Blog

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ও সেল বাড়ানোর কৌশল

how to increase sell through website

সময়ের সাথে সাথে এখন সব কিছুতে এসেছে পরিবর্তন। এখন প্রায় সকল বিজনেসে একটি সুন্দর অফিসের পাশাপাশি প্রয়োজন একটি সুন্দর ওয়েবসাইটের। প্রতিযোগিতার এই বিশ্বে ব্যবসার প্রচার এবং প্রসারের জন্য সুন্দর একটি ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেমন অনেকেই লাভবান হচ্ছেন আবার সঠিক কৌশল না জানার কারণে অনেকে খুব বেশি উন্নতি করতে পারছে না। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব কিভাবে একটি প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করবেন ও ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় কোন বিষয়গুলির দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। আরও জানব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে ব্যবসার প্রসার বাড়াবেন তার কৌশল।

ওয়েবসাইট কি?

একটি ওয়েবসাইট হচ্ছে ওয়েব পাতা এবং সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর একটি সংগ্রহ যা একটি সাধারণ ডোমেইন নাম দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং অন্তত একটি ওয়েব সার্ভারে প্রকাশিত হয়। আরও সহজভাবে বলতে গেলে, ওয়েবসাইট হল কোন নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারে রাখা বিভিন্ন ধরনের ওয়েব পৃষ্ঠা, আপলোড কৃত ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য বিষয় যেমনঃ Infographic, GIP, Animation ইত্যাদি ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্যন্য স্মার্ট ডিভাইসের এর মাধ্যমে এক্সেস করে দেখতে পারি। উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো facebook.com, amazon.com, msbacademy.com ইত্যাদি।

ওয়েবসাইটটি কেমন হবে?

চাইলেই কয়েকটা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে একটা ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় কিন্তু ওয়েবসাইট একটা সেটআপ করলেই কি কাজ শেষ? তৈরি ওয়েবসাইটটি যদি প্রফেশনাল মানের হয় না, তাহলে কিন্তু তৈরি ওয়েবসাইট কোন কাজেই আসবে না। তাই ওয়েবসাইট তৈরি সময় আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ওয়েবসাইটটি প্রফেশনাল মানের হয় এবং যেই কাজের জন্য আপনি সাইটটি তৈরি করবেন সেই লক্ষ্য যাতে সাইটটি ফিলাপ করতে পারে। এছাড়া সাইটের লুকিং যেন সুন্দর এবং কিছুটা আকর্ষণীয় হয়। পাশাপাশি কাস্টমারের কাছে সাইটটিকে ব্যবহার উপযোগী, সহজলভ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার ওয়েবসাইটটি SEO Friendly হতে হবে। এছাড়াও ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় এই নিচের এই বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ

  • ওয়েবসাইট দিনে ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন একটিভ থাকতে হবে।
  • অবশ্যই ভালো ডোমেইন হোস্টিং কিনতে হবে যেন সাইট এক পেজ থেকে আরেক পেজে খুব দ্রুত লোডিং হয়।
  • ওয়েবসাইটের ডিজাইন অবশ্যই সুন্দর হতে হবে। যেন কাস্টমার সাইটে ভিজিট করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
  • ওয়েবসাইটের সকল কন্টেন্ট সুন্দর করে গুছানো থাকতে হবে এবং মানসম্মত হতে হবে। সহজে সব কিছু খুঁজে পাওয়া যায় এবং সব কিছু যেন একটা সুন্দর ফরম্যাট মধ্যে থাকে। সাইট সুন্দর ভাবে সাজানো  থাকলে এবং কন্টেন্ট মানসম্মত হলে কাস্টমার বার বার আসবে।  
  • সাইটে কিন্তু বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন শ্রেণীর ক্রেতারা আসবে। ভাল লাগলে আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিস অর্ডার করবে। তাই অর্ডার পে করার জন্য সকল পেমেন্ট সিস্টেম চালু রাখতে হবে। অবশ্যই প্রচলিত লেনদেন সিস্টেম ব্যবহার করতে হবে যেমনঃ বিকাশ, নগদ, রকেট সকল ব্যাংকের ভিসা মাস্টার কার্ড এবং সম্ভব হলে ডলারে পেমেন্ট অপশন রাখতে পারেন। যদি আপনার ডলারে পেমেন্ট রিসিভ করার মত অ্যাকাউন্ট থাকে। যেমনঃ Stripe, PayPal ইত্যাদি।
  • যদি হোম ডেলিভারি দেয়ার মত কোন পণ্য বা সার্ভিস থাকে তাহলে হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতে করে কাস্টমার অনেক খুশি হবে বিক্রি অনেক বাড়বে। বর্তমানে হোম ডেলিভারি ব্যবসার প্রসারে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।
  • বিভিন্ন অকেশনে নিয়মিত বিভিন্ন অফার দিয়ে ওয়েবসাইটটি সবসময় আপডেটেড রাখতে হবে। যেমন- ইদ, পূজা,পহেলা বৈশাখ, নতুন বছর ইত্যাদি।

