Blog

ফ্রিল্যান্সিং কি? কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করবেন? (কমপ্লিট গাইডলাইন)

complete freelancing guideline bangla

ফ্রিল্যান্সিং কথাটির সাথে এখন আমরা কম বেশি সব বয়সের মানুষ বেশ পরিচিত। এখন তরুণ সমাজের কাছ দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি নিজ কর্ম দক্ষতায় স্বাবলম্বী হচ্ছে এই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে। আবার অনেকেই এটাকে ফুলটাইম পেশা হিসেবে নিচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার। উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। আমরাও যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজারের সামান্য অংশ কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্ত হাতিয়ার এবং বেকারত্ব দূর করার অন্যতম মাধ্যম। 

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব ফ্রিল্যান্সিং কি? কেন করবেন এবং কিভাবে শুরু করবেন ফ্রিল্যান্সিং? এবং জনপ্রিয় ১০টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কেও জানব যেখানে আপনি আপনার দক্ষতা বা স্কিল কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং মূলত অনলাইন থেকে আয় করার একটি মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং মূলত এমন একটি পেশা যেখানে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি সাধারন চাকরির মতোই, কিন্তু ভিন্নতা হলো এখানে আপনি আপনার স্বাধীন মতো কাজ করতে পারবেন। একথায় বলতে গেলে, গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যেমনঃ কেউ ব্যবসা কে পেশা হিসেবে নেন তাঁরা হলেন ব্যবসায়ী, যারা চাকুরী করেন তাঁরা হলেন চাকুরীজিবী, আবার যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা হলেন মৎস্যজীবি, ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের পেশা। আর যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। যাঁরা নিজের মেধা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে আয় করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং কে আবার স্বাধীন ভাবে কাজ করা বা মুক্ত পেশাও বলা হয়ে থাকে।

কেন শিখবেন ফ্রিল্যান্সিং?

প্রযুক্তির উন্নতির ফলে দিন দিন আমাদের জীবনমান অনেক উন্নত হচ্ছে। এখন অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের অনেক কাজ অনলাইনের মাধ্যমে অভিজ্ঞলোক হায়ার করে করিয়ে নিচ্ছে। আমাদের সকলের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে রাখা প্রয়োজন। কারন, যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা পড়াশুনার পাশাপাশি আয় করা ছাড়াও পড়াশুনা শেষ হলে চাকুরীর পিছনে হতাশ হয়ে দৌড়িয়ে ফ্রিল্যান্সিং স্কিলকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবে। আর যারা চাকুরীজীবী তারা নিজেদের কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমেও এক্সট্রা আয় করতে পারবেন। চাকুরী স্থায়িত্বকাল কখনো চিরস্থায়ী নয়, কিন্তু আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর স্কিল অর্জন করেন সেটা কখনোই বিফলে যাবে না। এছারাও ফ্রিল্যান্সিং এর আরও কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে। যেমন-

  • ঘরে বসে কাজ করার যায়। অফিসের কোন প্রয়োজন নেই।
  • তুলনামুলক কম সময়ে বেশি ইনকাম
  • সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই। নিজের মত করে করতে পারবেন।
  • যেকোন যায়গায় বসে কাজ করার সুযোগ
  • বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে কাজের সুযোগ
  • পার্ট-টাইম কাজের সুযোগ
  • অনলাইনে সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়
  • নিত্য নতুন বিষয় শেখার ও জানার সুযোগ
  • স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর সুযোগ
  • অফিসে যাওয়া আসার কোন ঝামেলা নেই

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যা যা প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে আপনার খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। আপনাকে বিশাল কোন অফিস ভাড়া নিতে হবে না। আপনি আপনার বাসায় বসে কাজ করতে পারবেন। তার জন্য কিছু জিনিস আপনার প্রয়োজন হবে। যেমন-

  • একটি ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ কম্পিউটার
  • ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ
  • কাজ করার ইচ্ছে ও চেষ্টা
  • কাজ শেখা ও শেখার পর অনুশীলন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ও মানসিকতা

এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন কমিউনিকেশন সিস্টেম যেমন- স্কাইপ, ইমেইল ইত্যাদি সম্পর্কে বেসিক ধারনা থাকতে হবে। কারন, যেহেতু উন্নত দেশগুলিই বেশীরভাগ কাজ আউটসোর্স করে থাকে, তাই আপনি যখন আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করবেন তখন এ মাধ্যম গুলো কাজে লাগবে। আর ইংলিশে আপনার দক্ষতা থাকতে হবে কারন ফ্রিল্যান্সিং একটা ইন্টারন্যাশনাল পেশা। যেকোনো সময় যেকোনো দেশে বসবাসকারী ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিতে হবে। ইংলিশ স্কিল কি ভাবে বাড়াবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।  

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কি কি ধরনের কাজ করা যায়?

অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের কোন শেষ নেই। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে একটু সময় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাহলে দেখতে পারবেন সেখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যেমনঃ 

উপরে উল্লেখিত কাজের বাহিরেও আরও নানা ধরনের কাজ রয়েছে। তাছারাও এই কাজগুলোর ভিতরে আরও নানা ধরনের শাখা উপশাখা রয়েছে।

১০টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

কি কি ধরনের কাজ করা যায় সে বিষয়ে ত আমরা জানলাম এখন জানব এই কাজগুলো কোথায় করবেন?  আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বলতে হাতে গুণা কয়েকটা নাম হয়ত জানি। যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক ইত্যাদি। এছাড়াও আরও অনেক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এখানে আমি আপনাদের জনপ্রিয় ১০টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি আপনার স্কিল কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

  1. আপওয়ার্ক (Upwork)
  2. ফাইবার (Fiverr)
  3. ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)
  4. ৯৯ডিজাইনস (99desings)
  5. পিপল পার আওয়ার (PeoplePerHour)
  6. টপটাল (Toptal)
  7. গুরু (Guru)
  8. ক্রাউড সোর্স (Crowdsource)
  9. কোডেবল (Codeable)
  10. ফ্রিল্যান্স রাইটিং (Freelancewriting)

১) আপওয়ার্ক (Upwork)

অনলাইনে বেশ কিছু মার্কেটপ্লেসের ভিতর জনপ্রিয়তার শীর্ষে আপওয়ার্ক। বাংলাদেশের বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার দের অন্যতম পছন্দ আপওয়ার্ক। বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্ট ও আপওয়ার্ক কে পছন্দ করে কারণ এটি আর্থিক সিকিউরিটি ও কাজের গুনমানের নিশ্চয়তা দেয়। ফ্রিল্যান্সার দের দক্ষতা যাচাই করার জন্য মেসেজের পাশাপাশি রয়েছে অডিও ও ভিডিও কলের মাধ্যমে ইন্টারভিউ নেওয়ার ব্যবস্থা। মুলত এই কারনেই ক্লায়েন্টদের মাঝে এটি বেশি জনপ্রিয়। আপওয়ার্ক এর কার্যপদ্ধতি শুরু হয় ক্লায়েন্ট এর জব পোস্টের মাধ্যমে। ক্লায়েন্ট তার চাহিদা অনুযায়ী জব পোস্ট করে। আপওয়ার্ক ২০% করে কমিশন কেটে নেয়। কাজ শেষে আপনি Payoneer, Paypal যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

Payoneer অ্যাকাউন্ট কি ভাবে ওপেন করবেন জানতে এই ভিডিওটি দেখে ফেলুন। A TO Z গাইডলাইন পেয়ে যাবেন।

২) ফাইবার (Fiverr)

