আপনার পছন্দ মত বাংলা ইংলিশ যে কোন ভাষায় ভিডিও দেখে শিখতে পারেন।

২) অনলাইন কোর্স করে 

প্রফেশনাল ভাবে টিশার্ট ডিজাইন শিখতে হলে আপনাকে ভাল কোন একাডেমী থেকে শিখতে হবে। বর্তমানে অনেক অনলাইন একাডেমী রয়েছে যারা প্রফেশনাল মানের টিশার্ট ডিজাইন কোর্স করিয়ে থাকে। আপনি ঘরে বসে একজন মেন্টর এর গাইডলাইনে থেকে এই সকল কোর্স করার মাধ্যমে শিখতে পারেন। অনলাইন কোর্সের বিশেষ সুবিধা হল এখানে কাজ শিখানোর পাশাপাশি মার্কেটপ্লেসে কি ভাবে কাজ করবেন সে বিষয়ে গাইডলাইন পেয়ে যাবেন।

এখন আপনি যদি একজন প্রফেশনাল মেন্টরের গাইডলাইনে থেকে বেসিক থেকে অ্যাডভান্স লেভেল পর্যন্ত টিশার্ট ডিজাইন শিখে সফল ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে জয়েন হতে পারেন MSB Academy এর Basic To Advanced T-Shirt Design Masterclass In Bangla এই কোর্সটিতে

কোর্সটিতে টিশার্ট ডিজাইনের সবকিছু A to Z শিখানোর পাশাপাশি শেয়ার করা হবে ৭০০+ ডলার মূল্যের প্রিমিয়াম ডিজাইন রিসোর্স এবং ফেইসবুক প্রাইভেট গ্রুপে থাকবে লাইভ ক্লাসের বেবস্থা। এছাড়া কোর্সটিতে ডিজাইন শিখানোর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এবং Creative Fabrica, Shutterstock এর মত সাইটে ডিজাইন সেল করার মাধ্যমে কীভাবে Passive Income করা যায় সেই ব্যাপারেও কমপ্লিট গাইডলাইন দেয়া হবে।

কোর্স করার মাধ্যমে নিজেকে কতটুকু পরিমাণ এক্সপার্ট লেভেলে নিয়ে যাওয়া যাবে?

সবার আগে এটা বলে রাখা ভালো যদি আপনি শুধুমাত্র টিশার্ট ডিজাইন ভালোভাবে শিখতে পারেন সঠিক গাইডলাইন, সঠিক ইন্সট্রাক্টর ও বেস্ট ইনস্টিটিউট এর মাধ্যমে, যেমন আমাদের এমএসবি একাডেমি। সেক্ষেত্রে আপনি যেমন কপি করা ছাড়া ডিজাইন করা শিখবেন অনুরূপভাবে আপনার মধ্যে ক্রিটিভিটি উদ্ভাবনা বেড়ে যাবে এবং নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্র্যাকটিস করার মাধ্যমে নিজেকে প্রফেশনাল এবং এক্সপার্ট লেভেলে নিয়ে যেতে পারবেন। আর এইভাবে টি শার্ট ডিজাইন শেখার মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র টি-শার্ট না ” পোলো টি-শার্ট, ফ্যানসি টি-শার্ট, হুডি, শর্টস, মগ, সুয়েট শার্ট, ইন্টেরিয়ার ডিজাইন ফ্রেম, ট্যাংকটপ, স্ট্রিংগারসহ আরো অনেক ধরনের প্রিন্ট আইটেম আপনি খুব ক্রিয়েটিভ এবং ডিমান্ডেবল ভাবে ডিজাইন করতে সক্ষম হবেন খুব সহজে। তাহলে বুঝতেই পারছেন শুধুমাত্র এই কোর্সটি করার মাধ্যমে আপনি নিজেকে কতটুকু প্রফেশনাল লেভেলের নিয়ে যেতে পারবেন।

আমরা সবাই জানি প্র্যাকটিস যেকোন জিনিসকে পারফেক্ট করে তুলে। আর ক্রিয়েটিভ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে প্র্যাকটিসের কোন বিকল্প নেই। তাই আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ডিজাইনার হতে চান এবং আপনার ইচ্ছা যদি থাকে টিশার্ট ডিজাইনের কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে প্যাসিভ ইনকাম করার তাহলে আপনাকে সময় দিতে হবে, ভালভাবে শিখতে হবে এবং প্র্যাকটিস করতে হবে। যত এইটা নিয়ে চিন্তা করবেন, প্র্যাকটিস করবেন, আপনার ভিতর থেকে তত বেশি ইউনিক ডিজাইন বের হবে।

Comments

  • User Avatar
    mahabub08
    January 25, 2023

    nice article 💕

  • User Avatar
    hasanrabbi28
    February 12, 2023

    সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া অনেক কিছু জানতে পারলাম।

  • User Avatar
    nahar39
    May 9, 2023

    Nice. amie now Graphic Design Sikhci iccha ache apnader T-SHIRT Design course sikhar..

Leave a Reply