ওয়েবসাইটের জন্য আবশ্যিক কিছু পেজ এবং প্রোডাক্ট / সার্ভিসের পেজ সুন্দর করে সাজান এবং আপডেট রাখুন

হোমপেজঃ কোনো ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইট এর সামনের পেজকে হোমপেজ বলা হয়। এই হোমপেইজকে বলা যায় একটা ওয়েবসাইটের চেহারা। কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ, নির্দিষ্ট URL দ্বারা খোলার পর যে পেজটি প্রথমে খুলে আসে তাকে হোমপেজ বলে। এটি হলো কোনো ওয়েব পেজ বা ওয়েবসাইটের এর Main পেজ বা প্রধান পেজ। মেনু, লেআউট, সাইটবার, ক্যাটাগরি, পোস্ট লিংক সব কিছু ওয়েবসাইটের হোম পেজে থাকে। একটি ওয়েবসাইটের হোম পেজে আসলে কাস্টমার সেই পেজ বা বিজনেস সম্পর্কে সার্বিক ধারণা পেয়ে যায়। তাই হোমপেইজটি এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে করে কেও সাইটের হোমপেইজে ভিজিট করলেই দরকারি সব লিঙ্ক, রেফারেন্স এবং প্রডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে দরকারি সব তথ্য কম সময়ে পেয়ে যায়।

ব্লগঃ ব্লগ শব্দটি ইংরেজি Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন। একটি মাধ্যম যেখানে আপনি আপনার জ্ঞান, মত ও তথ্য এবং আপনার জানা প্রিয় জিনিস নিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারবেন, অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে প্রয়োজনীয় আর্টিকেল লিখে ব্লগে পোস্ট করলে এতে করে ওয়েবসাইটে যে সকল ভিজিটর আসবে তারা অনেক কিছু জানতে পারবে এই ব্লগ পড়ে।

অ্যাবাউট  পেজঃ আপনাকে যদি বলা হয় নিজের সম্পর্কে কিছু লিখতে তাহলে অবশ্যই নিজের ভাল দিক এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, আপনার চিন্তা ভাবনা সব কিছু সুন্দর ভাবে তুলে ধরবেন। ওয়েবসাইটের অ্যাবাউট পেজটা আসলে এই রকম। ওয়েবসাইটের অ্যাবাউট পেজে ভিজিট করলে কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট বা বিজনেস এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। তাই অ্যাবাউট পেজে খুবই সুন্দর করে আপনার আপনার পরিকল্পনা এবং সার্ভিস নিয়ে লিখতে হবে। আপনি কি ভাবে সার্ভিস দিয়ে মানুষের সেবা করতে চান সেই বিষটি এখানে সুন্দর ভাবে তুলে ধরতে হবে। যেমন MSB Academy উদ্দেশ্য ভাল কোয়ালিটির অনলাইন কোর্স সবাইকে শিখনো।

প্রোডাক্ট পেজঃ ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট এর বিক্রি কেমন হবে সেটা অনেকটা নির্ভর করে ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট পেজ কেমন সেটার উপর। তাই প্রোডাক্ট পেজ সুন্দর এবং আকর্ষণীয় হতে হবে। প্রতিটা পণ্যের বা সার্ভিসের আলাদা ছবি, ভিডিও বা ব্যানার থাকতে হবে এবং সাথে প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা থাকতে হবে। যেন কাস্টমার সহজে বুঝতে পারে কেন তার এই পণ্য বা সার্ভিসটি প্রয়োজন। প্রোডাক্ট পেজে চাইলে চ্যাট অপশন রাখতে পারেন যেন কাস্টমার প্রয়োজনে সাথে সাথে এসএমএস করে লাইভ চ্যাট করে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারে।