ফাইভার বিশ্বের অন্যতম আরেকটি মার্কেটপ্লেস। বিশ্বের বহুসংখ্যক মানুষ তাদের কাজ ভার্চুয়ালি করিয়ে নিচ্ছে ফাইভারের সাহায্যে। ফ্রিল্যান্সার দের এখানে একটি বাধ্যতামূলক একাউন্ট থাকতে হবে। এখানে সার্ভিস সেলিং এর প্রধান উপকরণ হল গিগ। আপনি যে সার্ভিস দিবেন প্রত্যেকটির জন্য আলাদা আলাদা ভাবে একেকটি গিগের মাধ্যমে সাজাতে হবে। প্রতিটা গিগে সার্ভিস এর নাম, সার্ভিসের বর্ণনা, মুল্য, সময়কাল অ্যাড করতে হবে। প্রতিটা সার্ভিসের জন্য আলাদা আলাদা গিগ তৈরি করতে হয়। আপনি চাইলে এই সকল গিগ সোশ্যাল মিডিয়াতে মার্কেটিং করতে পারবেন। ফাইবারে সেলার রাঙ্কিং এর সিস্টেম রয়েছে যেমন- নিউ সেলার, রাইজিং ট্যালেন্ট লেভেল-১ সেলার লেভেল-২ সেলার টপ রেটেড সেলার। ফাইবার ২০% করে কমিশন কেটে নেয়। কাজ শেষে আপনি Payoneer, Paypal যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

বর্তমানে প্রচুর চাহিদা আছে, এমন ১৮টি ভিন্ন ভিন্ন কাজ হাতে-কলমে শিখার পাশাপাশি Fiverr-এ অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে, কিভাবে সফলতার সাথে ফ্রীলেন্সিং করবেন তার A to Z গাইডলাইন পেতে ফাইবার সাকসেস এই কোর্সটিতে জয়েন হতে পারেন। ৬০০০+ স্টুডেন্ট কোর্সে অলরেডি জয়েন করে ফেলছে অ্যান্ড সবারই কম বেশি ইনকাম হচ্ছে।

৩) ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)

ফ্রিল্যান্সার অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি মার্কেটপ্লেস যা ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। ক্লায়েন্ট দুটি ক্যাটাগরিতে জব পোস্ট করে কনটেস্ট আকারে এবং প্রজেক্ট আকারে। কনটেস্ট আকারে জব পোস্ট করলে ফ্রিল্যান্সাররা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কন্টেস্ট এ অংশগ্রহন করে এবং কাজ সাবমিট করে। প্রোজেক্ট আকারে জব পোস্ট করলে ফ্রিল্যান্সার সংশ্লিষ্ট কাভার লেটার সহ বিড করতে পারে। ফ্রিল্যান্সারের করা বিড থেকে ক্লায়েন্ট যোগ্য প্রার্থী কে বেছে নেয়। ফ্রিল্যান্সার ঘন্টা চুক্তি বা প্রোজেক্ট অনুযায়ী কাজ করতে পারে। ফ্রিল্যান্সার ১০% করে কমিশন কেটে নেয়। কাজ শেষে আপনি Payoneer, Paypal যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

৪) ৯৯ডিজাইনস (99desings)

৯৯ডিজাইনস গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। দেশ বিদেশের গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা এখানে কাজ করে থাকেন। শুধুমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা কাজ করেন বলে এখানে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এই মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের তিনটি রাঙ্ক রয়েছে এন্ট্রি লেভেল ,মিড্ লেভেল,টপ লেভেল। ৯৯ডিজাইনস কোন কমিশন কেটে নেয় না। কাজ শেষে আপনি Payoneer, Paypal যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

৫) পিপল পার আওয়ার (PeoplePerHour)

পিপল পার আওয়ার আরও একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানে সার্ভিস সেল ও করা যায় আবার ক্লায়েন্টের জব পোস্ট এ বিড ও করা যায়। যার জন্য এর জনপ্রিয়তা একটু বেশি। এই মার্কেটপ্লেসে ২টি পদ্ধতি কাজ করা যায়, আওয়ারলি ও জব পোস্ট ছোট কাজের জন্য আওয়ারলি সেরা। সাধারণত ১-৫ দিনের কাজের জন্য আওয়ারলি সেরা। অন্যটি হলো বায়ার জব পোস্ট করেন তার চাহিদা অনুযায়ী এবং ফ্রিল্যান্সার সেই জব এ বিড করে কাজ নিতে পারেন।পিপল পার আওয়ার তিন ধাপে কমিশন নিয়ে থাকে ২৫০ পাউন্ড পর্যন্ত ২০%, ২৫০-৫০০০ পাউন্ড পর্যন্ত ৭.৫%, ৫০০০+ পাউন্ড ৩.৫%। কাজ শেষে আপনি Payoneer, Paypal যে কোন মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

৬) টপটাল (Toptal)

অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মত আরেকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। বাহিরের দেশে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিযোগিতা কম থাকায় দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের অল্প সময়েই উন্নতি করতে পারে। এই মার্কেটপ্লেসে তিনটি ক্যাটাগরিতে সরাসরি ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করা যায়। আওয়ারলি, পার্ট টাইম, ও ফুল টাইম। আওয়ারলি রেট $৬০ থেকে $২৫০। পার্ট টাইম রেট সপ্তাহে $১০০০ থেকে $৪০০০। ফুলটাইম রেট সপ্তাহে $২০০০ থেকে $৮০০০। কাজ শেষে আপনি ক্রেডিট কার্ড, পেপাল এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

৭) গুরু (Guru)

Guru আর একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে প্রায় 1.5 মিলিয়ন এর বেশি ইউজার রয়েছে। এখানে ক্লায়েন্ট চাহিদা অনুযায়ী যেকোন ক্যাটাগরিতে জব পোস্ট করে। ফিক্সড প্রাইস ও আওয়ারলি দুই ধরনের জব পোস্ট করা যায়। ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রি ও প্রিমিয়াম দুই ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে। ফ্রি মেম্বারশিপ একাউন্ট থেকে গুরু ৯% কমিশন কাটে ও প্রিমিয়াম মেম্বারশিপে ৫% পর্যন্ত কমিশন কাটে। প্রিমিয়াম মেম্বারশিপে ভাল সুবিধা এরা দিয়ে থাকে। কাজ শেষে আপনি U.S. Bank Account (eCheck), PayPal, Payoneer এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

৮) ক্রাউড সোর্স (Crowdsource)

ক্রাউড সোর্স অন্যান্য ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস গুলোর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন । অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে কম ক্যাটাগরিতে কাজ হয়। কোকাকোলার মত নামী ব্র্যান্ড গুলো ক্রাউড সোর্স এর সাথে কাজ করে।

এখানে কাজ করতে গেলে ফ্রিল্যান্সার দের ট্রেনিং এবং টেস্ট বাধ্যতামুলক। প্রতিটি কাজের শেষে দুই ধাপে কোয়ালিটি চেক করে কমপ্লিট করা হয়। সরাসরি ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সারের সম্পর্ক থাকে না তাই এটা শুধু মাত্র দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সর্বোত্তম। কাজ শেষে আপনি ক্রেডিট কার্ড, পেপাল এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

৯) কোডেবল (Codeable)

কোডেবল ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার, কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যারা কোড নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য। এখানে শুধু মাত্র প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত কাজ হয় তাই তুলনামূলক প্রতিযোগিতা অনেক কম। এখানে ক্লায়েন্ট চাইলে সরাসরি ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করতে পারে। ক্লায়েন্ট তার চাহিদা অনুযায়ী জব পোস্ট করে থাকে। ফ্রিল্যান্সাররা জব এ বিড করতে পারে। কোডেবল ১৭.৫% করে কমিশন কেটে নেয়। কাজ শেষে পেপাল, ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট গ্রহন করার সুবিধা রয়েছে।

১০) ফ্রিল্যান্স রাইটিং (Freelancewriting) 