কন্টাক্ট পেজঃ আপনার যে অফিস বা শপ রয়েছে সেটার ঠিকানা কন্টাক্ট পেজে অবশ্যই দিতে হবে। এতে করে কাস্টমারের বিশ্বাস এবং আস্থা অনেকটা বেড়ে যাবে। এছাড়াও কাস্টমার যেন যেকোন প্রয়োজনে কল করে সাপোর্ট নিতে পারে বা আপনারা যেন সাপোর্ট দিতে পারেন সেই জন্য একটি কল সেন্টার রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

FAQ: FAQ এর পুরো অর্থ হচ্ছে Frequently Asked Question। বাংলায় আপনি বলতে পারেন সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন। অর্থাৎ আপনার পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে কাস্টমারের মনে যে প্রশ্ন আসতে পারে সেটা আপনি চাইলে এই FAQ পেজে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি কাস্টমার যেন তার চাওয়া অনুযায়ী প্রশ্ন করতে পারে সেই অপশন রাখতে পারেন। এতে করে কাস্টমারের চাওয়া এবং মতামত দুইটা আপনি পেয়ে যাবেন। এতে করে সেল আরও বেড়ে যাবে যদি চাওয়া অনুযায়ী সার্ভিস দিতে পারেন। 

ওয়েবসাইটে টেকনোলজির ব্যবহার

আসলে বর্তমান সময় প্রযুক্তির সময় টেকনোলজির সময়। তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আপনাকে টেকনোলজির ব্যবহার করতে হবে। ওয়েবসাইটে যতটা সম্ভব টেকনোলজির ব্যবহার করতে হবে। যেমন ওয়েবসাইটে গুগল এ্যানালিটিকস ব্যবহার করতে পারেন। এটি গুগল এর একটি নিজস্ব টুলস যার ব্যবহার এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের মনিটরিং করতে পারবেন। এমন টেকনোলজির ব্যবহার করতে হবে যেন ভিজিটর এবং সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের জন্য বোধগম্য হয়।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন ওয়েবসাইট কি এবং একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে কোন বিষয়গুলার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এখন প্রশ্ন হল কি ভাবে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করবেন? আপনার জন্য সুখবর হল আপনি এখন কোন প্রোগ্রামিং না জেনে WordPress দিয়ে নিজেই নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন কোন ওয়েব ডেভেলাপার হায়ার না করে। MSB Academy এর WordPress Theme & Plugin Customization Masterclass কোর্সে প্রোগ্রামিং না শিখেই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যেকোন ধরণের প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট ডিজাইন কিভাবে করবেন তার সম্পূর্ণ গাইড পেয়ে যাবেন। কোর্সের সাথে বোনাস হিসেবে পাবেন ১৫০০ ডলার মূল্যের প্রিমিয়াম থিম এবং প্লাগিনের লাইফটাইম লাইসেন্স।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ান

আপনার ওয়েবসাইট সুন্দর করে সাজিয়েছেন প্রোডাক্ট সুন্দর করে অ্যাড করেছেন কিন্তু যদি ভিজিটর না আসে তাহলে আপনার সব কিছু বৃথা হয়ে যাবে। ওয়েবসাইটের মেইন হল ভিজিটর। যত বেশি ভিজিটর ওয়েবসাইটে আসবে মানুষ তত আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারবে। সেল তত বেশি হবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার বাড়াতে ভিজিটর এর কোন বিকল্প নেই। ভিজিটর এমনেই আসবে না তার জন্য আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। মার্কেটিং করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়াতে নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারেনঃ

অ্যাক্টিভ কমিউনিটি তৈরি করুনঃ একটি Active কমিউনিটি তৈরি করা যেকোন ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইটা একটা অনলাইন পরিবারের মত। যেখানে সবাই আপনার প্রডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে কথা বলতে, জিজ্ঞাসা করবে, মতামত দিবে। এখানে এমন কিছু মেম্বার থাকবে যারা সর্বদা সক্রিয় থাকবে। আর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার বাড়াতে হলে কমিউনিটি খুবই প্রয়োজন। আপনার বিজনেস সম্পর্কিত নাম দিয়ে ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করুন। সেখানে মেম্বার অ্যাড করুন। সেখানে নিয়মিতভাবে পোস্ট করুন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন। কাস্টমারের ফিডব্যাক নেয়ার চেষ্টা করুন।