ফ্রিল্যান্স রাইটিং মূলত কনটেন্ট সম্পর্কিত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যাদের কন্টেন্ট লেখার দক্ষতা রয়েছে তাদের জন্য এটি বেশ সুবিধাজনক। কারণ ঝামেলা ছাড়াই ক্লায়েন্ট এখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিল্যান্স রাইটার খুজে পায়। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের স্যাম্পল ও নিজেদের সম্পর্কে বিস্তারিত দিয়ে প্রোফাইল তৈরী করে। বায়ার স্যাম্পল দেখে বা যাচাই করে অর্ডার করতে পারে। এখানে বায়ার তিনটি ক্যাটাগরিতে ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে পারে। আলাদা ভাবে প্রতি কন্টেন্ট এর জন্য, মাসিক ডলার চুক্তি তে, ও কাস্টম প্রাইসিং এ। কাজ শেষে পেপাল এবং ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পেমেন্ট গ্রহন করার সুবিধা রয়েছে।

বাংলাদেশের একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

বাংলাদেশি অনেক ফ্রিল্যান্সাররা বাহিরের মার্কেটপ্লেসে কাজ করে নিজের স্কিলকে কাজে লাগিয়ে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। আবার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোর অনেক নিয়ম-কানুনের কারণে অনেকের অ্যাকাউন্ট পার্মানেন্টভাবে সাসপেন্ড হচ্ছে!! আবার অনেকে লোকালভাবে সার্ভিস দিতে চায় কিন্তু পেমেন্ট গেটওয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকেই লোকালি সার্ভিস দেয়ার মাধ্যমে ফ্রীলান্সিং শুরু করতে পারছে না। কিন্তু আপনাদের জন্য সুখবর হচ্ছে  Team MSB সম্প্রতি MSB Cloud নামে একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস চালু করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। MSB Cloud হবে বাংলাদেশের প্রথম ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। যেখানে আপনার স্কিলকে কাজে লাগিয়ে লোকালি সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করে শুরু করতে পারবেন।

কিভাবে শুরু করবেন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার?

নিজের লক্ষ্য ঠিক করুনঃ স্কুল লাইফে আমরা যখন ক্লাস অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উঠতাম তখন আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে হত যে সাইন্স নাকি কমার্স কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করব। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে আপনার লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। যেমন- আপনি এখানে কতটুকু সময় নিয়ে কাজ করবেন। কতটুকু সময় দিতে পারবেন। নিজের চাকরির করার পাশাপাশি কি এটা করাতে চান। পার্ট-টাইম নাকি ফুল-টাইম হিসাবে ইনকাম করতে চান ফ্রিল্যান্সিং করে। এই সকল ব্যাপারে লক্ষ্য রেখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান সেটা ঠিক করুনঃ অনলাইন ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের কোন শেষ নেই। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে একটু সময় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাহলে দেখতে পারবেন সেখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যেমন- graphic design, content writing, web design, content marketing, video editing, SEO services, video creating,App Development সহ আরো অনেক গুলো বিষয় রয়েছে। এখন আপনি কোন বিষয়টি নিয়ে কাজ করে ইনকাম করবেন সেটা ঠিক করতে হবে। এই বিষয় সিলেকশন বা নিশ সেট করার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে।

যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ বেশি সেটি নিয়ে কাজ করবেন। আপনি যে বিষয়ে সার্ভিস দিবেন সেই বিষয়ে আপনার স্কিল থাকতে হবে। অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি যে নিশ বা বিষয় ঠিক করেছেন সেটার মার্কেটপ্লেসে চাহিদা কেমন সে বিষয়ে একটু লক্ষ্য রাখতে হবে এবং আপনার মধ্যে কাজ করার প্যাশন থাকতে হবে। প্রচুর ধৈর্য রাখতে হবে।

কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন সেটি ঠিক করুনঃ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন freelancing সাইট বা মার্কেটপ্লেস গুলিতে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে আপনি কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান সেই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে আপনার ধারণা রাখতে হবে। মার্কেটপ্লেসের রুলস এবং সেখানে কোন কোন কাজের চাহিদা কেমন সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সময় ক্লায়েন্ট এর সাথে ভাল সম্পর্ক করতে পারেন এবং সময় মত কাজটি ডেলিভারি করতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেসে অন্য আরও কাজ পেতে আপনার জন্য সহজ হবে।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে পারিশ্রমিকের পদ্ধতি কি?

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে পারিশ্রমিক মূলত তিনটি ধাপে নির্ধারণ করা যায়। যেমনঃ

  1. আওয়ারলি রেট
  2. বিড করে কাজ
  3. প্রোজেক্ট ভিত্তিক কাজ

আওয়ারলি রেট

আওয়ারলি রেটে আপনি প্রতি ঘণ্টায় কাজের জন্য ডলার নিবেন সেটা ঠিক করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তেমন কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই আপনার রেট সেট করার। তবে আপনাকে অবশ্যই মার্কেটপ্লেসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যাচাই বাচাই করে পারশ্রমিক রেট নির্ধারণ করে দিতে হবে। আপনি আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সেটা নির্ধারণ করবেন। অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা অনেকেই ৫০ থেকে ২০০ ডলার আয় করে থাকে।

বিড করে কাজ

এই বিড পক্রিয়াতে যিনি কাজ দিবেন তিনি কাজের জন্য একটি পারশ্রমিক রেঞ্জ ঠিক করে দিবেন। সেই রেঞ্জের মধ্যে সবাই বিড করবে। যে সবচেয়ে কম রেটে অফার করবে তার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই কাজ দেয়ার আগে আপনার ফ্রীলান্সিং প্রোফাইলে পূর্বের কাজের রিভিউ অ্যান্ড আপনার অভিজ্ঞতাও Client যাচাই করে নিবে। এই ব্যাপারটা অনেকটা নিলামে তুলার মত।

প্রোজেক্ট ভিত্তিক কাজ

অনেক বড় বড় কোম্পানি এই প্রোজেক্ট বেইজ কাজ দিয়ে থাকে। ফ্রিল্যান্সাররা সরাসরি ক্লায়েন্টেদের সাথে একটি নিদিষ্ট সময়ের জন্য একটি নিদিষ্ট পারিশ্রমিকের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টে অংশ নেয়। একজন ফ্রিল্যান্সারের পক্ষে একা সেই কাজ করা সম্ভব না। কয়েকজন ফ্রিল্যান্সার মিলে প্রোজেক্টি শেষ করে। যত দিন কাজ শেষ না হবে ততদিন সেখানে কাজ করে যাবেন। এটাই হল প্রোজেক্ট।

কিভাবে শিখবেন ফ্রিল্যান্সিং?

আপনি যে কোন পেশাতে কাজ করেন না কেন সেই পেশার সেই কাজ সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু একটি প্রফেশনাল কাজ বর্তমান সময়ে তাই এই সম্পর্কে আপনার মধ্যে স্কিল থাকতে হবে। কারন এখানে আপনি আপনার স্কিল বা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু প্রফেশনাল কাজ রয়েছে যা আপনাকে শিখতে হবে। শুধু শিখলে হবে না প্রফেশনাল ভাবে শিখতে হবে যেন সেই স্কিল বা অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করে অন্যের প্রয়োজন মিটাতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বেসিক ধারণা বিভিন্ন ব্লগ পড়ে, ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও দেখে নিতে পারেন। তবে প্রফেশনালভাবে কাজ শিখার ক্ষেত্রে আপনি দুইভাবে শিখতে পারেন। 

  1. অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের মাধ্যমে
  2. অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের মাধ্যমে

অফলাইন ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের মাধ্যমে

বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অফলাইনে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। একটি নিদিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে আপনাকে তাদের সেই সকল কোর্সের প্যাকেজ ভর্তি হতে হবে। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন আপনাকে তাদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ শিখতে হবে। শিখার পর আপনাকে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। কাজ শিখানোর সময় আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে।

অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের মাধ্যমে

ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখার সবচেয়ে ভাল এবং সুন্দর মাধ্যেম হল অনলাইন। কারন আপনি একটু চিন্তা করুন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করবেন অনলাইন থেকে সুতরাং শিখার বিষয়টাও যদি অনলাইন থেকে হয় সেটা বেস্ট। এখন অনেক ভাল মানের অনলাইন একাডেমী রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ের অনেক কোর্স পাবলিশ করে। তাদের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই কোর্স গুলার জন্য পেমেন্ট করলে আপনি সম্পূর্ণ কোর্সের ভিডিও এক্সেস পাবেন এবং আপনার মত করে শিখতে পারবেন। কোন সমস্যা হলে কোর্সের যে মেন্টর তার হেল্প নিতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে কারন সব প্রতিষ্ঠান কিন্তু ভাল না। অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ঠিকভাবে সাপোর্ট দেয় না। ভিডিও এক্সেস ৫ থেকে ৬ মাসের জন্য দিয়ে থাকে ৬ মাস পর আবার আপনাকে সেই কোর্স টাকা দিয়ে কিনতে হবে।

এক্ষেত্রে আমি আপনাকে সাজেস্ট করব আপনি MSB Academy থেকে কোর্স করতে পারেন। MSB Academy সব সময় কোয়ালিটি সম্পূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং কোর্স প্রোভাইড করে থাকে। স্টুডেন্টদের সুবিধার জন্য প্রতিটা কোর্সে রয়েছে লাইফ টাইম কোর্স এক্সেস, লাইফ টাইম কোর্স আপডেট এবং লাইফটাইম ইনসট্রাক্টর সাপোর্ট। অর্থাৎ আপনি আপনার মত করে শিখার সুযোগ পাবেন। আর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে ব্যাপক চাহিদা যেসকল কাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল টি-শার্ট ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মারকেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, Ui/Ux ডিজাইন, পাইথন প্রোগ্রামিং, জাভা প্রোগ্রামিং, ওয়েব অ্যান্ড অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, ভিডিও অ্যানিমেশন ইত্যাদি। এইসব ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোর্স আপনি MSB Academy থেকে করে নিজেকে নিজের পছন্দের সেক্টরে এক্সপার্ট হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর বর্তমান চাহিদা এবং ভবিষ্যৎ

বর্তমান যুগে এ ফ্রিল্যান্সিং-এ কাজের পরিধি অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী এ ধরণের কর্মপদ্ধতির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কেবলমাত্র ভারত-বর্ষেই ২৪ কোটির ও বেশী মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তো দেখা যাচ্ছে যে ইন্টারনেট জগতের ব্যপ্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাথে সাথে এই বিশালাকার ইন্টারনেট জগতের প্রচুর ব্যবহারির কে নিয়ে নতুন নতুন ব্যবসার উৎপত্তি হচ্ছে। আর এই ব্যবসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলি পরিচালনা করতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। আর যেহেতু পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় সেজন্য প্রতিনিয়তই ফ্রিল্যান্স-দের চাহিদা বাড়ছে। PayPal এর একটি report দেখা গিয়েছে ২৩ % ভারতীয় ফ্রিল্যান্সাররা ৬০ লক্ষ টাকা প্রত্যেক বছরে আয় করছে। বাকি ২৩% রা ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার ভেতরে টাকা আয় করছেন। তাছাড়া, বাকি ৫৪ % ফ্রিল্যান্সাররা ২.৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

সুতরাং আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করবেন সেটা আপনার স্কিল এবং কাজের প্রতি আপনার আগ্রহের উপর নির্ভর করবে। আপনি যতবেশি দক্ষতা অর্জন করবেন এবং সময় দিবেন আপনার ইনকাম তত বেশি হবে। এবং সেটা দিন দিন বাড়তে থাকবে।

পরিশেষে একটি কথা, ফ্রিল্যান্সিং হল একটি মুক্ত এবং স্বাধীন পেশা। আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান বা অনলাইন থাকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে স্কিল অর্জন করতে হবে। আগে নিজেকে এক্সপার্ট হিসবে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে তবেই আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং হল ধৈর্য এবং স্কিল দুটির মিল বন্ধন।

Leave a Reply