কমিউনিটি

এই MSB Academy প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে আমরা যেমন একটা ফেসবুক গ্রুপ মেইনটেইন করি। যেখানে আমাদের কোর্সগুলো করছে বা করতে চায় এমন প্রচুর মানুষ অ্যাড আছে। সেখানে তারা যেকোনো কিছু কেনার আগে পোস্ট করে, কোন সাজেশন লাগলে গ্রুপে পোস্ট করে এবং ফ্রি সাপোর্ট পায় আমাদের কাছ থেকে। অনেকেই কোর্স করে ভালো কিছু করতে পারলে রিভিউ পোস্ট করে। এইভাবে একটা Awareness তৈরি হয়। যার ফলে নতুন অনেকেই আমাদের এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হচ্ছে। আর আপনার বিজনেসের ধরণ অনুযায়ী আপনি এইরকম কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। যেখানে আপনার কাস্টমাররা মন খুলে আলোচনা করতে পারবে। সেখানে মাঝে মধ্যে লাইভ সেশন করে তাদের প্রশ্নের উত্তর সরাসরি দিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং ফ্রি সাপোর্ট দিতে পারেন। 

পেইড মার্কেটিং করুনঃ আমরা সবাই জানি প্রচারেই প্রসার। আপনি যত বেশি প্রচার করবেন আপনার বিজনেস তত বেশি প্রসার হবে। আর টার্গেটেট কাস্টমারের কাছে আপনার পণ্য এবং ওয়েবসাইটটির প্রচার করতে হবে। এর জন্য সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হল পেইড মার্কেটিং। পেইড মার্কেটিং করে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা যত বাড়বে মানুষ তত বেশি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে আর এতে করে সেল অনেক বেড়ে যাবে। পেইড মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস রয়েছে চাইলে সেগুলা ব্যবহার করতে পারেন। 

ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করুনঃ বর্তমানে মানুষ এখন যে কোন প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে। তার মধ্যে থেকে আপনার টার্গেটেট কাস্টমার খুঁজ বের করে তাদের কে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক শেয়ার করুন। কোথায় এবং কি ভাবে লিঙ্ক শেয়ার করবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে লিঙ্ক শেয়ার করুনঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কিন্তু শুধু মাত্র ফেসবুক বুঝায় না। সকল সোশ্যাল মিডিয়া যেমন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম , লিংকডইন, ইউটিউব, টুইটার এই সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে হবে। এর মধ্যে ফেসবুকে মানুষ বেশি সময় দিয়ে থাকে। তাই এই সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি করে ছবি ভিডিও এবং কন্টেন্ট শেয়ার করুন। প্রয়োজনে অ্যাড রান করুন। কারণ আপনাকে মনে রাখতে হবে যেহেতু আপনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার বাড়াবেন আপনার কাস্টমার কিন্তু তারাই যারা অনলাইনে বেশি একটিভ। সুতরাং তাদের কাছে আপনার বেশি করে লিংক শেয়ার করতে হবে।

ইমেইল মার্কেটিং করুনঃ যাদের হাতে স্মার্ট ফোন এবং যাদের ফেসবুক আইডি রয়েছে তাদের সবারই একটি করে ইমেইল আইডি রয়েছে। ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যেম আপনি আপনার ওয়েবসাইটের লিংক সবার কাছে শেয়ার করতে পারেন। সুন্দর করে সাজিয়ে একটি ইমেইল লিখুন সেখানে আপনার ওয়েবসাইট এবং অন্য সকাল সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক পেজ, গ্রুপ সব কিছু উল্লেখ করে এই সকল লিংক অ্যাড করে করে দিতে পারেন।

হোয়াটসঅ্যাপে লিংক শেয়ারঃ হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং অন্যান্য বাকি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মতই একটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। বর্তমানে অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা টার্গেটিং কাস্টমার পাওয়ার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং কে ব্যবহার করে থাকে। হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং এর মধ্য দিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টার্গেটেড কাস্টমার পাওয়া যায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ইমেইল থেকে হোয়াটসঅ্যাপটা বেশি মানুষ চেক করে। তাই হোয়াটসঅ্যাপ মার্কেটিং করে আপনার ওয়েবসাইট লিংক শেয়ার করতে পারেন।

আসলে বর্তমান সময়ে আপনি যে ভাবেই পণ্যের প্রসার বাড়াতে চান না কেন আপনাকে মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে হবে। সঠিক উপায়ে মার্কেটিং ছাড়া আপনি আপনার টার্গেটেট কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না। উপারে আমি আপনাকে যে মার্কেটিং সেক্টরগুলার কথা বললাম এ ছাড়াও আরও অনেক ধরনের মার্কেটিং কৌশল রয়েছে।

আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হয়ে ব্যবসার প্রসার বাড়াতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে MSB Academy এর অল ইন ওয়ান ডিজিটাল মার্কেটিং এই কোর্সটি। ব্লগিং, SEO, অ্যাফিলিয়েট, ফেসবুক মার্কেটিং, ইউটিউব, কুপন বিজনেস থেকে শুরু করে ১৪টির বেশি মার্কেটিং সেক্টরে এক্সপার্ট হয়ে যাবেন, যা আপনাকে প্রতি মাসে হাজার ডলার+ ইনকাম জেনারেটে সাহায্য করবে।

ব্লগের সাথে প্রোডাক্ট পেজের লিংক যুক্ত করুন

অনলাইন মার্কেটিং এর এই সময়ে ব্লগ অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। বর্তমানে মানুষ কোন কিছু জানার প্রয়োজনে গুগলে সার্চ করে এবং সে বিষয় সম্পর্কে ছোট বড় ব্লগ লেখাগুলা পরে সেই বিষয় বা প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করে। ব্লগ এখানে এক ধরনের শক্তিশালী রিভিউ এর মত কাজ করে। তাই আপনার ওয়েবসাইটে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর ব্লগ লিখে সেখানে লিংক যুক্ত করে দিন। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে শুধু ব্লগ লিখলে হবে না কিছু নিয়ম মেনে লিখতে হবে। যেমনঃ

  • কোন বিষয়ের উপর ব্লগ লিখবেন সেটা আগে ঠিক করুন। লেখার ভাষা যেন সুন্দর এবং সাবলীল হয় সেই বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • অবশ্যই ব্লগকে এসইও “Search Engine Optimization” করুন। সার্চ ইঞ্জিনের শুরু দিকে নিয়ে আসার জন্য এসইও কোন বিকল্প নেই। সঠিক উপায়ে কি ভাবে এসইও করবেন জানতে এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।
  • ধারাবাহিক ভাবে ব্লগ পোস্ট করার চেষ্টা করতে হবে। সপ্তাহে ১ টা অথবা মাসে ৪ থেকে ৫ টা ব্লগ পোস্ট করার চেষ্টা করতে হবে এবং ব্লগগুলা সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে দিতে হবে।
  • যে প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করবেন প্রয়োজনে সেটি নিয়ে অনলাইনে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করুন। অন্য প্ল্যাটফর্ম কিভাবে সেটার মার্কেটিং করছে তা দেখুন। সেখান থেকে চাইলে কিছু অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারেন।
  • অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন মাঝে মধ্যে তাদের এলগরিদম সহ অনেক কিছু আপডেট করে সেই সকল আপডেট সম্পর্কে জানতে হবে।

এছাড়াও আপনি যদি কোন রকমের ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই সম্পূর্ণ ফ্রিতে ব্লগ ওয়েবসাইট বানাতে চান এবং শুধু মাত্র ব্লগসাইট দিয়ে ইনকাম করতে চান তারা এই ফ্রি কোর্সটি করে নিতে পারেন।

যেকোন কাজে সফল হতে হলে লেগে থাকতে হয়। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রসার বাড়াবেন এবং এখান থেকে নিজের ব্যবসাকে আরও বড় করবেন তাহলে এই আর্টিকেলে যা বলা হয়েছে তা আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে। কারণ মনে রাখবেন বর্তমান সময় প্রতিযোগিতার সময়। এখানে আপনাকে টিকে থাকতে হলে সঠিক কৌশল জানতে হবে এবং সবসময় নিজেকে আপডেট রাখতে হবে।

Comments

  • User Avatar
    protom12
    December 7, 2022

    চমৎকার কিছু টিপস পেলাম লেখাটি পড়ে। আমি আপনাদের ওয়ার্ডপ্রেস কোর্সটি করে নিজে নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। এটি পড়ে মার্কেটিং টা শিখে গেলাম।

Leave a Reply